নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তী সংগীত শিল্পী মান্না দে গুরুতর অসুস্থ! রেজা ঘটক

০৯ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ায় ৮ জুন ২০১৩, শনিবার ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তী সংগীত শিল্পী মান্না দেকে ব্যাঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা বর্তমানে সংকটাপণ্ন। ৯৪ বছর বয়সী মান্না দে প্রায় ২০দিন আগে তাঁর প্রয়াত স্ত্রী সুলোচনা কুমারণ স্মরণে গান রেকর্ড করার সময় অসুস্থ বোধ করেন। তখন থেকেই তিনি কল্যাণনগরে নিজের বাড়িতে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। গতকাল অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ব্যাঙ্গালুরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

১৯১৯ সালের ১ মে মান্না দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম প্রবোধ চন্দ্র দে। বাবা পূর্ণ চন্দ্র দে ও মা মহামায়া দে। মান্না দে তাঁর ছোট কাকা সঙ্গীচার্য কৃষ্ণ চন্দ্র দে (কে.সি দে)-এর কাছে সঙ্গীতে হাতেখড়ি নেন এবং তিনিই মান্না দেকে সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ সৃষ্টিতে গুরুদায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ওস্তাদ দবির খানের কাছে সঙ্গীতে তালিম নেন। কলকাতার ইন্দু বাবু'র পাঠশালায় তার শিক্ষা জীবন শুরু। তারপর স্কটিস চার্চ কলেজিয়েট স্কুলে মাধ্যমিক শেষ করে বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও গ্রাজুয়েশান শেষ করেন। ১৯৪২ সালে তিনি ছোট কাকার সঙ্গে বোম্বে চলে যান এবং কৃষ্ণ চন্দ্র দে;র একজন এসিট্যান্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে তিনি শচিন দেব বর্মণের এসিট্যান্ট হিসেবেও কাজ করেন। পাশাপাশি ওস্তাদ আমান আলী খান ও ওস্তাদ আবদুল রহমান খানের কাছে হিন্দুস্তানী ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতে তালিম নেন।

১৯৪৩ সালে কৃষ্ণ চন্দ্র দে ও সুরাইয়া'র সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে মান্না দে প্রথম ছায়াছবি 'তামান্না'তে গান করেন। প্রথম গানেই হিট। ১৯৫০ সালে মান্না দে সচিন দেব বর্মণের সঙ্গীত পরিচালনায় 'মশাল' ছবিতে একক কণ্ঠ দেন। তারপর থেকে মোহাম্মদ রফি, কিশোর কুমার, মুকেশ ও লতা মুঙ্গেশকারের সঙ্গে মান্না দে ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্লব্যাক সিঙ্গার হিসেবে সবার হৃদয়ে জায়গা করে নেন। হিন্দি, বাংলা, গুজরাটি, মারাঠি, মালায়ালাম, কান্নাডা, অসামী প্রভৃতি চলচ্চিত্রে মান্না দে কণ্ঠ দেন।

১৯৫৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর মান্না দে কেরালার সুলোচনা কুমারণকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই মেয়ে। সুরমা দে জন্ম গ্রহন করেন ১৯ অক্টোবর ১৯৫৬ সালে আর সুমিতা জন্মগ্রহন করেন ২০ জুন ১৯৫৮ সালে। ২০১২ সালের ১৮ জানুয়ারি সুলোচনা কুমারণ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে মান্না দে অসংখ্য পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়া তিনি ১৯৭১ সালে লাক করেন পদ্মশ্রী পদক, ২০০৫ সালে পান পদ্ম ভূষণ পদক আর ২০০৭ সালে পান দাদাভাই ফালকে পদক। সারা জীবনে মান্না দে প্রায় ৩৫০০ও বেশি গান রেকর্ড করেছেন। বাংলা ও হিন্দি ছাড়াও মারাঠি, গুজরাটিসহ ভারতের বিভিন্ন ভাষায় গাওয়া অসংখ্য জনপ্রিয় গানের কল্যাণে মান্না দে জীবন্ত কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছেন। মান্না দে'র গাওয়া 'কফি হাউজের সেই আড্ডাটা'; 'আবার হবে তো দেখা'; 'এই কূলে আমি, আর ওই কূলে তুমি'; 'তীর ভাঙা ঢেউ আর নীড় ভাঙা ঝড়'; 'যদি কাগেজে লেখো নাম'; 'সে আমার ছোট বোনসহ বহু গান বাংলাদেশের শ্রোতাদের কাছেও অসম্ভব জনপ্রিয়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

সিস্টেম অ্যাডমিন বলেছেন: গতকাল রাতে অসুস্থতা বাড়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আইসিইউ-তে ভর্তি রয়েছেন তিনি। মান্না দে-র কিডনি কাজ করছে না। চব্বিশ ঘণ্টা কাটার আগে তাঁর শারীরিক অবস্থা কোনদিকে যাচ্ছে তা বলা যাবে না বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। তবে, মানসিকভাবে সুস্থ আছেন মান্না দে।

২| ০৯ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

স্বপ্ন বাংলা বলেছেন: সন্ধ্যা হয়ে গেছে, এখন কেবল রাত্রি নামার অপেক্ষা ...... প্রার্থনা করি যেন সেরে উঠেন ।

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মায়াবী ছায়া বলেছেন: সুস্থ হয়ে উঠুন প্রার্থনা করি ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.