নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিরো

জিরো

জিরো › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরীর সাথে দেখা

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৬



সারারাত ঘুম হয়নি রিয়াদ এর। সারারাত ধরে পিকনিকের শেষ প্রস্তুতি চলছে । কাজ করতে করতে প্রায় ৪ টা বেজে গেছে।
রিয়াদ -ভাই সিগারেট আছে?
জন- শেষ।
রিয়াদ- কাল পিকনিকে যেতে ইচ্ছা করছে না, আমি ঘুমোতে যাচ্ছি।
জন - (প্রচন্ড রেগে) তুমি যদি কাল না যাও পিকনিকে তোমার অবস্থা কিন্তু খারাপ হয়ে যাবে।
রিয়াদ কিছু না বলে তার রুমে চলে গেল। একটু পর জন বাসা থেকে বের হল।
জন- আমি ক্যাম্পাসে যাচ্ছি। চল।
রিয়াদ- আপনি জান, আমি আসছি।
জন- না , আমার সাথে চল।
রিয়াদ- আমি আসবো ভাই, আপনি যান, আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
রিয়াদ এক অদ্ভুদ সিগারেট হীনতায় ভুগছে। কিছু আর না ভেবেই বাসা থেকে রেডি হয়ে বের হয়ে গেল। বাসা থেকে বের হয়ে দেখলো গলির মুখের দোকান টা খুলছে মাত্র। রিয়াদ যেয়ে ১ প্যাকেট সিগারেট নিল, একটা বের করে টানতে টানতে ক্যাম্পাসের দিকে হাটা শুরু করল।

ক্যাম্পাসের সামনে বাস গুলা দাঁড়িয়ে আছে। কিছু পোলাপান আসছে, জুনিয়র দের দিয়ে সব মালামাল উঠানো হচ্ছে। রিয়াদ বাসের পাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছে আর তাকিয়ে তাদের কাজ দেখছে। এমন সময় এক ছোট ভাই আসলো।
রুদ্র- ভাই ! চলেন চা খায়।
রিয়াদ কিছু না বলে ইশারা করল যাবার জন্য। রাস্তা পার হয়ে ওপারে চায়ের দোকানে চা খেতে গেল। অনেক জুনিয়র দাঁড়িয়ে আছে চায়ের দোকানের সামনে। একটা যাত্রী ছাওনি আছে ক্যম্পাসের সামনে। ওখানেই চায়ের দোকানে ওরা চা খায়, আড্ডা দেয়।

জুনিয়রদের চেচামেচি রিয়াদ এর একদম সহ্য হচ্ছে না। এই কারনে একটা কোনের দিকে চলে গেল রিয়াদ। দাঁড়িয়ে আরেকটা সিগারেট জালালো রিয়াদ।
রুদ্র- ভাই চা দিব?
রিয়াদ ঘুরে দাঁড়ালো , ইশারায় বলল না। এমন সময় তাকিয়ে দেখল তার ঠিক পিছনে একটা মেয়ে নাক এ হাত দিয়ে বসে আছে। সম্ভাবত সিগারেট এর ধোয়ায় সমস্যা হচ্ছে। রিয়াদ আবার সামনে তাকালো। সাথে সাথে আবার পিছনে তাকালো।

রিয়াদ হয়ত এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিল না। কি দেখলো সে?? সে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে হয়ত সারারাত ঘুমোয় নি তাই এমন হচ্ছে। তার কাছে মনে হল হয়ত সে ভুল করে পরীর দেশে চলে আসছে। এইটা কি পরী নাকি মানুষ।মেয়েটা একা একা বসে আছে, মুখে কেমন একটা অদ্ভুদ ভাব। চুপচাপ। সে তেমন কিছু ভাবার সুযোগ পাচ্ছে না। হাত থেকে সিগারেট টা পড়ে গেল, আর তাকিয়ে আছে সেই মেয়েটার দিকে। মেয়েটা ঠিক রিয়াদ এর ১ হাত সামনে বসে আছে। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রিয়াদ। এমন অনুভুতি তার সারাজীবনে ও কখন ও হয়নি। চোখ ই সরছে না। এই মেয়েটার জন্যই সারাজীবন হয়ত অপেক্ষা করেছে সে। মেয়েটা রিয়াদ এর কল্পনার চেয়ে ও সুন্দর। তার স্বপ্নের রানীর চেয়ে কয়েক কোটি সুন্দর।

হয়ত মেয়েটা বুঝতে পেরেছে যে এই লোকটা বিশ্রী করে তাকিয়ে আছে, আর সেই জন্য ই হয়ত উঠে চলে গেল । রিয়াদ সাথে সাথে ডাক দিল রুদ্র কে।

রিয়াদ- ব্যাটারি। এই মেয়েটা কে?
রুদ্র- ভাই নতুন আসছে এই সেমিস্টার এ। আপনি তো ক্যাম্পাসে আসেন না তাই দেখেন নি।
রিয়াদ- নাম কি?
রুদ্র- আমি নাম জানিনা। দাড়ান শুনে দিচ্ছি।
রুদ্র একটা মেয়েকে ডেকে নিয়ে আসলো।
রুদ্র- আচ্ছা আপু ! ঐ মেয়েটার নাম কি?
ঝিলিক- ওর নাম লাবণ্য।
রুদ্র- আচ্ছা! এনাকে চিন?
ঝিলিক- না তো ভাইয়া।
রুদ্র- এনি রিয়াদ ভাই। তোমাদের ৪ বছরের সিনিয়র।
ঝিলিক- আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।
রিয়াদ এমন সময় বলল - আচ্ছা আপু তুমি যাও। ঝিলিক চলে যাচ্ছে। এমন সময় রুদ্র আবার ডাক দিল।
রুদ্র- আচ্ছা শুনো। রিয়াদ ভাই লাবণ্য কে খুব পছন্দ করে ফেলেছে। যাও।

রিয়াদ এর দুনিয়াটাই কেমন যেন সেকেন্ডের মধ্য পালটে গেল। এরপর থেকে খুজতে থাকে লাবণ্য কে। ফেসবুকে খুজে পাচ্ছে না। জুনিয়রদের বাসে উঠল। একটু দেখে আবার নেমে গেল। এত জুনিয়রদের বাসে তার যাওয়া মানায় না। বাসে সারাটা পথ লাবন্যকে ভাবতে ভাবতে গেল। একটা মেয়ে এত মায়াবতী কেমনে হয়। আল্লাহ কোন কিছুর ই কমতি রাখে নাই ওর ভিতর। তখন ওর মনে হচ্ছে এই মেয়েকে ওর লাগবেই। এই মেয়েকে যদি ও না পায় তাহলে হয়ত ওর সব কিছুই বৃথা । পুরা বাসে সাউন্ড সিস্টেম এ গান বাজছে। পোলাপান নাচানাচি করছে। কিন্তু কোন কিছুতেই যেন রিয়াদ এর উপর ইফেক্ট পড়ছে না। ওর চোখে শুধু ওই লাবন্যর চেহারাটায় ভাসছে। এমন করতে করতে পিকনিক স্পটে পৌছে গেল ।

রিয়াদ বাস থেকে নেমে লাবন্যকেই খুজছে। এইবার রিয়াদ সমস্ত দায়িত্ব থেকে ডুব মেরেছে। জন ভাইকে বলল ভাই এইবার আমাকে আর ডাইকেন না। আমি নাই ।
জন ভাই ও কিছু একটা বুঝতে পেরেছে। সে ও আর প্যারা দিল না। এই কথা বলেই চলে গেল কোন উত্তরের আশায় থাক্লো না। রিয়াদ এর কাছে একটা জুম লেন্স লাগানো ক্যামেরা আছে । রিয়াদ হল তার ডিপার্টমেন্ট এর অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার। সে আর কোন কাজ এ নেই, কারোর ছবি ও তুলছে না। শুধু লাবন্যকে খুজে খুজে তার ছবি তোলায় যেন তার একমাত্র কাজ। পুরা পিকনিক টাই শুধু লাবন্যর ছবি আর ভিডিও।

রিয়াদ সেইদিন ক্লাস নাইনের ছেলের মতই লাবন্যর পিছে ঘুরল। সে এমন মাতাল আর কখন ও হয়নি। সে লাবন্যর সামনে ই বসে আছে আর দেখছে। যত দেখছে ততই মুগ্ধ হচ্ছে। সে এই দিনটার জন্যই হয়ত ২৫টা বছর অপেক্ষা করেছে। তার এই দিন টা ঈদের দিনের চেয়ে বেশে আনন্দের।

এই একটা মুহূর্তের দেখাই যেন সারাজীবন চোখে লেগে গেছে রিয়াদ এর। এই মুখ রিয়াদ কোনদিন ও ভুলবে না। প্রথম দেখায় ভাল লাগা আর সেই ভাল লাগাটা এখন ও আছে। এরপর রিয়াদ এর আর কোন দিন ও কাওকে দেখে দ্বিতীয় বার তাকাতে মন চায় নি।
রিয়াদ আজো সব জায়গায় এই মুখটা খুজে বেড়ায়। যেখানে লাবন্যর থাকার কথা সেইখান এ ও খুজে, যেখানে থাকার কথা না সেই খান এ ও খুজে। পুরো দুনিয়ায় যেখানে যায় সেইখান এই খুজে লাবন্যকে।

সেই চেহারাটা আজো ভাসে রিয়াদের চোখে। আর কোনদিন কোন মেয়েকে এমন করে তাকিয়ে দেখতে মন চায়নি রিয়াদের। এখন ও রাস্তায় কোন মেয়ে হেটে গেলে, রিক্সায় গেলে, চেনা রাস্তায়, অচেনা রাস্তায় হেটে গেলে রিয়াদ খুব আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে দেখে এটা কি লাবণ্য!!!! পরে দেখে না! লাবন্য না। আবার চোখটা নামিয়ে চলে যায় রিয়াদ। খুজতে খুজতে রিয়াদ ক্লান্তহীন। যেন তার কাজ ই শুধু লাবন্যকে খুজে বেড়ানো।

রিয়াদ জানে না, আর কোনদিন ও কি লাবন্যর চোখে চোখ রাখতে পারবে সে? যে ভয়েস টা তার কানে এখন ও বাজে তা কি আবার শুনতে পারবে? এমন কত শত প্রশ্ন নিয়ে, কত শত আশা নিয়ে নিরান্তর লাবন্যকে খুজে বেড়াচ্ছে আজ ও রিয়াদ। সারারাত ঘুম হয়নি রিয়াদ এর। সারারাত ধরে পিকনিকের শেষ প্রস্তুতি চলছে । কাজ করতে করতে প্রায় ৪ টা বেজে গেছে।
রিয়াদ -ভাই সিগারেট আছে?
জন- শেষ।
রিয়াদ- কাল পিকনিকে যেতে ইচ্ছা করছে না, আমি ঘুমোতে যাচ্ছি।
জন - (প্রচন্ড রেগে) তুমি যদি কাল না যাও পিকনিকে তোমার অবস্থা কিন্তু খারাপ হয়ে যাবে।
রিয়াদ কিছু না বলে তার রুমে চলে গেল। একটু পর জন বাসা থেকে বের হল।
জন- আমি ক্যাম্পাসে যাচ্ছি। চল।
রিয়াদ- আপনি জান, আমি আসছি।
জন- না , আমার সাথে চল।
রিয়াদ- আমি আসবো ভাই, আপনি যান, আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
রিয়াদ এক অদ্ভুদ সিগারেট হীনতায় ভুগছে। কিছু আর না ভেবেই বাসা থেকে রেডি হয়ে বের হয়ে গেল। বাসা থেকে বের হয়ে দেখলো গলির মুখের দোকান টা খুলছে মাত্র। রিয়াদ যেয়ে ১ প্যাকেট সিগারেট নিল, একটা বের করে টানতে টানতে ক্যাম্পাসের দিকে হাটা শুরু করল।

ক্যাম্পাসের সামনে বাস গুলা দাঁড়িয়ে আছে। কিছু পোলাপান আসছে, জুনিয়র দের দিয়ে সব মালামাল উঠানো হচ্ছে। রিয়াদ বাসের পাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছে আর তাকিয়ে তাদের কাজ দেখছে। এমন সময় এক ছোট ভাই আসলো।
রুদ্র- ভাই ! চলেন চা খায়।
রিয়াদ কিছু না বলে ইশারা করল যাবার জন্য। রাস্তা পার হয়ে ওপারে চায়ের দোকানে চা খেতে গেল। অনেক জুনিয়র দাঁড়িয়ে আছে চায়ের দোকানের সামনে। একটা যাত্রী ছাওনি আছে ক্যম্পাসের সামনে। ওখানেই চায়ের দোকানে ওরা চা খায়, আড্ডা দেয়।

জুনিয়রদের চেচামেচি রিয়াদ এর একদম সহ্য হচ্ছে না। এই কারনে একটা কোনের দিকে চলে গেল রিয়াদ। দাঁড়িয়ে আরেকটা সিগারেট জালালো রিয়াদ।
রুদ্র- ভাই চা দিব?
রিয়াদ ঘুরে দাঁড়ালো , ইশারায় বলল না। এমন সময় তাকিয়ে দেখল তার ঠিক পিছনে একটা মেয়ে নাক এ হাত দিয়ে বসে আছে। সম্ভাবত সিগারেট এর ধোয়ায় সমস্যা হচ্ছে। রিয়াদ আবার সামনে তাকালো। সাথে সাথে আবার পিছনে তাকালো।

রিয়াদ হয়ত এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিল না। কি দেখলো সে?? সে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে হয়ত সারারাত ঘুমোয় নি তাই এমন হচ্ছে। তার কাছে মনে হল হয়ত সে ভুল করে পরীর দেশে চলে আসছে। এইটা কি পরী নাকি মানুষ।মেয়েটা একা একা বসে আছে, মুখে কেমন একটা অদ্ভুদ ভাব। চুপচাপ। সে তেমন কিছু ভাবার সুযোগ পাচ্ছে না। হাত থেকে সিগারেট টা পড়ে গেল, আর তাকিয়ে আছে সেই মেয়েটার দিকে। মেয়েটা ঠিক রিয়াদ এর ১ হাত সামনে বসে আছে। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রিয়াদ। এমন অনুভুতি তার সারাজীবনে ও কখন ও হয়নি। চোখ ই সরছে না। এই মেয়েটার জন্যই সারাজীবন হয়ত অপেক্ষা করেছে সে। মেয়েটা রিয়াদ এর কল্পনার চেয়ে ও সুন্দর। তার স্বপ্নের রানীর চেয়ে কয়েক কোটি সুন্দর।

হয়ত মেয়েটা বুঝতে পেরেছে যে এই লোকটা বিশ্রী করে তাকিয়ে আছে, আর সেই জন্য ই হয়ত উঠে চলে গেল । রিয়াদ সাথে সাথে ডাক দিল রুদ্র কে।

রিয়াদ- ব্যাটারি। এই মেয়েটা কে?
রুদ্র- ভাই নতুন আসছে এই সেমিস্টার এ। আপনি তো ক্যাম্পাসে আসেন না তাই দেখেন নি।
রিয়াদ- নাম কি?
রুদ্র- আমি নাম জানিনা। দাড়ান শুনে দিচ্ছি।
রুদ্র একটা মেয়েকে ডেকে নিয়ে আসলো।
রুদ্র- আচ্ছা আপু ! ঐ মেয়েটার নাম কি?
ঝিলিক- ওর নাম লাবণ্য।
রুদ্র- আচ্ছা! এনাকে চিন?
ঝিলিক- না তো ভাইয়া।
রুদ্র- এনি রিয়াদ ভাই। তোমাদের ৪ বছরের সিনিয়র।
ঝিলিক- আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।
রিয়াদ এমন সময় বলল - আচ্ছা আপু তুমি যাও। ঝিলিক চলে যাচ্ছে। এমন সময় রুদ্র আবার ডাক দিল।
রুদ্র- আচ্ছা শুনো। রিয়াদ ভাই লাবণ্য কে খুব পছন্দ করে ফেলেছে। যাও।

রিয়াদ এর দুনিয়াটাই কেমন যেন সেকেন্ডের মধ্য পালটে গেল। এরপর থেকে খুজতে থাকে লাবণ্য কে। ফেসবুকে খুজে পাচ্ছে না। জুনিয়রদের বাসে উঠল। একটু দেখে আবার নেমে গেল। এত জুনিয়রদের বাসে তার যাওয়া মানায় না। বাসে সারাটা পথ লাবন্যকে ভাবতে ভাবতে গেল। একটা মেয়ে এত মায়াবতী কেমনে হয়। আল্লাহ কোন কিছুর ই কমতি রাখে নাই ওর ভিতর। তখন ওর মনে হচ্ছে এই মেয়েকে ওর লাগবেই। এই মেয়েকে যদি ও না পায় তাহলে হয়ত ওর সব কিছুই বৃথা । পুরা বাসে সাউন্ড সিস্টেম এ গান বাজছে। পোলাপান নাচানাচি করছে। কিন্তু কোন কিছুতেই যেন রিয়াদ এর উপর ইফেক্ট পড়ছে না। ওর চোখে শুধু ওই লাবন্যর চেহারাটায় ভাসছে। এমন করতে করতে পিকনিক স্পটে পৌছে গেল ।

রিয়াদ বাস থেকে নেমে লাবন্যকেই খুজছে। এইবার রিয়াদ সমস্ত দায়িত্ব থেকে ডুব মেরেছে। জন ভাইকে বলল ভাই এইবার আমাকে আর ডাইকেন না। আমি নাই ।
জন ভাই ও কিছু একটা বুঝতে পেরেছে। সে ও আর প্যারা দিল না। এই কথা বলেই চলে গেল কোন উত্তরের আশায় থাক্লো না। রিয়াদ এর কাছে একটা জুম লেন্স লাগানো ক্যামেরা আছে । রিয়াদ হল তার ডিপার্টমেন্ট এর অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার। সে আর কোন কাজ এ নেই, কারোর ছবি ও তুলছে না। শুধু লাবন্যকে খুজে খুজে তার ছবি তোলায় যেন তার একমাত্র কাজ। পুরা পিকনিক টাই শুধু লাবন্যর ছবি আর ভিডিও।

রিয়াদ সেইদিন ক্লাস নাইনের ছেলের মতই লাবন্যর পিছে ঘুরল। সে এমন মাতাল আর কখন ও হয়নি। সে লাবন্যর সামনে ই বসে আছে আর দেখছে। যত দেখছে ততই মুগ্ধ হচ্ছে। সে এই দিনটার জন্যই হয়ত ২৫টা বছর অপেক্ষা করেছে। তার এই দিন টা ঈদের দিনের চেয়ে বেশে আনন্দের।

এই একটা মুহূর্তের দেখাই যেন সারাজীবন চোখে লেগে গেছে রিয়াদ এর। এই মুখ রিয়াদ কোনদিন ও ভুলবে না। প্রথম দেখায় ভাল লাগা আর সেই ভাল লাগাটা এখন ও আছে। এরপর রিয়াদ এর আর কোন দিন ও কাওকে দেখে দ্বিতীয় বার তাকাতে মন চায় নি।
রিয়াদ আজো সব জায়গায় এই মুখটা খুজে বেড়ায়। যেখানে লাবন্যর থাকার কথা সেইখান এ ও খুজে, যেখানে থাকার কথা না সেই খান এ ও খুজে। পুরো দুনিয়ায় যেখানে যায় সেইখান এই খুজে লাবন্যকে।

সেই চেহারাটা আজো ভাসে রিয়াদের চোখে। আর কোনদিন কোন মেয়েকে এমন করে তাকিয়ে দেখতে মন চায়নি রিয়াদের। এখন ও রাস্তায় কোন মেয়ে হেটে গেলে, রিক্সায় গেলে, চেনা রাস্তায়, অচেনা রাস্তায় হেটে গেলে রিয়াদ খুব আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে দেখে এটা কি লাবণ্য!!!! পরে দেখে না! লাবন্য না। আবার চোখটা নামিয়ে চলে যায় রিয়াদ। খুজতে খুজতে রিয়াদ ক্লান্তহীন। যেন তার কাজ ই শুধু লাবন্যকে খুজে বেড়ানো।

রিয়াদ জানে না, আর কোনদিন ও কি লাবন্যর চোখে চোখ রাখতে পারবে সে? যে ভয়েস টা তার কানে এখন ও বাজে তা কি আবার শুনতে পারবে? এমন কত শত প্রশ্ন নিয়ে, কত শত আশা নিয়ে নিরান্তর লাবন্যকে খুজে বেড়াচ্ছে আজ ও রিয়াদ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.