নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি খন্দকার আশরাফ হোসেন আর নেই!!! আবারো সামুতে আসতে হল, বন্ধুরা। মন ভালো নেই আমার!!!

১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

কবি খন্দকার আশরাফ হোসেনের ফেইসবুকে শেষ স্টাটাস ছিল এটি (১২ জুন ২০১৩ সালে লেখা)....



(Last status of Poet Khondakar Ashraf Hossain on his facebook timeline)





Some more about my dear colleagues and teachers:

In some cases, you'll have to cut the jewels off their stone settings.



ধর্মদীপ চৌ

Said the man, "the zoo-ruler is a lamb!"

শ্যাম শুদ্ধ হ!

Alamgir, the Voiced One.

হরিবন্ধু eats all!

কাজ হল বিনা আরজি.....





১৯৫০ সালের ৪ জানুয়ারি কবি খন্দকার আশরাফ হোসেন জামালপুরে জন্মগ্রহন করেন। আর আজ ১৬ জুন ২০১৩, রবিবার তিনি আর জীবিত নেই!!! ভাবতে পারছি না!!!! গতকাল কবিকে ফুসফুসে ব্যথা অনুভবের পর রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বেশ কিচু দিন ডায়াবেটিস ও হার্টের অসুখে ভুগছিলেন। আজ দুপুর ১২টার দিকে তিনি পরলোক কমন করেন!!! মৃত্যুকালে কবি'র বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।



কবি খন্দকার আশরাফ হোসেন পড়াশনা করেছেন ইংরেজি সাহিত্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন দীর্ঘদিন। সম্প্রতি কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে সরকার নিয়োগ প্রদান করে। উপাচার্য হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে খোন্দকার আশরাফ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। গত ৬ মে ২০১৩ সালে কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন তিনি।মূলত ১৯৮৫ সাল থেকে সম্পাদনা করতেন সাহিত্যের কাগজ একবিংশ। কবিতার প্রতিই তাঁর বেশি ঝোঁক ছিল। তিনি বাংলাদেশের একজন অন্যতম কবি, প্রবন্ধকার, অনুবাদক এবং ইংরেজি ভাষার শিক্ষক। তিনি ইংরেজি থেকে বাংলা এবং বাংলা থেকে ইংরেজি'র পাশাপাশি তিনি জার্মান থেকে ইংরেজি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনেক অনুবাদ করেছেন। তিনি একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। একবিংশ। গতমাসে আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল একবিংশে আমি কেন লেখা দেই না। কবিকে আম ডাকতাম খন্দকার ভাই। একবিংশের জন্য আমার লেখাটি এখনো রেডি হয়নি। খন্দকার ভাই জানালেন, কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভিসি হিসেবে যোগ দেবার পর একটু ব্যস্ত হয়ে গেছেন। একবিংশের জন্য সময় বের করতে পারছেন না। আজ আজফার হোসেনের ফেইসবুকে দুঃসংবাদটি দেখে অনেকক্ষণ চুপ হয়ে গেলাম। বিশ্বাস করতে পারছি না খন্দকার ভাই আর অমর একুশে বইমেলায় লিটলম্যাগ চত্বরে বই সাজিয়ে আড্ডায় মেতে উঠবেন না।

তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভাগীয় প্রধান, হলের প্রভোস্ট, বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের চেয়ারম্যান, উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।



কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেনের জীবনপঞ্জী:

ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এম.এ. ইংরেজি সাহিত্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পোস্টগ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা, লীডস বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য

এম. এ. (ভাষাতত্ত্ব ও ধ্বনিতত্ত্ব), লীডস বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য

পিএইচ. ডি. (ইংরেজি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

পেশা : অধ্যাপনা, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৩ থেকে অদ্যাবধি)।

উপাচার্য : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।



কবি খন্দকার আশরাফ হোসেনের বইগুলো আমাদের কাছে চিরদিন বেঁচে থাকবে। তাঁর বইগুলো হল:

কাব্যগ্রন্থ:

১. তিন রমনীর ক্বাসিদা (১৯৮৪)

২. পার্থ তোমার তীব্র তীর (১৯৮৬)

৩. জীবনের সমান চুমুক (১৯৮৯)

৪. সুন্দরী ও ঘৃণার ঘুঙুর (১৯৯১)

৫. যমুনাপর্ব (১৯৯৮)

৬. জন্ম বাউল

৭. তোমার নামে বৃষ্টি নামে

৮. আয়না দেখে অন্ধ মানুষ

৯. রাজা ঈডিপাস



সংকলন:

১. নির্বাচিত কবিতা (১৯৯৫)

২. কবিতা সমগ্র

৩. অন বেহুলা'স রাফট

৪. ১০. সাহিত্যত্ত্ব,

৫. রবীন্দ্রনাথ ইয়েটস গীতাঞ্জলি

৬. বাঙালির দ্বিধা ও রবীন্দ্রনাথ এবং বিবিধ বিবেচনা

৭. আলসেসটিস

৮. মিডিআ

৯. কুয়াশার মুশায়েরা

১০. 'টেরি ঈগলটন: সাহিত্যতত্ত্ব' (২০০৪)

১১. পাউল সেলানের কবিতা' (১৯৯৭)

১২. কবিতার অন্তর্যমী

১৩. 'ইউরিপিডিসের মিডিআ' (১৯৮৭),

১৪. 'ইউরিপিডিসের আলসেস্টিস' (১৯৮৭)



প্রবন্ধ সংকলন:

১. বাংলাদেশের কবিতা অন্তরঙ্গ অবলোকন (A Study on Bangladeshi Poetry) (১৯৯৫)

২. চিরায়ত পূরাণ (Classical Mythology) (২০০২)

৩. 'সফোক্লিসের রাজা ইদিপাস' (১৯৮৭)

৩. কবিতার অন্তর্জামী

৪. আধুনিক উত্তরাধুনিক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (Bangla Poetry in the contexts of Modernism, postmodernism and other trends) (২০১০)

৫. বিশ্ব কবিতার সোনালী শস্য (Gleanings from World Poetry)

৬. Modernism and Beyond: Western Influences on Bangladeshi poetry

৭. এডিথ হ্যামিল্টন

৮. 'রবীন্দ্রনাথ ইয়েটস গীতাঞ্জলী' (২০১২)

৯. 'বাঙালির দ্বিধা ও রবীন্দ্রনাথ এবং বিবিধ তত্ততালাশ' (২০১৩)





গদ্য সংকলন:

১. রোমান্টিক ও আধুনিক কবিতার অক্ষদ্রাঘিমা (Romantic and Modern: Latitudes and Longitudes of Poetry)



অনুবাদ:

১. Selected Poems of Paul Celan

২. Oedipus Rex by Sophocles

৩. Medea by Euripides

৪. Alcestis by Euripides

৫. 'Selected poems of Nermalendu Goon' (২০০১)

৬. On Behula’s Raft

৭. 'Folk Tales from Bangladesh' (১৯৮৫)

৮. 'Folk Poems from Bangladesh' (১৯৮৫)



পুরষ্কার:

১. আলাওল সাহিত্য পুরস্কার,

২. জীবনানন্দ পুরস্কার,

৩. পশ্চিমবঙ্গ লিটল ম্যাগাজিন পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন খোন্দকার আশরাফ হোসেন।



মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: একবিংশের অনেকগুলো সংখ্যাই পড়েছিলাম, সেই সাথে তার লেখা কবিতাও। যতটুকু মনে পড়ে তার শেষ লেখাটা পড়েছিলাম বিডি নিউজ২৪ এ মাস দু তিনেক আগে- এলিওটের The Love Song of J. Alfred Prufrock এর বাংলা অনুবাদ করেছিলেন তিনি। তাকে কবি হিসেবেই চিনতাম। প্রথম আলোর খবরে দেখলাম উপাচার্যের মৃত্যু এই নিয়ে নিউজটা হয়েছে। তিনি যে কবি ছিলেন একথাটা কোথাও নেই সেই নিউজে।

তার আত্নার মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্তে স্থান দেন।

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৭

রেজা ঘটক বলেছেন: প্রমিথি

কতবার জাহান্নামের আগুনে পোড়াতে চেয়েছ আমাকে
কতবার বুরুজ পর্বত থেকে ঝুলিয়ে রেখেছ
তোমার তরবারি
কত দিন ক্ষুধার্ত উদর নিয়ে কেঁদে কেঁদে
রাত করেছি কাবার
কত লক্ষ বছরের পাথর ঠেলেছি
পাহাড়ের ঢাল ঠেলে কেবলই উজানে
কতবার তোমার ইগল এসে ঠুকরে ঠুকরে
খেয়েছে নাড়িভুঁড়ি

তোমাকে দেখেছি অলিম্পাসের তুষারধবল
চূড়ার মহিমায়
তুমি ধরে আছ দুই হাতে বজ্র আর অশনির চাবুক
তুমি সেমিলির ঘরে যখন স্বর্ণবৃষ্টি
হয়ে নেমেছিলে, অপার তৃষ্ণায়
তোমার প্রেমের দান ভেবে ঘরে নিয়ে-
ছিলাম আগুন।

তোমার কাছে চেয়েছিলাম জীবনজিজ্ঞাসার উত্তর
তুমি আকাশ থেকে ভয়াল শব্দে ছুড়ে দিলে
দুইখণ্ড পাথর
দশটি নিষেধ দিলে, চেয়েছিলাম পিপাসার জল
রক্তের কম্বল দিলে, চেয়েছিলাম মিলনের হাত
তীব্র দ্রংষ্ট্রার ঘায়ে আমাকে ঝুলিয়ে রাখলে-
দুই পাশে দুজন তস্কর!

গ্যালিলির জলে রক্তমাখা হাত ধুয়ে নিয়ে
তোমার স্তোত্র পড়তে বসেছি খড়ের আগুনের আলোয়
তখন পূর্বাকাশে মন্দিরা বাজাচ্ছিল কার দুটি মোহন হাত
কেউ কেউ তোমার নাম করে গালমন্দ করতে করতে
পাহাড়ে ঢুকে গিয়েছিল, আর ফেরেনি
দুটি শহর আগুনে ছাই হলে পর স্বনিযুক্ত পরিত্রাতারা
তোমার নামের জয়ধ্বনি দিচ্ছিল দশ দিগন্তে
আমি তোমার নাম জিহ্বার অগ্রভাগে এনে
ছুড়ে দিলাম নিষ্ঠীবনের সাথে
আমাকে ক্ষমা করার কোনো অবকাশ তোমাকে দেব না
বলে গর্জমান মানুষের স্রোতে মিশে গেলাম
কেননা মানুষের গায়ের গন্ধ তখন আমার কাছে
পারিজাত কুসুমের চেয়েও আকর্ষণীয়

তোমার ইগলেরা জানি আজও আমাকে খুঁজছে।

২| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্তে স্থান দেন।

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৮

রেজা ঘটক বলেছেন: সূর্য সেন হলের শহীদেরা

এক-একটা মুখ যেন বালির ভেতরে পোঁতা আধেক নৌকার মতো
অবয়ব নাক মুখ স্পষ্ট নয়, ঠিকানা হারিয়ে গেছে, বাড়িঘর বিষয়-আশয়—
ছিল নাকি কেউ মায়ের আঁচলে ধন, পিতার আশার স্বপ্নঘেরা ছেলে,
কোনো তরুণীর গোপন চাহনি পড়েছিল কারও মুগ্ধ নওল দু'চোখে কিনা,
আজ আর জানবার কোনোই উপায় নেই।
নামটুকু কেবলি উদ্ধার করি
নথিপত্র ঘেঁটে; চল্লিশ বছর বৈ তো নয়, ইতোমধ্যে অপরিচিতির মেঘ
ঢেকেছে তাদের মুখ, যেন তারা অবয়বহীন শহীদ নামের ইতিবৃত্ত,
যেন কোনো ভিন্গ্রহ থেকে আসা এলিয়েন,
আস্হাবে কাহাফ, কিংবা কোনো
সপ্তম শতকী ডুবে-যাওয়া নাবিকের চিরকুটে লেখা
কাহিনি—বোতলে-পোরা—আমাদের হাতে এসে পড়েছে দৈবাত্,
যেন তারা আমাদের কেউ নয়, কক্ষনো ছিল না।

একাত্তর আজ গল্প বটে, সযত্নে পাঠ্য লাল মার্জিনের খাতা
গল্প, বীরত্ব আর কপটতা, রক্ত আর মৃত্যুর অবাক কাহিনি মাত্র।
কিন্তু এরাও জীবিত ছিল একদিন, ছিল আমাদের সহপাঠী, আজও যারা
বেঁচে আছি, চিনতাম তাদের কাউকে কাউকে :
জিল্লুর মুর্শিদ, ইতিহাসের পড়ুয়া, ফরিদপুরের ছেলে, কিংবা আতাউর,
ময়মনসিংহ শহর থেকে পড়তে আসা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র,
কিংবা সাদত স্যার, মহান শিক্ষক, যিনি
এপ্রিলের কবলিত মধ্যদিনে বাসা থেকে সেই যে গেলেন নিউমার্কেটের দিকে,
আর ফিরলেন না কোনো দিন। বদিউল, আবদুর রহিম, আমিরুস সালাম
শামসুজ্জামান এবং মনির, তারা আজ গল্পে নেই,
নেই কোনো মার্জিনে কোথাও,
শুধু স্মৃতি কান্নার আখরে আঁকিবুঁকি এঁকে রেখে গেছে হয়তো মায়ের,
বোনের, প্রিয়ার মধ্যরাতের বালিশে, হয়তো তারাও গত এত দিনে;
ইতোমধ্যে শহীদের মুখগুলো বিস্মৃতির বাওড়ে উধাও—
কবরের বাতিল ঘাসের মধ্যে ডুবে-থাকা হাল-ভাঙা নাবিকের নাও।

৩| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: কিছু বলার ছিল, কিন্তু বলে আর কি লাভ!

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৯

রেজা ঘটক বলেছেন: শিশির- পল সেলান

শিশির।
আর আমি শুয়েছিলাম তোমার সাথে, তুমি, আবর্জনার মধ্যে,
একটি থিকথিকে চাঁদ
আমাদের উপর করেছিল উত্তরের শিলাবৃষ্টি,

আমরা গুঁড়ো হয়ে ভেঙে যাচ্ছিলাম
আমরা গুঁড়ো হয়ে হচ্ছিলাম এক:

ঈশ্বর রুটিটি ভাঙলেন,
রুটিটি ঈশ্বরকে ভাঙল।

৪| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

জংলি মানব বলেছেন: স্যারের আত্মার শান্তি কামনা করছি। উনার জানাজার সময় সম্পকেঁ জানলে দয়াকরে জানাবেন।

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৯

রেজা ঘটক বলেছেন: প্রহর-ভর্তি তোমার হাত- পল সেলান

প্রহর-ভর্তি তোমার হাত, তুমি এলে আমার কাছে- আর আমি বললাম;
তোমার চুল বাদামি নয়।
তাই তুমি তোমার চুল তুলে দিলে দুঃখের দাঁড়িপাল্লায়, সে হলো
আমার চেয়ে ভারী…

জাহাজে চড়ে ওরা আসে তোমার কাছে, ওকে করে পণ্য, তারপর
কামনার বিপণীবিতানে বিক্রির জন্য সাজায়….
তুমি গভীর থেকে আমার দিকে চেয়ে হাসো, আমি কাঁদি তোমার জন্য
হাল্কা রয়ে-যাওয়া দাঁড়িপাল্লা থেকে।
আমি কাঁদি: তোমার চুল ধুসর নয়, ওরা দেয় সমুদ্র থেকে লোনাজল
আর তুমি ওদের দাও তোমার কেশরাজি….
ফিসফিসিযে বলো: ওরা পৃথিবীকে ভরিয়ে দিয়েছে আমাকে দিয়ে, তোমার
হৃদয়ে আমি এক শুন্য পথ আজো।

তুমি বলো: সরিয়ে রাখো তোমার বয়সের পত্রালি- এখনই সময়
তুমি এসো আমার কাছে, করো চুম্বন আমাকে।

বয়সের পত্রালি ধুসর, ধুসর নয় তোমার চুলগুলো।

৫| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
একটু আগে খবরটা জানলাম। মনটাই খারাপ হয়ে গেলো।

কবির আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি।

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩০

রেজা ঘটক বলেছেন: প্রার্থনায় নম্র হও পাবে

আমাকে পাবে না প্রেমে, প্রার্থনায় নম্র হও পাবে,
কামে-ঘামে আমি নেই, পিপাসায় তপ্ত হও, পাবে।

পাখিরা প্রমত্ত হলে সঙ্গিনীকে ডেকে নেয় দেহের ছায়ায় -
ছায়া নয়, রৌদ্রতাপ জ্বালাবার শক্তি ধরো, কেবলি আমাকে
তপ্তজলে দগ্ধ করো, রুদ্ধ ক্রোধে দীপ্ত করো পাবে

পৃথিবীর সর্বশেষ কবি আমি অহংকার আমার কবিতা
বিষাদে বিশ্বাসে পূণ্য হৃদয়ের জলাধারে ধরো,
আমাতে নিবদ্ধ হও পূণ্যপ্রাণ ফলবন্ত হও-
আমাকে পাবে না ফলে, পরাগ-নিষিক্ত হও, পাবে।

আমি তো নিষিদ্ধ প্রেম, শুদ্ধ ব্যথা, বিষাক্ত আঙুর,
আমার বিষের দানা জিবে কাটো, রক্তরস যিশুর রুধির
পান করো, নতুন প্রজন্ম সাধ তুঙ্গ করো, পাবে।
আমাকে পাবে না দুঃখে, একটি হতাশা শুধু দেহে
ছুরির ফলায় জমা একফোঁটা প্রাকৃতিক স্বেদের মতোন
তৃপ্ত করো, মূর্ত করো, পাবে।

তেত্রিশ বছর ধরে বুকের সন্তাপ জমা সে সন্তাপ তুলে নাও চুলে,
মেঘের উড়াল-দেয়া পাখিদের ফেলে যাওয়া অবিন্যস্ত ছায়া
চোখের মণিতে গাঁথে, উড়ালে বিশ্বাসী হও, পাবে।

আমাকে পাবে না প্রেমে, প্রার্থনায় নম্র হও, পাবে,
তৃপ্তির সন্ত্রাসে নয়, পিপাসায় তপ্ত হও, পাবে।

৬| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: একবিংশ সম্পাদক হিসাবে এবং কবি হিসাবে বাংলাদেশের সাহিত্যে তাঁর অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্বীকার করবে সবাই। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩০

রেজা ঘটক বলেছেন: পরিচয় শুরু হলো পাউল সেলানের অনুবাদ দিয়ে

কতবার জাহান্নামের আগুনে পোড়াতে চেয়েছ আমাকে
কতবার বুরুজ পর্বত থেকে ঝুলিয়ে রেখেছ
তোমার তরবারি
কত দিন ক্ষুধার্ত উদর নিয়ে কেঁদে কেঁদে
রাত করেছি কাবার
কত লক্ষ বছরের পাথর ঠেলেছি
পাহাড়ের ঢাল ঠেলে কেবলই উজানে
কতবার তোমার ইগল এসে ঠুকরে ঠুকরে
খেয়েছে নাড়িভুঁড়ি

তোমাকে দেখেছি অলিম্পাসের তুষারধবল
চূড়ার মহিমায়
তুমি ধরে আছ দুই হাতে বজ্র আর অশনির চাবুক
তুমি সেমিলির ঘরে যখন স্বর্ণবৃষ্টি
হয়ে নেমেছিলে, অপার তৃষ্ণায়
তোমার প্রেমের দান ভেবে ঘরে নিয়ে-
ছিলাম আগুন।

তোমার কাছে চেয়েছিলাম জীবনজিজ্ঞাসার উত্তর
তুমি আকাশ থেকে ভয়াল শব্দে ছুড়ে দিলে
দুইখণ্ড পাথর
দশটি নিষেধ দিলে, চেয়েছিলাম পিপাসার জল
রক্তের কম্বল দিলে, চেয়েছিলাম মিলনের হাত
তীব্র দ্রংষ্ট্রার ঘায়ে আমাকে ঝুলিয়ে রাখলে-
দুই পাশে দুজন তস্কর!

গ্যালিলির জলে রক্তমাখা হাত ধুয়ে নিয়ে
তোমার স্তোত্র পড়তে বসেছি খড়ের আগুনের আলোয়
তখন পূর্বাকাশে মন্দিরা বাজাচ্ছিল কার দুটি মোহন হাত
কেউ কেউ তোমার নাম করে গালমন্দ করতে করতে
পাহাড়ে ঢুকে গিয়েছিল, আর ফেরেনি
দুটি শহর আগুনে ছাই হলে পর স্বনিযুক্ত পরিত্রাতারা
তোমার নামের জয়ধ্বনি দিচ্ছিল দশ দিগন্তে
আমি তোমার নাম জিহ্বার অগ্রভাগে এনে
ছুড়ে দিলাম নিষ্ঠীবনের সাথে
আমাকে ক্ষমা করার কোনো অবকাশ তোমাকে দেব না
বলে গর্জমান মানুষের স্রোতে মিশে গেলাম
কেননা মানুষের গায়ের গন্ধ তখন আমার কাছে
পারিজাত কুসুমের চেয়েও আকর্ষণীয়

তোমার ইগলেরা জানি আজও আমাকে খুঁজছে।

৭| ১৬ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

অদৃশ্য বলেছেন:







কবি খন্দকার আশরাফ হোসেন এর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি



১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩১

রেজা ঘটক বলেছেন: মানুষ

মানুষকে কেউ ধারণ করতে পারে না
না নিসর্গ ঈশ্বর না প্রেম না ঘৃণা
মানুষের হাতে নীল বেলুন তার চোখে দুই কালো মাছি
মানুষকে কেউ ধারণ করতে পারে না, মানুষের
কোনো জন্মদাতা নেই, তার কটির উত্তাল যৌবন কারো
উত্তরাধিকার নয়।

মানুষকে কেউ ধারণ করতে পারে না
না নিসর্গ না ঈশ্বরের দিগন্ত-প্রসারী আলখাল্লা
না নদী না জন্মভূমি।
মানুষের কোনো উপমা নেই, রূপকল্প নেই, ব্যতিহার
বহুব্রীহি নেই, স্বরলিপি ব্যাকরণ নেই
শাসনতন্ত্র, অর্থ-অভিধান চর্যাচর্য নেই।

মানুষ আত্মভেদী, আত্মনাশী নীল পতঙ্গ
একদিন সে পাঁজরের হাড় দিয়ে গড়েছিল এ পৃথিবী
একদিন মানুষই ধ্বংস করবে তাকে।
না ঈশ্বর না দেবতা না পাষাণ মৃদঙ্গ না প্রভাত না
মধ্যরাতে নিমগ্ন বালিশ না ফোয়ারা না যোনি না
কবন্ধ রাত্রির ঘুম কোনো কিছু না।
শুধু মানুষই পারে নিজেকে ভাঙতে। যেমন সাজাতে।
আমি সেই ভঙ্গুর ভঙ্গপ্রিয় ত্রিভঙ্গ মুরারির জন্যে
আমার কবিতা রেখে যাই।
আর কেউ নয়, আর কারো জন্যে আমার
দীর্ঘশ্বাস নেই, না গ্রন্থ না সুহৃদ না পলাতক
ভ্রমর গুঞ্জন না নারী না নিশ্চল বসন্ত বাহার…

আমি মানুষকে ভালোবাসি কেননা সে একদিন
নিজহাতে নিজেকে পোড়াবে।

৮| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩২

রেজা ঘটক বলেছেন: যেতে হলে যাবো
কবি খন্দকার আশরাফ হোসেন

একদিন রাঙাবালিয়ায় যাবো, একদিন সন্দিগ্ধপুকুর পাড়ে
নামাবো কষ্টের ভার। একদিন হরিষবিষাদপুর ডানে রেখে
তীব্র এক বাঁক খেয়ে ঢুকে যাবো আনন্দনিশ্চিন-গড়ে
কোনো একদিন শুভক্ষণ দেখে

দূর্বাঘাসের দেশে মৌপিপাসার নদে খেলবো ঝাঁপই
জন্মাবো পিপুলবৃক্ষ আত্রেয়ীর জলধোয়া কোনো এক মাটির উঠানে
হেঁটে গিয়ে বসবো দুখি কানাইবংশীর থানে
লোকে বলবে ক্যাংকা করে আলেন বাপই

আলোচাল ধোয়া হাতে কলাবউ নবীনা সুজাতা
নিগৃহী যুবার জন্যে কদলিপাতায় দেবে সুগন্ধ পায়স
একদিন চলে যাবো পায়ে ঠেলে মুগ্ধপুর কামুক তেমাথা
অশোক বৃক্ষের ডালে ত্রিকালের স্বপ্নচোষা অতৃপ্ত বায়স

একদিন সুখসমসি-পুর যাবো হাতের তালুতে নিয়ে কৃষ্ণ মধুমাছি
যাতি হলি যাব'খন আপাতত কেষ্টনগরে নষ্ট গোঁসাই হয়াছি ॥

৯| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

রেজা ঘটক বলেছেন: চাঁদের খোঁয়ারি
কবি খন্দকার আশরাফ হোসেন

চাঁদ সদাগরের নাও এইমাত্র জলাঙ্গির খাল ছেড়ে
ক্ষীরনদে পড়েছে
আর তখনি ছুটে এল দিগন্ত থেকে
একঝাঁক নীল কৈবর্ত্যের মতো বৃষ্টির ডাকাত
হামলে পড়ল ছৈ-গলুইয়ের ওপর; মাঝিমাল্লারা
দড়াদড়ি লগি বৈঠা ছেড়ে
দুই ঊরুর মধ্যে হাত নিয়ে সারেন্ডার করেছে;
লুঠিয়ারা
পাল ভিজিয়ে, বুড়ো চাঁদের গাল ভিজিয়ে
তার মাথার উষ্ণীষ পায়ের কাষ্ঠপাদুকা ভিজিয়ে দিয়ে
বসে থাকল, যাবার নাম নাই
যেন বহুদূরের সাগাই আসিচ্ছে কুটুমের
হুড়ুমের কোলা সাবাড় কৈত্তে!

ছৈয়ের ভিতরে ছৈ, তার মধ্যে পুত্রসহ বধূ,
একচোখ-কানা পদ্মাডাইনির চোখ এড়িয়ে
চলেছে ঘরে,
আজ কৃষ্ণাচতুর্দশীর রাতে
তাদের অতন্দ্র অসহস্পর্শ লোহার বাসর
আজ বোনা হবে ভাটিবাংলার আগুনসুতায়
চিরবিদ্রোহের আলোয়ান

তুমুল বৃষ্টির মধ্যে চাঁদমিয়া দেখছেন বাংলার
অনাগত ভবিষ্যৎ
নাচিয়া খেলিয়া সহর্ষে বাবরি দোলাইয়া
কৈবর্ত্যের পুত্ররা
মনসার সিংহপাহারা থেকে ছিনিয়ে আনছে
সোনার মাদুলি,
অনাগত রক্তের ধারা—শীর্ষে তার মুক্তির কহ্লার!

১০| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

রেজা ঘটক বলেছেন: বৈয়াকণের প্রেমগীতি
কবি খন্দকার আশরাফ হোসেন

তিন মাস গৌরবে ছিলাম বহুবচনের অন্তরালে টিকে,
তুমি ডাক দিয়েছিলে নৈঋতের অসম্পূর্ণ অন্ধকার বিচে
রূপবতী মধ্যমার উপমিত আকাঙক্ষার দিকে
তিন মাস বাসনার পরপারে টলটলে দিঘিটির নিচে

ঘুমিয়ে ছিলাম নঞ, তবু তৎপুরুষ তো বটে
মজ্জমান শাপলার নমিত মস্তক নিয়ে ক্লীবের সংশয়
মনে জাগে, পড়ে গেছি মনে হলো গভীর সংকটে -
তোমার জলের পাটাতন ফুঁড়ে জেগে ওঠা নয়

আমার কর্মধারয়। বহুব্রীহি-দিনে ধান উপচে ওঠে যাদের গোলার
নিত্য-নমস্য তারা - সমস্যমান এ পৃথিবীর কোনোকিছু তাঁদের ছোঁবে না।
কৃপার ভিখারি আমি, সমপ্রদানের মতি হবে কি তোমার?
নিত্যবৃত্ত বর্তমানে তোমার আমার সন্ধি হবে কী হবে না

এই নিয়ে দ্বন্দ্বে আছি, অপিচ স্মরণ রাখো, মধ্যপদ আজো
লুপ্ত নয় - যদি তুমি অনাবৃত, অপাবৃত মধ্যমায় বাজো।

১১| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

রেজা ঘটক বলেছেন: আবার আসতে পেলে যা যা করবো (না) তার তালিকা
কবি খন্দকার আশরাফ হোসেন

আবার আসতে পেলে আটঘাট বেঁধে আসবো
এবারের মতো ভুলে যাবো না পারের কড়ি দূরের টিকেট
ঘরের চাবি; দুপায়ে দু'রকম জুতা, দেখা আর
লেখার চশমার বিভ্রাট আর নয়, নয় আর
টুথপেস্ট ভেবে ব্রাশে শেভিং ক্রিম মাখানো,
সখের হাড়িতে কেউটে সাপের বাচ্চা পোষা
আর নয়, কারো উপরোধে
বাসনার ঢেঁকি আমূল গিলে ফেলাও নৈব নৈব চ।
আবার আসতে পেলে পড়া মুখস্ত করে আসবো,
মঞ্চে উঠে ভুলে যাওয়া পার্ট আর নয়,
অন্যের ফেলে যাওয়া হার্ট ও আমার
ভালোবাসার ধন বলে কাঙালিপনা করবো না আর,
তার চেয়ে নিজের হৃদয়টাকে তরমুজের ফালি ক'রে
প্রাইস্ ট্যাগ লাগিয়ে হাজির করবো, ভাইরে,
কিরিচ আর কাটামুণ্ডু দুহাতে নিয়ে
আমিও দেখাবো ভয়, সাপের মুখে ব্যাঙ
হাসাবার উদ্ভট আশায়
ভুয়োদর্শী যুবা হওয়ার আহ্লাদ করবো না।
এবারের হাটে-হাটে হেনস্থা তো কম হলো না
কোমরের বেল্টে বাঁধা তোড়ার মানিক
কোন ফাঁকে লোপাট হয়ে গেল
হট্টগোলে পড়ে-পাওয়া চোদ্দআনা সামলাতে গিয়ে
হারালাম হাজার টাকার মূলধন, এবার এলে
একসাথে সাপ আর বেজির মুখে চুম্বন করার আর্ট
ঘুম আর সিঁদকাঠির সরল সমীকরণ
মুখস্ত করেই আসবো।
যদি আসি আগুন হয়ে আসবো তৃষ্ণার জল নয়
একসাথে হবো ছুরি আর ক্ষতের মলম
জিহ্বা থাকবে দুটো, ফেলে আসবো অপ্রসন্ন কলমের ভার
প্রেমে হবো চতুর কৃষ্ণ, যুদ্ধক্ষেত্রে মিথ্যুক অর্জুন
আবার আসতে পেলে তোমাদের
মিথ্যেবাদী বিদ্যালয়ে অনাচার্য হবো।

১২| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: উনার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

১৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮

রেজা ঘটক বলেছেন: বাড়ি যাবো, বাড়ি যাবো, বাড়ি...
পথ ছাড়ো অন্ধকার, পথ ছাড়ো দূরত্বের দূরগামী পথ
বাড়ি যাবো, বাড়ি...

বৈশাখের বটবৃক্ষ তালুতে কপোল রেখে বলে, 'হায়,
এ ছেলেকে কিছুতেই ফিরতে দেয়া চলবে না'; নগরীর পথ,
দালানের পরভৃত কোকিলের পঞ্চস্বর ডেকে বলে, শোন
তোর কোনো বাড়ি নেই,
অন্তরঙ্গ উচ্চারণে যাকে বলে হোম
সুইট হোম - সে আজ ভেসে গেছে বিস্মৃতির যমুনার জলে।
তোমার আসার জন্য কেউ নেই হাট করে ঘরের দরোজা,
পলাতক সময়ের ঝুঁটিবাঁধা কাকাতুয়া
দাঁড় ছেড়ে পালিয়েছে সেই কবে; ঘাটলার কাঠগুলো
কবে কোন চোর
নিয়ে গেছে অন্তপুরে চুলোর হৃদয় জুড়ে শান্তি দেবে বলে।

তবু বাড়ি যাবো, বাড়ি যাবো, বাড়ি....
পথ ছাড়ো সুসময়, প্রতিশ্রুত সুখনিদ্রা, নিমগ্ন বালিশ,
পথ ছাড়ো জীবনযাপন ব্যথা, পথ করে দাও।
আজ যাবো
ঝিনাই নদীর জল হাঁটুতে কাপড় তুলে পার হবো,
মধ্যরাতে ডাক দেবো
মা মাগো এসেছি আমি! সেই কবে গভীর নিশীথে
তোমার নিমাইপুত্র ঘর ছেড়েছিল, আজ কাশী বৃন্দাবন
তুলোধুনো করে ফের তোর দীর্ণ চৌকাঠে এসেছি।

আমার কিছুই হলো না মা, লোকে বলে আমি ভীষণ নারাজ
জীবনের তপ্ত গালে চুমু খেতে,
আমি ভীতু, জীবনের দ্রুতগাড়ি বৃদ্ধাঙ্গুলি তুলে কেন থামাতে পারি না,
হিচহাইকিঙ করে কত লোক চলে গেলো দূরতম গন্তব্যে, তবুও
আমি একা এখানে দাঁড়িয়ে আছি,
বাসভাড়া হয়েছে লোপাট অন্য কারো কলাবতী আঙ্গুলের হাতে
তবু আমি বাড়ি যাবো বাড়ি যাবো, বাড়ি
এ বিশাল পৃথিবীতে এ মুহূর্তে অন্য কোনো গন্তব্য তো নেই!

পথ ছাড়ো অন্ধকার, পথ ছাড়ো দূরত্বরে দূরগামী পথ
বাড়ি যাবো, বাড়ি..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.