নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ঢাকার পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের নের্তৃত্ব দিচ্ছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, পিএসসি জি-এর নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এবং ভারতীয় দলের নের্তৃত্ব দিচ্ছেন বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী সুভাষ যোশী-এর নেতৃত্বে ২০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক, রিজিয়ন কমান্ডারবৃন্দ, বিজিবি সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট ষ্টাফ অফিসারবৃন্দ ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সার্ভে অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ভারত যৌথ নদী কমিশন এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রতিনিধিত্ব করবেন। আর ভারতীয় প্রতিনিধি দলে বিএসএফ সদর দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, ফ্রন্টিয়ার আইজি, ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন।
সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা/গুলি করা, নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের অপহরণ/প্রহার, সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরচালান বন্ধ করা, অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম, পূর্বানুমোদিত উন্নয়ন কাজে প্রতিবন্ধকতা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অননুমোদিত নির্মান কাজ বন্ধ করা ইত্যাদি। এছাড়া অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে অস্ত্র ও গোলা বারুদ পাচার , বাংলাদেশ-ভারত জেলা প্রশাসক পর্যায়ে সীমান্ত বৈঠকের সম্ভাব্যতা এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর বিজিবি-বিএসএফ জেআরডি (জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন্স) স্বাক্ষরের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে।
বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মলনে ফেলানি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারটি আলোচ্য সূচিতে সেভাবে নেই। হয়তো, নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যার মধ্যে ফেলানি'র ব্যাপারেও আলোচনা হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক মোট কতজন নিরস্ত্র বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়েছে, তা এবার প্রকাশ করা হোক। শুধু ফেলানি হত্যা নয়, বিগত ৪২ বছরে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক যতো বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়েছে, তার বিচার চাওয়া হোক। গড়ে বছরে যদি ৩০০ জন বাংলাদেশীকে ভারতীয় বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে, তাহলে বিগত ৪২ বছরে সেই সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার। বাংলাদেশের মিডিয়া এবং হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশানগুলোর কাছে এই সংখ্যাটি নিশ্চয়ই রয়েছে। এমন কি বিজিবি এবং বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছেও এই সংখ্যাটি থাকার কথা। আমরা বিএসএফ কর্তৃক নিরস্ত্র বাংলাদেশী হত্যার মোট খতিয়ানটি জানতে চাই। সেই সংখ্যাটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনে প্রকাশ করা হোক। বিচার বহির্ভূত এই হত্যাকাণ্ডগুলো থেকে বিএসএফ কোনোভাবেই নিজেদের এড়াতে পারে না। এই হত্যাকাণ্ডের দায় বিএসএফকে নিতে হবে। এবং ভবিষ্যতে নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা করা বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশের উচিত বিষয়টি সম্মলেনে জোড়ালোভাবে উপস্থাপন করা। সীমান্ত সমস্যার মধ্যে বিচার বহির্ভূত হত্যা সবচেয়ে প্রধান বিষয় উচিত। ১৫০ গজের যে নো-ম্যানস ল্যান্ডের কথা রয়েছে, তা উভয় পক্ষের আইনগতভাবেই মানা উচিত। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪১০০ কিলোমিটার সীমান্তের প্রতিটি ইঞ্চি'র বড়ায় গণ্ডায় সমান সমান বোঝাপড়া হওয়া উচিত। বাংলাদেশকে সীমান্ত সমস্যার বিষয়ে জোড়ালো পদক্ষেপ নিয়েই আগাতে হবে। আমরা আশা করব, উভয়-পক্ষ একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সীমান্ত সমস্যার সমাধানে রাজী হবেন। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান আমাদের সকলের প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১১
ফুরব বলেছেন: দাদারা [চুতিয়া অর্থে] আন্তর্যাতিক মানবাধিকার কমিশন থেকে মনে হয় প্যাদানি খেয়েছে। নইলে সিমান্ত সমস্যা নিয়ে তাদের এত মাথা ব্যাথার কারন কি?