![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ‘বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্রে গণজাগরণ মঞ্চকে নাস্তিক বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। গণজাগরণ মঞ্চের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে। যারা কবর খুঁড়ছেন তাদেরকে কবর দেওয়ার জন্যই গণজাগরণ মঞ্চ রাজপথে থাকবে। ঘরে ঘরে গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি করে একাত্তরের সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।’
শাহবাগে এক প্রতিবেদ সমাবেশ শেষে শুক্রবার বিকেলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জানুয়ারি নির্বাচনের আগে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বললেও নির্বাচনের পরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে আওয়ামীলীগ সরকার। সরকার শুধুমাত্র নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা মুখে বললেও আসলে এ বিষয়ে আন্তরিক নয়। তারা জামায়াতের সঙ্গে আবারও আঁতাত করে ক্ষমতায় থাকতে চাই।’
সমাবেশে নারীনেত্রী খুশী কবির, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, ডাকসু’র সাবেক জিএস ড. মোশতাক হোসেন ও ভিপি রাগিব হাসান মোল্লা, কবি মোহন রায়হান, কণ্ঠশিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবু, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
লাকী আখতার বলেন, ‘যারা জামায়াত শিবির ও যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে লিয়াজো করে ক্ষমতায় থাকতে চায় তাদেরকেও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে জামায়াতকে নিষিদ্ধ সম্ভব নয় অভিহিত করে আইনমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যেও প্রতিবাদে গত ২ জুন আইন মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ।
©somewhere in net ltd.