নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিভাবে পালাকার নাট্যদল গঠিত হল: কিছু সত্য কথন। পর্ব তিন। রেজা ঘটক

০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ১১:১২

হ্যারি আর আমি বনানী অনিকেত পাল বাবু'দার অফিসে পৌঁছালে বাবু'দা বললেন, তোরা একটু ঘুরে আয়। আমার একটা মিটিং আছে। মিটিং শেষ হলেই তোদের সাথে বসবো। আমরা বললাম, তাহলে আমরা একটু বারিধারা থেকে ঘুরে আসি। হ্যারি'র জাপানি অ্যাম্বাসিতে একটা জরুরী কাজ আছে। বাবু'দা বললেন, যেখানে যাবি যা, ৫ টার মধ্যে আসিস, নইলে আমি কিন্তু সাভার রওনা হব। বনানী থেকে আমরা পদব্রজে গুলশান-২ এ আসলাম। ওয়ার্ড এন্ড পেজেজ-এ কাজ করে আমাদের বন্ধু নাহিদ। আমাদের পকেটে তখনো ২৫ টাকা সম্বল। হ্যারি বলল, বন্ধু ক্ষুধা লাগছে? ক্ষুধা তো আমারও লাগছে মাইরি। কি করি? নাহিদকে ফোন করে বললাম, নিমা আপারে একটা ফাঁকি মেরে ওই বিখ্যাত চায়ের দোকানে একটু আসবা? তোমার নামে তো আমরা দুই পাউরুটি আর দুই চা খেয়েছি। এখন তুমি আসলে সিগারেটও খামু। জবাবে নাহিদ বললো, আল্লাদ কতো? তোমার সাথে আর কে কে? জবাব দিলাম, হ্যারি আর আমি। দশ মিনিট খাঁড়াও। সিগারেট দুইটা খাইতে পারো, এর বেশি হইলে আমি নাই, বুঝছো?

হ্যারী বললো, নাহিদ আসবে কনফর্ম? তাইলে পাউরুটি আরেকটা মেরেদি। একবারে লাঞ্চও হয়ে গেল। হ্যারির দেখাদেখি আমিও পাউরুটি আরেকটা নিলাম। নাহিদ আসলো। বললো, কি কি খাইছো? আরেক বার চা খেলুম। সিখারেটও খেলুম। নাহিদ বললো, নিমা আপার মেজাজ খারাপ। তোমরা এখন ভাগো। আমার কাজ আছে। কাল এফডিসিতে সুটিং। সবকিছু হ-য-ব-র-ল অবস্থা। আমরা চা শেষ করার আগেই নাহিদ বিল মিটিয়ে হন্তদন্ত হয়ে চলে গেল।

আমরা আবার পদব্রজে বারিধারা জাপানি অ্যাম্বাসির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। জাপানি অ্যাম্বাসিতে ঢুকে আবিষ্কার করলাম এক মহা সুযোগ। বিনা খরচে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায় সেখানে। হ্যারি ওর কাজের খোঁজ খবর নিল। আমিও একটু জাপানি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানতে চাইলাম। ওরা একটা খাতা দেখিয়ে বললো, এখানে সকল জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব ঠিকানা আছে। ওখানে কম্পিউটারে বসে সবকিছু জেনে নিন। হ্যারি আর আমি বসলাম দু'জনে দুই কম্পিউটারে। চ্যাটিং অপশন ওপেন করলাম, আসলো একটা সিকিউরিটি চেকবক্স। তাতে বলা হল, আমি যা কিছু করব সব সিকিউরিটি চেক-আপ হয়ে ঢুকবে। হ্যারি আমাকে নিষেধ করলো। তারপরও আমি ইয়াহু চ্যাট ওপেন করলাম। দেখি বন্ধু পুলক অনলাইনে। পুলক জানতে চাইলো, আমরা কোই? বললাম, জাপানে। পুলক বিস্ময় নিয়ে বললো, আরে শুক্রাবাদ থাকলে কও, আমি আইতাছি? কইলাম, শুক্রাবাদ যেতে সন্ধ্যা হবে। আমার দেখাদেখি পরে হ্যারিও কম্পিউটার বদল করে কিছুক্ষণ ওর জাপানি বান্ধবী মাদোকা'র সাথে গপ্পো করলো। সাড়ে চারটা পর্যন্ত আমরা প্রায় তিন ঘণ্টা জাপানি অ্যাম্বাসিতে ফ্রি চ্যাটিং করলাম। আহা কি শান্তি!! আজ শুক্রাবাদে অপুকে টাকা দিতে হবে না। বা সাকরিনকেও টাকা দিতে হবে না। ইান্টারনেটের যাবতীয় কাজ ই-মেইল চেক, চ্যাটিং সব করা শেষে আমরা আবার পদব্রজে বাবু'দার অফিস বনানীতে আসলাম।

বাবু'দা আমাদের ১৫০ টাকা দিয়ে বললো, মুকুলকে একটা ফোন করতে বলিস। আমরা বনানী থেকে বাসে উঠলাম। যাবো শুক্রাবাদ।

ওই সময় মিল্টনের ফোন। মামু তুমি কোই? কইলাম, বাসে। ভাইগ্না কইলো, বাসের হেলপারি করতাছো নাকি? কইলাম-হ। এখন কোতায় তোমার বাস? কইলাম, মহাখালি। তাইলে, নামো। আমরা অফিসে আছি।

আজকের কাগজ অফিস তখন মহাখালীতে। আমরা মহাখালী নেমে আজকের কাগজের অফিসে ঢু মারতেই শামীম রেজা আর রিয়াজ মিল্টন, আমার দুই ভাইগ্না বন্ধুর সাথে কোলাকুলি করলাম। শামীম জিগাইল, মামু কি খাবা? বিদেশী গেস্ট নিয়া আইছো? চল ভালো কিছু খাই? কইলাম, প্রস্তাব মন্দ না, চল, খাই।

গরম গরম সিক কাবাব আর হালিম আর পরোটা। আহা দুনিয়ার ক্ষুধা মিটিয়ে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত আজকের কাগজের অফিসে চাম্পিস আড্ডা মেরে হ্যারি আর আমি শুক্রবাদ রওনা হলাম বাসে। সেখানে পুলক, রিয়াজ, নাছিম, নাহিদ, পবন, জাফর ভাই, শামীম ভাই ওরা আড্ডায় আছে ধানমন্ডি নদীর পারে।

........................চলবে......................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.