নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ন্যূনতম ৪২ ভূত মোকাবেলা করতে হবে।। রেজা ঘটক

২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৭

স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অসংখ্য শ্রমঘণ্টা রাজনৈতিক দুঃস্বপ্ন দেখিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। হাজার হাজার ছেলেমেয়ের শিক্ষাজীবনে নেমে এসেছিল অন্ধকারের অমানিশা। নির্মম বলি হতে হয়েছিল ডাক্তার মিলন, নূর হোসেন সহ অসংখ্য স্বপ্নপুরুষের। স্বৈরাচার এরশাদের পতনের পর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনমুখী হবে আমাদের তখন সেরকম স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। আমরা নব্বই পরবর্তীকালে বিএনপি'র দুই টার্ম (১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬) এবং আওয়ামী লীগের দুই টার্ম (১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে ২০১৩) শাসনামলে সেই দুঃস্বপ্ন হারে হারে টের পেয়েছি। স্বৈরাচার পরবর্তী বিগত তেঁইশ বছরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সুশাসন বলতে যা বুঝায় তা আমরা স্বপ্নেও দেখিনি। বরং দুর্নীতি, ঘুষ, হত্যা, খুন, গুম, দখল, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, হামলা, মামলা, জ্বালাও পোড়াও, ধর্মীয় উসকানী, সংখ্যালঘু নির্যাতন, দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি, নমিনেশান কেনাবেচার হাট, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস, বৈষম্যমূলক বিভিন্ন চুক্তি, বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী প্রভুদের লেজুরবৃত্তি, দলীয় কোন্দল, ছাত্র রাজনীতির অপব্যবহার, হরতাল, ধর্মঘট সহ অসংখ্য নেগেটিভ প্রপঞ্চের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ হাঁপিয়ে উঠেছে। দূর ভবিষ্যতে সেই সংকা থেকে শীঘ্রই মুক্তি মিলবে বলেও কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। সেই বিবেচনায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় আওয়ামী লীগ নের্তৃত্বাধীন জোট সরকারকে অন্তঃত ৪২ টি ভূত মোকাবেলা করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে হবে। আলোচিত সেই ৪২ ভূত গুলো এমন হতে পারঃ-

১. পদ্মা সেতু দুর্নীতি প্রসঙ্গ আগামী নির্বাচনে অন্যতম ইস্যু হবে। আওয়ামী লীগকে পদ্মা সেতু নিয়ে জনগণের সামনে খোলামেলা একটা জায়গায় না আসতে পারলে এটি নির্বাচনের ভোটে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করবে।

২. সোনালী ব্যাংক-হলমার্ক কেলেংকারী আগামী নির্বাচনে একটি প্রধান ইস্যু হবে।

৩. ডেসটিনি মাল্টি কো-অপারেটিভ কেলেংকারী নির্বাচনে একটি প্রধান ইস্যু হবে।

৪. রেলওয়ে কেলেংকারী আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।

৫. বিশ্বজিত হত্যা আগামী নির্বাচনে অ্ন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

৬. চার সিটি কর্পোরেশানে হার একটি ইস্যু হবে।

৭. ঢাকা সিটি কর্পোরেশান বিভক্তি একটি ইস্যু হবে।

৮. নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের উর্ধ্ব গতি ইস্যু হবে।

৯. বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী গুম অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

১০. বিডিআর বিদ্রোহ অন্যতম ইস্যু হবে।

১১. সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুণি হত্যা অন্যতম ইস্যু হবে।

১২. গণ-জাগরণ মঞ্চ এবং হেফাজতে ইসলাম অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

১৩. যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

১৪. ভারতের সঙ্গে তিস্তা পানি চুক্তি অন্যতম ইস্যু হবে।

১৫. রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প অন্যতম ইস্যু হবে।

১৬. রামু বৌদ্ধ মন্দির জ্বালোনা এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন অন্যতম ইস্যু হবে।

১৭. মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতি অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

১৮. আইসিটি বিচারকের স্কাইফ কথোপকথন ফাঁস অন্যতম ইস্যু হবে।

১৯. রানা প্লাজা ধ্বস ও তাজরীন ফ্যাসনে আগুন অন্যতম ইস্যু হবে।

২০. ছাত্রলীগের দৌরাত্ম অন্যতম ইস্যু হবে।

২১. গ্রামীন ব্যাংক ও প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস নিয়ে বাড়াবাড়ি অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

২২. ধর্ম নিয়ে রাজনীতি অন্যতম ইস্যু হবে।

২৩. টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী ও দখলবাজী ইস্যু হবে।

২৪. খুন ও গুম ইস্যু হবে।

২৫. অতিরিক্ত ব্যাংক ঋণ ইস্যু হবে।

২৬. দলীয়করণ অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

২৭. সরকারি অর্থের অপচয় ইস্যু হবে।

২৮. সামাজিক খাতের নিরাপত্তার চেয়ে দলীয় নিরাপত্তা অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

২৯. ভারত তোষণ নীতি অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

৩০. বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, উন্নয়ন সহযোগী অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

৩১. দলীয় কোন্দল অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

৩২. নির্বাচন কমিশন অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

৩৩. আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

৩৪. পররাষ্ট্র নীতির ব্যর্থতা অন্যতম ইস্যু হবে।

৩৫. সংবিধান সংশোধন অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

৩৬. মামলা-হামলা ও রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা অন্যতম ইস্যু হবে।

৩৭. নমিনেশান বিক্রি অন্যতম ইস্যু হবে।

৩৮. কলেজ ছাত্র লিমন ইস্যু অন্যতম ইস্যু হবে।

৩৯. মিডিয়ার নেগেটিভ ও পজেটিভ প্রচার অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

৪০. টিফকা চুক্তি অন্যতম ইস্যু হবে।

৪১. তেল-গ্যাস-জ্বালানী-বিদ্যুতের দাম অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

৪২. অদক্ষ মন্ত্রীসভা এবং তাদের ব্যর্থতা অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।



আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে তা প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নানান ভেলকি দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত একটা সমঝোতায় আসবে। কিন্তু নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে আওযামী লীগ ও তাদের জোটকে উপরে উল্লেখিত ৪২টি ইস্যুর মোকাবেলা করেই সেই নির্বাচনী পরীক্ষায় নামতে হবে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যতোই শিক্ষিত এবং রাজনৈতিক ভাবে সচেতন হবে ততোই ভণ্ড রাজনীতিবিদদের মুখোশ উন্মোচিত হবে। একুশ শতকে কেউ আর যেনো তেনো ভাবে একটা বুঝ দিয়ে যুবসমাজের ভোটকে অপব্যবহার করতে পারবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই ৪২ টি ইস্যু মোকাবেলা করেই আওয়ামী লীগকে ভোট যুদ্ধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে টিকে থাকতে হবে। আর যদি এসব বিষয়কে থোরাই কেয়ার না করে তাহলে আওয়ামী লীগের সামনে ভয়াবহ দুঃসময় অপেক্ষা করছে।

বাংলাদেশের মানুষ দূর অতীতের ঘটনা দ্রুত ভুলে যায়। নিকট অতীতকে বেশি মনে রাখে। তাই নিকট অতীতে সংঘটিত রাজনৈতিক ভুল বা ব্যর্থতাগুলো সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে না পারলে আওয়ামী লীগ কঠিন ভাবে ভুল পথে পা দেবে। আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এই মূল্যায়নের সাথে কেউ দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। কিন্তু এটা নিয়ে কেউ দয়া করে ভুল ব্যাখ্যার অপপ্রয়াস করবেন না।

পরবর্তী লেখায় বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের একটি মূল্যায়ন করার চেষ্টা করব। সবাই ভালো থাকবেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

যাদব সূত্রধর বলেছেন: ১৬. রামু বৌদ্ধ মন্দির জ্বালোনা অন্যতম ইস্যু হবে।

সাম্প্রতিক সময়ের হিন্দু নির্যাতনের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে।
হিন্দুরা কিন্তু এখন মন থেকে আপডেট হচ্ছে।

২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

বাংলার হাসান বলেছেন: বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যতোই শিক্ষিত এবং রাজনৈতিক ভাবে সচেতন হবে ততোই ভণ্ড রাজনীতিবিদদের মুখোশ উন্মোচিত হবে। সহমত।

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

আঠারো বছর বয়স বলেছেন: শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি কই গেল?

৪| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: এই দুটোর সময়ের শাসনের তুলনায় এরশাদের সময়তো আমরা স্বর্গরাজ্যেই বাস করেছিলুম! হ্যাঁ জাতি যত শিক্ষিত হবে ততই দেশের জন্য কল্যানকর। তবে শাসকশ্রেনী সেটা চায় না বলেই শিক্ষাব্যাবস্হার বারোটা বাজিয়ে ফেলেছে গত ২৩ বছরে। বহু এদেশী সন্তান এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে দুলাইন ইংরেজী লিখতে পারেনা, বিশ্বাস করুন!!

৫| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৪

সাবু ছেেল বলেছেন: যা যা কোন মতেই ইস্যু হবে নাঃ

৩. ডেসটিনি মাল্টি কো-অপারেটিভ কেলেংকারী নির্বাচনে একটি প্রধান ইস্যু হবে।

৭. ঢাকা সিটি কর্পোরেশান বিভক্তি একটি ইস্যু হবে।

১৫. রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প অন্যতম ইস্যু হবে।

১৬. রামু বৌদ্ধ মন্দির জ্বালোনা এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন অন্যতম ইস্যু হবে।

২১. গ্রামীন ব্যাংক ও প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস নিয়ে বাড়াবাড়ি অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

২২. ধর্ম নিয়ে রাজনীতি অন্যতম ইস্যু হবে।

২৬. দলীয়করণ অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

২৭. সরকারি অর্থের অপচয় ইস্যু হবে।

২৮. সামাজিক খাতের নিরাপত্তার চেয়ে দলীয় নিরাপত্তা অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

৩০. বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, উন্নয়ন সহযোগী অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

৩১. দলীয় কোন্দল অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

৩৭. নমিনেশান বিক্রি অন্যতম ইস্যু হবে।

৩৮. কলেজ ছাত্র লিমন ইস্যু অন্যতম ইস্যু হবে। (এটি প্রথম-খালুর ইস্যু মাত্র!!)

৩৯. মিডিয়ার নেগেটিভ ও পজেটিভ প্রচার অন্যতম প্রধান ইস্যু হবে।

৪০. টিফকা চুক্তি অন্যতম ইস্যু হবে। (৯০%মানুষ বুঝে না টিকফা জিনিসটা কি,হায়রে আমার ইস্যু!!)

উপড়ের পয়েন্টগুলো যদি আগামী নির্বাচনে ইস্যু হয় তবে এই আওয়ামী সরকারের অধীনে বাংলাদেশ কেন ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ (টফুলব) জিতল না;সেটাও একটা "মহা"ইস্যু হওয়া উচিত,জত্তসব!!!


৬| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

ইমরান খান সবুজ বলেছেন: এরশাদের শাসনামলে বয়স কম ছিল তাই কিছু বলতে পারব না, তবে শুনেছি তিনি পল্লী উন্নয়ন এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ভাল ভূমিকা পালন করেছেন।

আর বিম্পি আম্মীগ তাদের আমলের উল্লেখযোগ্য কোন উন্নতির কথা বলতে পারলাম না বলে দু:খিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.