নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ২৭ মামলা, তারেক রহমানের বর্তমান অবস্থা।।

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১৮

জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মোট ২৭ মামলা:

বর্তমানে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মোট ২৭ টি মামলা দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া, তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো এবং তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়েদা রহমানের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে বর্তমানে মোট ২৭টি মামলা রয়েছে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে এসব মামলার মধ্যে সাতটি বর্তমান সরকার আমলে করা। বাকিগুলো গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা। আদালতের নথিপত্র পর্যালোচনায় করে সংবাদমাধ্যম গুলো বলছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া'র বিরুদ্ধে মোট পাচঁটি, তার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মোট সতেরটি, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো'র বিরুদ্ধে মোট সাতটি এবং তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়েদা রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে দু'টিতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার দুই ছেলেকে এবং একটিতে তারেক ও কোকোকে আসামি করা হয়েছে। এই হিসাবে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মোট মামলা রয়েছে ২৭টি। যদিও মামলাগুলোর মধ্যে বেশির ভাগের কার্যক্রমই উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। কিন্তু জিয়া পরিবারের আইনজীবী ও দলীয় নেতারা মনে করছেন, সরকার আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব মামলার কয়েকটির বিচারকাজ দ্রুত শেষ করার তৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের আশংকা, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আগামী জাতীয় নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কয়েকটি মামলা বর্তমানে গতি পাচ্ছে।

খালেদা জিয়া'র বিরুদ্ধে ৫ মামলা :

১. জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি:

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাওঁ থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বছরের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলাটির অভিযোগপত্র ১৫ জানুয়ারি আমলে নিয়েছেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত। অভিযোগ গঠনের পর মামলাটির বিচারকাজ যেকোনো সময় শুরু হবে। তবে এ মামলার বিষয়ে উচ্চ আদালতে একটি আবেদন বিচারাধীন রয়েছে।

২. জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি :

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আ্ত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করে ২০১০ সালের ৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলার অন্য আসামিরা হলেন : সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ অভিযোগ গঠন বিষয়ে মামলাটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

৩. গ্যাটকো দুর্নীতি :

কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য গ্যাটকো লিমিটেডকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে খালেদা জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটির কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।

৪. বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি :

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ঠিকাদারি কাজে ক্ষমতার অপব্যবহার ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটির কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।

৫. নাইকো দুর্নীতি :

নাইকো রিসোর্স কোম্পানিকে অবৈধভাবে কাজ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলার কার্যক্রমও হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা :

১. ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা এবং তাতে ২২ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দুটি মামলা করে পুলিশ। একটি হত্যা ও আরেকটি বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনে করা মামলা। বর্তমান সরকারের আমলে এ দু'টি মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে তারেক রহমানকে আসামি করা হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই সিআইডির দেয়া সম্পূরক অভিযোগপত্রে তারেক রহমান ছাড়াও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউকসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এ নিয়ে এই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫২। এর আগে জোট সরকারের সময় এ মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নতুন করে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডি প্রথম অভিযোগপত্র দেয়। তাতে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের হুজি অন্যতম শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান, বিএনপি সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। তখনকার আসামিদের বেশির ভাগই হুজির সদস্য। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যyনাল-১-এর বিশেষ এজলাসে এ মামলার বিচারকাজ চলছে। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে উচ্চ আদালতের জামিন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে গমন করেন তারেক রহমান। চিকিৎসার নামে এখনও তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। তাকে পলাতক দেখিয়েই ২১ আগস্ট-সংক্রান্ত দু'টি মামলার বিচারকাজ চলছে। ইতিমধ্যে ৬৫ জনের সাক্ষ্য জেরা শেষ হয়েছে। ৬৬তম সাক্ষীর জেরা চলছে। এ মামলায় ৪০০ জনের অধিক ব্যক্তিকে সাক্ষী করা হয়েছে। তবে এদের সবাইকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে না বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির একাধিক সূত্র মনে করছেন। প্রয়োজনীয় সাক্ষীর জেরা সমাপ্ত হলে আসামিদের সাফাই সাক্ষী হাজির ও যুক্তিতর্ক পর্যায়ের পর মামলাটি রায়ের পর্যায়ে যাবে। বর্তমানে সপ্তাহে দুদিন করে মামলাটির বিচারকাজ চলছে।

২. দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে। ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩-এ বিচারাধীন মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। একই আদালতে থাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় মায়ের সঙ্গে তারেক রহমান আসামি রয়েছেন। বর্তমান সরকারের আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সর্বশেষ মামলা হয় গত বছরের ২ অক্টোবর। ঋণখেলাপির অভিযোগে মামলাটি করে সোনালী ব্যাংক। এটা এখন সমন জারির প্রতিবেদন দাখিলের অপেক্ষায় আছে।

৩-১৩. গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেফতারের পর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মোট ১২টি মামলা হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে এসব মামলার কার্যক্রম স্থগিত আছে। এগুলোর মধ্যে আটটি চাঁদাবাজির মামলা। ২০০৭ সালে বিভিন্ন ব্যক্তি বাদী হয়ে গুলশান, কাফরুল, শাহবাগ ও ধানমণ্ডি থানায় মামলাগুলো করেন।

১৪. এ ছাড়া কাফরুল থানার পুলিশ বাদী হয়ে জরুরি ক্ষমতা আইনে একটি মামলা, ১৫. দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাদী হয়ে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাফরুল থানার মামলায় তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়েদা রহমানও আসামি। ১৬. একই বছর বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মকর্তা সাব্বির হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে নিতে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আরেকটি মামলা করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। ১৭. পরের বছরের ৪ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর আয়কর ফাঁকির অভিযোগে একটি মামলা করে।

তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থণা করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিএনপি ও তাদের অঙ্গ সংগঠন মনে করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই তারেক রহমান সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন। এছাড়া তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়েদা রহমানের বিরুদ্ধে যে একটি মামলা তার কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত রয়েছে এবং তিনি জামিনে আছেন।

আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে ৭ মামলা :

১. সিঙ্গাপুরে ২০ কোটি টাকার বেশি অর্থের অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ কাফরুল থানায় আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী প্রয়াত আকবর হোসেনের ছেলে সায়মন হোসেনকে আসামি করা হয়। ২০১১ সালের ২৩ জুন এ মামলার রায় হয়। তাতে পলাতক দেখিয়ে আরাফাত রহমান কোকোকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে সম্প্রতি সিঙ্গাপুর থেকে কোকোর পাচার করা অর্থের একটা অংশ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কোকো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যান। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

২. আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির অভিযোগে ২০১০ সালের ১ মার্চ এনবিআর একটি মামলা করে।

৩-৪. এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কোকোর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দুটি চাঁদাবাজির মামলা এবং ৫.অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি মামলা করে। এছাড়া ৬. সোনালী ব্যাংকের ঋণখেলাপি মামলায় বড় ভাই তারেক রহমানের সঙ্গে এবং ৭. গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় মায়ের সঙ্গেও আরাফাত রহমান কোকো আসামি।



তারেক রহমানকে ইন্টারপোলে গ্রেফতারের আদেশ:

ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অর্থপাচার মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। ২১ মে যুক্তরাজ্য বিএনপির ৪২টি ইউনিটের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারেক রহমান। রোববার দুপুরে দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোজাম্মেল হক এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের আবেদন করেন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর গ্রেফতার হন। ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই জামিন পেয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়া তারেক রহমান আর দেশে আসেননি। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, ঘুষ, কর ফাঁকিসহ মোট ১৭টি মামলা রয়েছে তারেকের বিরুদ্ধে।

গত পাঁচ বছর ধরে লন্ডনে থাকা তারেক গত ২১ মে যুক্তরাজ্য বিএনপির ৪২টি ইউনিটের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসেন। ২০১১ সালে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ও মালামাল জব্দের পরোয়ানা জারি করা হয়। একই বছরের ৮ আগস্ট আদালতে হাজির হতে তার বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়। এরপরও আদালতে হাজির হননি তিনি। তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে অবস্থান করছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক। পরের বছরের ৬ জুলাই তারেক ও মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র চার্জশিট দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তারেক রহমানের প্রভাব খাটিয়ে তার বন্ধু মামুন বিভিন্ন কোম্পানি ও সংস্থাকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধভাবে অর্থ নেন। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে মামুনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পথে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেন তারেক রহমান। ওই অর্থের মধ্যে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার সিঙ্গাপুরে সিটিব্যাংক এনএর একটি শাখায় মামুনের ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয়। চার্জশিট দাখিলের ১ বছর পর ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠন করে আদালত। বর্তমান সরকারের আমলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় তারেক রহমানকে। এছাড়া অর্থপাচারের নতুন মামলাও হয় তার বিরুদ্ধে। দুটি মামলাতেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর তাকে পলাতক দেখিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। অর্থপাচারের এ মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের এফবিআই এক কমকর্তা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে এসে সাক্ষ্য দেন ২০১১ সালের নভেম্বরে। আগামী ২৯ মে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন বিচারক।



ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করতে হলে যা যা করতে হবে:

বর্তমানে তারেক রহমান যেহেতু রাজনৈতিক আশ্রয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন, তাই তিনি বাংলাদেশ পাসপোর্ট জমা দিয়ে বৃটিশ পাসপোর্ট গ্রহন করেছেন। তাকে গ্রেফতার করতে হলে প্রথমে বাংলাদেশ সরকারকে বৃটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করতে হবে। বৃটেনর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ খতিয়ে দেথে সন্তুষ্ট হলে বৃটিশ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারবে। এবং তার বিচার প্রক্রিয়া তখন বৃটেনে শুরু হবে। বাংলাদেশ সরকার বৃটেনের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি করে বাংলাদেশে তারেক রহমানকে ফেরত আনতে আবেদন করতে পারবে। কিন্তু বৃটেনে যেহেতু মৃত্যুদণ্ড আইন কার্যকর নয়, তাই বাংলাদেশ সরকারকে বৃটেনের কাছে এই মর্মে বন্ড দিতে হবে যে, যদি তারেক রহমান বাংলাদেশে ফেরত যায়, তাহলে তাকে কোনো বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না। কেবল তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করতে পারবে। এছাড়া তারেক রহমান নিজে যদি আইনি লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশে আসেন, তাহলে তাকে বৃটিশ রাজনৈতিক আশ্রয় ত্যাগ করে নতুন বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিতে হবে। সেক্ষেত্র বৃটেনের বাংলাদেশে দূতাবাসের মাধ্যমে তাকে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তারেক জিয়া কোন পন্থা অবলম্বন করবেন তা তার দল বিএনপি ও তার আইনজীবীরা ঠিক করবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৩

শাহেদ সাইদ বলেছেন: View this link

২| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৪

মাথা নষ্ট সিপাহি বলেছেন: যত মামলা যত জেল, এটাই রাজনিতীর খেল, জেল মামলা না হলে নেতা হওয়া যায় না,
প্রমান এখান...

Click This Link

৩| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১:২১

স্বাধীন শোয়েব বলেছেন: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১০টি মামলার সব কার্যক্রম সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক স্থগিত রয়েছে। স্থগিত হওয়া এসব মামলার মধ্যে রয়েছে গুলশান থানার মামলা নম্বর ৩৪(৬)২০০৭, বিশেষ দায়রা মামলা নম্বর-১/২০০৮, তেজগাঁও থানার মামলা নম্বর-২(৯)২০০৭, বিশেষ মামলা নম্বর-১/২০০৮, তেজগাঁও থানার মামলা নম্বর-১৯(১২)২০০৭, বিশেষ মামলা নং-৫/২০০৮, তেজগাঁও থানার মামলা নম্বর-৩৫(১২)২০০৭, বিশেষ মামলা নম্বর-১/২০০৩, তেজগাঁও থানার মামলা নম্বর-৯৫(৩)২০০২, তেজগাঁও থানার মামলা নম্বর ৯৬(৩)২০০২, ৯৭(৩)২০০২, ৩৪(৮)২০০২, বিশেষ মামলা নং-৫৬/২০০৩, ৩৬(১২)২০০১, বিশেষ মামলা নং-৮৩/২০০২ ও রমনা থানার মামলা নম্বর-৫৪(১২)২০০১, বিশেষ মামলা নম্বর-১০২/২০০২।



এ ছাড়া অন্য যেসব মামলা রয়েছে সেগুলো আদালত আমলে নেয়নি। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে তেজগাঁও থানার মামলা নং-৩২(৬)২০০৭। এ মামলাটির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চূড়াšত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হলে সিএমএম আদালতে তা গৃহীত হয়। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা শেখ হাসিনার হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, তেজগাঁও থানার ৩০(৪)২০০৭ নম্বর মামলাটি তদšতাধীন, পল্টন থানার ৬১(১০)২০০৬ নম্বর মামলাটি এজাহারে নাম নেই, চার্জশিটে নাম অšতর্ভুক্ত করা হলে আদালতের নির্দেশে বর্তমানে পুনঃতদšতাধীন রয়েছে। এ ছাড়াও তদšতাধীন রয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানার মামলা নম্বর-১০(২)২০০৪, রমনা থানার মামলা নম্বর৬(৭)২০০৪ ও খাগড়াছড়ি প্রথম শ্রেণীর ম্যাজি¯েট্রট আদালতের সি আর মামলা নম্বর-১৮১/২০০৩।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.