নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করে আমরা পাচ্ছি মাত্র ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কিন্তু কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ নির্মাণ করতে গিয়ে আমরা গোটা পাহাড় অশান্ত করেছি। ১৯৬২ সালে চালু হওয়া কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে গোটা পাহাড়ে কতো হাজার মানুষ মারা গেছে, সেই হিসেব কারো কাছে নেই। এখন আবার সুন্দরবনের কাছে রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে আমরা সুন্দরবন ধ্বংসের পাশাপাশি গোটা দক্ষিণ বঙ্গ অশান্ত করতে যাচ্ছি। আর এই প্রকল্প আমাদের মাত্র ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে পারবে! আমাদের মহামান্য আদালত অনেক সময় সপ্রণোদিত হয়ে অনেক বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, আমাদের মহামান্য আদালত কি রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের ফলে যে আমাদের প্রাকৃতিক রক্ষাবাঁধ সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে, সেটা অনুধাবন করে সপ্রণোদিত হয়ে কোনো রুল জারী করতে পারেন কিনা? তাহলে সুন্দরবন যেমন বাঁচতো তেমনি বাংলাদেশর দক্ষিণবঙ্গের অনেক মানুষ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা পেতো। নইলে আমরা কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো আরেকটি ভুল প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। যা ভবিষ্যতে অনেক প্রাণহানীর ইঙ্গিত করছে। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সুন্দরবনের পাশ থেকে দেশের অন্য কোনো অঞ্চলে করলে ক্ষতি হবে কেন? ভুরঙ্গামারী বা চিলমারীতে এটা করলে কার ক্ষতি হবে?
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮
ইমাম উশ শহীদ বলেছেন: জনাব ঠিক বলেছেন………
কিন্তু দুঃখটা কই জানেন???
ভোট পাওয়ার পর,আমাদের কথা শুনার সময় এদের থাকে না…
যার যা খুশি করতে থাকে…
এখন ভরসা আদালতের রুল…
পদ্মা খাইলেন…কত কিছু খাইলেন…আল্লাহর ওয়াস্তে সুন্দরবনটা রে খাইয়েন না……
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৬
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভুরঙ্গামারী বা চিলমারীতে এটা করলে কার ক্ষতি হবে?
এসব জায়গায় আমদানী করা কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা সম্ভব নয়। কারণ ১৩২০ মেগাওয়াট (রামপাল কেন্দ্রের প্রস্তাবিত ক্ষমতা) বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রতিদিন ৮,৮১০ টন কয়লা দরকার।(৫০০ মেগার হিসাব দেখুন-http://wiki.answers.com/Q/How_much_coal_does_a_500_mw_power_plant_use_daily) সে হিসাবে মাসে দরকার ২ লাখ ৬৫ হাজার টন কয়লা। বন্দর বা কয়লা খনির কাছে ছাড়া এটা অসম্ভব একটা কাজ।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
রেজা ঘটক বলেছেন: কামাল ভাই, আমি উদাহরণ হিসেবে বলেছি, ভুরুঙ্গামারী/চিলমারী'র কথা। আমি বলতে চেয়েছি, সুন্দরবনের পাশ থেকে ওটা দূরে কোথাও করা হোক। আর সেই নতুন জায়গা কোথায় হবে তা যাচাই বাছাই করে বের করা হোক। সুন্দরবন আমরা তৈরি করতে পারবো না। কিন্তু বিদ্যুৎ প্রকল্প হাজার হাজার করা যাবে চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে। ধন্যবাদ
৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৯
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: দয়া করে ৪নং কমেন্ট মুছে দিন।
Click This Link
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: কাপ্তাইয়ের বা যেকোন জলবিদ্যুত প্রকল্পে শুধু বিদ্যুত উতপাদন মুখ্য নয়। এখানে আপনার সেচ মাছ নৌ যোগাযোগ পর্যটন অনেক বিষয়ই দেখা হয়। কাপ্তাই প্রকল্পে র ফলে শকনো মৌসুমে অনেক জমিতে এখন ফসল করা সম্ভব হয়েছে যা লেকের মোট আয়তনের অর্ধেক।
যাই হোক কিন্তু এই কয়লা প্রকল্প দেশ বিরোধি চুক্তি। এতে বিদ্যুতের সাথে বোনাস হিসেবে যা পাচ্ছি তা কোন দিক দিয়েই উপকারী নয়।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
রেজা ঘটক বলেছেন: পাহাড় অশান্তের দিকচা আপনার নজরে আসেনি। কতো হাজার পরিবার উচ্ছেদ হয়েছে তাও আসেনি। কত হাজার মারা গেছে তাও আসে নি।
৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশ এখনো বিদ্যুত ঘাটতির দেশ। দেশটির ৪০ ভাগ লোক এখনো বিদ্যুতহিন। গত৫ বছরে ৩ হাজার মেঃওয়াট থেকে ৮ হাজার মেঃওয়াট বৃদ্ধির পরও ঘাটতি ২ হাজার, দিন দিন চাহিদা বাড়ছে ঘাটতিও বাড়ছে। কারন ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের ও নতুন সংযোগের সাথে বিদ্যুত উৎপাদন বাড়িয়েও ঘাটতি কমানো যাচ্ছে না। ৬৩টি নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরও বিদ্যুত ঘাটতি মেটানো যাচ্ছেনা।
২১ শতকের মধ্যে দরকার ৩০ হাজার মেঃওয়াট বিদ্যুত। এই জন্য ১হাজার মেঃওয়াটের দুটি পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের চুক্তি হয়েছে রাশিয়ার সাথে। ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে রামপালে।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ প্রথম আলো তে লিখেছেন সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংরক্ষিত বনভূমি ও বসতির ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয় না। ভারতের ‘ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন অ্যাক্ট, ১৯৭২’ অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয় না।
তিনি ও দুজন ভিআইপি ব্লগার দাবি করছেন আলোচিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুরত্ব ১০-১৫ কিমি। অতচ একুরেট দুরত্ব 21.25 km. গুগল ম্যাপের নিখুত স্যাটেলাইট ম্যাপ অনুযায়ী।
ভারতের 60% বিদ্যুত কয়লা চালিত,
চীনের 70% ভাগ,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 44.9% ,
বাংলাদেশ মাত্র .02 % যা বড়পুকুরিয়ায়, রামপাল চালু হলে 3% হবে মাত্র।
একটা পোষ্ট লিখছি, তার কিছু অংশ দিলাম
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ। বিষয়টা হল কয়লা যে আনা হবে সেটার যাতায়াত পথ হল সুন্দরবনের পেটের মধ্য থেকে। যা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যে দারুনভাবে প্রভাব ফেলবে। আমেরিকার মিশিগানে ১৯৮৯ সালে একটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়েছিল। সেখানের আশেপাশের গাছপালা মরে গেছে। সুন্দরবন যে মরবে না, সেই গ্যারান্টি কে দেবে? সুন্দরবন শুধু মরবে না, গোটা ম্যানগ্রোভ ধ্বংস হয়ে যাবে এই প্রকল্প করা হলে। আর তা ধ্বংস হতে ২০/৩০ বছর লাগবে....
৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেটার যাতায়াত পথ হল সুন্দরবনের পেটের মধ্য থেকে
অবস্যই।
কিন্তু সেটা পশুর নদী, যে নদী দিয়ে মঙ্গলা বন্দরের সমস্ত জাহাজ চলাচল করে। কয়লাবাহি জাহাজ তো তেলবাহি জাহাজের মত তেলচুইয়ে পানি দুষিত করে না।
আমি কয়েকটি কয়লাবিদ্যুত প্ল্যান্টের ছবি দেখেছি যার আশেপাশের গাছপালা তাজাই ছিল।
আমার লেখাটি পড়ুন।
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: