নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৪ দলের সামনে ভয়ংকর ১৩ পিড়া।। রেজা ঘটক

১২ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

আসুন জানা যাক আওয়ামী লীগ নের্তৃত্বধীন ১৪-দলীয় জোট সরকারের মাথা ব্যথার কারণগুলো। আওয়ামী লীগ যে বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের সামনে দিন বদলের মূলা ঝুলিয়েছিল সেগুলোও একটু মনে করার চেষ্টা করি।

১. পদ্মা সেতু প্রকল্প। আওয়ামী লীগ এই সেতুর প্রকল্প থেকে দলের মন্ত্রী থেকে একেবারে গ্রামের পাড়ার পাতি নেতা পর্যন্ত কিছু মুনাফা লটুতে চেয়েছিল। পদ্মা সেতু নিয়ে কেলেংকারীতে একে একে অনেকের নাম বেড়িয়ে আসলেও সাধারণ জনগণ এখনো পদ্মা সেতু নিয়ে রাজনীতি দেখে অভ্যস্থ। যা আওয়ামী লীগের জন্য আগামী ভোটের রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এখনো মন্ত্রী আছেন। প্রধানমন্ত্রী সাধারণ জনগণের মনের কথাটি পড়তে এক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন। বিতর্কিত ব্যক্তি হাজারো তুলশি পাতায় ধোয়া হলেও তাকে এতো প্রশ্রয় দিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সেই নেগেটিভ ইমপ‌্যাক্টে রসদ যুগিয়েছেন। পদ্মা সেতু এখনো হয়নি। যে পরিমাণ তালবাহানা আর রাজনীতি শুরু হয়েছে, তাতে আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগ বিদেশী প্রভুদের পদ্মা সেতু নিয়ে নেগেটিভ প্রচারণাই চালাবে। এখন যেটা বিএনপি জামায়াত জোট করে যাচ্ছে। ফলে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের অন্যতম প্রধান স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবে অনেক দূরের কোনো আবছা বিস্মৃতি হয়ে না যায়, সেদিকে সবার সজাগ থাকতে হবে। পদ্মা সেতু এখন রাজনীতি'র অন্যতম ট্রাম কার্ডে পরিণত হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এটাকে আরো নাস্তানুবুদ করবে।



২. যুদ্ধাধাপরাধীদের বিচার। গত নির্বাচনে মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করবে সেই আশায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ বিষয়টা নিয়া তামাশার নাটক করল। মানুষের মনের বিট পড়তে পারে নি আওয়ামী লীগ। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে যুদ্ধাপরাধীরা জেলা থেকে বেড়িযে মন্ত্রী হবেন আর দাঁত কেলিয়ে হাসবেন। আবারো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অমর্যদা করা হবে। সেই সুযোগ তৈরি করে দিল আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের ইস্যু নিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। তখনো সেই বিচারে ধীর গতি ছিল। পরবর্তী নির্বাচনে এটাকে মূলা বানানোর স্বপ্ন আওয়ামী লীগ ঘরে তুলতে পারে নি। বরং ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের পরাজয়ে সারা দেশে সংখ্যালঘুদের উপর বিএনপি জামায়াত নির্মম অমানুষিক অত্যাচার করেছিল। আওয়ামী লীগ তখন গর্তে পালিয়েছিল। নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ায়নি। এবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া ধীর গতিতে চালিয়ে আওয়ামী লীগ আরেকটি ২০০১ ঘটানোর সুস্পষ্ট পথ তৈরি করে দিল। সরকারের মেয়াদ শেষ হলে বিএনপি জামায়াত সেই বদলা নিয়ে আবারো দুর্ধর্ষ হয়ে উঠতে পারে। সেই আলামত প্রায় সবই এখন দেখা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের ব্যর্থতাকে পুঁজি করেই বিএনপি হামায়াত জোট নিজেদের অপকর্মকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। আগামীতেও করবে। বাংলাদেশের মানুষ দূর অতীতের কথা ভুলে যায়। নিকট অতীতকে বেশি মনে রাখতে পারে। তাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তাদের কাছে দূর অতীত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দূর অতীত। ৯০'-এর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন দূর অতীত। স্বাধীনতা পরবর্তী ২০ বছরের দুঃশাসনে মানুষের মনে আশার জোয়ার এসেছিল যে, মানুষ স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

কিন্তু আমরা কি দেখলাম? পরবর্তী ২০ বছরে আওয়ামী লীগ আর বিএনপি দুর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজি. টেন্ডারবাজি, খুন, গুম, দখল করে গণতন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন করেছে। এখন প্রায় নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলনের সকল নেতারাই স্বীকার করেন, স্বৈরাচারের ধুয়া তুলে ছাত্রদের তখন মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কারণ, ৯০' পরবর্তী ২০ বছরে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলা প্রধান দুইটি দল তা প্রমাণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। নিজেদের আখের গোছানো আর নির্বাচনী খরচের দিকেই তাদের বেশি মনযোগ ছিল। সাধারণ জনগণের ভাগ্যের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এ ধরনের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকে মানুষ সহজে আমলে নেবে না।



৩. রেলওয়ে কেলেংকারী। সুরঞ্জিত বাবু এখনো বগাল তবিয়াতে মন্ত্রী রয়ে গেছেন। রেলওয়ের কেলেংকারী সাধারণ মানুষের মধ্যে নেগেটিভ ইমপ‌্যাক্ট ফেললেও প্রধানমন্ত্রী একেবারে চুপ। কয়েক দিন আগে চট্টগ্রামে সেই রেলওয়ের টেন্ডারবাজী নিয়ে ছাত্রলীগের গোলাগুলিতে দুইজন নিষ্পাপ শিশুকে প্রাণ দিতে হল। রেলওয়ের কালোবিড়াল এখনো ঘাপটি মেরে আছে। বিচারের নামে চলছে প্রহসন। সাধারণ মানুষ এগুলো পছন্দ করে না। যা আগামী নির্বাচনে ভোটের গতি প্রকৃতি বদলে দেবে।



৪. সোনালী ব্যাংক-হলমার্ক কেলেংকারী। সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা নাকি কোনো টাকাই না? তো নির্বাচনে সেই টাকার হিসাব সাধারণ জনগণ অংক কষে বের করবে। আওয়ামী লীগ আর বিএনপি'র লটুপাটের বড় বড় টাকার অংকগুলো কোনো টাকাই না। ওগুলো সব ধোকা। আর কতো আপনারা সাধারণ মানুষকে ধোকা দেবেন?



৫. ডেসটিনি মাল্টি বিজনেস। একটি নির্বাচিত সরকারের শাসনামলে কিভাবে ডেসটিনি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা লোপাট করতে পারল? সরকার বাহাদুর কি বসে বসে তামুক খেয়েছে? ৯০ লাখ মানুষ ডেনটিনি'র ফাঁদে সর্বস্ব হারিয়েছে। এই ৯০ লাখ ভোটার কিন্তু নির্বাচনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ, এটা মনে রাইখেন ভাইজানেরা।



৬. গ্রামীণ ব্যাংক ও ডক্টর মুহম্মদ ইউনুস। আওয়ামী লীগ সরকারের আসল কাজ ফেলে গ্রামীণ ব্যাংক আর ডক্টর মুহম্মদ ইউনুস সাহেবের বিরুদ্ধে কেন লাগতে গেলেন? বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এটা ভালো নজরে নেয়নি। মনে রাখবেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রায় ৮০ লাখ গ্রাহক ভোটার। এই ভোটাররা আগামী নির্বাচনে ফলাফল এদিক ওদিক করে দেবার ক্ষমতা রাখে। কারণ সারা দেশেই গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা প্রশাখা রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে কি গ্রামীণ ফোন ব্যবহার করেন কিনা আমার জানা নেই । কিন্তু ডক্টর ইউনুসকে ঘাটতে গিয়ে নিজের নাক কেটেছেন। ডক্টর ইউনুসের যাত্রা কিন্তু ভঙ্গ হয়নি।



৭. শেয়ার বাজার কেলেংকারী। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই শেয়ার বাজারে জ্বর ওঠে। তারপর সেই বাজারে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী সর্বস্ব খোয়ায়। এটা এখন প্রবচনে রূপ নিতে চলেছে। আমাদের শেয়ার বাজারে প্রায় ৭০ লাখ বিনিয়োগকারী সর্বস্ব হারিয়ে এখন পথে বসেছে। এই ৭০ লাখ ভোটার কিন্তু আগামী নির্বাচনে বিশাল একটা ফ্যাক্টর। আওয়ামী লীগের হাতে কোনো আলাদীনের চেরাগ নেই বা স্বর্ণকাঠী নেই যা দিয়ে এই ৭০ লাখ ভোটারকে নয় ছয় বুঝ দিয়ে নৌকায় ভোট দেওয়াতে পারবে।



৮. ডিজিটাল বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে সাড়ে চার বছর যা করেছে তা এক কথায় হাস্যকর। একজন জুনিয়র ব্লগার সরকারের এই প্রজেক্টের হাস্যকর ব্যাপার স্যাপারের চেয়ে ডিজিটাল সম্পর্কে বেশি জ্ঞান রাখে। সরকারের কোনো মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে গেলেই সেটা আরো স্পষ্ট হয়। অথচ কোটি কোটি টাকা কিন্তু লোপাট। ন্যাশনাল আইডি কার্ডের কি হল? উপজেলায় এখনো সার্ভার নেই কেন? একজন মানুষকে ন্যাশনাল আইডি কার্ড তুলতে ঢাকার আগারগাঁয়ের অফিসে এসে দিনের পর দিন ঘুরতে হবে কেন? এই নাকি ডিজিটাল বাংলাদেশের নমুনা। ডিজিটাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য ডিজিটাল কলংকে পরিনত হয়েছে সাড়ে চার বছরের দুঃশাসনে। যারা ন্যূনতম ডিজিটাল বিষয়ে খোঁজখবর রাখে তাদেরকে দয়া করে আর এই হাস্যকর বিষয়টা বলবেন না। তাতে ইয়েস নো ভেরিগুড-এর মত ইংরেজিতে পারদর্শীর সক্ষমতা ধরা পড়ে। সো, সাধু সাবধান।



৯. ছাত্রলীগ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে ছাত্রলীগ সকল কুকর্মের লাইসেন্স পেয়ে যায়। আওয়ামী লীগ দেখেও না দেখার ভান করে। বিশ্বজিতকে যেভাবে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ কুপিয়েছে তা আগামী ১০০ বছর বাংলাদেশের মানুষ মনে রাখবে। ডক্টর হুমায়ুন আজাদকে যেভাবে ধর্মীয় মৌলবাদীরা কুপিয়েছিল এটা তার চেয়েও নিষ্ঠুর। ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, খুন, দখল এটা যেনো তাদের আওয়ামী লীগ লাইসেন্স দিয়েই করাচ্ছে। সাধারণ মানুষ এটা ভালো চোখে নেয়নি। পুলিশ আর ছাত্রলীগ একত্রে হামলা করে বিরোধী পক্ষের উপর। আহা কি চমৎকার প্রশাসনিক বোঝাপড়া!! বিএনপি ক্ষমতায় গেলেই একই দৃশ্য ছাত্রদলের জন্য প্রযোজ্য। আর বিএনপি'র ছত্রছায়ায় জামায়াত-ছাত্র শিবির তো এখনো মধ্যযুগে বসবাস করে। তাদের কথা আর কি বলবো।



১০. ঢাকা সিটি কর্পোরেশান দুই ভাগ। ঢাকা সিটির যানজট দূর করার বদলে আওয়ামী লীগের মাথায় সিটি দুই ভাগ করার কুমতলবের হেতু কি? রাজধানী ঢাকায় কেবল যানজটের কারণে যে পরিমাণ শ্রমঘণ্টা নষ্ট হয় তা দিয়ে আরো তিনটা ঢাকা সিটি গড়ে তোলা সম্ভব পাঁচ বছরে। আওয়ামী লীগ কি করেছে? ডেসা, ওয়াশা, টিএনটি, পিডিবি, ঢাকা সিটি কর্পোরেশান কারোর সঙ্গে কারো কোনো সমন্বয় নেই। রাস্তা ঘাট অজপাড়াগাঁয়ের মত। কেবল রাস্তা বাঁকাকরণ সোজাকরণ করে ছাত্রলীগ আর ছাত্রদলের পাণ্ডাদের পকেট ভারী হয়েছে। ঢাকার কোনো পরিবর্তন হয়নি। মানুষকে যে কতো রকম দুর্ভোগ দেওয়া যায় তার সবচেয়ে জলন্ত উদাহরণ ঢাকার যানজট। যানজট নিরসনে আওয়ামী লীগ সরকার ১০০ ভাগ ব্যর্থ হয়েছে। নামকা ওয়াস্থে যেসব ফ্লাইওভার করা হয়েছে পরিকল্পনার ত্রুটির কারণে তা কোনো কাজে আসেনি।



১১. গণ-জাগরণ মঞ্চ এবং হেফাজতে ইসলাম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচরের দাবিতে শাহবাগে গণ-জাগরণ মঞ্চ ছিল একটি স্বতস্ফূর্ত আন্দোলন। আওয়ামী লীগ সেই আন্দোলন পকেটস্থ করতে গিয়ে আরেকটি এন্টি মুভমেন্টের জন্ম দেওয়ার সুযোগ করে দিল। বিএনপি ও জামায়াতে ছত্রছায়ায় সেই হেফাজতে ইসলাম ইতোমধ্যে ৫ সিটি কর্পোরেশানে আওয়ামী লীগকে ৫-০ গোলে হটিয়েছে। আগামী নির্বাচনে গণ-জাগরণ মঞ্চের ভোটের চেয়ে হেফাজতি ভোট জয়-পরাজয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে। সেই আলামত আমরা সাধারণ মানুষ টের পেলেও আওয়ামী লীগ এখনো টের পায়নি।



১২. দলীয় কোন্দল। কেন্দ্র থেকে শুরু করে একেবারে গ্রাম পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের কোন সীমা পরিসীমা নেই। এটা হয়েছে চুরি-চামারির ভাগ দখল নিয়ে। সাড়ে চার বছরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম সীমাবদ্ধ ছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আর ধানমন্ডির কার্যালয়ের চৌহদ্দির ভেতরে। সারা দেশে আওয়ামী লীগের কোনো সাংগঠনিক প্রক্রিয়া সাধারণ মানুষের নজরে আসেনি। কারণ, তারা সবাই আখের গোছানোতে ব্যস্ত ছিল। দলীয় সাংগঠিনক কাজ করার সময় কোথায়? যা আগামী নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। নির্বাচনে প্রার্থী ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘটবে। আগেরবার ২০০১ সালে নির্বাচনের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল দখল করে নিয়েছিল ছাত্রলীগের কাছ থেকে। এবার মনে হচ্ছে নির্বাচনেরও আগে সেই দখলে যাচ্ছে ছাত্রদল। পুলিশ ছাড়া ছাত্রলীগের সাংগঠিনক শক্তি এখন সেই ইসারাই দেয়।



১৩. ইতিহাস। মানুষ আর ইতিহাস শুনতে চায় না। রোজ যা ঘটছে তাই চলমান ইতিহাস। এরচেয়ে দূর অতীতের ইতিহাস সাধারণ মানুষের কাছে তুচ্ছ। রামুতে বৌদ্শ মন্দিরে আগুন, বিশ্বজিৎ হত্যা, হেফাজতের জ্বালাও পোড়াও, ছাত্রলীগের মারপিট, হামলা, মন্ত্রীদের দুর্নীতি, দখল, সারা দেশের চুরি চামারি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, বিরোধী নেতাকর্মীদের হামলা-মামলা এটাই চলমান বর্তমানের সবচেয়ে কঠিন ইতিহাস। সেই ইতিহাসের শক্তি দূর অতীতের সাফল্যমাখা ইতিহাসের চেয়ে ভোটের বাজারে অনেক বেশি কার্যকর ফ্যাক্টর। সো, সাধু সাবধান।



মাত্র ১৩টি বললাম। আওয়ামী লীগকে এই ১৩ দফার বাইরে আরো অসংখ্য দফা মোকাবেলা করে আগামী নির্বাচনে আসতে হবে। যা, দলের জয়ের ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে আরো বেশি উৎকণ্ঠায় ফেলে দিচ্ছে। আর আমরা সবাই দেখেছি এদেশে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হয়নি। সো, ভয় এবং আশংকা দিন দিন বাড়ছে সবার মাঝে।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

দাদুভাই বলেছেন: ভালো বিশ্লেষন

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

হায়রে দুনিয়া বলেছেন: েফাযতে পুটুতে লাঠির বাড়িও সমস্যায় ফেলছে ।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

রেজা ঘটক বলেছেন: !!

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সরকার বাহাদুর কি বসে বসে তামুক খেয়েছে?

ডেষ্টিনি ও হলমার্ক বিএনপি আমলের আগের শৃষ্ট। বিএনপি আমলেই ফুলে ফেপে পাহাড় হয়েছিল।

আওমিলিগ তাদের পাকড়াও করেছে, জম-জমা ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, মালিক মালিকের বউ সহ সব পালের গোদা কে।


পদ্মা সেতুর কনসালটেন্সি ফার্মের ২-১০% কমিশন ডাকাতি বলা যায় না। ডাকাতির চেষ্টা হয়েছিল বলা যেতে পারে।
ঠিকাদাররা প্রথমেই খাতায় লাভের একটা অংশ রাখে ঘুশ দেয়ার জন্য। এটা ওপেন সিক্রেট। মার্কিন কানাডা সরকার বর্তমানে এইসব ম্যাল্প্র্যাকটিক্স বন্ধ করতে বদ্ধ পরিকর।

হাওয়া ভবন প্রোডাক্ট হলমার্ক ও ডেষ্টিনির মালিক সহ চৌদ্দগুষ্টি শিকের ভেতর আটক করা হয়েছে। তাদের কল-কারখানা, ডেভেলপারদের জমি সহ সমুদয় সম্পত্তি বাযেয়াপ্ত করা আছে।
হলমার্কের অবৈধ লোনের খবর ডিজিটাল সিস্টেমে অটো বাংলাদেশ ব্যাঙ্কে যাওয়ার ব্যাবস্থা করাতেই এই ডাকাতি ধরা সম্ভব হয়েছিল,
এর মধ্যে কোন মন্ত্রী জরিত থাকলে আদালতে কেউ না কেউ বলবেই।

রেলের টাকাও মারতে পারে নাই, বিজিবির হাতে ধরা পরেছে। নিয়োগ প্রকৃয়া বাতিল হয়েছে।
সুতরাং এই সব ডাকাতি বা দুর্নিতি হইছে, এইটা বলা যায় না।
বরং ডাকাতি ধরা হইছে বলা যায়।

কিন্তু সরকারি বিভিন্ন আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনী ও গোয়েন্দা এজেন্সি ও মুক্ত গনমাধমের সাহায্যে এইসব ডাকাতি চেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়া হইছে বলা যেতে পারে।
এইজন্য সরকারের বরং ধন্যবাদ পাওয়া উচিত।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

রেজা ঘটক বলেছেন: মানুষ যখন দলীয় আন্দার কাছে অন্ধ হয়ে যায় তখন তার আর কেউ চোখ খুলতে পারে না...

৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ।++++

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

লেহালুয়া বলেছেন: খুব সুন্দর যুক্তিপূর্ণ বিশ্লেষন।ভালো লাগলো

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: ৫. ডেসটিনি মাল্টি বিজনেস। একটি নির্বাচিত সরকারের শাসনামলে কিভাবে ডেসটিনি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা লোপাট করতে পারল? সরকার বাহাদুর কি বসে বসে তামুক খেয়েছে? ৯০ লাখ মানুষ ডেনটিনি'র ফাঁদে সর্বস্ব হারিয়েছে। এই ৯০ লাখ ভোটার কিন্তু নির্বাচনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ, এটা মনে রাইখেন ভাইজানেরা।


ডেসটিনি নিয়ে কিছু বলার আগে কিছু বিষয় জেনে বলুন।

আপনার জন্য কিছু লিংক দিলাম:

১. ডেসটিনি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন
২. ডেসটিনি বাংলাদেশে করছেটা কি ? নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি আশীর্বাদ না অভিশাপ ?
৩. দূর্নীতির শীর্ষে আলোচিত ডেসটিনি এবং একটি ব্যাতিক্রমী দৃষ্টিকোন
৪. আমরা চাই অর্থনৈতিক মুক্ত বাংলাদেশ

৫. ফেসবুক-ডেসটিনি নিউজ আপডেট

একনজরে ডেসটিনি গ্রুপের হিসাব-নিকাশ

মোট অর্জিত টাকার পরিমাণ = ৫৯৯১ (পাঁচ হাজার নয়শত একানব্বই) কোটি টাকা মাত্র।
ক্রয়কৃত সম্পত্তির পরিমাণ (+) = ৩,২০০ (তিন হাজার) কোটি টাকা মাত্র।
বায়নাকৃত সম্পত্তি (+) = ৩১১ (পাঁশত এগার) কোটি টাকা মাত্র
বাড়ী ভাড়া+সংস্থাপন ব্যয় (+) = ১২৪ (একশত চব্বিশ) কোটি টাকা মাত্র।
ভ্যাট ও টাক্স প্রদান (+) = ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা মাত্র।
সামাজিক উন্নয়ন ব্যয় (+) = ১১৪ (একশত চৌদ্দ) কোটি টাকা মাত্র।
ডিষ্ট্রিবিউটর কমিশন+বেতন (+) = ১,৪০১ (এক হাজার চারশত এক) কোটি টাকা মাত্র।
পণ্য+প্রকল্প+ডেমারেজ+হস্তমজুদ (+)= ৩১ (একত্রিশ) কোটি টাকা মাত্র।
মালিকদের লভ্যাংশ প্রদান (+) = ৩১৮ (তিনশত আঠার) কোটি টাকা মাত্র।
মোট স্থিতির পরিমাণ (+) = ৯২ (বিরানব্বই) কোটি টাকা মাত্র।
বিনিয়োগ+ব্যয়+বরাদ্দকৃত টাকা= ৫৯৯১/- = স্বচ্ছতা

বাংলাদেশে আর একটাও কোম্পানী পাওয়া যাবে না এতটা সচ্ছ। তাহলে জাতির কাছে প্রশ্ন ? সচ্ছতাই কি আমাদের অপরাধ ?


ভাই, ১৫টা মাস ধরে কষ্ট করছি, কেও পাশে দাড়ায়নি। পাশে দাড়াতে না পারেন কিন্তু মিথ্যা অপবাদ দিবেন না। আশা করি আল্লাহর রহমতে ডেসটিনি আবার ব্যবসা শুরু করতে পারবে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ( স্কয়ার, আরকু, হায়ার-Haier, প্রাইম ফ্যান, কর্ণফুলি কনজুমার ইত্যাদি) সাথে চুক্তি হয়ে গেছে যাদের কিছু প্রোডাক্ট ডেসটিনি মার্কেটিং করবে। কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি প্রক্রিয়াধীন, যেমন-ইউনিলিভার, প্রাণ।

আপনাদের কাছে দোয়াও চাইনা। শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছে বলুন ডেসটিনি যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে যেন ধ্বংস হয়ে যায় আর যদি অন্যায় না করে তাকে তাহলে যেন আবার ব্যবসা করতে পারে।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

রেজা ঘটক বলেছেন: আপনি ডেসটিনি'র কোনো হোমড়া ছোমড়া মনে হচ্ছে!!! তো আপনার যখন এতোই গায়ে লাগলো, আপনার এই ডাটানিয়ে জনগণের দোড় গোড়ায় গিয়ে হাজির হন। কিছু তোষামোদকারী আর কিছু চামচাদের কারণে এদেশে আকাম কুকাম আরো বেশি হয়।

৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: েমশকাত মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ।++++

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২২

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৬

মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: জনগনের দোড়গোড়ায় পৌছে দেবার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আর এতে সফল না হলে মোটেও এতদিন টিকে থাকতে পারতাম না।

আর আমি ডেসটিনির খুবই নগন্য একজন ব্যাক্তি। তবে কোম্পানীটিকে ভালবাসি।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৫

রেজা ঘটক বলেছেন: ভাই, আমরা অপেক্ষা করছি। ডেসটিনি নিয়ে আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত আমাদের সামনে কেবল সর্বস্ব হারানো মানুষের হাহাকার শুনি ভেসে আসে....সে্ হাহাকারের কোথাও আপনার মতো ডেসটিনি সৈনিকের অস্তিত্ব নেই। সো, সাধু সাবধান

৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৬

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: সরকার সর্বশেষ গনজাগরনমঞ্চ নিয়ে যে নাটক শুরু করছিল তার ফলাফল ছিল খুবই ভয়াবহ।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৬

রেজা ঘটক বলেছেন: রাজনীতিবিদরা যে নাটকই করুক, জনগণের চোখে তা ধরা পড়বেই। এটাই কালের ইতিহাসে লেখা থাকে। কালের ইতিহাসের চেখ কেউ ফাঁকি দিতে পারে না। ধন্যবাদ

১০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

সফিক এহসান বলেছেন: সব বুঝলাম দাদা, শুধ ডেসটিনি নিয়ে যদি আরেকটু স্টাডি করতেন!
একজন তো রিতিমত সরকারের চামচামি করতে গিয়ে যা খুশি বলে গেল! আপনার কথা তবু ভালো লাগলো যে আপনি রায়ের অপেক্ষায় আছেন।
কিন্তু দাদা- হাহাকার শুনলেন, হাহাকারের বক্তব্যটা শুনলেন না!
আমরা যে সারাদেশের 64 জেলায় গলা ফাটিয়ে হাজার বার বললাম আমরা ক্ষতগ্রস্থ নই, একবারও কানে গেল না!

যাগ্ গে, বিচারের রায় যেদিন দেবে, সেদিন আরেক বার ডেসটিনিকে নিয়ে লিখবেন- কথা দিন... আর কোনো দাবি নাই।

১১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০২

স্পার্টান তানভীর. বলেছেন: দাদা মনে হয় প্রথম আলু'র মতি আর যুগান্তরের বাবুইল্যার বিশেষ ভক্ত । নাহয় তাদের দেয়া "সহীহ প্রপাগান্ডা" এত সুন্দর করে গলাধঃকরণ করলেন কি করে ? তারা পত্রিকায় লিখল ডেসটিনি এই করেছে, সেই করেছে আর আপনিও ব্লগে এসে তাদের যোগ্য প্রতিনিধি'র মত ডেসটিনি ঢুকিয়ে দিলেন ! ডেসটিনি নিয়ে কিছু লেখার আগে ডেসটিনি নিয়ে স্টাডি করে নেবেন । একজন দেখলাম ডেসটিনির কিছু ডাটা আপনাকে দিল কিন্তু আপনি তার ভুল না ধরতে পেরে ভদ্রতাটুকু বিসর্জন দিলেন !
হাহাকার শুনছেন কার ? বাবুইল্যা-মতি'র ? যারা এত চেষ্টা করেও ডেসটিনির ক্ষতি করতে পারল না ?
আপনার প্রতি আমার শুধু একটি বক্তব্য- ৯০ লক্ষ না, শুধুমাত্র একটি লোককে হাজির করুন যিনি ডেসটিনি'র মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছে । ডেসটিনি'র একজন সদস্য হিসেবে ক্ষতিপূরণ আমি দিব । এখানেই প্রমাণ করুন সবার সামনে তথ্য সহকারে । চ্যালেঞ্জ করলাম পারবেন না । কারন, ডেসটিনি কারো সাথে প্রতারণা করেনি ।
কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর নিজে খোঁজার চেষ্টা করবেন ।
১- ডেসটিনির বিরুদ্ধে আসলে অভিযোগ কার ? বিনিয়োগকারীদের নাকি পত্রিকা-টিভিওয়ালাদের ?
২- দেড় বছর ধরে এত কিছুর পরও লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারী ও সদস্যদের মধ্যে একজনও ডেসটিনির বিরুদ্ধে মামলা করলো না কেন ? যেখানে সদস্য ও বিনিয়োগকারীদের কোনো অভিযোগ নেই সেখানে উপযাজক হয়ে দুদক মামলা করলো কেন ? মামলা করে আবার এক বছর হতে চলল চার্জশীট দিতে পারছে না কেন ?
এখনো ডেসটিনির কার্যক্রম চলছে ভালোভাবেই । প্রত্যেক সপ্তাহে কোটি টাকার উপর পণ্য বিক্রি হচ্ছে । যেকোনো অফিসে এসে আপনি চাইলে বিস্তারিত জানতে পারবেন, আপনার কৌতুহল মিটাতে পারবেন । আমন্ত্রণ রইলো-

১২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

খেলাধুলা বিনোদন বলেছেন: ৫. ডেসটিনি মাল্টি বিজনেস। একটি নির্বাচিত সরকারের শাসনামলে কিভাবে ডেসটিনি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা লোপাট করতে পারল? সরকার বাহাদুর কি বসে বসে তামুক খেয়েছে? ৯০ লাখ মানুষ ডেনটিনি'র ফাঁদে সর্বস্ব হারিয়েছে। এই ৯০ লাখ ভোটার কিন্তু নির্বাচনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ, এটা মনে রাইখেন ভাইজানেরা।

আপনার ৫ নম্বর লেখাটা পড়ে হাসবো না কাঁদবো ভেবে পাচ্ছি না। ৪৫ লক্ষ মানুষ কি ডেসটিনির ফাঁদে পড়েছে নাকি সরকার প্রথম আলো আর যুগান্তরের মত হলুদ মিডিওয়ার ফাঁদে পড়েছে। আমরা কেউতো ডেসটিনি থেকে প্রতারিত নই। ডেসটিনির ৪৫ লক্ষ ও এর সাথে জরিত আরও ২ কোটি মানুষ কি আপনি যা লিখেছেন সে জন্য এই সরকার কে ভোট দিবেনা নাকি ৪৫ লক্ষ ও এর সাথে জরিত আরও ২ কোটি মানুষ কে প্রথম আলো আর যুগান্তর হলুদ মিডিয়ার ফাঁদে সরকার পা দিয়ে এত গুলো মানুষ কষ্ট দিয়ে যাবার কারনে ভোট দিবেনা।

প্রশ্নটা লেখকের কাছে রইল।

১৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩২

এম এইচ রানা বলেছেন: প্রথমে লেখক দাদাকে ধন্যবাদ বাংলাদেশের রাজনিতি নিয়ে গবেষণা করার জন্য।
এবার দাদাকে বলবো, আপনার ব্রেন এখনো windows 98 এর মত কাজ করছে, এখন windows 8 যুগ। দাদা এখন windows 98 চালালে মানুষ যেমন হাঁসবে ডেসটিনি নিয়ে আপনার মন্তব্য দেখে আমার হাসি পাচ্ছে।

তথ্য প্রযক্তির এই যুগে আপনি ডেসটিনির বিষয়ে এসব কি বললেন। কিছু হলুদ সাংবাদিকের রিপোর্ট দেখে আপনার মন্তব্য করাটা মানায় না।
উপরে এক ভাই ডেসটিনি সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে কিছু লিংক দিয়েছে দয়া করে লিংক গুলোতে একটু ঘুরে আসুন, আগে জানুন পরে মন্তব্য করুন।
ডেসটিনির দ্বারা ৯০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি বরং ডেসটিনির দ্বারা ৪৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি মানুষের রুটি রুজির ব্যবস্থা হয়েছে, অযথা ডেসটিনি নিয়ে এমন কোন লেখা লিখবেননা যাতে ২ কোটি মানুষের রুটি রুজি নষ্ট হয়।
লেখক দাদাকে বলবো আপনার লেখার ডেসটিনির অংশটুকু পরিবর্তন করে এভাবে লিখুন,
কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া, বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ ছাড়া শুধু মিডিয়ার মিথ্যা প্রপাগান্ডার উপর ভিত্তি করে ডেসটিনির বিরুদ্ধে আঃলীগ সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ডেসটিনির যে ক্ষতি হয়েছে এজন্য আঃলীগ সরকার আগামী নির্বাচনে প্রায় ২কোটি ভোট হারাবে।

রাত যেমন সত্য, দিন যেমন সত্য,
ডেসটিনির দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি তেমনই সত্য।
ডেসটিনিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই

১৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

এম এ এইচ রাজ বলেছেন: ৫. ডেসটিনি মাল্টি বিজনেস। একটি নির্বাচিত সরকারের শাসনামলে কিভাবে ডেসটিনি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা লোপাট করতে পারল? সরকার বাহাদুর কি বসে বসে তামুক খেয়েছে? ৯০ লাখ মানুষ ডেনটিনি'র ফাঁদে সর্বস্ব হারিয়েছে। এই ৯০ লাখ ভোটার কিন্তু নির্বাচনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ, এটা মনে রাইখেন ভাইজানেরা।......................................................................................................................................................................................................................................................................................................
আরে শালা আম্বা লিগের দালাল আর মিডিয়ার চামচা আমারে একটু বুজাইছতো মাল্টি বিজনেস মানে কি?
৯০ লাখ মানুষ ডেনটিনি'র ফাঁদে সর্বস্ব হারিয়েছে। না কথাটা সত্য না বালের বাচ্চা। কথাটা হলো সরকার এই ৯০ লাখ মানুষের কথা না চিন্তা কইরা এই মানুষগুলারে নিয়া তামশা করছে। এই মানুষগুলারে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করে নাই অথবা করতে পারে নাই। কারন হইলো তোর মত দালাল গুলার জন্য। মানুষ গুলা চিৎকার কইরা কইরা কানছে আর বলছে ডেসটিনির কারনে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত নই আমাদের একাউন্ট খুলে দিন, আমরা কাজ করতে চাই।আর তোরা শালারা এই ভাবে প্রচার করচস যে মানুল গুলা তাদের টাকার জন্য কাঁদতেছে।
ভাইরে ও ভাই আমি জানিনা তুই কে? তোর লগে আমার শত্রুতা নাই। শোন তুই অনেক কিছুই জানোস আমি মানি। কিন্তু যখন দেখছি তুই লিখছস ডেসটিনি মাল্টি কম্পানি। আমার বালে আর তোর লেখা পরে নাই কারন হইলো আমি বুইঝা গেছি তুই অনেক কিছু জানছ। হ্যা তুই জা্নস আমার বাল।
এখনো বুজেনাই আম্বলীগ। তবে বুঝবো। ওই যে কবি কইছিল

‍"আইজ বুজবিনা বুজবি কাল পাছা থাবরাবি ছিরবি বাল।"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.