নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিরো

জিরো

জিরো › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদ্ভুদ, অসঙ্গায়িত অনুভুতি ই কি ভালবাসা???

১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৫৪

ভালবাসা হল এক অদ্ভুদ ফিলিংস এর নাম, এইটা সবাই ই জানে, নতুন করে বলার মত কিছু না। কিন্তু এই অদ্ভুদ ফিলিংস টা এক এক জনের কাছে এক এক রকম। কারোর সাথে কারোর ফিলিংস মেলে না, আর তাই বুঝি সবার ভালোবাসা টাও হয় আলাদা। পাওয়া না পাওয়ার খেলায় সবাই ই ব্যাস্ত। কেউ ভালোবাসা পেয়ে ফিলিংস পায় আবার কেউ না পেয়ে।

রিয়াদ এর ভালোবাসার ফিলিংস টা এখন শুধু না পাওয়ার আর পেয়ে হারানোর মধ্য ই সীমাবদ্ধ। লাবণ্য নাই আজ নিয়ে ৪৪৪ দিন হল। এই ৪৪৪ দিন রিয়াদ এর প্রতিটা মুহূর্ত কেটেছে শুধু লাবণ্য এর স্মৃতি গুলা আকড়ে ধরে। স্মৃতি, মায়া , ভালবাসা যে এত কষ্ট দিতে পারে তা যদি রিয়াদ আগে জানতো তাহলে হয়ত লাবণ্যকে প্রথম যেদিন দেখেছিল সেইদিন ই এই শহর-নগর- দেশ এমনকি পৃথিবী ছেড়ে পালিয়ে যেত। কারন সেদিন ই প্রথম লাবণ্যকে দেকেছিল সেইদিন থেকেই তার দিন রাত এক হয়ে গেছিল শুধু লাবণ্যর জন্য।

হারানোর ভয় তো সব মানুষের ই থাকে , কিন্তু কেন জানি না রিয়াদের মনের মধ্য কখন ও লাবন্য কে হারানোর ভয় ছিল না। সে শুধু ভালবেসেই গেছিল। তার মনে হত আমি তো তাকে ভালবাসি , সে শুধু আমার। কখন ও হারাতে দেব না, সে কখন ও হারাবে ও না। দুরন্ত এক ভালবাসা বুকে নিয়েই তার ভালবাসার পথ শুরু হয়েছিল। জীবনে এত ভাল কখন ও কাওকে কখন ও বাসে নি রিয়াদ।

রিয়াদের কাছে মনে হত জগত এ বুঝি আর কোন মেয়ে নেই, একমাত্র মেয়ে যার নাম লাবন্য। আর কোন মেয়ে নেই বলতে যাকে তার মেয়ে মনে হয় এমন কিছু একটা ।অন্য কোন মেয়ের কোন কিছুই যেন তাকে আর আকর্ষিত করতে পারে না, তার সমস্ত আকর্ষণ জুড়েই শুধু লাবণ্য।

এইটা কি আসলে?? ভালবাসা নাকি পাগলামি? রিয়াদ এখন ও জানে না আসলে এটা কি ভালবাসা নাকি পাগলামি ? উত্তর ও খুজতে যায় না এখন আর এইটা নিয়ে। তবে সবাই বলে এইটা নাকি রিয়াদ এর পাগলামি। রিয়াদের কাছের মানুষ গুলা ও এখন প্রচন্ডভাবে রিয়াদ এর উপর বিরক্ত। আর এই বিরক্তির কারনে এখন রিয়াদ একা, নিঃসঙ্গ। তার পাগলামি গুলা এখন আর কেউ সহ্য করতে চায় না। ২ /১ জন কাছের মানুষ ছাড়া তার আর এখন কোন সঙ্গ নেই। বন্ধু-বান্ধবী, ভাই-ব্রাদার সবাই এখন তার থেকে আলাদা। আবার কিছু মানুষ বোঝায় মানুষ এর জীবন তো এমন। জীবন থেকে কিছু মানুষ চলে যাবে, তাই বলে কি জীবন থেমে থাকবে? নতুন ভাবে শুরু করতে হবে-------- ।

এমন অনেক কথা শুনতে শুনতে রিয়াদ টায়ার্ড, আর এমন কথা বলতে বলতে সেই মানুষ গুলা ও বিরক্ত। এইভাবে রিয়াদ আজ একা। এরপর আরো কিছু মেয়েও বিভিন্ন সময়ে রিয়াদ এর সাথে মিশতে চেয়েছে, রিয়াদ তাদের সাথে মিশতে পারে নি। লাবন্য থাকা অবস্থায় যেমন অন্য মেয়েদের এড়িয়ে চলত, এখন ও সেই অভ্যাস টা থেকে গেছে।

রিয়াদ জানে কারোর জীবন ই তার জন্য থেমে নেই, সবার জীবন ই এগিয়ে যাচ্ছে, শুধু সেই ই থেমে আছে নষ্ট ঘড়িটার মত। কিন্তু কি করবে বেচারা। সে তো চাইলেই অন্য সবার মত সব কিছু পারে না। সে চাইলেই হাসতে পারে না, সে চাইলেই সবার মত আনন্দ, মাস্তি করতে পারে না। সে যে কেন পারে না তা নিজেও সে জানে না।

এক অদ্ভুদ, অব্যাক্ত কষ্ট নিয়ে প্রতিটি প্রহর আজ ও কাটিয়ে দিচ্ছে রিয়াদ। রিয়াদ আজ চাইলেও পারে না মাঝ রাত এ ফোন করে লাবন্যর সামনে একটু কাঁদতে। চাইলেই পারে না লাবন্যকে জড়িয়ে ধরে একটু চিৎকার করে মন হাল্কা করতে। বুকটা কেমন যেন আস্তে আস্তে ভারি হয়ে যাচ্ছে রিয়াদের। একটু পরেই নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হবে তার, সিগারেট ও তার এখন ভাল লাগে না। ঠিক এই মুহূর্তের কষ্টের ফিলিংস্টা আসলেই হয়ত ব্যাক্ত করা তার পক্ষে অসম্ভব। আই মুহূর্তে তার ইচ্ছা করছে চিৎকার করে কাঁদতে, কোনভাবেই তার এই অবস্থা সে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এখন সে শুধু দুই হাত করজোড়ে সৃষ্টি কর্তার কাছে কাঁদছে, এমন অবস্থায় এইটা ছাড়া তার কাছে আর কোন উপায় খোলা থাকে না। বুকটা ক্রমশ ভারী হয়ে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে কেউ একজন তার বুকের উপর কয়েক মণ এর ভারী একটা পাথর দিয়ে চাপা দিছে।

রিয়াদ আজ ও জানে না, তার এই কষ্ট কখন ও শেষ হবে কি না। নাকি সারাজীবন তার এই কষ্ট নিয়ে প্রতিটা মুহূর্ত পার করা লাগবে। আর এই প্রতিটা মুহূর্ত এমন কস্টে পার করাটার পর ও লাবণ্যকে ভুলতে না পারাটায় হয়ত রিয়াদ এর কাছে ভালবাসা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.