নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দশম সাধারণ নির্বাচন নিয়ে সংশয় ও পর্যালোচনা ।।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি। বাংলাদেশের সংসদের পূর্ণকালীন মেয়াদ ৫ বছর। সেই হিসেবে নবম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারি। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী'র পূর্ণমেয়াদ ৫ বছর। নবম সংসদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেথ হাসিনা শপথ নেন ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি। সেই হিসেবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী'র মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে। ১৯৯০ সালের পর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক যাত্রা নতুন করে শুরু হলে নির্বাচিত সরকারের পূর্ণমেয়াদ ক্ষমতায় থাকার উদাহরণ আছে। ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল আর সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবার আগেই ১৯৯৫ সালের ২৪ নভেম্বর সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া শপথ নিয়েছিলেন ১৯৯১ সালের ২০ মার্চ। আর ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত। মাঝখানে অবশ্য রাজনৈতিক অচলাবস্থায় স্বল্প সময়ের জন্য ষষ্ঠ সংসদ কার্যকর ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় ছিলেন ৫ বছর ১০ দিন। সপ্তম সংসদের মেয়াদ শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ১৪ জুলাই। আর মেয়াদ পূর্ণ হয় ২০০১ সালের ১৩ জুলাই। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা শপথ নেন ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন। আর তিনি ক্ষমতায় ছিলেন ২০০১ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত। অর্থ্যাৎ সংসদের মেয়াদ পূর্ণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীও পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় ছিলেন। বরং প্রধানমন্ত্রী তখন কার্যত ক্ষমতায় ছিলেন ৫ বছর ২২ দিন। অষ্টম সংসদের মেয়াদ শুরু হয়েছিল ২০০১ সালের ২৮ অক্টোবর। আর অষ্টম সংসদ মেয়াদ পূর্ণ করে ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া শপথ নেন ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর। আর তিনি ক্ষমতায় ছিলেন ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত। অর্থ্যাৎ প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় ছিলেন ৫ বছর ১৯ দিন। অর্থ্যাৎ ১৯৯০ সালের পর থেকে বাংলাদেশে সংসদের মেয়াদ পূরণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকেও পূর্ণ সময় ক্ষমতায় থাকার একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।

নবম সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ সালে আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়াদ শেষ হবে ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালে। বিগত ২২ বছরে বাংলাদেশে সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের নজির নেই কেবলমাত্র ষষ্ঠ সংসদ ছাড়া। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী'র মেয়াদ পূর্তির আগেও ক্ষমতা হস্তান্তরেরও নজির নেই। বাংলাদেশের সংবিধানে যা-ই থাকুক না কেন, বিগত ২২ বছরের ইতিহাসে তেমনটি ঘটেনি। সেই হিসেবে বলা যায় নবম সংসদের মেয়াদ পূর্তির পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন আমরা আশা করতে পারি। কারণ, ওই সময়ের মধ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী'র মেয়াদও পূর্ণ হচ্ছে। সেই হিসেবে, আগামী ২৫ জানুয়ারি ২০১৪ থেকে ২৪ এপ্রিল ২০১৪ সালের মধ্যে যে কোনো সময় দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

এবার আসা যাক সংবিধানের কথায়। নবম সংসদে সংবিধানের পঞ্চাদশ সংশোধনী করা হয়েছে। সংবিধানের পঞ্চাদশ সংশোধনী অনুযায়ী, নির্দলীয় তত্ত্বাধায়ক সরকার ব্যবস্থা রহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাতে বলা হয়েছে, বর্তমান সংসদের অধীনেই পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সংসদের মেয়াদকালীন সময়ের ৯০ দিনের মধ্যেই। সেই হিসেবে, ২৪ অক্টোবর ২০১৩ থেকে ২৪ জানুয়াির ২০১৪ সালের মধ্যে দশম সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। সেক্ষেত্রে বর্তমান সংসদ বহাল থাকবে এবং প্রধানমন্ত্রীও বহাল থাকবেন। কিন্তু সে ধরনের একটি নির্বাচনে বাংলাদেশে সকল দলের অবাধ অংশগ্রহন কিভাবে নিশ্চিত হবে? যেখানে প্রধানবিরোধী দল বিএনপি বলছে, আওয়ামীলীগ নের্তৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা যাবে না। পাশাপাশি তারা সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুণর্বহাল করার জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ নের্তৃত্বাধীন মহাজোট সরকার সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যেতে অনাগ্রহী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের প্রধান দুইটি দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি উভয়ই নির্বাচন করার পক্ষে। আর সেই নির্বাচন করার জন্য উভয় দলই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে? আওয়ামীলীগ বলছে, সংবিধানের বাইরে কোনো অনির্বাচিত সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। আর বিএনপি বলছে, নির্দলীয় সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে না। এর আগে অনুষ্ঠিত ৫ টি সিটি কর্পোরেশান নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করায় বিএনপি'র মধ্যে একটা ধারণা হয়েছে যে, নির্বাচন হলেই তারা জয়লাভ করে ক্ষমতায় যাবে। এছাড়া বাংলাদেশে বিগত ২২ বছরের রাজনৈতিক প্রবণতা হল, ক্ষমতাসীন দল পরবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছে। সেই হিসেবে এবার বিএনপি দশম নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় যাবে, এমনটি সরল সমীকরণ। ঠিক এই ভয়টি কাজ করছে আওয়ামীলীগের মধ্যে। ৫ টি সিটি নির্বাচনে হারার পর আগামী দশম সংসদ নির্বাচনেও হারার একটি ভয় তাদের মধ্যে কাজ করছে। যে কারণে, বিরোধীদলের দাবী অনুয়ায়ী, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবীকে তারা সব সময় প্রত্যাক্ষাণ করে সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে।

বিপত্তি আর সংশয়টা সেখানেই। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে। ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন ছাড়া পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে মোটামুটি নির্দলীয় সরকারের অধীনেই। সেটাকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন। কিন্তু সংসদীয় রাজনৈতিক পদ্ধতিতে, ক্ষমতার পালাবদল হবার কথা সংসদের মেয়াদ শেষ হলে চলমান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সময়ে অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন পরিচালনা করবেন এবং নির্বাচনে বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। আর সেখানেই প্রধানবিরোধী দল বিএনপি'র আপত্তি রয়েছে। যার প্রধান কারণ, আওয়ামীলীগ ও বিএনপি দেশের দুই প্রধান দলের মধ্যে আস্থাহীনতা এবং অবিশ্বাস। শুধু নির্দলীয় সরকারের অধীণে নির্বাচন চাওয়ার পেছনে প্রধান যুক্তি হল, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকলেও সেই নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হয় না। কারণ, নির্বাচন কমিশনকে একটি অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রিটার্নিং অফিসার, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং অনেক সংস্থার সরাসরি সহায়তা নিতে হয়। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, ক্ষমতাসীন দলগুলো নির্বাচনের এই লেবেল প্লেয়িংটা এমনভাবে সাজিয়ে রাখেন যে, বিদ্যমান ব্যবস্থায় বিরোধীদলের পক্ষে নির্বাচনী ফসল ঘরে তোলা অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যায়। কারণ, নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসকগণ রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। প্রশাসন যেভাবে ঢেলে সাজানো হয়, সেই সাজানো প্রশাসনের অধীনে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষেই কাজ করার একটি প্রবণতা বিদ্যমান থাকতে পারে, এমন সন্দেহ আর আস্থাহীনতার কারণেই প্রধানবিরোধী দল সেই সাজানো লেবেল প্লেয়িং প্রশাসনের অধীনে নির্বাচনে যেতে আগ্রহী হয় না। পাশপাশি আমরা দেখেছি, বিগত ৪টি নির্ললীয় নিরপেক্ষ সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে ক্ষমতাসীন দলের প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর যে প্রক্রিয়া সেটা প্রথমেই ভেঙে দিয়ে নতুন করে প্রশাসনকে সাজিয়ে সব দলের কাছে গ্রহনযোগ্য একটি প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার। তাই রাজনৈতিক অনাস্থার প্রধান জায়গাটি আসলে প্রশাসনের বিদ্যমান ব্যবস্থা। কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে তার চেয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর বড় আশংকা থাকে প্রশাসন নির্বাচনকালীন সময়ে কতোটা নিরপেক্ষ থাকবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইতিহাস হল প্রশাসনকে দলীয়করণ করা একটি প্রধান কাজ হয়ে গেছে। যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন সেই সরকার প্রশাসনকে নিজ দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে। যে কারণে প্রধানবিরোধী দলের সেই প্রশাসনের উপর আস্থাহীনতা থেকেই যায়। তবুও বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের প্রধান দুই দলের নির্বাচনমুখী প্রবণতা দেথে ধারণা করা যায়, সংবিধানের নিয়ম অনুসরণ করে হয়তো একটি নির্বাচন ঠিকই অনুষ্ঠিত হবে। হয়তো সেটা উভয় দল দৃশ্যমান বা অদৃশমান সংলাপের মাধ্যমে একটি বোঝাপড়া হলেই সেই ঘটনাটি ঘটবে। আর সেক্ষেত্রে হয়তো সংসদ ভেঙে দিয়ে বর্তমান সংসদের কোনো গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিকে অস্থায়ী সরকার প্রধান করা হবে। যার অধীনে হয়তো দশজনের একটি ছোট্ট মন্ত্রীসভা থাকবে। যেখানে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি উভয় দলের সাংসদদের নেওয়া হবে। আর সেই অস্থায়ী সরকার হয়তো প্রশাসনকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে একটি নির্দলীয় সরকারের মত আচরণ করার চেষ্টা করবে। আর বর্তমান নির্বাচন কমিশনও সেক্ষেত্রে নতুন করে পুণর্গঠন করা হতে পারে। আর সেই নির্বাচনটি আগামী ডিসেম্বর মাসে অথবা মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

রাজনৈতিক ফিল্ডে দরকষাকষিতে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নিজ নিজ দলের পক্ষে দাবী আদায়ে একটি বিজয় মিছিলের অপেক্ষায় আছে। সেই বিজয় মিছিলে জনগণের কতোটা সম্পৃক্ততা থাকবে তারচেয়ে বড় কথা বিজয় মিছিল কে আগে করবে। একটা জিনিস খুব পরিস্কার সেটা হল, দেশের প্রধান দুইটি দল নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখায় না। যে কোনো ভাবে অনুষ্ঠিত একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়াই তাদের প্রধান লক্ষ্য। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নের্তৃত্ব ধীরে ধীরে আসল রাজনীতিবিদদের ছেড়ে সাবেক আমলা, সাবেক আর্মি অফিসার, শিল্পপতি, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, কন্ট্রাকটর, আর নতুন করে সম্পদশালীদের হাতে চলে যাচ্ছে। যে কারণে, রাজনৈতিক দুবৃত্তায়নের চক্রে নিপতিত একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আস্থাহীনতার সংকট দিন দিন আরো প্রকট হচ্ছে। আগামীতে প্রধান দুই দল যতোবেশি আসল রাজনৈতিক ব্যক্তির বাইরে দলীয় নমিনেশান প্রদান করবে ততোবেশি সেই দুবৃত্তায়ন ক্ষমতাশালী হবে। আর সেই দুষ্টচক্রের কোপানলে সৃষ্ট নানা অজুহাতে রাজনৈতিক অচলাবস্থা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকবে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই রাজনৈতিক দুবৃত্তায়নের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অর্থ, প্রতাপ, বিত্ত আর অসৎ উপায়ে অর্জিত পুঁজির দৌরাত্বে তাই বাংলাদেশ এখন অশান্ত। ধর্মীয় উগ্রবাদের প্রচ্ছন্ন আগ্রাসনও তাই ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর দেশের জনগণের সঙ্গে যতোটা দূরত্ব তৈরি হচ্ছে, ঠিক উল্টো ততোটাই বিদেশী তাবেদারী শক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ছে। রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে হুজুগে অবৈধ কার্যাকলাপ করার সুযোগ রয়ে যাচ্ছে। চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টির জন্য তাই বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি-ই দায়ী। আর ঝুঁকি থাকলেও সেই ঘোলাজলে দুষ্টু রাজনৈতিক ঘোড়াগুলো দাবিয়ে বেড়াচ্ছে। তাই আগামী দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে একটি সংশয়ও রয়ে যাচ্ছে। যদি কোনো কারণে আগামী সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে বা আগামী বছরের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত না হয়, সেক্ষেত্রে আগামী গ্রিস্ম মৌসুমে জুন-জুলাই মাসে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাধারণ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ভারতে কোন দল ক্ষমতায় আসে তার উপরও অনেকটা নির্ভর করবে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে হুট করেই নির্বাচন কখন হবে, কোন সরকারের অধীনে হবে, সেই চূড়ান্ত কথাটি নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.