নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবেসে যাকে ছুঁই, সে যায় দূরপরবাসে!

রেনেসা

ভালবেসে যাকে ছুঁই, সে যায় দূরপরবাসে!

রেনেসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

১০ টাকার ইয়োইয়ো, একটি শিশুর আনন্দ ও আমাদের অনুশাসন

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০১

১৯৯৪। মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরেছে ইয়োইয়ো, শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সবাই আক্তান্ত। খেলার মাঠ, স্কুল, রাস্তাঘাট, বাজার, সকাল থেকে রাত, সব কিছুতেই ইয়োইয়ো। বিভিন্ন ধরনের কসরত। কে কত ভাল করতে পারে তার প্রতিযোগিতা। সে সময়ে ৪০ টাকা দিয়ে পাওয়া যেত অরিজিনাল ইয়োইয়ো, সেই সাথে ১০ টাকায় পাওয়া যেত ২ নম্বর গুলো।



কেশবপুর আলিয়া মাদ্রাসার উর্দু বিভাগের শিক্ষক (পাইকগাছার হুজুর নামে পরিচিত) এর ছেলে, বয়স আনুমানিক ৭/৮ বছর। ছেলেটির মায়াকাড়া চোখ। কোন এক কারনে ওকে আমার ভাল লেগে যায়। ওর সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে। (পাইকগাছা হুজুর ছিলেন মনে প্রানে একজন ভাল মানুষ। একজন ধর্মীয় আদর্শ পূরুষ। ছেলেদেরকে ধর্মীয় অনুশাষনে বেধে রখতেন। আমরা যখন মাঠময় ফুটবল/ক্রিকেট/দাবা/ কেরাম নিয়ে ব্যস্ত সে সময় তার সন্তানকে দেখতাম মাথায় টুপি পরে মাঠের পাশে দাড়িয়ে আমাদের বা তার সমবয়সীদের খেলা দেখতে। মাগরিবের আল্লাহআকবর ধ্বনি শুনে আমরা যখন খেলায় মত্ত থাকতাম তখন হুজুরের সাথে তার ছেলে মসজিদে বসে বলতো, আল্লাহু আকবর - আল্লাহু তুমি মহান।



যা হোক মুল কথায় আসি। আমার হাতে/পকেটে সবসময় ইয়োইয়ো। ক্লাসের ফাকে ইয়োইয়ো। প্রাইভেটে গেলে পকেটে ইয়োইয়ো্। ঘুমোতে, শোয়াতে সব সময় ইয়োইয়ো। হুজুরের ছেলে আমার কাছে আসতো, ভাইয়া বলে ডাকতো। সে সময় অসময় অসময় প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে আমার কাছে আসত। উদ্দেশ্য আমার ইয়োইয়োটা নিয়ে একটু খেলা করা। আমিও তাকে সে সুযোগ দিতাম।



ঈদের কাছাকাছি সময়। ভাললাগার কারনে হোক বা যে কোন কারনে হোক তাকে আমি ১০ টাকা দামের একটি ইয়োইয়ো উপহার দেই।



উপহার পেয়ে তার যে আনন্দ, যে উল্লাস, যে খুশি তার চোখে আমি দেখেছি আজও আমি তা ভুলতে পারিনি।



তার ভিতরে যে শিশুটি মনটি বাস করতো, ধর্মীয় অনুশাসনের কারনে তাকে অবদমিত রাখার যে মানসিকতা তার বাবার ভিতরে ছিল তা কতটুকু যৌ্ক্তিক ছিল? এ রকম ধর্মীয় অনুশাষন আমাদের শিশুদের মানসিক বিকাশে কতটুকু সহায়ক হতে পারে?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

দেবী বলেছেন: আজ কাল ফেইসবুক খুললেই শুধু মানুষের ছবি আর ছবি। এর মধ্যে বাচ্চাদের ছবিই বেশি যাদের মধ্যে প্রায় এ দেখা যায় ছোট মেয়েটা কে হিজাব পরিয়ে রাখা হয়েছে.. যারা নিজের ইচ্ছায় হিজাব পরেন তাদের প্রতি আমার সন্মান আছে কিন্তু এই ছোট্ট কোমলমতি শিশুটাকে হিজাব পড়ানোর কি মানে আমি বুঝি না। অনেকে বলবেন ছোটবেলা থাকে না পরালে বড় হয়ে পড়তে চাইবে না। .... আমি জানি না এই সব বাচ্চা মেয়েরা আসলেই বড় হয়ে হিজাব পরবে কিনা নাকি হিজাব এর উপর একটা বিরূপ মনোভাব তৈরী হবে. সময়ই সে কথায় প্রমান রাখবে, আপাতত আমার স্কুল জীবনের একটা ঘটনা বলি. আমার এক বান্ধবী সম্ভ্রান্ত জামাতি ইসলামের নেতার মেয়ে ছিল যথাযত বোরকা পরা তার বাধ্যতামূলক ছিল. আমি দেখেছি সে যখন বাসা থেকে বের হত তখন ঠিক বোরকা পরত তারপর রাস্তায় অথবা অন্যর বাড়িতে এসে বোরকা খুলে যেখানে যাবার সেখানে যেত. আবার বাসায় যাবার আগে বোরকা পরে বাসায় যেত। এই বোরকা পরার কি মানে আছে আমার জানা নাই. সবার আগে নিজের মধ্যে বোরকা পরার ইচ্ছাটা না জন্মালে সেটা আসলেই কাজ করে না। ধর্ম কখনই মানুষের উপর কিছু চাপিয়ে দেয়না আগে আত্মার উন্নতি বড় কথা তারপর ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলা দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি আজ কাল আমরা ধর্মের আসল কথা না মেনে শুধু রীতিনীতি গুলো নিয়ে পড়ে থাকি। সম্পত্তির জন্য খুন করতে আমাদের বাধে না কিন্তু ঘরের মেয়েটা বৌটা বোরকা না পড়লে ধর্ম থাকে না. আসলে এই গুলো ধর্ম মানা না লোক দেখানো ধর্ম পালন এর নাটক.

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

রেনেসা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.