নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
একুশ শতকে এসে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন সবচেয়ে হুমকির মুখে। নব্বইয়ের স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নতুন যাত্রাটি তাহলে ভুল ছিল। অন্তত গত ২৩ বছরে তাই এখন প্রমাণিত আলামত। বাংলাদেশে কেন গণতন্ত্র শক্তিশালী নয়? এই প্রশ্নের উত্তর সাধারণ জনগণ জানলেও দেশের রাজনৈতিক দলগুলো তা স্বীকার করে না। বিশেষ করে প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীযতাবাদী দল। কারণ, গত ২৩ বছর এই দুই দল ক্ষমতা নিজেদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে। পাশপাশি তারা বিরোধীদল হিসেবে অগণতান্তিক আচরণ করেছে। এক হাজার কারণ ব্যাখা করা যাবে এই দুই দলের গণতন্ত্রের প্রতি অবজ্ঞা এবং খামখেয়ালীপনার। সেই প্যাচালে যাচ্ছি না। নতুন প্যাচাল করতে চাইছি- বাংলাদেশ কি গণতন্ত্রের পথে হাঁটবে নাকি অন্য কোন পথ আছে বাংলাদেশের সামনে?
বাংলাদেশের যথাযথ উন্নয়নের জন্য কি কি দরকার সেগুলো হতে পারে প্রধান বিবেচ্য বিষয়। সেই বিষয়গুলো কি কি?
১. আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা
২. দুর্নীতি প্রতিরোধ করা
৩. দলীয়করণ বন্ধ করা
৪. স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করা
৫. স্বাধীন শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন
৬. গণ প্রতিনিধিত্বশীল সরকার
৭. সংসদের মেয়াদ কমিয়ে ৪ বছর করা
৮. নির্বাচনকালীন সরকারের সুস্পষ্ট রূপরেখা
৯. স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ
১০. স্বাধীন ও শক্তিশালী কর কমিশন
অন্তত এই দশটি জিনিসকে বাংলাদেশ গুছিয়ে ফেলতে পারলে, দেশের উন্নয়ন যা করার এদেশের মেহনতী মানুষেরা তা করবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বলেই আমি মনে করি। এবার আসুন, এই দশটি বিষয়ে কি ধরনের ব্যবস্থা বাংলাদেশে গৃহীত হলে দেশটি একটা সুনির্দিষ্ট পথে সামনের দিকে আগাতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
১. আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা:
বাংলাদেশ একটি গরিব দেশ হলেও এ দেশের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী'র আকার যথেষ্ট বড় এবং শক্তিশালী। দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের এই তিন বাহিনী হতে পারে সবচেয়ে দক্ষ এবং নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা রক্ষা বাহিনী। আমাদের মত একটি গরিব দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করতে সাধারণ মানের পুলিশের উপর নির্ভর করার আর কোনো যুক্তি নেই। দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এখন থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে প্রধান কাজটি করতে হবে। পুলিশ যেহেতু সাধারণ মানুষের খুব কাছাকাছি অবস্থান করে। তাই পুলিশ হতে পারে এই তিন বাহিনী'র এসিসট্যান্ট বাহিনী। সেনাবাহিনী থাকবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রধান দায়িত্বে। পাশাপাশি নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী তাকে নৌ ও আকাশ পথে সহায়তা করবে। আর স্থলভাগে পুলিশ হবে সেনাবাহিনী'র এসিসট্যান্ট ফোর্স। বর্তমানে দেশে যে সব থানা আছে, সেখানে অন্তত প্রতি থানায় ১০০ জন করে সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হলে, এবং পুলিশ তার অধীনে থাকলে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাতারাতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এটা সাময়িক থেরাপি নয়। এটাকে পারমানেন্ট করতে হবে। আর ফৌজদারী বিষয়গুলো পুলিশের অধীনেই থাকবে।
২. দুর্নীতি প্রতিরোধ করা:
দুর্নীতি যে করুক, তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং তার কঠোর সাজার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এখানে কে প্রধানমন্ত্রী, কে বিরোধীদলীয় নেত্রী, কে মন্ত্রী, কে মন্ত্রী'র ভাই, কে কার আত্মীয় এটা মোটেও বিবেচ্য বিষয় হতে পারে না। আইন যদি সবার জন্য সমান হয়, তাহলে যারা দুর্নীতি করবে তাদের বেলায়ও তা সমানভাবে প্রয়োগ করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের কোনো দেশ নেই। এরা দেশের শত্রু। এদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। আজ পর্যন্ত পূর্বতন সকল দুর্নীতি প্রয়োজনে সাধারণ ক্ষমার আওতায় এনে কঠোর এই আইন চালু করা যেতে পারে। যাতে কারো প্রতি কোনো পক্ষপাতিত্ব না থাকে। বিচারাধীন বিষয়গুলো কঠোর জরিমানা ও সাজার আওতায় ফেলা যেতে পারে। যা দ্রুত শেষ করতে হবে।
৩. দলীয়করণ বন্ধ করা:
সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠানে দলীয় নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। যদি দলীয় বিবেচনায় কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়, তার প্রমাণ মিললেই সেই নিয়োগ বাতিল করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে দলীয় নিয়োগ কোনো ভাবেই বরদাস্ত করা উচিত নয়। দলীয়করণ বন্ধে প্রয়োজনে আরো কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৪. স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করা:
আমাদের বিদ্যমান স্থানীয় সরকার প্রশাসনকে আরো শক্তিশালী করার সকল সচল উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। স্থানীয় সরকারে যে কোনো রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। স্থানীয় জনগণের প্রতিনিধিরাই স্থানীয় সরকার প্রশাসনে কাজ করবে। যারা জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। সংসদ সদস্যগণ কোনো মতেই স্থানীয় সরকারে নাক গলানোর কোনো সুযোগ পাবেন না। তাদের কাজ হবে সংসদে আইন প্রণয়ন করা। সংসদীয় এলাকার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সাংসদদের কোনো ধরনের কর্তৃত্ব রাখা যাবে না। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো সাংসদ সভাপতি হতে পারবেন না।
৫. স্বাধীন শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন:
নির্বাচন কমিশন হবে সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন ও শক্তিশালী। নির্বাহী বিভাগের সকল প্রশাসনিক ক্ষমতা নির্বাচন কালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের অধিকারে যাবে। নির্বাচন কমিশন হবে পাঁচ সদস্যের। কমিশনের মেয়াদ হবে ৮ বছর। যাতে তারা অন্তত দুইটি সাধারণ নির্বাচন করার সুযোগ পায়। কমিশনারদের মধ্যে লটারি করে প্রতি বছর একজন হবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সাধারণ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশাসনিক রদকদল করবেন। এখন যেমন জেলা প্রশাসক নির্বাচন কালীন সময়ে রিটার্নিং অফিসারের কাজ করেন, তেমনি দেশের সাধারণ নির্বাচনের সময় জেলা হেড কোয়ার্টারে সেনাবাহিনীর যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা থাকবেন, তিনি হবেন রিটার্নিং অফিসার। আর তিনি মিনিমাম লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার হবেন।
৬. গণ প্রতিনিধিত্বশীল সরকার:
এখন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়। গণ প্রতিনিধিদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকের অধীনে। ৩০০ আসনে যে প্রতীক শতকরা যতো ভাগ ভোট পাবে, ৩০০ আসন প্রতীকপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সেভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। সংসদের প্রথম বৈঠকে আসন বণ্টন হবার পর সাংসদের এলাকা বণ্টন করা হবে। ধরা যাক, দোয়াত-কলম, ছাতা, মই, মোরগ ও তালাচাবি এই পাঁচটি প্রতীক ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোট পেল শতকরা হারে যথাক্রমে ৩৫ ভাগ, ৩০ ভাগ, ২০ ভাগ, ১০ ভাগ ও ৫ ভাগ। এবার তাদের মধ্যে সংসদীয় আসন বণ্টন হবে যথাক্রমে ১০৫ টি, ৯০টি, ৬০টি, ৩০টি ও ১৫টি। তখন সংখ্যাগরিষ্ঠ গণপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যে কোনো এক বা একাধিক দল মিলে সরকার গঠন করবে। এছাড়া সরকারের মন্ত্রণালয়ের আকার হবে সর্বোচ্চ ২৫ জন। যার মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রী, দুইজন উপ-প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। ২০ জন পূর্ণ মন্ত্রী এবং ২ জন প্রতিমন্ত্রী থাকবেন। দুইজন উপ-প্রধানমন্ত্রী'র অধীনে থাকবে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, তিনিই নির্বাচন কালীন সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী'র দায়িত্ব পালন করবেন। আর তখন মন্ত্রী পরিষদ হবে সর্বোচ্চ ১১ জনের। ভোটের হিসেবে যারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করবে, সেই দল দুটো থেকে দুই জন উপ-প্রধানমন্ত্রী হবেন।
৭. সংসদের মেয়াদ কমিয়ে ৪ বছর করা:
জাতীয় সংসদের মেয়াদ হবে ৪ বছর। এবং কোনো সরকারই পূর্ববর্তী সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করতে পারবে না। সরকারের কাজ হবে উন্নয়ন প্রকল্প সমাপ্ত করা এবং নতুন প্রকল্প শুরু করা। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা যাবে না। নির্বাচন কালীন তিন মাস সময় ব্যতীত সরকারের কোনো প্রধানমন্ত্রী, উপ-প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী কোনো নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহন করতে পারবে না। কোনো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য মিনিমাম ৫ বছরের রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যে কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারবে। বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হিসাব আসন বণ্টনের হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হবে না। অর্থ্যাৎ যদি ১০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে বিজয়ী হন, তাহলে শতকরা আসন বণ্টনের হিসাব হবে ২৯০ আসনের।
৮. নির্বাচনকালীন সরকারের সুস্পষ্ট রূপরেখা:
নির্বাচন কালীন সরকারে পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রী-ই অন্তর্বর্তী কালীন প্রধানমন্ত্রী'র দায়িত্ব পালন করবেন। তখন মন্ত্রী পরিষদের আকার হবে সর্বোচ্চ ১১ জন। নির্বাচন কালীন সরকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকবে সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের কাছে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকবে তৃতীয় বৃহত্তম দলের কাছে। কারণ, নির্বাচনের সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন। আর জেলা রিটার্নিং অফিসার থাকবেন একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল, যিনি তখন সেই জেলার কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জেলা প্রশাসক হবেন নিজ নিজ জেলার প্রধান নির্বাচনী পর্যবেক্ষক। যিনি নির্বাচন কমিশনে আলাদাভাবে নির্বাচনী রিপোর্ট দাখিল করতে বাধ্য থাকবেন।
৯. স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ:
দেশের বিচারবিভাগ হবে সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন ও শক্তিশালী। বিচারপতিদের অবসরে যাবার বয়স সীমা হবে ৬০ বছর। বিচারপতিরা অবসরে যাবার পর প্রজাতন্ত্রের আর কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না। বিচারপতি নিয়োগ হবে সরকারি কর্ম কমিশনে সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে। যারা সেই পরীক্ষায় পাশ করবেন, রাষ্ট্রপতি তাদের থেকে মেধা অনুসারে সিরিয়ালি নিয়োগ দেবেন। কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় বিচারপতি নিয়োগ করা যাবে না। বিচারপতিকে কর্ম কমিশনের স্পেশাল পরীক্ষায় পাস করে রাষ্ট্রপতি'র নিয়োগ লাভের জন্য অপেক্ষমান সিরিয়ালের জন্য ওয়েট করতে হবে। ন্যূনতম ১৫ বছরের উচ্চ-আদালতে ওকালতি করার অভিজ্ঞতা সম্পন্নরা কর্ম কমিশনের নির্ধারিত স্পেশাল পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে পারবেন। বিচারবিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে স্বাধীন থেকে কাজ করবে।
১০. স্বাধীন ও শক্তিশালী কর কমিশন:
দেশের সকল মানুষকে প্রত্যক্ষ করের আওতায় আনা হবে। ভ্যাটের নামে একটি অকার্যকর এবং অবৈধ কর আদায় পদ্ধতি বাতিল করা হবে। একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী কর কমিশন থাকবে। কমিশনে পাঁচ জন কমিশনার থাকবেন। লটারির মাধ্যমে একজন হবেন প্রধান কর কমিশনার। তাদের মেয়াদ হবে ৩ বছর। রাষ্ট্রপতি কর কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন। মন্ত্রী, আমলা, আর্মি অফিসার, বিচারপতি, উকিল, ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, সকল পেশার সবাই সরাসরি করের আওতায় থাকবেন। শ্রেণী ও পেশা এবং বেতন কাঠামো অনুসারে কর ধার্য করা হবে। একজন কৃষক তার বাৎসরিক কৃষি উৎপাদনের গড় হিসাব থেকে কর দেবেন। একজন শ্রমিক তার মাসিক আয়ের গড় হিসাব থেকে কর দেবেন। ভ্যাটের নামে প্রাইভেট খাতে অবৈধ কর আদায়ের বিদ্যমান ব্যবস্থা বাতিল করা হবে। সরকার অর্থ বছরের শুরুতে করের আওতা ও পরিমাণ ঠিক করে দেবেন। তিন মাসের মধ্যে করের আওতায় যারা আসবেন, তাদের কর পরিশোধ বাধ্যতামূলক। এখানে কোনো কর অবকাশ বা কর প্রদানের তারিখ পিছানোর কোনো বিষয় থাকবে না। যারা কর পরিশোধে দেরি করবেন, তাদের জরিমানা হবে। যারা জরিমানা পরিশোধ করবেন না, তাদের সাজা হবে। কর আদায়ে কোনো ধরনের ছাড় রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়ার বিধান থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে চৌকিদার পর্যন্ত যে যে হারে করের আওতায় পড়বেন, তাকে সেই কর নির্ধারিত তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
আপাতত এই দশ দফা বাংলাদেশে কার্যকর করা গেলে, আর তা যদি আগামী ২০ বছর চালু রাথা যায়, তাহলে বাংলাদেশকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। কিন্তু তার আগে হরতালের মত কিছু জিনিস আইন করে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। যদি আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসি, যদি আমরা দেশের উন্নয়ন চাই, তাহলে সহিংস আন্দোলন পরিহার করে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে গঠনমূলক রাজনীতিতে আসতে হবে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। দেশের বিদ্যমান পুলিশ ব্যবস্থা দিয়ে আইন শৃঙ্খলা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা বিগত ৪২ বছরে সম্ভব হয়নি। সেনাবাহিনীকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়ার কারণ, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনা। সেনাবাহিনী সরাসরি কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। সেটাও করা যেতে পারে। তবে সেনাবাহিনীকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আসবে এটা প্রায় নিশ্চিত।
হ্যা, পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে পুলিশকে আরো শৃঙ্খলার মধ্যে এনে, পুলিশের চারিত্রিক দোষ দূর করতে একটু সময় লাগবে বটে। সেনাবাহিনীর সরাসরি অধীনে থাকলে পুলিশ দুর্নীতি করতে আর সাহস পাবে না। পুলিশকে ধীরে ধীরে সাদা পুলিশে রূপান্তর করা যেতে পারে। একটি শান্তিপূর্ণ দেশে সাদা পুলিশের দরকার, যারা জনগণের সেবা করবে। আর আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ডান্ডাবাড়ির আর কোনো বিকল্প বাংলাদেশে নেই।
সংসদের মেয়াদ ৪ বছর করার উদ্দেশ্য, ক্ষমতার লোভ কমানো। পাশপাশি জনগণ খুব কম সময়ের মধ্যে নতুন সরকার বেছে নিতে পারবে। কারণ, পাঁচ বছর অনেক দীর্ঘ সময়। আবার ঘন ঘন নির্বাচন অনেক খরচের ব্যাপার। তাই ৪ বছর মোটামুটি সহনীয় সময়।
আর নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য ৮ বছর মেয়াদের কথা বলেছি। এতে তারা নির্বাচনী ব্যবস্থার একটা দীর্ঘমেয়াদী কাজ করতে পারবে। অন্তত দুইটি জাতীয় নির্বাচন যাতে একটি কমিশন করতে পারে, সেজন্য এই প্রস্তাব।
ধন্যবাদ আপনাকে। আসল কথা, আপনি যদি দেশকে ভালোবাসেন, দেশকে ঢেলে সাজাতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু আপনার যদি ক্ষমতার লোভ থাকে, অর্থের লোভ থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, তাহলে কোনো ব্যবস্থাই স্থায়ী টীকা হবে না অন্তত বাংলাদেশে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: চমৎকার কিছু দাবী উঠে এসেছে
তবে নাম্বার এক এ সেনাবাহিনীকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে । তার বদলে কি পুলিশ প্রশাসনে শুদ্ধিকরণ অভিযান চালনা করে তাদের আরও উপযুক্ত এবং শক্তিশালী করা সম্ভব নয় ? বাইরের দেশ এই বিষয়ে কি রকম বেবস্থা নিয়েছে ? তাদের কাছ থেকে আনুমানিক একটা মডেল দেখা যায় । সেনাবাহিনীকে এতোটা ক্ষমতা দিলে স্থানীয় সরকার বা সংসদীয় সরকার কি ঠিক মতো তাদের কাজ করতে পারবে ?
আর সংসদ কেন ৪ বছর সেটা ঠিক পরিষ্কার হয়নি । ৫ বছরের সাথে ৪ বছরের পার্থক্য তুলে ধরলে হয়তো বুঝতে সুবিধা হত ।
তথাপি কিছু প্রস্তাব ভালো লেগছে ।
ধন্যবাদ