নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
মহর্ষি বিশ্বামিত্র এক কঠোর তপস্যায় রত হলেন। কিন্তু দেবরাজ ইন্দ্র তাঁর তপোভঙ্গের জন্য দিব্যাঙ্গনা মেনকাকে প্রেরণ করলেন। দিব্যাঙ্গনা মেনকা আপন রূপসৌন্দর্যে মোহিত করে মহর্ষি বিশ্বামিত্রের তপোভঙ্গ করতে সক্ষম হলেন। ফলে বিশ্বামিত্রের ঔরসে মেনকার গর্ভে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হল। কিন্তু সদ্যোজাত এই কন্যাকে হিমালয়ের শীর্ষে মালিনী নদীর তীরে ফেলে স্বর্গে ফিরে গেলেন দিব্যাঙ্গনা মেনকা। ওদিকে ঋষি কন্ব কন্যাটিকে কুড়িয়ে পেয়ে নিজ কুটিরে নিয়ে গেলেন এবং নিজ কন্যারূপে পালন করতে লাগলেন। ঋষি কন্ব কুড়িয়ে পাওয়া এই কন্যার নাম রাখলেন শকুন্তলা। এর কয়েক বছর পর, মহারাজ দুষ্মন্ত মৃগয়া করতে এসে কন্বের তপোবনে শকুন্তলার সাক্ষাৎ পেলেন। শকুন্তলার রূপে মুগ্ধ হয়ে তিনি তাঁকে গান্ধর্ব মতে বিবাহ করলেন। পরে তিনি রাজধানীতে ফিরে আসলেন এবং ঋষি দুর্বাশার অভিশাপে শকুন্তলার কথা বিস্মৃত হন।
ওদিকে দুষ্মন্তের ঔরসে শকুন্তলার গর্ভে এক পুত্রের জন্ম হল। ঋষি কন্ব এই পুত্রের নামকরণ করলেন সর্বদমন। পরে কোনো এক সময় শকুন্তলা মহারাজ দুষ্মন্তের প্রাসাদে উপস্থিত হলে দুর্বাশার অভিশাপের প্রভাবে রাজা দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে চিনতে পারলেন না। পরে অবশ্য ঘটনাচক্রে শাপপ্রভাব উত্তীর্ণ হলে স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে মহারাজ দুষ্মন্তের মিলন ঘটে। তখন সর্বদমনের নতুন নামকরণ করা হয় ভরত।
তিনি রাজা হবার পর সমগ্র ভারতীয় ভূখণ্ড জয় করেন। যে কারণে তাঁর রাজত্ব ভারতবর্ষ নামে পরিচিত পায়। কোনো কোনো পুরাণের মতে, 'ভারতবর্ষ' শব্দটির দ্বারা কেবল ভারতীয় ভূখণ্ডই নয়, সমগ্র বিশ্বকেই বোঝনো হয়।
ভরতের স্ত্রীর নাম হল সুনন্দাদেবী। সুনন্দাদেবী ছিলেন সাধ্বী রমণী। তবু তাঁর সকল সন্তানই জন্মের পরমুহুর্তেই মৃত্যুমুখে পতিত হত। পুত্রাকাঙ্ক্ষায় ভরত গঙ্গাতীরে মরুইসোম যজ্ঞ করলেন। এই যজ্ঞ ভরতকে সহযোগিতা করলেন মহাঋষি মহামুনি ভরদ্বাজ। ভরত নিজেকে ক্লোনিং করে জন্ম দিলেন ভিমণ্যু নামে এক পুত্র সন্তানের। ভরতের পর ভিমণ্যু ভারতবর্ষের রাজা হলেন।
---------মহাভারত আদিপর্ব ---------
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
নীল ভোমরা বলেছেন: হুমম.....! জটিল..!
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
নতুন বলেছেন: দেবতাদের কি আর কোন কাজ ছিলো না?