হুমায়ূন আহমেদের বহুমাত্রিক চরিত্রের নাম লাবন্য।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৩

হুমায়ূন আহমদের লেখা অপছন্দ করে এমন মানুষ অনেক কম ই আছে আমার জানামতে। আমাদের বর্তমান সময়ের অনেক ঘটনাই তার লেখার মধ্য ফুটে উঠেছে। রিয়াদ নিজেও অনেক বড় ভক্ত এই গুনী লেখকের। রিয়াদ অনেকটা অলস প্রকৃতির এবং অধৈর্যশীল, আর এই কারনেই বই পরতে পারে না বেশির ভাগ সময়েই। আর তাই সে শুধু হুমায়ূন আহমেদের নাটক, সিনেমা, ধারাবাহিক এই গুলাই দেখে।

লাবন্যর অনেক বেশী পছন্দের লেখক হল হুমায়ূন আহমেদ। লাবন্যর সাথে প্রথম পরিচয় হবার পর তারা একদিন ঠিক করে তারা শহর দেখতে বের হবে। পুরাণ ঢাকায় ঘুরবে দুজন। রিয়াদ অবশ্য পুরান ঢাকা চিনে না। চিনে না বলতে এলোমেলো হয়ে যায়, তাই তার সম্বল হল লাবণ্য। লাবণ্য পথ চিনিয়ে নিয়ে যাবে। ঘুরতে ঘুরতে এক সময় আকাশে অনেক মেঘ হল, তারা দুজন একটা আশ্রয় নিল। বৃষ্টির পানি দুইজন এর গায়েই লাগছে। অর্ধেক ভিজে গেছে দুইজন ই। রিয়াদ আস্তে আস্তে গাইছে " বাদলা দিনে মনে পরে ছেলে বেলার গান " এমন সময় রিয়াদ বলে উঠল " আমার আছে জল " দেখছো? লাবণ্য বলল হ্যা পড়েছি, দেখেছি ও। আমার অনেক বেশী পছন্দ হুমায়ন আহমেদের লেখা। রিয়াদ ও বলা শুরু করল আমার ও তো অনেক পছন্দ। কত পড়েছি । মাথার উপর অনেক প্রেসার দিয়ে কিছু নাম ও বলে দিল রিয়াদ। কারন তখন ও রিয়াদ জাস্ট নাটক , মুভি হিসাবেই দেখে। কারন বই পড়ার প্রতি এত ভালবাসা তখন ও তার জন্মায় নি।

এখন অনেক বেশি পড়ে হুমায়ূন আহমেদের বই। আর বই গুলা পড়লেই লাবন্যর কথা অনেক বেশী মনে পড়ে। কি অদ্ভুদ একটা ব্যাপার খেয়াল করলো রিয়াদ যে , লাবণ্য মেয়েটা মনে হয় হুমায়ূন আহমদের অনেক গুলা নারী চরিত্রের মিশ্রন। সব গুলা চরিত্র ই লাবণ্যর মধ্য খুজে পায় রিয়াদ। হুমায়ূন আহমেদের বই গুলা পড়ে আর মনে হয় এই তো লাবন্য কে নিয়ে লেখা।

হুমায়ূন আহমেদের গল্পের কথা -বার্তা বলার ধরন, বাক্য ব্যাবহার সব কিছুই যেন মিলে যায় লাবন্যর সাথে। কেন যেন এখন রিয়াদের মনে হয় এই লাবন্য হল হুমায়ূন আহমেদের সব নারী চরিত্রের পুরাই ক্লোন ।

হুমায়ূন আহমেদ বেচে থাকা অবস্থায় রিয়াদের কখন ও মনে হয় নাই এই কিংবদন্তির সাথে কখন ও দেখা করতে, এখন অনেক বেশী আফসোস হয় ইশ। একবার যদি রিয়াদ এই মানুষটার সাথে দেখা করতে পারতো!!! অনেক কিছু জানার আছে রিয়াদ এর। রিয়াদ কিছু প্রশ্ন নিয়ে বসে আছে হুমায়ূন আহমেদের কাছে। কিন্তু এই কিংবদন্তি লেখক তো আর নেই।

না বুঝে রিয়াদ অনেক পড়েছে হুমায়ূন আহমেদের বই।আর এখন সে আবার নতুন করে পড়ে সেই বই গুলাই, প্রতিটি পৃষ্ঠায় খুজে পাই সে লাবণ্য কে। লাবন্য কে খুজতেই সে এখন হুমায়ূন আহমেদের বই এর নেশায় পড়ে গেছে। হুমায়ূন আহমেদ আর লাবণ্য দুইটাই এখন তার জানার সব থেকে বড় বিষয়বস্তু। কিন্তু বড় আফসোস এই যে হুমায়ূন আহমেদ আর লাবণ্য এই ২ টা ব্যাক্তিই আজ রিয়াদ এর জীবনে নেই, আছে শুধু হুমায়ূন আহমেদের লেখা আর লাবন্যর স্মৃতি। ভাল থাকুক ভালবাসার এই মানুষ ২ জন।

০ টি +১/-০