নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিতর্কিত ২০ তম বিসিএস ও কিছু প্রাসঙ্গিক খোলামেলা কথামালা।। রেজা ঘটক

১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

২০০০ সাল। ২০ তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হল। আমরা দেখলাম, ফলাফলে প্রায় সবই আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ থেকে এবং টাকার বদৌলতে কিছু দুষ্কৃতিকারী এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোঠা ও জেলা কোঠায় আসল ফলাফল ছিনতাই করা হল। আমরা তখন একদল ফলাফল বঞ্চিতরা পিএসসি'র তৎকালীন চেয়ারম্যান মোস্তফা চৌধুরীর পদত্যাগ সহ ফলাফল বাতিলের দাবীতে প্রথমে প্রেসক্লাব ও পরে জাতীয় শহীদ মিনারে কয়েক দিন আন্দোলন করেছিলাম। আমাদের সেই আন্দোলন আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ দিয়ে হটিয়ে ব্যর্থ করে দিয়েছিল। আমাদের যে সকল বন্ধুরা তখন জেলা কোঠায় বা মুত্তিযোদ্ধা সন্তান কোঠায় বিসিএসে চাঞ্চ পেয়েছিল, তাদের দিকে তথন তাকানো যাচ্ছিলো না। তাদের তখন ধারণা হয়েছিল, আমরা আন্দোলনে স্বার্থক হলে তাদের পক্ষের সেই ফলাফল বাতিল হবে। অনেকের সাথেই তখণ থেকেই আর আমার বন্ধুত্ব নেই। এক সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় লাইফ শেষ করে সামান্য বিসিএস পরীক্ষার বৈষম্যমূলক ফলাফলের পক্ষের ও বিপক্ষের মধ্যে তখন দুটো দল হয়ে গিয়েছিল। আমার অনেক বন্ধু তখন আমার লেখা বিসিএস গাইড পড়ে পরীক্ষা দিয়েছিল আর ফলাফল পক্ষে থাকায় বেজায় খুশিতে ছিল। আর আমাদের আন্দোলনের কারণে ভারী উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ছিল। কয়েকজন বন্ধুর বাবা-মা আমাকে বাসায় ডেকে নিয়ে আন্দোলন থেকে বেড়িয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ, তাদের সন্তানটি বিসিএসে চাঞ্চ পেয়েছিল। আমাদের আন্দোলনে তাদের সন্তানের সেই সোনার হরিণে পেছনে আমরা কেন উঠে পড়ে লাগলাম তাও অনেকে খোটা মেরেছিল। তাদের অনেকেই এখন এসপি, এডিসি, টিএনও। বন্ধুত্ব সেখানেই এক প্রকার শেষ।

মোস্তফা চৌধুরীর চামড়া, তুলে নেব আমরা। মোস্তফা চৌধুরীর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে। এসব শ্লোগানে আমরা তখন সরগরম করে তুলেছিলাম। কিচ্ছু হয়নি। আন্দোলনের এক পর্যায়ে কিছু ছাত্রদলের ফলাফল বঞ্চিত ছেলেরা আমাদের আমান উল্লাহ আমান এমপি ও মাহবুব উদ্দীন খোকন এমপি'র মাধ্যমে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করানোর ব্যবস্থা করলেন। বিরোধীদলীয় নেত্রী বললেন, তোমরা কেউ বাদী হয়ে আদালতে মামলা ঠুকে দাও। আমরা ক্ষমতায় গেলে ২০ তম বিসিএসের ফলাফল বাতিল করে, ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন করে তোমাদের ক্যাডার প্রদান করব। আমি আর আমার বন্ধু তুহিন, আমরা দু'জন ছিলাম মোটামুটি কোনো ধরনের রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে। আমাদের দু'জনকেই বাদী বানাতে তাদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ হল। ২৯ মিন্টু রোড থেকে রাত দশটায় বের হয়ে আমি আর তুহিন সেদিন থেকেই আন্দোলনে ইস্তফা দিয়ে ঘরে ফিরলাম। কারণ, রাজনীতিতে জড়ানোর কোনো ইচ্ছে আমাদের ছিল না।

পরবর্তীতে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলো। ২০ তম বিসিএসের কথা একটি বারও বেগম জিয়া বা তার দল উচ্চারণ করেননি। বরং তারাও পরবর্তী বিসিএস গুলো নিজেদের দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল থেকে নিয়োগ দিল। এভাবেই স্বাধীনতার পর থেকে সকল বিসিএস পরীক্ষায় ফলাফল জালিয়াতী হয়েছে। আগামী দিনেও বাংলাদেশে এটা চলতে থাকবে। কারণ, আমরা সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দিয়ে দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই। বিসিএসের মাধ্যমে দলীয় লোকজন দিয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে কি করে আমরা একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আশা করতে পারি? কি করে আমরা একটি নিরপেক্ষ জাতীয় নির্নাচন প্রত্যাশা করত পারি? প্রশাসনে তো আওয়ামী লীগ আর বিএনপি'র লোক বাদ দিলে যারা থাকবে তারা ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা। তাদের প্রমোশন হয় না। তাদের বদলি হয় ঘন ঘন। তাদের নানামুখী দৌড়ের উপর জীবন এক প্রকার অতিষ্ট।

আমি ২০ তম বিসিএসের ভাইভা পরীক্ষায় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারক গোলাম রসুল সাহেবের বোর্ডে পড়েছিলাম। আমার ভাইভা হয়েছিল বিকালে। সেই দিনের শেষ পরীক্ষার্থী। আমাকে ৪৯ মিনিট জেরা করা হল। আমার ২০ তম বিসিএসে প্রথম পছন্দ ছিল পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডার। কারণ, আমি যখন ভাইভা দিচ্ছিলাম, তখন আমার বয়স ৩০ ক্রোস করেছে। আমার একটা ক্যাডার লাগবে সেই কারণে আমি পরিবার পরিকল্পনা প্রথম পছন্দ দিয়েছিলাম। আর ১৭ তম ও ১৮ তম বিসিএসে আমি প্রশাসন ক্যাডার থেকে ভাইভা দিয়ে ফলাফল ছিনতাইয়ের নাটক দেখেছিলাম। ১৭ তম বিসিএস নিল বিএনপি সরকার। ১৮ তম নিল বিএনপি+আওয়ামী লীগ ভাগাভাগি করে। আমরা কলকে পেলাম না। ২০ তম বিসিএসে আমি বাংলাদেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আমার যুক্তিগুলো বেশ সুন্দর করেই তুলে ধরেছিলাম। গোলাম রসুল স্যার আমাকে সরাসরি প্রশংসা করেছিলেন। বিসিএস আমার হল না।

আন্দোলনও আর হল না। সরকারি চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। তারপর রিসার্স, লেখালেখি আর সিনেমা করে ১০ বছর কাটিয়ে দিলাম। এখন আমার বিসিএস ক্যাডার বন্ধুদের চেয়ে রাষ্ট্রের গন্যমান্য ব্যক্তিরা কিন্তু অনেকেই আমাকে বাই নামে চেনেন। চাকরি আর করা হল না। কারণ বাংলাদেশে চাকরি করে যারা চাকর তারাই। মেধাশূন্য অজ্ঞ অশিক্ষিত হীনমন্যতার মালিকদের অধীনে চাকরি করে নিজেকে আর ছোট করতে চাইনি। তাই ফ্রিল্যান্স কাজ করি। একেবারে স্বাধীন। ভালো লাগলে করি। না লাগলে সরাসরি না বলে দি। খবরদারি করার কেউ নাই।

বিসিএস লিখিত পরীক্ষাগুলোর সময় আমি যে হলে পরীক্ষা দিতাম, অনেকেই পরীক্ষা শেষে আমার সঙ্গে পরিচিত হতে আসতো। কারণ, তারা শুনে যেতো যে, তারা যে গাইড বই পড়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে, ওটা আমারই লেখা। লেখকের সঙ্গে পরিচিত হতে আসতো। জীবন থেকে সেই সব স্মৃতি এখন বিস্মৃতি হয়ে গেছে। তাই এখন যখন বিসিএস পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে মিছিল মিটিং আন্দোলন দেখি, খুব হাসি পায়। আমাদের অনেক বন্ধু বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় পাস করেনি অথচ বিসিএস ক্যাডার হয়েছে। এমন উদাহরণও আছে। সো, তোমরা কিসের আন্দোলন করতেছো? তোমরা আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক চরিত্রের গতি-প্রকৃতি বুঝতে চেষ্টা করো। আন্দোলন না কইরা নেতার বাসায় যাও। পরবর্তী নির্বাচনে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারাই এই বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলের ফসল ঘরে তুলবে। থামাখা তোমরা রাস্তায় সাধারণ মানুষের চলাচলে বাগড়া দিতাছো কেন?

তোমরা কে কোন ক্যাডার চাও, তা ঠিক করার মালিক তো পিএসসিতে নয়রে বাবা। ব্যাপার বোঝার চেষ্টা করো। এক সময় তোমরা নিজেরাও পিছিয়ে যাবা। কারণ প্রত্যেকের কাজ আছে। জীবন তো আর শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়ার নোংরা রাজনীতির কারণে বসে থাকবে না। পিএসসি হল একটা দলীয় কর্মকর্তা উৎপাদনের আকড়া। সেই আকড়ার খপ্পর থেকে বের হয়ে বরং অনেক ভালো ভালো বেসরকারি ব্যাংক আছে সেখানে চেষ্টা করো। ক্যাডারগিরি মারাইতে গেলে অনেকেই আমার মত ধরা খাইবেন ভাইজানেরা। আমি নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা বললাম। আর কিছু কইতে চাই না। নিজের জীবন নিজের মত করে গড়ে নেবার অনেক সুযোগ আছে। নতুন নতুন আইডিয়া দিয়ে নিজেরাই কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলো। তোমাদের ক্যাডার বন্ধুরা তাই দেখে পরে আফসোস করবে। সো, ডিসিশান ইজ ইয়োর'স। হাউ ক্যান ইউ লিড ইয়োর লাইফ? ওকে? সবাই ভালো থাকবেন।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


সব ধরনের কোটা প্রথা বাতিল করা হোক।

কোটা চাই না।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

রেজা ঘটক বলেছেন: রাষ্ট্রের সকল যন্ত্রগুলো আমাদের রাজনীতির দুষ্টু গরুরা নষ্ট করে ফেলেছে। তাই এখানে মেধাবীদের কোনো মূল্যায়ন হয় না। মূল্যায়ন হয় তোষামোদ কারীদের। ধন্যবাদ

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

ঢাকাবাসী বলেছেন: এই অসভ্য মহা দুর্নীতিবাজ অশিক্ষিত অনভিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা ভয়ংকর দুর্নীতিবাজ আমলারা পিএসসির পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিবাজ অফিসাররা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য, ব্যাক্তিগত আর দলীয় মুনাফার জন্য কোটা প্রথাটাকে জিয়িয়ে রেখেছে।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০২

রেজা ঘটক বলেছেন: ৪২ বছরে দেশে এই শ্রেণীটা এতো বেশি পৃষ্ঠাপোষকতা পেয়েছে যা থেকে মুক্তি পেতে আরো ৫০ বছর লাগবে। নতুন প্রজন্মকে সেই বিষয়ে গভীরভাবে সচেতন হয়ে মানুষ হতে হবে। ধন্যবাদ

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

সোহেল সি এস ই বলেছেন: বাবার ডিগ্রীর সার্টিফিকেট দিয়ে তোমার চাকুরী না হলে বাবার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিয়ে তোমার চাকুরী হবে কেন? সব জায়গায় কোটা আর কোটা। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় আর এখন চাকুরীতেও। পরকালেও দাবি করো কোটা। আজকে সেহরীর শেষ সময় ৩ টা বেজে ৪৭ মিনিটে। কিন্তু কোটাধারীদের জন্য ৩ টা বেজে (৪৭ যোগ ৩) =৫০মিনিটে।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

রেজা ঘটক বলেছেন: জাতিকে মেধাশূণ্য শুধু যুদ্ধাপরাধীরাই করেনি ৪২ বছর ধরে রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখার জন্য দলীয়-স্বজনপ্রীতি আর মেধাহীনদের এক মগের মুল্লুক বানিয়ে চলছে। দেশকে মেধাশূণ্য করার জন্য আমাদের রাজনীতিক দলগুলোও সমান অপরাধী। ধন্যবাদ

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

আিম এক যাযাবর বলেছেন: এরপরেও আন্দোলন হবে কারণ মানুষ তো আশা নিয়েই বাঁচবে...একদিন হয়ত সকল বৈষম্য দূর হবে।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১২

রেজা ঘটক বলেছেন: মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। স্বপ্ন ফুরিয়ে গেলে মানুষ আর বাঁচে না। দেশের সকল বৈষম্য লাঞ্চনা আর বঞ্চনার জন্য আন্দোলন চলবে। সাথে সাথে আন্দোলনের মূল যে নেগেটিভ ফ্যাক্টর সেগুলো এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। সহিংস আন্দোলনের পরিবর্তে অহিংস আন্দোলনেই সব সময় বেশি দাবি আদায় করা সম্ভব হয়েছে। সো, আপনাদের আন্দোলনের সঙ্গে আমারও একাত্বতা থাকবে যতো দিন এদেশ এসব কলংক থেকে মুক্তি না পাবে ততোদিন। ধন্যবাদ

৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫

িনদাল বলেছেন: শেয়ার দিলাম

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

মোঃ খালেকুজ্জামান ফয়সাল বলেছেন: রাত যত গভীর হবে সকাল ততই নিকটে আসবে
রেজা ভাই আমাদের জন্য দু হাত তুলে শুধু দোয়া করবেন একদিন এইদেশে আদর্শের রাজনীতি হবে, দুর্নীতি দৌড়ে পালাবে, সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।
আপনারা শুরু করেছিলেন আমরাও চালিয়ে যাব হয়তোবা সফল হতে পারবনা কিন্তু পরবর্তী কোন প্রজন্ম এসে ঠিকই সফল হবে। তখন রাজনীতিকে আমরা ঘৃণা নয় ভালবাসবো, দুর্নীতির নাম শোনলে সেই বলে উঠবে এটা আবার কি?
যোগ্য প্রার্থীরা যোগ্য চাকুরী পাবে, প্রশাসন রাজনীতির প্রভাব মুক্ত হবে, দেশকে আর পিছনে ফিরে থাকাতে হবে না,
সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে...
রেজা ভাই আমাদের স্বপ্ন দেখতে দিন, নিজেদের নিয়ে না পারি ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে যেন সেই স্বপ্নটা দেখতে পারি।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

রেজা ঘটক বলেছেন: অবশ্যই আমার দোয়া থাকবে। বাংলাদেশের যে কোন বৈষম্য বঞ্চনা লাঞ্চনা নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমি সব সময় কথা বলি। কারো পছন্দ না হলেও বলি। বিসিএস পরীক্ষায় মেধাবীদের অগ্রাধীকারের লড়াইয়ে আমিও একজন কলম যোদ্ধা। ধন্যবাদ

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

মোঃ খালেকুজ্জামান ফয়সাল বলেছেন: রাত যত গভীর হবে সকাল ততই নিকটে আসবে
রেজা ভাই আমাদের জন্য দু হাত তুলে শুধু দোয়া করবেন একদিন এইদেশে আদর্শের রাজনীতি হবে, দুর্নীতি দৌড়ে পালাবে, সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।
আপনারা শুরু করেছিলেন আমরাও চালিয়ে যাব হয়তোবা সফল হতে পারবনা কিন্তু পরবর্তী কোন প্রজন্ম এসে ঠিকই সফল হবে। তখন রাজনীতিকে আমরা ঘৃণা নয় ভালবাসবো, দুর্নীতির নাম শোনলে সেই প্রজন্ম বলে উঠবে এটা আবার কি?
যোগ্য প্রার্থীরা যোগ্য চাকুরী পাবে, প্রশাসন রাজনীতির প্রভাব মুক্ত হবে, দেশকে আর পিছনে ফিরে থাকাতে হবে না,
সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে...
রেজা ভাই আমাদের স্বপ্ন দেখতে দিন, নিজেদের নিয়ে না পারি ভবিষ্যত প্রজন্ম নিয়ে যেন সেই স্বপ্নটা দেখতে পারি।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ ফয়সাল

৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

জগ বলেছেন: ++++++++++++

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

আম্মানসুরা বলেছেন: আমি হতাশ হয়ে গেলাম, বিসিএস নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছি। আপনার লেখা পড়ার পর এখন মনে হচ্ছে বাদ দিয়ে দিই। ব্যাঙ্ক নিয়ে চিন্তা করি।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

রেজা ঘটক বলেছেন: শুভ বুদ্ধি উদয় হবার লক্ষণ। ধন্যবাদ

১০| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

অন্য কথা বলেছেন: আমার ভাগ্যটা ভালো । সরকারি চাকরি পছন্দ ছিলো না । আব্বার ভয়ে ৩ বার পরীক্ষা দিয়ে ৩ বারই ভাইবা পর্যন্ত । ৩ বারই মোহাব্বত খান স্যারের বোর্ডে । ৩ বারই ফেল । আজ ভালো বেতনে বিদেশী কোম্পানীতে চাকরি করি। ভাগ্যিস উনি পাশ করান নাই । নইলে কোন বদ মন্ত্রীরে স্যার ডাকতে হইতো ।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

রেজা ঘটক বলেছেন: আমাদের পরিবার গুলোর এই সমস্যা শিক্ষার অভাব থেকেই। আমার মেঝো ভাই খুব ভালো ফুটবল খেলতেন। তাকে খেলা বাদ দিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করা হল। তিন বার মেট্রিক ফেল মারার পর যখন আমার পরীক্ষা দেবার সময় আসল, তখন সে বিদ্রোহ করে ঘোষণা দিয়েছিল, আমি আর পড়ব না। ফুটবলও খেলব না। ছোটবলায় আমার ইচ্ছে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার হব। অনার্স মাস্টার্সে ফার্স্ট হতে না পারলে তো আর সেই ইচ্ছা পূরণ হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখলাম, যারা স্যারের বাজারের ব্যাগ টানছে, আর যারা স্যারদের বাসায় যাতায়াত করছে, তারাই বেশি নাম্বার পাচ্ছে। সো, সেই চিন্তা মাথা থেকে ফেলে দিয়ে বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে লাগলাম বড় ভাইয়ের প্রণোদনায়। ফলাফল তিনবার ভাইভা থেকে বাদ। তারপর, আমিও বিদ্রোহী হয়ে ঘোষণা করলাম, চাকরি করব না। লেখক হব। সো.....ধন্যবাদ

১১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

অপরাজিতা হিমু বলেছেন:
তোরা সারা বাংলায় খবর দিয়ে দে
তোরা দেয়ালে দেয়ালে চিকা মেরে দে
মোদের আবারো যুদ্ধে যেতে হবে............


এই যুদ্ধ অধিকার আদায়ের
কোটা প্রথার অভিশাপ থেকে মুক্তির যুদ্ধ

কোটা প্রথা নিপাত যাক................
নিপাত যাক...................
নিপাত যাক...................
নিপাত যাক...................
নিপাত যাক...................
নিপাত যাক...................

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

রেজা ঘটক বলেছেন: যে কোনো ধরনের কোটা পদ্ধতি তুলে দেওয়া হোক। রাষ্ট্রের কাজ রাষ্ট্রের সকল জায়গায় সমানভাবে উন্নয়ন ও নজরদারী সমানভাবে করা। কোটার বিনিময়ে একজন ৫৪ নাম্বার পেয়ে চাঞ্চ পাবে, আরেকজন ৭৮ নাম্বার পেয়ে আলু খাবে, এটা মানা যায় না। সব মিলিয়ে ৫% কোটা এক অর্থে মানা যায়। তাও চূড়ান্ত পরীক্ষার সকল নাম্বার হিসাবের পর। আর ভাইভা তো সকল দোষে দুষ্ট একটি পদ্ধতি। এটা সবার আগে বাতিল হওয়া দরকার। তাই বলে কোটার ভারে যদি আসল হারিয়ে যায় তাহলেই বিপদ। ধন্যবাদ

১২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

হাসান আলী শিকদার বলেছেন: ++++++

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

১৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

নসটাল-জিয়া বলেছেন: আমি তো ভাই আরও খারাপ ধর্ষনের স্বীকার ! আমাদেরকেও বিএনপির কর্তা ব্যাক্তিরা আশা দিয়েছেন কিন্তু আমি জানি কিছুই হবে ২৭তম বিসিএস এর ভাগ্যহতদের !!

বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে গুতা দিন:

Click This Link

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

রেজা ঘটক বলেছেন: ভাই নিজের কাম করেন। ধন্যবাদ

১৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

নষ্ট ছেলে বলেছেন: স্বাধীনতা অর্জন থেকে রক্ষা করা কঠিন। মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছে এখন সে স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে মেধাবীদের বিকল্প নাই।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

রেজা ঘটক বলেছেন: কোন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধের সময় দাবি করছিলেন যে তাদের বিসিএসে কোটা লাগবে? তাদের আবার কিসের সন্তান কোটা? নাতী নাতনী কোট? কোটার গুষ্ঠি কিলাই। ধন্যবাদ

১৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

হাটহাজারী, চট্ট্রগাম। বলেছেন: ১০% জেলা কোটা,
১০% মহিলা কোটা,
৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা,
৫% উপজাতি কোটা
এবং ৪৫% মেধা কোটার






আন্দোলন কারীরা বলতেছে
কেউ কেউ ৭৫ - ৮০% নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
কিন্তু কোটা ভিক্তিক কারণে
কেউ কেউ ৫০-৬০% নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।



যারা অন্দোলন করতেছে তাদের প্রশ্ন
কোটা প্রদ্ধতি কাকে বলে? কোটা প্রদ্ধতিতে যারা পরীক্ষা দিয়েছে তাদের কি ভাবে সিলেক্ট করা হবে?


আন্দোলন কারীরা পরীক্ষার আগে কি এই কোটা প্রদ্ধতি সর্ম্পকে অবগত ছিলনা?

ফল প্রকাশের পর কেন আন্দোলন নামল?

এটা কি ফেল করার যন্ত্রণা? নাকি অন্য কিছু?



যারা মুক্তি যোদ্ধার সন্তান তাদের অভিভাবক ছিলনা, ছিলনা তাদের পরিবারের উর্পজন ক্ষম কোন ব্যাক্তি , তারা বঞ্চিত হয়েছে উন্নত শহরের স্কুলে বা কলেজে পড়া থেকে। এদের মাঝে অনেক মেধাবী ষ্টুডেন্ট ছিল কিন্তু টাকার অভাবে তারা হয়তো উন্নত ইউনির্ভাসিটিতে বা উন্নত শিক্ষা হতে বঞ্চিত হয়েছে। তাদের কোটা নিয়ে কেন আজ বির্তক বা প্রশ্ন করা হচ্ছে?



মুক্তি যোদ্ধার যেখানে আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিতে নিজেকে উজার করে জীবণের ঝুকি নিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছেন।
দিয়েছেন প্রাণ, কেউ হয়েছেন চিরতরে পঙ্গু,

মুক্তি যোদ্ধারা আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিতে পারলে তাদের সন্তান দের কেন আমরা একটি ভাল চাকুরীর ব্যাবস্থা করতে পারবোনা?


আর যার মেধাবী, যাদের সত্তি সত্তি মেধা আছে তারা শুধু বি,সি,এস এর পেচনে গুরতে হবে কেন, দেশে অনেক অনেক প্রাইভেট প্রতিষ্টান আছে তারা তাদের মেধা আর যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে যে কোন জায়গায় যে কোন মুর্হুতে চাকুরী পাবে।


আমার এক বন্ধু কম্পিটার ইঞ্চিনিয়ারিং এ মাসর্টাস পাশ করেছে বিদেশ হতে। সে দেশের বি,সি,এস পরীক্ষায় অংশ নেয়নি, বর্তমানে সৌদিয়া আরবে একটি কোম্পানিতে চাকুরী করতেছে বেতন প্রায় বাংলাদেশে দেড় লক্ষ টাকার উপর হবে সম্ভবত।














১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

রেজা ঘটক বলেছেন: এরপর কইবেন, আরো কোটা আছে না? পুরা বাংলাদেশরে কোটায় ভাগ কইরা ফ্যালান ভাইজানেরা। কোঠার গুষ্ঠি কিলাই। কোনো মুক্তিযোদ্ধা কোটা পাবার জন্য যুদ্ধ করেননি। কোটা দিয়ে বরং মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট যারা নেয় নাই, বা যারা ভুয়া সার্টিফিকেট নিছে, তাদের আবার কিসের কোটা? কোটার খ্যাতা মারি....ধন্যবাদ

১৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার লেখা চমৎকার লাগলো !! :) :)

১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

১৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৩

রোমেন রুমি বলেছেন: লেখা ভাল লাগল । আমিও এক দুর্ভাগা পরীক্ষার্থী । ৭৭৫ পাব । টিকিনি । আমার বাবা রনাঙ্গনে একজন সম্মুখ যোদ্ধা ছিলেন । শুধু আমার একটা সারটিফিকেট নেই !! অবশ্য বি সি এস - ই লক্ষ্য এমন নয় । কিন্তু কষ্ট পেয়েছি । মুক্তিযোদ্ধারা নিশ্চয় এই জন্য যুদ্ধ করেনি । আর যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সারটিফিকেট নিয়ে ঘুরছে !!

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৩

রেজা ঘটক বলেছেন: ভাই, আমার অনেক বন্ধু বিসিএস ক্যাডারগিরি কিছু দিন করে পরে ছেড়ে দিয়েছে নাজেহালের ভয়ে। এখন স্বাধীন ভাবে খেটে খুটে খায়। সার্টিফিকেট না তুলে ভালো করেছেন। যিনি যোদ্ধা তার সার্টিফিকেটের সকল সম্মান তার পাওনা। তার ছেলেমেয়েরা সেই সুযোগ নিলে তো বিষয়টা দেন দেনবারের পর্যায়ে চলে গেল...ধন্যবাদ আপনাকে। জীবনে কষ্ট থেকেই সবচেয়ে সঠিক শিক্ষাটা নেয়া যায়। জীবন কারো তাবেদারীতে বন্দি কোনো চড়ুই নয়। জীবনকে নিজের পছন্দ মতো ডোডো পাখি হয়ে ঘুরতে দেন। দেখবেন সব ফকফকা.....ধন্যবাদ আপাকে

১৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৪

রোমেন রুমি বলেছেন: * ৭৭.৫

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৩

রেজা ঘটক বলেছেন: জি....

১৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪০

হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: ভাই, আমি এতো কিছু বুঝি না
আমার কথা কোটা বাতিল করতেই হবে.।
নইলে আমার মতো মেধাবিরা কি করবে?
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের সম্মান অবশ্যই করতে হবে, তাই বলে আমাদের অবহেলা করে?
মুক্তিযোদ্ধাদের ঢাকায় একটা করে ফ্লাট দিক, মাস মাস ৫০০০ টাকা দিক, আমার আপত্তি নাই, কিন্তু তাই বলে দেশের মেধাবিদের মেধার অবমূল্যায়ন করে কেন তাদের এই সম্মান?????????????????????????????????????????

সরকার যা খুশি করুক, কিন্তু আমাদের মতো সাধারন ছাত্রদের মেধার উপরে কেন এই হস্তক্ষেপ?
তাদের যদি জজ্ঞতা থাকে তবে তারা কম্পিটিশন করুক না কেন আমাদের সাথে???????????????????????????????
এমনিতেও ভার্সিটি তে যখন ভর্তি হই তখনও কিন্তু এই কোটা এর জন্য তাদের কিছু সিট ছেড়ে দিছিলাম।
তাদের তো একবার করে চান্স দিছিলাম, তবে এখন আবার কেন???????????????????
সো, আমার কথা, কোটা বন্ধ করতেই হবে।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৫

রেজা ঘটক বলেছেন: কোটার রাজত্বে বাংলাদেশ গদ্যময়....হায়..ধন্যবাদ আপনাকে

২০| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৭

ব্যাঙ্গা বলেছেন: ভাই, চমৎকার লিখেছেন।

কিছু কিছু লেখা দেখে মনে হয় কোঠা বাতিল না, সরকার বাতিল করাই মূল লক্ষ্য। আবার কারো লেখা দেখে মনে হয় দেশটা শুধু তাদেরই, মানে কোঠাযুক্তদের। সবাই সবার নিজের জায়গা থেকে সুবিধা নিতে চাচ্ছে। পরস্পরকে আক্রমনের ক্ষেত্রে তারা যে ভাষা ব্যবহার করছে তাতে আমার ল্যাপটপ ও লজ্জা পাচ্ছে।

সুন্দর লেখাটার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৪২

রেজা ঘটক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

২১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

ধানের চাষী বলেছেন: আযোগ্য সন্তানের চাকরীর জন্য মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেন নি। কোটা বাতিল সময়ের দাবি।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

২২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

তবে আমার মনে হয় এই দেশে কোট পদ্ধতি কোন দলই বাতিল করবে না। আমরা সাধারণ মানুষরা সারা জীবনই এর কুফল ভোগ করব।

ব্যক্তিগতভাবে আমি এক জন গরীব কৃষক পরিবারের সন্তান। ২২ গম বিসিএস এ ভাইভা পর্যন্ত গেলাম। ঢাকা জেলার বাসিন্দা হবার ফলে জেলা কোটায় চান্স পাবার কোন সম্ভাবনাই ছিলো না। আমার বাবার কোন মুক্তিযোদ্ধা সনদ ছিল না।

২৩ তম বিসিএস ছিলো পুরোটাই কোটার। মুক্তি যোদ্ধার সন্তান ছাড়া কেউ তাতে আবেদন করতে পারেনি।

বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর অনেক দিন সরকারী নিয়োগ বন্ধ রাখে। আমার বয়স থেমে থাকেনি।

২৪ তম বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারলেও কোটার খোটায় আমি বাদ।

২৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

খেয়া ঘাট বলেছেন: ২০ তম বিসিএসে আমার জানামতে অনেক সাধারণ পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের হয়েছে। কোনো কোটা বাদ দিয়েই। শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতেই অনেকের চাকুরি হতে আমি দেখেছি। হয়তোবা , অন্যভাবেও কারো হয়েছে। যেটা আমার জানা নেই। ধন্যবাদ।

২৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

জনসেবার মহান ব্রত না নিয়ে যারা কেবল ঠিকাদারী, টাকা কামানো আর পেশী শক্তি অর্জনের জন্য রাজনীতি করে তাদেরকে আমার কাছে প্রতিবন্ধী মনে হয়।

এই সব প্রতিবন্ধীর জন্য আমাদের সীমাহীন দয়া-দাক্ষিণ্য আর করুণা করা উচিত। আপনার আমার চারপাশে এই রকম অনেক প্রতিবন্ধী দেখতে পাবেন।

২৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: লেখাটা ভাল লাগল :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.