| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রেজা ঘটক
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
দেশে এখন টেলিভিশনের সংখ্যা কত? আগে আমাদের শুধু সাহেব-বিবি-গোলামের বাক্স বিটিভি'র উপর নির্ভর করতে হত। আর এখন সেই সংখ্যা বেড়ে ২০-২১-২২...!!! অথচ ঈদ-পূজা'র মত বড় বড় অনুষ্ঠানগুলোতে নতুন এবং উপভোগ্য অনুষ্ঠানের সংখ্যা কত? দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিশেষ করে যারা প্রোগ্রামে কাজ করেন, তাদের মধ্যে কোনো নতুনত্ব নেই! এটা একটা বিস্ময়কর ব্যাপার। আরে ভাই, বস্তা পচা একই ধরনের অনুষ্ঠান আর কত চালাবেন?
পারলে নতুন কিছু দেখান, নইলে সাফ জানিয়ে দেন আমাদের যোগ্যতা এটুকুই। তাই দিয়ে যা পেরেছি তাই করছি। কিন্তু ভাবটা এমন পৃথিবীর সেরা অনুষ্ঠান এরা করছেন! দেশে কোনো বিশেষায়িত টেলিভিশন নেই এটা একটা বিশাল গ্যাপ। কেউ তা নিয়ে ভাবছে তাও মনে হয় না। সবাই সংবাদ, বস্তাপচা নাটক, ফাউল টকশো, ইনিয়ে বিনিয়ে নানা কাহিনী দেখাচ্ছেন কিন্তু একটাও দেখার মত নয়, তারা কি সেটা জানে? এছাড়া বিজ্ঞাপনের বিড়াম্বনা তো আছেই। বিজ্ঞাপনের আবার কোনো মানদণ্ড নেই। একটা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য এরকম হাইব্রিড বিজ্ঞাপনই যথেষ্ট। যারা টেলিভিশনের উপস্থাপক, তাদের উচ্চারণ তো মাশাল্লা সেইরাম! বান ঝালাপালা হয়ে যায়। একটা দেশ চোখের সামনে এভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সম্মিলিত ধান্দাবাজদের খপ্পরে পড়ে। আহা টেলিভিশন...
দুই লাইন গাইতে জানলেই সে গিয়ে হাজির হয় টেলিভিশনে। দুই পাতা লিখতে পারলেই সে গিয়ে হাজির হয় টেলিভিশনে। দুই কথা বলতে পারলেই সে গিয়ে বকরবকর শুরু করে টেলিভিশনে। একি? এতো সত্যিই মগের মুল্লুক। যার যা খুশি তাই করছে। আহারে টেলিযুগ!!
নতুন আমদানি হয়েছে আবার বিদেশি কালচার। এক একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক আবার হরেব রকম সাজগোজ নিয়ে রঙ-চঙ মেখে হাজির হচ্ছেন। বলতে পারেন, আপনে একটা গাইয়া...আমনে শহুরে কালচার বোঝেন না...হে হে হে...যতোটুকু বুঝি তা দিয়ে বলতে চাই, এটা হাইব্রিড যুগ চলছে। কিছু না শিখে না জেনেই শর্টকাট এখানে সবাই বড় বড় স্টার। স্টারের খনি এখন বাংলাদেশের টেলিভিশনগুলোতে। কেউ সুপার স্টার। কেউ মেগাস্টার। কেউ পাতি স্টার। কেউ পোয়াতি স্টার। কেউ খোয়াতি স্টার। কেউ গোয়াতি স্টার। কেউ শোয়াতি স্টার। কেউ চোয়াতি স্টার। স্টারে স্টারে ভরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আহা এই না হলে টেলিযুগ কেমনে চলবে...
সৃজনশীলতার প্রকাশ যদি হয় এমন স্টারে স্টারে লোটপাট, তাহলে এই জাতি শুধু টেলিভিশনের কল্যানেই আমাদের শিশুদের মগজ নষ্ট করার জন্য একদিন কাঠগড়ায় দাড়াবে। কিন্তু তখন আর সময় থাকবে না। ফাজলামি'রও একটা সীমা থাকে রে ভাই....দেশের টেলিভিশনগুলো সম্মিলিতভাবে সেই নষ্ট ফাজলামিগুলো করে যাচ্ছে চোখের সামনে।
টেলিভিশন দেখে জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। এসব টেলিভিশনের কল্যানে এখন নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ অনেক কমে গেছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফেইসবুক। টেলিভিশন আর ফেইসবুক মিলে নতুন প্রজন্ম এখন বই থেকে যোজন যোজন দূরে। এভাবে একটা দেশ বিকশিত হতে পারে না। সেই সুযোগে সেখানে বাসা বাধে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী। সো, সাধু সময় থাকতে সাবধান...
২|
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩১
নতুন বলেছেন: টেলিভিসন হইলো মানুষরে এডভ্যটাইজমেন্ট দেখানোর যন্ত্র.... বিভিন্ন কম্পানী তাদের পন্যের প্রচারের জন্য টিভি চ্যানেলে এড দেয়... আর আমরা পাবলিক নিজের সময় নস্ট কইরা ঐ গুলান দেখি...পরে বাজারে গিয়ে কিনা আনি...
টিভি থেকে ইন্টারনেটে সময় কাটানো ভাল.... কারন নেটে আপনি আপনার পছন্দের জিনিস খুজে দেখেন বা পড়েন....
আর টিভিতে বেশিরভাগ সময়েই আপনার পছন্দের কিছু আপনি পাবেন না...
৩|
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪০
খেয়া ঘাট বলেছেন: এসব টেলিভিশনের কল্যানে এখন নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ অনেক কমে গেছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফেইসবুক। টেলিভিশন আর ফেইসবুক মিলে নতুন প্রজন্ম এখন বই থেকে যোজন যোজন দূরে। ++++++++++++++++++++++++++++++++++++
৪|
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: ভালো টপিক নিয়ে পোষ্ট দিয়েছে ভাই। পড়ে ভালো লাগলো। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানেন? দেশের টেলিভিশন দর্শকদের একটি বড় অংশ আপনার সমালোচিত চ্যানেল গুলো দেখেইনা।
প্রতিবেশী দেশের মেগা বা গেগা সিরিয়াল গুলো এদেশের মহিলাদের গ্রাস করেছে।
এদেশে প্রতিদিন মোট যত ঘন্টা টেলিভিশন দেখা হয়, আমার ধারনা, তার ৮০% ই মহিলারা দেখেন।
এতটুকু দেশে ২২-২৩ টা চ্যানেল। এটা মাছবাজার ছাড়া আর কিইবা বলা যায়!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০০
বিল্লা বাবা বলেছেন: যুগ পাল্টাইসে ভাই। ইন্টারনেট এর যুগে আপনি আর এখন চাইলেও কাউকে বই এ আগ্রহী করতে পারবেন না। বই এর কথা কন, আরে পিচ্ছি পোলাপানরা তো এখন মাঠেই যায় না, খেলা তো পরে। পিসিতে গেমস খেইলাই শৈশব কাটতেসে। যেখানে আমরা সারাদিন মাঠে থাকার কারনে আর গল্পের বই এর কারনে কত মাইর খাইসি। টেলিভিশন এর কথা বলতে হয়, এখন কমপিটিশন এর যুগ। আর টেলিভিশন চ্যানেল হল বিসনেস। ওরা দেখবেনা যে অনুসটান এর মান কেমন, কার এতে ক্ষতি হল। ওরা প্রতিযোগিতায় আছে যে কে কাকে ছাড়িয়ে যাবে। কিছুই করার নাই। আপনাকে মেনে নিতেই হবে।