নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের আর কতো দীপকে হারালে নষ্ট-ভ্রষ্ট রাজনীতি বাংলাদেশ থেকে মুছে যাবে।। রেজা ঘটক

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

সন্দেহভাজন হেফাজতকর্মীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিত্সাধীন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আরিফ রায়হান দীপ আজ মঙ্গলবার ২ জুলাই ২০১৩ তারিখে ভোর রাত সাড়ে তিনটায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যায়। গত ৯ এপ্রিল ২০১৩ বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলে আরিফের মাথায় ও পিঠে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আরিফ রায়হান দীপ বুয়েটের মেকানিকাল (যন্ত্রকৌশল) ডিপার্টমেন্টের নবম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বুয়েট ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এবং বুয়েটের কবি নজরুল ইসলাম হলের ২২৪ নং কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন দীপ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা গত ১৭ এপ্রিল বুয়েটের মেজবাহউদ্দীন নামের এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে। মেজবাহ বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তিনি এম রশীদ হলের ৩০১ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা। মেজবাহ হেফাজতের সমর্থক বলে ডিবি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় দীপের ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় মেজবাহকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ডিবি কর্মকর্তারা দাবি করেন, জিজ্ঞাসাবাদে মেজবাহ বলেছেন, গত ৬ এপ্রিল ঢাকায় হেফাজতের সমাবেশে আসা লোকজনকে খাবার সরবরাহ করায় একটি হলের মসজিদের ইমামকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছিলেন দীপ ও তাঁর বন্ধুরা। এ জন্যই তিনি দীপের ওপর হামলা চালান।

উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল রাতে শহীদ স্মৃতি হলের মসজিদের ইমাম হলের বাবুর্চিদের দিয়ে খিচুড়ি রান্না করিয়ে মতিঝিলে অবস্থানরত হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের জন্য পাঠান। তখন দীপসহ কয়েক শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ করেছিলেন। ওই রাতেই শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালক দেলোয়ার হোসেনকে জানান। পরে ইমাম আব্দুল আলিমকে সাময়িক বরখাস্ত করে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয় প্রশাসন।

বুয়েট ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আমিনুল হক পলাশ বলেন, “ইমাম বরখাস্ত হওয়ার পর থেকেই বুয়েট শিক্ষার্থীদের একটি ফেসবুক গ্রুপ ‘বুয়েটিয়ান’ এ কিছু শিক্ষার্থী দীপকে নিয়ে আজেবাজে লেখালেখি শুরু করে। ইমামের বরখাস্তের পিছনে দীপের হাত রয়েছে বলেও প্রচার চালাতে থাকে তারা। এ সময় অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে দীপকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। এরই এক পর্যায়ে গত ৯ এপ্রিল সকাল ১১ টার দিকে নজরুল ইসলাম হলের ছাত্র দীপকে হলে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে মাথায় ও পিঠে গুরুতর জখম হন দীপ। তখন তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর এস এম নজরুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেছেন, আরিফের মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। একজন শিক্ষার্থীকে আরেকজন শিক্ষার্থীকে এভাবে আঘাত করে মেরে ফেলতে পারে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আরিফের উন্নত চিকিত্সার জন্য তাঁকে ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং সে অনুসারে কাজও এগিয়েছিল। কিন্তু সকল রাজনীতির মাথায় থুথু মেরে আজ ভোর রাতেই দীপ চলে গেলেন অজানার দেশে।

স্কয়ার হাসপাতাল থেকে দীপের লাশ প্রথমে বুয়েট ক্যাম্পাসে নেয়া হয়। বেলা ১০টার দিকে এম এ রশিদ ভবনের সামনে তার প্রথম জানাযা হয়। জানাযায় বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে দীপের বাবা ও ভাইসহ আত্মীয়স্বজনদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। জানাযার পর তার লাশ গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে পাঠানো হয়। পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার তারাবুনিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে দীপকে দাফন করা হবে।

বুয়েটের উপাচার্য রফেসর এস এম নজরুল ইসলাম আরও জানান, বুয়েটের নিজস্ব তদন্তেও দীপকে কুপিয়ে আঘাত করার জন্য মেজবাহকে দায়ী করা হয়। তদন্তের পর মেজবাহকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। এছাড়া ওই মসজিদের ইমামকেও সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওদিকে মেজবার ভগ্নিপতি আশরাফুজ্জামান প্রথম আলো ডটকমকে বলেছেন, তাঁরা আপাতত মেজবার মামলাটি নিয়ে আইনি লড়াইয়ে যাবেন না। তাঁদের আশঙ্কা, বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের আইনি লড়াইয়ে গেলে আরও সমস্যায় পড়তে হবে। মেজবাহ বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন। আশরাফুজ্জামান বলেন, মেজবাহ এ ঘটনায় দুঃখিত। তবে তিনি (মেজবাহ) মনে করেন, দীপকে কুপিয়ে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি তাঁর (দীপের) প্রাপ্য ছিল।

বুয়েটে দোয়া ও মিলাদ:

আরিফ রায়হান দীপের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আগামী ৫ জুলাই ২০১৩, শুক্রবার বুয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ আসর দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।



দীপের বাড়ি আমার ইউনিয়নে পাশের গ্রামে:

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামে আরিফ রায়হান দীপের গ্রামের বাড়ি। মাঝখানে মরা বলেশ্বর। ওপারে আমার বাড়ি। দীপের বাবার নাম আজম আলী। মায়ের নাম স্বপ্না বেগম। অনেক কষ্ট করে ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। আমার এলাকার অনেকেই বুয়েট থেকে পাশ করেছে। বুয়েটে একটা ছেলেকে পড়ানো যে কি পরিমাণ পারিবারিক ছাড় দিয়ে মা-বাবাকে ছেলের পড়ার খরচ যোগাড় করতে হয়, তা যাদের ছেলেমেয়েরা বুয়েটে না পড়ে তারা কোনোদিন বুঝবে না। গ্রামের একটি ছেলে বুয়েটে চাঞ্চ পাওয়া মানে শহরের হাজার হাজার সুবিধাভোগী ছাত্রছাত্রীদের মেধার জোড়ে হারিয়ে তবেই সেই সোনার হরিণ মেলে। দীপ তার মা-বাবা-র ইচ্ছে পূরণ করে সেই সোনার হরিণ ছিনিয়ে নিতে বুয়েটে ভর্তি হয়েছিল। আর আজ সেই দীপ নিভে গেল! এটা যে কি পরিমাণ কষ্টের আর বেদনার তা ভাষায় বোঝানো যাবে না। মেজবাহ নামের যে ছেলেটি দীপকে কুপিয়েছিল, সেও বুয়েটের ছাত্র। তবে মৌলবাদীদের মন্ত্রে বখাটে এক অন্ধ। মেজবাহ বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও জাতে অন্ধ এক মৌলবাদী পিচাশ। ডিবি পুলিশের কাছে তার স্বীকারোক্তি থেকেই বোঝা যায়, আরেকজন মেধাবী ছাত্রকে কুপিয়ে সে মোটেও অনুতপ্ত নয়। কারণ, ধর্মের নামে রাজনীতির যে ভুল দর্শনে মেজবাহ অন্ধ সেই দর্শনের জোড়েই সে এখনো মনে করছে, যা করেছে ঠিক করেছে। মেজবাহ'র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। দ্রুত আদালতে এই নরঘাতকের যতো দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে ততো দ্রুত দীপের আত্মা শান্তি পাবে।



বাংলাদেশে রাজনীতি কোন পথে?

আওয়ামী লীগ নের্তৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ক্ষমতায় এসেছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে এই কথা বলে। কিন্তু তারা নানান তালবাহানা করে বিচার কার্য ঝোলাতে ঝোলাতে সাড়ে চার বছর পার করেছে। অবস্থা দেখে মনে হয় তারা আগামী নির্বাচনেও একই ধুয়া তুলে ভোট চাইতে যাবেন। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি কেন তারা বন্ধ করে না? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কেন ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে তামাশা করা হচ্ছে? চার সিটি কর্পোরেশানের নির্বাচনে হারার পরেও আওয়ামী লীগের হুশ হয় নি। মানুষের বিবেকের যখন মৃত্যু হয় তখন নাকি তাদের কোনো হুশই থাকে না। বাংলাদেশের রাজনীতির বিবেকরে অনেক আগেই মৃত্যু ঘটেছে। গরিব মেধাবী ছাত্রদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে ক্ষমতায় যাওয়ার পুরানো থিউরি আর কাজ দেবে না। ধর্ম নিয়ে খেলাও কোন শুভ ফল বয়ে আনবে না।

শাহবাগের গণ-জাগরণ বিপ্লবের বিরুদ্ধে যখন জামায়াত শিবিরের ছদ্মনামে হেফাজতে ইসলাম ঢাকায় সমাবেশ করতে আসল, তখন আওয়ামী লীগ বড় ধার্মিক সেই তামাশা প্রমাণ করতে অনেক নাটক করলো। ব্লগারদের আটক করলো। গণ-জাগরণ মঞ্চ ভেঙে দিল। কিন্তু হেফাজতে ইসলামের কোনো রোমাও ছিড়তে পারে নাই। চার সিটির নির্বাচনে এক হেফাজত মাঠে নেমেই এতো উন্নয়নের জোয়ার সব ভাসিয়ে দিল। এখন গাজীপুরের নির্বাচন ৬ জুলাই। এক হেফাজতকে দলে ভেড়াতে আওয়ামী লীগের রাতের ঘুম হারাম এখন। আরে ভাই ভুল রাজনীতি করলে আরো অনেক পরাজয় অপেক্ষা করছে সামনে।

বিএনপি নিজেদের দুর্বলতা আড়াল করতে এতোদিন সরকার পতন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার, তারেক জিয়ার কীর্তি, ইসলাম বাঁচাও, দেশ বাঁচাও অনেক প্রলাপ বকেছে। মানুষ বিএনপি'র আসল চেহারা চেনে। মানুষ সেই দুর্বিসহ শোষণ-শাসনের হাত থেকে বাঁচতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু নরবরে মন্ত্রীসভা, সোনালী ব্যাংক কেলেংকারী, হল মার্ক কেলেংকারী, পদ্ম সেতু কেলেংকারী, রেলওয়ের কালো বিড়াল, ডেসটিনি মাল্টি বিসিনেস, প্রকাশ্যে বিশ্বজিৎ হত্যা, রানা প্লাজা ধ্বস, ছাত্রলীগের টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, দখল, খুন, ধর্ষণ, হামলা, দলীয় কোন্দল ইত্যাদি কয়েক শো কেলেংকারী যে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বুড়িগঙ্গায় ডোবাবে, সেই সব কেলেংকারী কিভাবে চাপা দেবে তারা? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দিনের পর দিন ঝুলিয়ে রেখে জনগণকে কি ভোদাই মনে করে আওয়ামী লীগ? জনগণের ভোট কি বাংলা লিংক দামে পাইছেন আপনারা?

বিএনপি'র সাংগঠিনক অবস্থা জাতীয় নির্বাচন মোকাবেলার মতো ছিল না। কিন্তু আওয়ামী লীগের এতো এতো ব্যর্থতাই বিএনপি'র জন্যে সাপে-বর। আপনারা এখন আবার টিফকা চুক্তি করবেন আম জনতারে না জানিয়ে। সুন্দরবন ধ্বংস করতে ভারতের কাছে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবেন। বাংলাদেশটাকে কি তামাশা পাইছেন? কোই কোথাও তো শুনি না হরতালে বা হেফাজতের হামলায় অমুক মন্ত্রীর ছেলে মারা গেছে? তমুক বিএনপি নেতার ছেলে মারা গেছে? জয়ের উপর হামলঅ হয়েছে বা তারেক কোকোকে জনতা পিটিয়েছে? সাধারণ গরিব মানুষের ছেলেদের দিয়ে আর কতো আপনারা লাশের নষ্ট-ভ্রষ্ট রাজনীতি করবেন? আপনারা গ্রামের মেম্বার হবার যোগ্যতা নেই এমন লোককে মন্ত্রী বানাইছেন। দেশের ভাবমূর্তি তারা কিভাবে ভালো করবে? তাদের প্রথম যে যোগ্যতা দরকার, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দরকার, সেটাই তো নেই। ছাগল দিয়ে তো আর হাল চাষ হয় না রে ভাই। এখন অপেক্ষা এই নষ্ট রাজনীতির আম ছালা দুটোই যাওয়ার।

একটা ছোট্ট পরামর্শ:

সংবিধান সংশোধন করে দুইজন প্রধানমন্ত্রী বানানোর তকমা রেডি করেন। ছয় বছর পর পর সাধারণ নির্বাচন করার আই বানান। একজন প্রধানমন্ত্রী তিন বছরের বেশি দেশ শাসন করতে পারবে না এমন করুন। তাইলে আপনারা ভাগাভাগি করে ছয় বছর অন্তঃত নিশ্চিন্তে লুটপাট করতে পারবেন। জনগণের ভাগ্যের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা এখন আপনারা দুই রাজনৈতিক শিয়াল। হরতাল নিয়ে আপনারা সকালে যা বলেন বিকালে তা ভুলে যান। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হারলে আরো বেশি হরতাল হবে এ বিষয়ে এখনই গ্রান্টি দেওয়া যায়।

আপনারা চুরি চামারি করেন। লুটপাট করেন। নিজেরা নিজেরা কামড়াকামড়ি করেন। কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু আপনারা প্রকাশ্যে জনগণ নিয়ে মিথ্যাচার করেন। বলেন, এটা জনগণে চায়। তামাশা পাইছেন? জনগণ শুধু শান্তি চায়। আর নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই যাচাই বাছাই করতে চায়। আপনারা পরিবেশটা আর নষ্ট কইরেন না। দোহাই আপনাদের। আর শত শত মায়ের কোল খালি করবেন না। একজন দীপ যে তার মায়ের কতো আদরের ধন ছিল তা আপনারা পুত্র না হারালে বুঝবেন না। বাংলাদেশে নষ্ট রাজনীতির আরেক বলি হল আমাদের গ্রামের ছেলে দীপের নিভে যাওয়া। এটা মেনে নেওয়া যায় না। দীপ হত্যার বিচার যে আগামী নির্বাচনের আড়ালে হারিয়ে যাবে তা এখনই বলে দেওয়া যায়। আপনারা বিচার টাও করতে পারেন না। ধিক আপনাদের নষ্ট রাজনীতিকে। শত ধিক আপনাদের রাজনীতি ব্যবসাকে।



মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

সহীদুল হক মানিক বলেছেন: তোমার খুনের বদলা নেবো দ্বীপ। দ্রোহে এবং প্রতিশোধে। জয় বাংলা।

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

চোরাবালি- বলেছেন: ঘরে ঘরে যখন দ্বীপ জন্ম নেবে। কারণ তখন কেও রাতের আঁধারে বদলা নেবে না প্রকাশ্যে নেবে

৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

গেস্টাপো বলেছেন: দুঃখিত হলেও বলতে বাধ্য হচ্ছি একটা সন্ত্রাসীর জন্য কারো মায়াকান্না করা ঠিক না।বাপের বয়সি এক হুজুরকে যে লাথি,ঘুসি,চড়,থাপ্পর মেরে যে আওয়ামী পুলিশ লীগের হাতে ধরিয়ে দিতে পারে সে নিশ্চিত একজন সন্ত্রাসী।সে হুজুরের অপরাধ ছিলো সে রান্না করে হেফাজতের লোকদের খাইয়েছিলোএখন কেন মরার পর তার জানাজা একজন হুজুরে পড়াচ্ছে

আওয়ামী নাস্তিক লীগের একজন মন্ত্রী এসে তার জানাজা পড়ায় না কেন?শা ভাগি নাস্তিকগুলো কই ?

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

সবুজ ভীমরুল বলেছেন: বাপের বয়সি এক হুজুরকে যে লাথি,ঘুসি,চড়,থাপ্পর মেরে যে আওয়ামী পুলিশ লীগের হাতে ধরিয়ে দিতে পারে সে নিশ্চিত একজন সন্ত্রাসী।

সহমত।

যেমন কর্ম তেমন ফল!

৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

বিডি আমিনুর বলেছেন: যেমন কর্ম তেমন ফল!
একজন সন্ত্রাসীর জন্য মায়া কান্না কাঁদতে পারলাম না বলে দুঃখিত!
কারন আমি চুসিল নই।


৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বড়ই মন্মান্তিক
আমরা আর আরেকটা দিপ কে নস্ট রাজনৈতিক শিকারে হারাতে চাইনা ।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৬

পানকৌড়ি বলেছেন: দু:খিত হতে পারলাম না দু:খিত ।

৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৯

শিক্ষানবিস বলেছেন: আমার একটি প্রশ্ন, দীপ যে একজন ইমামকে মারধোর করেছে, এ অন্যায়ের বিচার কি এই সমাজ, এই প্রশাসন, এই সরকার, এই দল, এই আদালত, এই রাষ্ট্র কি কখনো করতো?
এভাবে অবিচার একটি উগ্র প্রতিবাদের জন্ম নেয়। প্রতিবাদী তখন নিজের প্রাণের ঝুকি নিয়ে বিচার করতে চায়। আমরা তাকে সন্ত্রাস বলি।
অবিচার আর সন্ত্রাসকে আমরা সমানভাবে ঘৃণা করি। আমাদের সুস্থ বিবেক এই শিক্ষেই আমাদের দেয়।
দীপ মারা গেছে আমরা কাদছি। বিচার চাইছি। সেই ইমাম মারা গেলে আমরা কতটা কাদতাম? কতখানি বিচার দাবী করতাম?

৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩০

খাটাস বলেছেন: বুয়েটের কোন ছাত্রের এমন মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। তবে ভাল ছেলে টা আগেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। হত্যাকারীর বিচার চাই।

১০| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫২

আলোকন বলেছেন: চরমপন্থা কখনই কোনপক্ষের জন্যেই ভালো না।
কিন্তু ঘটক সাহেব, যখন কোনো এক সকালে রাস্তার মোড়ে মোড়ে মানুষরুপী কুত্তারা কারো মুখে দাড়ি আর মাথায় টুপি দেখলেই ইচ্ছামত রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পিটাইসে, তখন আপনার এইসব মায়াকান্না কোথায় ছিল?

কোন হত্যাকান্ডই সমর্থনযোগ্য না।
আমাদের পরিবারের আমরা সব ভাইবোন ঢাবিতে লেখাপড়া করেছি বিএনপির আমলেও এবং বর্তমান সরকারের আমলেও। কই আমাদের কোন ভাইবোনকে কেউ তো কোনদিন একটা কটু কথাও বলে নাই। কোপানো তো বহুত দূরের কথা।
দীপকে কেন কোপ খেতে হলো?

অনেক তো হলো, এবার টিনের চশমাটা একটু খুলেন...

১১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

রেজা ঘটক বলেছেন: মৌলবাদী ধর্মান্ধ ঝাগুদের খুশি করার জন্য এই লেখা লেখি নাই। কিংম্বা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পক্ষেও এই লেখা লেখি নাই। বা বিএনপিকে খুশি করার জন্যও এই লেখা লেখি নাই। যারা এটাকে হেফাজতের বিরুদ্ধে গেছে বলে ভাবছেন, অবশ্যই যাবে। কারণ মেজবাহ সেরকম স্বিকারোক্তি দিয়েছে। ধর্ম পালন করা আর ধর্মান্ধ নষ্ট রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য আছে। ব্যাপারটা গুলিয়ে ফেললে তো হবে না।

১২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: দুঃখজনক।

১৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩১

আলোকন বলেছেন: মানলাম, আম্নের মতো মৌসুমি মানবতার ফেরিওয়ালা এই লেখা কোন দল-মত কে সমর্থন করে লেখেননি। /:)

মেজবাহর কর্মের ফল তাকে পেতেই হবে।
কিন্তু কথা হলো, মেজবাহর মত চরমপন্থি আমাকে বা আপনাকে না কুপিয়ে দীপকে কেন কোপালো?
এটার উত্তর তো দিলেন না। :||

মেজবাহ যদি আজকে আপনাকে তার বাপ দাবি করে, আপনি কি তার বাপ হয়ে যাবেন? :>

১৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৩

আলোকন বলেছেন: আরেকটা কথা, ঢালাওভাবে ট্যাগানো/ ট্যাগের ইঙ্গিত দেয়া কিন্তুক কচি বাছুরের পরিচয় বহন করে। কচি হাম্বারাই কথায় না পেরে উলটাপালটা ট্যাগিয়ে পার পেতে চায়। ;)

১৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৭

নিয়েল হিমু বলেছেন: দীপ দের আমরা হারাতেই থাকব তবুও নষ্ট রাজনিতী মুছবে বলে মনে হয় না ।
বুলেটের চেয়ে কলমের শক্তি বেশি হাসি পায় এখন এটা শুনলে ।

১৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:১১

aiman_jancw বলেছেন: বাপের বয়সি এক হুজুরকে যে লাথি,ঘুসি,চড়,থাপ্পর মেরে যে আওয়ামী পুলিশ লীগের হাতে ধরিয়ে দিতে পারে সে নিশ্চিত একজন সন্ত্রাসী।

সহমত।

যেমন কর্ম তেমন ফল!

১৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২৪

আশক বলেছেন: ড়েব-এর গুলি তে সন্ত্রাসী মরলে শুরু হয় সুশীলদের মায়া কান্না. আবার সন্ত্রাসীর কোপে আরেক সন্ত্রাসী মরলেও মায়া কান্না.

১৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪

উপপাদ্য বলেছেন: কোন মানুষের এমন মৃত্যু কাম্য নয়। দ্বিপের মৃত্য দুঃখজনক, হতাশাব্যাঞ্জক ও আইন শাসনের চরম অবনতির কথাই স্মরন করিয়ে দেয়।

.....। তবে এমন সুশীলীয় মায়াকান্নাগুলো মতিঝিল গনহত্যার সময় ধুতির চিপায় রেখে রক্তউল্লাসে মেতে উঠেছিলো দ্বিপের সহকর্মীরা সেদিন।

ধিক সেই সব নষ্ট বিবেকদের যারা নিজের চেহারা আয়নায় দেখে না কখনো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.