নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবার খাবার পানি পান করে আশুলিয়ায় ৫০০+ তৈরি পোষাক শ্রমিক অসুস্থ ।। রেজা ঘটক

৩০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

আজ রবিবার সকালে সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ‘দ্য রোজ ড্রেসেস লিমিটেডের’ শ্রমিকরা কারখানার ট্যাপের পানি পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা প্রথম আলোকে জানান, অপেক্ষাকৃত কম অসুস্থ শ্রমিকদের স্থানীয় নারী ও শিশুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, প্রপার জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর বেশি অসুস্থ শ্রমিকদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সকাল আটটার দিকে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে অধিকাংশ শ্রমিকই কাজে যোগ দেন। কাজে যোগ দেওয়ার পর শ্রমিকদের অনেকে কারখানার কলের পানি পান করেন। কিছুক্ষণ পর তাঁদের অনেকের গলা থেকে পেট পর্যন্ত প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া শুরু হয়। তাঁরা বমি করতে থাকেন এবং অনেকেই অচেতন হয়ে পড়েন।

এনাম মেডিকেল হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, পানিতে বিষক্রিয়াজনিত কারণে তাঁরা অসুস্থ হয়ে থাকতে পারেন। তবে কারও অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয় বলে তিনি জানান। তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর চিকিত্সা কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‘যেসব খাবার ও পানি খেয়ে শ্রমিকেরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তার নমুনা পরীক্ষার জন্য মহাখালীর আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

দ্য রোজ ড্রেসেস লিমিটেডের মালিক আতিকুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি। আতিকুল ইসলাম তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি।

ওই কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক দিনের কাজ শেষে গত শুক্রবার রাতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁদের কলা, কেক ও ডিম খেতে দেওয়া হয়। সেগুলো খাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ঘটনার পর গতকাল ওই কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ছুটি শেষে আজ কাজে যোগ দিয়েছিলেন শ্রমিকেরা। এবার পানি পান করে তিন শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ায় আজ আবারও কারখানাটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজিএমইএর অতিরিক্ত সচিব মো. হায়দার বলেন, ঠিক কী কারণে বারবার এই কারখানার শ্রমিকেরা পানি ও নাশতা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য তদন্ত করা হবে।

শিল্প পুলিশ-১ আশুলিয়া অঞ্চলের উপসহকারী পরিচালক আব্দুস সাত্তার সাংবাদিকদের বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার কারখানাটি ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান থানা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোশারফ হোসেন দেওয়ান। তিনি বলেন, থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. রওনক জাহান উর্মিকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ডা. সেলিনা নাসরিন ও স্বাস্থ্য সহকারী মোহাম্মদ ওসমান। আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার রাতের খাবার খেয়ে ওই কারখানার প্রায় দেড়শ’ শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এরপর শনিবার কারখানাটি বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। আজ রবিবার আবার কারখানাটি খুলে দেবার পর সকাল আটটা থেকে শ্রমিকরা পানি পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ব্যাপারে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলন, “আমাদের একই বাউন্ডারির মধ্যে দুইটি ভবন। দুই ভবনের শ্রমিকরাই অসুস্থ হয়েছে। যদিও দুই ভবনের পানির ট্যাংঙ্কি, মটর ও পানির লাইন সম্পূর্ণ আলাদা। বিষয়টি বেশ রহস্যজনক মনে হচ্ছে।”

বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবনের কি কোনোই মূল্য নেই? নিরাপদ খাবার পানিও তারা পাবে না? গার্মেন্টসে কর্ম পরিবেশ তো সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেটের দায়ে এরা এসব কারখানায় কাজ করতে যায়। হায়!!! আর দেশের সরকার বাহাদুর আমেরিকা জিএসপি সুবিধা কেন বাতিল করলো তা নিয়ে বিরোধীদলের সঙ্গে ঝগড়া করছে জাতীয় সংসদে। আরে আগে দয়া করে ওদের কারখানা মানুষ করার জন্য মালিকদের পারিবেশ বিষয়ক জ্ঞান দেন। কর্ম পরিবেশ যুগোপযুগি না হওয়া পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেন। শ্রমিকদের জীবন যতোক্ষণ নিরাপত্তা হুমকিতে ততোক্ষণ এসব তামাশার কারখানা বন্ধ রাখুন। গরিব মানুষের জীবন নিয়ে আর দয়া করে ছিনিমিনি খেলবেন না। আপনাদের ভোটের রাজনীতির খ্যাতা কিলাই। আপনারা দলীয় ভাবে একদল চাঁদাবাজ লালন করেন। সেই সব গুন্ডারা দেয় গার্মেন্টস। তারা কর্ম পরিবেশ তো দূরের কথা, টাকার জোরে বাংলাদেশে গার্মেন্টসের নামে রাজ রাজত্ব শুরু করেছে। সারা দেশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি নিয়ে সরকার যদি এখনো তামাশা করেই যায়। ভয়ংকর খারাপ কিছু ঘটে যাবে। মনে রাখবেন, শ্রমিকরা একবার যদি সত্যিই রাস্তায় নেমে যায়, তখন আর নিরাপত্তা রক্ষী দিয়েও কাজ হবে না। মানুষের জীবন নিয়ে এই তামাশার খেলা বন্ধ করুন। আমাদের তৈরি পোষাক দিয়ে বিদেশি মুদ্রার দরকার নেই। আমাদের আগে জীবন বাঁচানোর সুযোগ দিন দয়া করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.