নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

!! মুক্তিযুদ্ধের তিন ট্রাংক দলিলপত্রের হদিস এখনো কেউ জানে না!!

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩১

স্বাধীন বাংলা (বিপ্লবী) বেতার কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কবি বেলাল মোহাম্মদ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনেকবার বলেছেন যে, মুজিবনগর থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সকল ফাইলপত্র, নানা ধরনের ডকুমেন্টস, দৈনন্দিন কার্যালীর তালিকা, নানা ধরনের কথিকা, নথিপত্র, এবং সংবাদের মূল স্ক্রিপ্ট নিজে উপস্থিত থেকে তিনটি ট্রাংকে জব্দ করেছিলেন। সাজ্জাদ নামের একজন সহকর্মী তাঁর সঙ্গে তখন ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ওই তিন ট্রাঙ্ক ভর্তি ওইসব দলিলপত্র এস. এস. সান্দ্রা স্টিমারযোগে হুগলী নদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ এসে পৌঁছেছিল। সেখান থেকে ট্রাংক তিনটি পরে শাহবাগ বেতার কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল। ১৯৯১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দৈনিক সংবাদে সেই তিন ট্রাংক দলিলপত্রের একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেছিলেন সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিশ বছর পরে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ বেতার শাহবাগের ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসের স্টোর রুমে ওই ট্রাঙ্কগুলোর প্রথম সন্ধান মিলেছিল। পরবর্তী সময়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেই সব মূল্যবান দলিলপত্র জাতীয় জাদুঘরে জমা দেওয়ার কথা ছিল।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মলয় কুমার গাঙ্গুলী বলেন, ১৯৯১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ট্রাঙ্ক তিনটি সনাক্ত হওয়ার পর সেখান থেকে একটি ট্রাঙ্কের কাগজপত্র তখন খোলা হয়েছিল। পরে আবার সেসব দলিলপত্র ট্রাংকে ভরে সিলগালা করা হয়। তখন এই ব্যাপারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তৎকালীন ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসের পরিচালক জনাব হাসান জামালকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আর সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, দলিলপত্র ভর্তি ট্রাঙ্ক তিনটি জাদুঘরে হস্তান্তর করা হবে। শিল্পী মলয় কুমার গাঙ্গুলী অভিযোগ করেন যে, এই ট্রাঙ্কগুলো তিনি দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেণ করেছিলেন। অথচ তদন্ত কমিটিতে তখন তাকে রাখা হয়নি। আর ওই দলিলপত্রের খবর মিডিয়ায় জানানোর কারণে তখন তাকে শাহবাগ থেকে জাতীয় বেতার ভবন আগারগাওঁয়ে বদলি করা হয়েছিল। যে কারণে তিনি পরে আর ওই দলিলপত্রের পরিণতি সত্যি সত্যি কি হয়েছিল তা জানতে পারেননি।

কবি বেলাল মোহাম্মদ দাবী করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের এসব ডকুমেন্ট অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবেই নষ্ট করা হয়েছে। তবে এসব ডকুমেন্ট নিয়ে পরে অনেকে বই বের করেছেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান ঘোষক শহীদুল ইসলাম 'শব্দ সৈনিক' নামে যে সংকলনটি প্রকাশ করেছিলেন, এতে তার প্রথম কথিকা, যা কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে পাঠ করা হয়েছিল। সেটিসহ ট্রাঙ্কে ভর্তি অনেক লেখাও প্রকাশিত হয়েছিলো। বেলাল মোহাম্মদ দাবী করেন, ট্রাঙ্কে ভর্তি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের দলিলপত্র হারিয়ে যাওয়া উচিত ছিল না। বিশ বছর পর উদ্ধার হয়ে এসব দলিলপত্র আবার হারিয়ে যাওয়া আরো দুঃখজনক।

[সূত্র: চল্লিশ বছরেও স্বাধীন বাংলা বেতারের তিন ট্রাঙ্ক দলিলপত্রের রহস্যের জট খোলেনি, দৈনিক যুগান্তর, ১১ জানুয়ারি ২০১২, হোমপেজ গ্যালারি চ্যাটরুম জানুয়ারি ১১, ২০১২, বুধবার : পৌষ ২৮, ১৪১৮ এবং ১৪ ডিসেম্বর ১৯৯১, দৈনিক সংবাদে প্রকাশিক সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের রিপোর্ট]

১৯৯৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর ফুলছড়ি থানার যমুনা নদীতে কালাসোনার ড্রেজিং পয়েন্টে দুইটি নৌকাডুবির তথ্যানুসন্ধান করতে অসুস্থ শরীর নিয়ে গাইবান্ধায় যাত্রা শুরু করেছিলেন সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন। যাবার পথে ‘শেরেবাংলা’ নামক ফেরিতেই তিনি দুর্ঘটনায় পতিত হন। ফেরির ছাদ থেকে হঠাৎ করেই তিনি পানিতে পড়ে যান। স্থানীয় নৌকার মাঝিরা তখন তাঁর দেহ তাৎক্ষনিকভাবে উদ্ধার করতে পারলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হয়, পানিতে পড়ার সাথে সাথেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে গোটা দেশ তখন শোকে মুহ্যমান হয়ে উঠেছিল। সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের মৃত্যু কি নেহাত দুর্ঘটনা? নাকি ওই তিন ট্রাংক দলিলপত্রের অনুসন্ধান জনিত রিপোর্টের কারণে একটি পরিকল্পিত খুন? বাংলাদেশ এখনো সেই রহস্য জানে না। মুক্তিযুদ্ধের মহা মূল্যবান তিন ট্রাংক দলিলপত্রের হদিসও বাংলাদেশ জানে না। ইতিহাসের মহান অর্জনের সেই সব মূল্যবান দলিলপত্রের হদিস নিয়ে আমরা এক দুর্ভেদ্য রহস্যের মধ্যে বসবাস করছি। সত্যিই বড় বিচিত্র এই দেশ! সত্যি সেলুকাস!!!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪২

ভূতাত্মা বলেছেন: শিরোনামের পাশে আপনের নাম না দেখলে আজকাল বিভ্রান্ত হৈ, মনে হয় কেউ আপনার নামে ফেইক নিক খুলেছে।

দয়া করে আমাদের বিভ্রান্ত করবেন না, আগের ট্রেডিশনে ফিরে আসুন। রেজা ঘটক :-< :-<

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

রিমন রনবীর বলেছেন: ভূতাত্মা বলেছেন: শিরোনামের পাশে আপনের নাম না দেখলে আজকাল বিভ্রান্ত হৈ, মনে হয় কেউ আপনার নামে ফেইক নিক খুলেছে।

দয়া করে আমাদের বিভ্রান্ত করবেন না, আগের ট্রেডিশনে ফিরে আসুন। :-< :-< | রেজা ঘটক

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: রিমন রনবীর বলেছেন: ভূতাত্মা বলেছেন: শিরোনামের পাশে আপনের নাম না দেখলে আজকাল বিভ্রান্ত হৈ, মনে হয় কেউ আপনার নামে ফেইক নিক খুলেছে।

দয়া করে আমাদের বিভ্রান্ত করবেন না, আগের ট্রেডিশনে ফিরে আসুন। :-< :-< | রেজা ঘটক

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১২

গর্জন ওয়ারিওর বলেছেন: প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: রিমন রনবীর বলেছেন: ভূতাত্মা বলেছেন: শিরোনামের পাশে আপনের নাম না দেখলে আজকাল বিভ্রান্ত হৈ, মনে হয় কেউ আপনার নামে ফেইক নিক খুলেছে।

দয়া করে আমাদের বিভ্রান্ত করবেন না, আগের ট্রেডিশনে ফিরে আসুন। :-< :-< | রেজা ঘটক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.