নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
আজ ৩১ আগস্ট ২০১৩ নেপালের কাঠমুন্ডুতে পর্দা উঠলো দশম সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের। উদ্ভোধনী ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের কাছে বাংলাদেশ ২-০ গোলে হেরেছে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলা দেখলাম অনেক দিন পর। বাংলাদেশ ফুটবলের যে এতো অধপতন ঘটেছে এটা আজ নিজ চোখে দেখলাম। নির্দিষ্ট করে বলার কিছু নেই। একজন খেলোয়ারকেও দেখলাম না যে তার পুরো দম আছে। দুর্বল নেপালের কাছে এভাবে অসহায় বাংলাদেশকে মনে হয়েছে কোতবল খেলছিল। অথচ বাংলাদেশের রয়েছে সাফ ফুটবলে ২০০৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হবার মতো গৌরব। হারানো গৌরব পুনঃ উদ্ধারে বাংলাদেশ কতোটা শক্তি সঞ্চয় করেছে তা প্রথম ম্যাচেই হারার পর এখন অনেকটা বলে দেওয়া যায়। কারণ, 'এ-গ্রুপে' পরের দুই প্রতিদ্বন্দ্বি খুব কঠিন। ভারত ও পাকিস্তান। টুর্নামেন্টে ভারত এ পর্যন্ত ৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১৯৯৩, ১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০৫, ২০০৯ এবং ২০১১ সালে অনুস্ঠিত টুর্নামেন্টে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সে তুলনায় পাকিস্তান বরং 'এ-গ্রুপে' বাংলাদেশের চেয়ে দুর্বল দল। সাফ-ফুটবলে পাকিস্তান মাত্র একবার তৃতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ এখন ভারত আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কেমন খেলে তা দেখার অপেক্ষায় থাকবে গোটা দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। বাংলাদেশ টেলিভিশনকে ধন্যবাদ যে, নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচটি তারা তারা সরাসরি সম্প্রচার করেছেন।
'বি-গ্রুপে' রয়েছে তুলনামূলক কম শক্তির দলগুলো। আফগানিস্তান, ভূটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলংকা। আফগানিস্তান একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ হলেও ফুটবলে তারা অনেক উন্নত করেছে। সাফ ফুটবলে গতবারের (২০১১) রানার-আপ আফগানিস্তান। সে তুলনায় বরং ভূটান, মালদ্বীপ আর শ্রীলংকা অনেক দুর্বল দল। এর মধ্যে ভূটানের একবার সাফ-সেমি-ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর মালদ্বীপ আর শ্রীলংকার ফুটবল নিয়ে বলার মতো কিছু নেই। তবুও শ্রীলংকা ১৯৯৫ সালের সাফ চ্যাপম্পিয়ন। সেই হিসেবে শ্রীলংকাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আর মালদ্বীপ ২০০৮ সালের সাফ চ্যাম্পিয়ন দল। সেই হিসেবে বরং কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ফিফা র্যাংকিংয়ে অবশ্য সবার উপরে আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের সিরিয়াল ১৩৯ নাম্বারে। তারপর রয়েছে ভারতের অবস্থান। ভারতের ফিফা সিরিয়াল ১৪৫। সাফ-ফুটবলে ব্যর্থ হলেও তারপরেই রয়েছে মালদ্বীপের অবস্থান। ফিফা সিরিয়ালে মালদ্বীপের অবস্থান ১৫৩। তারপর বাংলাদেশের অবস্থান ১৫৮ নাম্বারে। বাংলাদেশের পরে রয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের ফিফা সিরিয়াল ১৬৭। তারপরেই ১৭০ নাম্বার ফিফা সিরিয়ালে রয়েছে যৌথভাবে নেপাল ও শ্রীলংকা। আর ভূটানের ফিফা সিরিয়াল সবার নিচে, ২০৭ নাম্বারে।
কিন্তু সাফ ফুটবলে ফিফা সিরিয়াল কোনো ফ্যাক্টর নয়। ফ্যাক্টর দলীয় বোঝাপড়া, শক্তি, আর কৌশল। সেই হিসেবে এবারের দশম টুর্নামেন্টে নেপাল স্বাগতিক দল হিসেবে একটা ফ্যাক্টর। 'এ-গ্রুপে' ভারত আর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ কেমন খেলবে, তার উপর বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ভর করছে।
বাংলাদেশের অবশিষ্ট খেলাগুলো ৩রা সেপ্টেম্বর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শক্তিশালী ভারতের সঙ্গে এবং ৫ সেপ্টেম্বর অপেক্ষাকৃত দুর্বল পাকিস্তানের সঙ্গে। প্রত্যেক গ্রুপ থেকে গ্রুপ পর্যায়ের সেরা দুটো দল যাবে সেমি-ফাইনালে। ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে দুটো সেমি-ফাইনাল। আর ১১ সেপ্টেম্বর হবে দশম সাফ-ফুটবলের ফাইনাল।
বাংলাদেশ দল যদি এখনই নিজেদের খেলার কৌশল, শৈলী এবং শক্তিমত্তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরিবর্তে আসল খেলাটা খেলতে না পারে, তাহলে আগামী দুটো ম্যাচের যে কোনোটি হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় হবার আশংকা থাকবে। আর যদি সমান সংখ্যক পয়েন্ট হয় দুটো দলের, তখন অন্য হিসেব। তবু বাংলাদেশের জন্য দশম সাফ-ফুটবলের প্রথম ম্যাচ হারার পর টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেবার আশংকা কিন্তু তৈরি হয়েছে। এখন পূর্ণ শক্তি প্রদর্শন করে ভারতের সঙ্গে ম্যাচ জিতেই কেবল সেই শংকা দূর করার সুযোগ রয়েছে। নইলে পরপর দুই ম্যাচ হারার পর পাতিস্তানের সঙ্গে ম্যাচটি পরিনত হবে স্রেফ আনুষ্ঠানিকতায়। বাংলাদেশ ফুটবল দলকে সেই আশংকবা উড়িয়ে দিয়ে পূর্ণ শক্তি নিয়ে স্বাভাবিক খেলাটিই খেলতে হবে।
আজকের ম্যাচে প্রধমার্ধের ১৮ মিনিটের সময় নেপালের অনীলের গোলে প্রথমে নেপাল এগিয়ে যায়। ৩১ মিনিটে নেপালের কৈলাস সেই স্কোরকে দ্বিগুন করে। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হলেও আর কোনো গোল হজম করেনি। বরং গোলরক্ষক খেলা শেষের কয়েক মিনিট আগে আবার ইনজুরিতে পড়ে বাংলাদেশের দুঃশ্চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
কাঠমুন্ডু'র অবস্থান সমুদ্র-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪০০ মিটার (৪,৬০০ ফুট) উঁচু হওয়ায় বাংলাদেশী খেলোয়ারদের কিছুটা দম সমস্যা হতে পারে হয়তো। কিন্তু সেই সমস্যা একমাত্র ভূটান আর নেপাল ছাড়া টুর্নামেন্টের বাকী ছয়টি দলকেই মোকাবেলা করতে হবে। অবশ্য ইনজুরি পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশের। এর আগে গোলকিপার শহিদুল ইসলাম সোহেল ইনজুরিতে পড়ে কাঠমুন্ডু থেকে দেশে ফিরেছেন। তার স্থলে যোগ দিয়েছেন সাফ ফুটবলে প্রথম খেলতে আসা নবীন জিয়াউর রহমান। এছাড়া বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মিডফিণ্ডার মামুনুল ইসলাম এখন পর্যন্ত ইনজুরি কাটিয়ে খেলার জন্য ফিট হতে পারেন নি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের রয়েছে বিখ্যাত ডাচ কোচ লোডইজক ডি ক্রুয়েফ। তাই এখনো দেশের ফুটবলপ্রেমীরা ক্ষীণ আসা নিয়ে কাঠমুন্ডুর দিকে তাকিয়ে থাকবে। সুতরাং বাংলাদেশে ফুটবল দলের এখন প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত ভারতকে হারানোর। আর আমরা দেশের সবাই ৩ সেপ্টেম্বরের সেই ম্যাচের জন্য অধীর আগ্রহ নিয়েই অপেক্ষায় থাকবো।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৯
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি ভাই খুব হতাশ...
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৪
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: পুরাই হতাশ খেলা দেইখা......
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৯
রেজা ঘটক বলেছেন: খেলা দেখে আমি খুব হতাশ। ধন্যবাদ আপনাকে...
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
তারেক বলেছেন: এখনও এদেশের ফুটবল নিয়া আপনে আশা করেন? তার চেয়ে ভাল হকি দলকে সমর্থন করেন। কারন আমাদের হকি বিশ্ব মানের না হলেও এশিয়ার মধ্যে ভাল মানে আছে
৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪১
বনস্পতি বলেছেন: আজকে আসলেই যাচ্ছেতাই খেলা দেখালো বাংলাদেশ। বিদেশ থেকে প্রবাসী ফুটবলার সংগ্রহ, পাসিং ফুটবল খেলানো ইত্যাদি মুখরোচক কথাবার্তা হরহামেশা বলা হয়ে থাকে। এমনকি টোটাল ফুটবলের দেশ হল্যান্ড থেকে কোচ আনা হল। সে কোচের অধিনে প্রায় একবছর প্রশিক্ষণ্ও হয়ে গেল। অথচ ফুটবলে বাংলাদেশের দিনদিন কী অধপোতন হচ্ছে তা ভাবাই যায়না।
আপনি যে "কাঠমুন্ডু'র অবস্থান সমুদ্র-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪০০ মিটার (৪,৬০০ ফুট) উঁচু হওয়ায় বাংলাদেশী খেলোয়ারদের কিছুটা দম সমস্যা হতে পারে হয়তো" বলে মন্তব্য করলেন। এটা আপনার ধারণা হলে ঠিক আছে। কিন্তু বাস্তবে এখানকার আবহাওয়া আপনার 'দম সংক্রান্ত' ধারণার রীতিমত বিপরীত।
কাঠমান্ডুর আবহা্ওয়া ঢাকার চেয়ে অনেক ঠান্ডা এমনকি খেলার সময় কিছুটা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও হচ্ছিল।
৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: বাংলাদেশকে মনে হয়েছে কোতবল খেলছিল। হাহাশে।
কোতবলটা কি?????????
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৪
জাহিদ হাসান বলেছেন: আমিও বাংলাদেশের একটা প্লেয়ারকেও আত্নবিশ্বাস নিয়ে খেলতে দেখলাম না । মনে হল স্রেফ খেলার দায়িত্বটা পালন করছে তারা ....