নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
আন্তর্জাতিক মিডিয়া বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন খেলায় মেতেছে। ১৯৭১ সালে যে বিবিসি (ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশান) মুক্তিযুদ্ধের অনেক দুঃসাহসী খবর প্রচার করেছিল, সেই বিবিসি এখন দালালের ভূমিকায় নেমেছে। একাত্তরের মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হবার পর থেকেই বিবিসি প্রকাশ্যে এই চাতুরতার আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। তাই আমেরিকান মিডিয়া'র খবরেও তখন পাকিস্তানী জয়গান শোনা যেত। তখন বিবিসি অনেকটা নিরপেক্ষ সংবাদ প্রচার করে বাংলাদেশের কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছিল। কিন্তু পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় বিশেষ করে নাই ইলেভেনের পর থেকে বৃটেন হয়ে গেছে আমেরিকার প্রকাশ্য দালাল। সেই দালালি ব্রিটিশ সরকারের মিডিয়া বিবিসিকেও গ্রাস করেছে। বাংলাদেশ নিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের মনগড়া মিথ্যা খবর প্রচার করছে।
বিবিসি সংলাপের নামে বাংলাদেশে বিবিসি কি করছে? বাংলাদেশকে স্বীকার করে না বা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় এমন সব ব্যক্তিদের নিয়ে নানা ধরনের বিরূপ প্রচারণা চালাচ্ছে বিবিসি। অনেক সময় সেই প্রোগ্রামে সরকারের মন্ত্রী বা সরকারি দলের বড় বড় নেতাকেও উপস্থিত করে তাদের নাজেহাল করার চেষ্টার মাধ্যমে সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে বিবিসি। মূলত জামায়াতে ইসলামী'র টাকায় আর বিএনপি'র প্রণোদনায় বিবিসি এই অনুষ্ঠান করছে। সেখানে দর্শক সারীতে যারা উপস্থিত থাকছে, তাদের প্রশ্নের ধরন দেখেই বোঝা যায়, এই বিবিসি সংলাপের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য আসলে কি? বিবিসি সুস্পষ্টভাবেই বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রপাগাণ্ডা চালাতে এ ধরনের অনুষ্ঠান করছে। সেখানে সরকারি ও বিরোধী দলের নেতাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে সরকারের সমালোচনা করা এবং বাংলাদেশের ভাবমুর্তি বহির্বিশ্বে খাটো করাই বিবিসি সংলাপের একমাত্র উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশের কিছু প্রাইভেট চ্যানেল টাকার লোভে সেই অনুষ্ঠান আবার লাইভ ব্রডকাস্ট করছে। এছাড়া জনসাধারণের বাড়তি নজর কাড়ার জন্য সেই অনুষ্ঠান আবার পুনঃপ্রচার করা হচ্ছে। সরকারি দলের নেতারা বিবিসি'র এই পক্ষপাতিত্ব বুঝতে পেরেও সেটি আমলে নিচ্ছেন না বরং টেলিভিশনে চেহারা দেখানো প্রতিযোগিতায় ডাক পেলেই হাজির হচ্ছেন। বিবিসি সংলাপের নামে আসলে বাংলাদেশে জামায়াত-বিএনপি তাদের টাকায় কেনা বিবিসিকে সুকৌশলে ব্যবহার করছে। সেই প্রচারে বাংলাদেশ সম্পর্কে যে নেতিবাচক খবরগুলো বহির্বিশ্বে প্রচার হচ্ছে, সেটিকে পুঁজি করেই পাকিস্তান পন্থী এই জোট তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করছে।
যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর বিবিসি প্রচার করেছে, বাংলাদেশের সরকার ইসলামী নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। সেখানে একাত্তরে কাদের মোল্লা'র ভূমিকাকে বরং অনেকটাই অনুল্লেখ করা হয়েছে। বিবিসি'র সঙ্গে সুর মিলিয়ে রয়টার্সও একই সুরে কথা বলেছে। আর ইসলাম পন্থী আল জাজিরাতো আরেক ডিগ্রি এগিয়ে প্রচার করেছে যে, বাংলাদেশে বিরোধী দলের ইসলামী নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে আল জাজিরা একাত্তরের মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী মাঈনউদ্দীনের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছিল। সেখানে মাঈনউদ্দীন অনেক মিথ্যাচার করেছেন।
একাত্তরের মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের অনেকেই আমেরিকা ও বৃটেনে পালিয়ে আছে। তারা আমেরিকা ও বৃটেনের সরকারি সহযোগীতা নিয়েই পালানোর সুযোগ পাচ্ছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর বঙ্গবন্ধু'র অনেক খুনি আমেরিকা, বৃটেন ও তাদের মিত্র দেশে পালিয়ে আছেন। তাদেরকে আইনের আওতায় যাতে বাংলাদেশে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো না যায়, সেই দরকষাকষি করছেন তাদের দূতাবাসগুলো। অনেকে সেই বিচারের সঙ্গে নানান শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন। একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধীদের যারা সেসব দেশে এখনো পালিয়ে আছেন, তাদেরও অনুরূপ প্রতিরক্ষা দেবার জন্য এইসব দেশ ও তাদের মিত্ররা এখন তৈরি। পাশাপাশি সেসব দেশের মিডিয়াগুলো ইসলাম পন্থী ও পাকিস্তানের মিত্রদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এখন বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রকাশ্যে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে।
বিবিসি, রয়টার্স, সিএনএন, আল-জাজিরা, ডন, এবং তাদের মিত্র মিডিয়া গুলো দল বেধে খুব আটসাট বেঁধেই প্রকাশ্যে এই মিখ্যাচার এবং নেতিবাচক সংবাদ প্রচারে একটি সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়েই নেমেছে। সেই উদ্দেশ্যটি ধীরে ধীরে পরিস্কার হচ্ছে, সেটি হল বাংলাদেশকে তারা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে দেখতে চায় না। এটাকে তারা এখনো দ্বিতীয় পাকিস্তান হিসেবে দেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো অনেকটা জোটবদ্ধ হয়েই এই অপপ্রচার চালাতে ভূমিকা পালন করছে। আর সেই ভূমিকা'র পেছনে একদিকে আছে জামায়াত- শিবির-বিএনপি, আরেকদিকে আছে পাকিস্তানের আইএসআই। পাশাপাশি কিছু দেশীয় মিডিয়া বুঝে বা না বুঝে অথবা মুনাফার লোভে সেই ফাঁদে পা দিয়ে তাদের সেই অপপ্রচারে সমান তালেই ভূমিকা পালন করছে।
চ্যানেল আই একদিকে বলছে হৃদয়ে বাংলাদেশ, আরেকদিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে সেই চ্যানেলটি সরাসরি ভূমিকা পালন করছে মুনাফার লোভে। দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে এভাবে নিলর্জ্বের মত ভূমিকা রাখার জন্য চ্যানেল আইকে একদিন বাংলাদেশের মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এদের এক পা বাংলাদেশের বুকের মধ্যে আরেক পা বিদেশী বুর্জোয়া শ্রেণীর কার্পেটের নিচে। ফলে মুনাফার বাইরে তাদেরকে নানান চেহারায় নানা ভাবে দেখা যাচ্ছে। চ্যানেল আই মুক্তিযুদ্ধের বিরত্ব গাঁথা প্রচার করে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করার চেষ্টা করার পাশাপাশি এই অপকর্মটিও খুব চতুরতার সাথেই করে যাচ্ছে। ফলে বিবিসি, আল-জাজিরা, সিএনএন বা চ্যানেল আই-কে সাদা চোখে আলাদা করা যাচ্ছে না। কিন্তু খুব গভীরভাবে এদের কার্যকলাপ নিয়ে বিশ্লেষণ করলেই একটি অদ্ভুত মিল পাওয়া যাবে। সেই মিলটি হল মুনাফা লোটার জায়গাটি। দেশপ্রেম এদের কাছে একটি টুলস। এই টুলসটি ব্যবহার করে ব্যবসা করতে সুবিধা অনেক বেশি। এতে সরকার বা বাংলাদেশের সরধারণ মানুষের কাছে এদের ভেতরের আসল চেহারাটি সব সময় অনাবিস্কৃতই থেকে যায়।
কর্পোরেট মুনাফার নামে এরা দলবেঁধে দেশের অর্জন নিয়ে ব্যবসায় নেমেছে। পাশাপাশি খুব সাবধানে এবং কৌশলে অপপ্রচারটি করছে যাতে কেউ এদের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে সক্ষম না হয়। চ্যানেল আই বিবিসি সংলাপ প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের নেতিবাচক খবর বহির্বিশ্বে প্রচারে সরাসরি ভূমিকা পালন করে একটি অপরাধ করে যাচ্ছে। এই অপরাধটি মিডিয়ার স্বাধীনতা'র নামে বেশ সুকৌশলেই করা হচ্ছে। এর আড়ালের হিসেবটি বড় জটিল আর নেতিবাচক। যদি চ্যানেল আই সত্যিকার ভাবেই হৃদয়ে বাংলাদেশ নামের শ্লোগান ধারণ করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, তাহলে চ্যানেল আই বিবিসি সংলাপের নামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারেও ভূমিকা পালন করছে। চ্যানেল আইয়ের এই দুমুখী চরিত্রটি খুবই বিপদজনক। এটি রাষ্ট্রের জন্য তো বটেই বাংলাদেশের ভাবমুর্তির জন্য বিশাল একটা চ্যালেঞ্জ।
আমরা আশা করি, কোনো ধরনের মুখোশের আশ্রয় না নিয়ে চ্যানেল আই হয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারিত নেতিবাচক বিবিসি সংলাপ প্রচার বন্ধ করবে, নইলে তারা যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোনো মিডিয়া নয়, সেটি প্রকাশ্যে ঘোষণা করবে। আমরা বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স, আল-জাজিরার দেশীয় এজেন্ট চ্যানেল আইয়ে আর বিবিসি সংলাপের নামে মিথ্যাচার প্রচার দেখতে চাই না।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩০
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
চোর বাটপার সে যে দলেরই হোক, আমি তাদের ঘৃণা করি। আর আমি কোনো আওয়ামী লীগের সমর্থক নই, সেটাও মনে করিয়ে দিতে চাই। আমি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক।
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৪
HHH বলেছেন: ঠিকই কইছেন ভাই। জামাতের টাকা খাইছে বিবিসি, আল জাজিরা, জন কেরি, বান কি মুন, তারাঙ্কো, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ৬ কংগ্রেস ম্যান সহ আরো অনেকে। তাদের টাকা এতো কম পরছে যে জামাত আর বিএনপির কাছে টাকা খাইয়া তাদের জন্য কামলা খাটতেছে।
তা, আপনারা গত ৫ বছর যে শেয়ার মার্কেট, হল্মার্ক, ডেস্টিনি টেন্ডারবাজি, কুইকরেন্টাল কইরা এতো এতো টাকা কামাইলেন সেগুলা এদের কিছু খাওয়ান। দেখবে এরা আপনাদের জন্য কামলা দিবে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩০
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
চোর বাটপার সে যে দলেরই হোক, আমি তাদের ঘৃণা করি। আর আমি কোনো আওয়ামী লীগের সমর্থক নই, সেটাও মনে করিয়ে দিতে চাই। আমি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক।
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮
বিখ্যাত লোক বলেছেন: বাংলাদেশের একশ্রেণীর লোক(ভারতীয় চামচা/বঙ্গশত্রুর) সমর্থকরা মনে করে বাংলাদেশটা শুধু তাদেরই, আর ভারতের/আম্লীগের বিপক্ষে গেলেই রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী ইত্যাদি ইত্যাদি। বাদ দেন ঐসব কথা, আম্লীগ যে একটা মানুষের চেতনা ব্যাবসায়ী দল সেটা বাংলার মানুষ বুঝে গেছে। এথানে ভালো না লাগলে আপনার দাদার দেশ ভারতে চলে যান।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩০
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
চোর বাটপার সে যে দলেরই হোক, আমি তাদের ঘৃণা করি। আর আমি কোনো আওয়ামী লীগের সমর্থক নই, সেটাও মনে করিয়ে দিতে চাই। আমি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক।
৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২
খন্দকার আরাফাত বলেছেন: আ তে আন্তর্জাতিক মিডিয়া তুই রাজাকার তুই রাজাকার
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
চোর বাটপার সে যে দলেরই হোক, আমি তাদের ঘৃণা করি। আর আমি কোনো আওয়ামী লীগের সমর্থক নই, সেটাও মনে করিয়ে দিতে চাই। আমি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক।
৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫০
তিক্তভাষী বলেছেন: শীগগির বাকশাল-২ গঠন করে বিবিসি ও চ্যানেল আইসহ সব মিডিয়া নিষিদ্ধ করা হোক। বিটিভি ও ৭১টিভির আরো শাখা খোলা হোক।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩২
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
চোর বাটপার সে যে দলেরই হোক, আমি তাদের ঘৃণা করি। আর আমি কোনো আওয়ামী লীগের সমর্থক নই, সেটাও মনে করিয়ে দিতে চাই। আমি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক।
৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এতদিন শুনতাম বাংলাদেশের সব নষ্টামির মূলে চ্যানেল আই। মানে যত সুন্দরী প্রতিযোগীতা আছে আর কি! এখন দেখছি তারা জামায়াতের দালালে পরিণত হয়েছে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩২
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
চোর বাটপার সে যে দলেরই হোক, আমি তাদের ঘৃণা করি। আর আমি কোনো আওয়ামী লীগের সমর্থক নই, সেটাও মনে করিয়ে দিতে চাই। আমি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক।
৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৩
কষ্টবিলাসী বলেছেন: No difference between goat and ghatok. Certainly, a goat's brain will think like a goat.
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
রেজা ঘটক বলেছেন: ওরে আমার বুদ্ধিমান রে...
৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৩
পাগলা দাশু০০৭ বলেছেন: এই ছাল বাল না লেইখা ঘটকালি ধরেন......... টুপাইস আইব পকেটে...... বিবিসিরতো তেকা কম পড়সে......
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
চোর বাটপার সে যে দলেরই হোক, আমি তাদের ঘৃণা করি। আর আমি কোনো আওয়ামী লীগের সমর্থক নই, সেটাও মনে করিয়ে দিতে চাই। আমি বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক।
৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
রেজা ঘটক বলেছেন: একটা জিনিস খেয়াল করলাম, দেশে অনেক আল-জাজিরা প্রীতি'র লোকজনের উদ্ভব হয়েছে। আর এরা যুক্তিতে না থেকে সরাসরি ব্যক্তিগত আক্রমণকেই বেশি পছন্দ করে। যেমন জামায়াত শিবিব সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ করে বলছে আন্দোলন। আর বিএনপি সহিংস আন্দোলন করে বলছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। চরিত্রে কোনো পার্থক্য নাই। দুটোই পাকিস্তানের খাস এজেন্ট। শুধু মুখোশ পড়ে আছে।
১০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
বাংলার আকাশ বলেছেন: tumi ekta BAL, jeta boro hole soto korte hoi.
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
রেজা ঘটক বলেছেন: বুঝতে পারছি আপনি কোন আকাশের ছদ্মবেশী!!!
১১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: রেজা ঘটকের কাছে এমন ফালতু পোষ্ট আশা করিনি। মনগড়া কাহিনী বলে গেলেন ভাইজান।
"বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ" অনুষ্ঠানটি বিবিসি বাংলা সার্ভিস ও চ্যানেল আইয়ের একটা যৌথ প্রযোজনা। এই অনুষ্ঠানটি যখন প্রথম শুরু হয় (সম্ভবত ২০০৫/২০০৬ সালে) তখন ৮টি পর্ব হয়েছিলো, শুরুর সময় থেকেই এই অনুষ্ঠানের সাথে আমি যুক্ত ছিলাম। ২০০৭ইং থেকে ২০১৩ প্রথম পর্যন্ত বাংলাদেশ সংলাপের টেলিভিশন প্রযোজক(পরিচালক) হিসেবে কাজ করেছি। কাজ করার কারনে এই অনুষ্ঠানের প্রত্যেকটা ব্যাপার আমি খুব ভাল করে জানি বলেই মনে করি। আমি দাবি নিয়ে বলতে চাই যে, "বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ" অনুষ্ঠানটি সম্পুর্ণ নিরপেক্ষ একটি অনুষ্ঠান, এখানে একপেশে কোন আলোচনা বা কোন বিশেষ গোষ্ঠির প্রতিকুল বা অনুকুলে কথা বলার দালালী করা হয় না।
প্রশ্নের ধরন, প্রশ্ন বাছাই থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি কাজ খুব সতর্ক ভাবে করা হয়। দালালী করার কোন সুযোগ এখানে নেই বা এখানে সাজানো কোন প্রশ্নকারী ভাড়া করে আনার সুযোগ নেই। এসব কারনে "বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ" শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সমান জনপ্রিয়।
রেজা ভাই কেন এমন পোষ্ট দিলো বুঝতে পারছিনা, তবে মনে হচ্ছে আঁতে ঘা লাগছে! বিএনপি সরকারের সময় এ অনুষ্ঠানে যেমন প্রশ্ন করা হতো আলীগের বর্তমান সময়েও তা হচ্ছে। সরকারের অসংগতি,অনাচারের বিরুদ্ধে আগেও দর্শক প্রশ্ন করতো এখনো করছে। এখন আলীগের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করলেই যদি অন্যায় হয় তবে বলার কিছু নাই। দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অনুষ্ঠানটি বিবেচনা করলে ভুল হবে জনাব।
বিগত বিএনপি সরকারের সময়ে এক দর্শক তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে উপস্থাপককে বলেছিলো "আপনার ডানপাশে বসে আছে একজন চোর" !! এখন কি এর চেয়েও বাজে প্রশ্ন দর্শক করছে?? অসংগতি , দুর্নিতীর বিরুদ্ধে কথা বললেই কি অনুষ্ঠান খারাপ হয়ে গেল!!
বড় আজব দুনিয়া.....দলীয় সংকির্ণতার বাইরে আমরা বের হতেই চাইনা সে আমি অধম হই বা হাই-প্রোফাইল জ্ঞাণী জনাব রেজা ঘটক হোক।
শেষে একটা কথা বলি "বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ" অনুষ্ঠানে বিএনপি বা আলীগ কোন দলকেই দর্শক ছেড়ে কথা বলেনা। এবং যারা প্রশ্ন করেন তারা সবাই সাধারন মানুষ, কোন দলের ভাড়া করা দালাল এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেনা, বিশ্বাস না হলে মি.রেজা ঘটক নিজে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আমার কথার সত্য-অসত্য প্রমান করে আসতে পারেন। যদি চান তবে "বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ" এ অংশ নেয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারি।
অনেক বললাম ... ভাল থাকবেন এবং দলীয় দৃষ্টি দিয়ে সব বিচার করবেন না আশাকরি.....
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
রেজা ঘটক বলেছেন: জনাব মতিউর রহমান মিঠু আপনাকে ধন্যবাদ.
ব্রিটিশ আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদী চরিত্রের মুখোশ উন্মোচিত হতে একটি দীর্ঘ সময় লাগে। যারা এর সঙ্গে যুক্ত হয়,তাদের কাছে এটি নিরপেক্ষ বলেই মনে হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ, এদের মোটিভের মধ্যে এক ধরনের ব্যালান্সের প্রক্রিয়া রেখেই অনুষ্ঠান নির্মাণ করা হয়। সেই ব্যালান্সের ফাঁক গলিয়ে আসল ব্রিটিশ-আমেরিকান চরিত্র খুঁজে পাবার জন্য আরো গভীরভাবে চিন্তা না করলে সাদা চোখে এটাকে নিরপেক্ষ অনুষ্ঠানই মনে হবে।
বিএনপি'র আমল বা আওয়ামী লীগ আমল বলে এই অনুষ্ঠানকে নিরপেক্ষ করা যাবে না। এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্যই হল বিদ্যমান বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি ছোট করা। সেটা বিএনপি আমলেও হয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলেও হয়েছে।
আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠার আন্দোলন যেমন আমি সমর্থন করি না, তেমনি বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানোর আন্দোলনকেও সমর্থণ করিনা। এমনকি ছাত্রলীগের/ছাত্রদলের, যুবলীগের/যুবদলের টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, খাসজমি দখল, হল দখলের রাজনীতিকেও আমি ঘৃণা করি। আওয়ামী লীগকে আমি ধোয়া তুলশি পাতা কখনোই বলিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে এই দেশটিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ার জন্য সবচেয়ে বড় দায় রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের ঘাড়েই বর্তায়। কারণ, ৭৫'এর পট পরিবর্তনের পরে বন্দুকের উৎস থেকে প্রতিক্রিয়াশীল যে রাজনৈতিক ধারাটির প্রবর্তন, তাদের কাছে সেই দাবী তোলাও নৈতিকভাবে দুর্বলতার সামিল।
নীতি ও আদর্শের বিচারে বর্তমান আওয়ামী লীগ ও বিএনপি'র চরিত্রে তেমন কোনো প্রধান পার্থক্য নেই। একজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সেটা নিয়ে দলীয় স্বার্থ আর ভোটের রাজনীতি করছে। আরেকজন স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির সাথে কাঁধ মিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে, দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে নাশকতা করছে।
আওয়ামী লীগের নের্তৃত্বে যেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই দলটি যখন ক্ষমতায় তাদের হাতেই সেই দায়িত্বটি এবং তার দায় সবচেয়ে বেশি বর্তায়।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাদের মোল্লার ফাঁসির পর যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, উচিত ছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দল থেকেই তার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করা। কিন্তু সেটি হয়নি। এমনকি আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এটা দুঃখজনক। তার মধ্যে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার যে অনুষ্ঠানটি হচ্ছে, সেটি একটি ব্রিটিশ আমেরিকান নীল নকশার অংশ।
জনাব মিঠু, আপনি ওই অনুষ্ঠানের যতো বড় ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করেন না কেন, সেখানে আপনি শুধু রুটিন ওয়ার্ক করেছেন, তাদের নীতি বাস্তবায়নে চাকরি করেছেন, আপনার এর বাইরে কোনো ক্ষমতাই ছিল না। আপনি সংকীনতার উর্ধ্বে উঠে তা বোঝার চেষ্টাও করেনি যা দুঃখজনক। অথচ এই লেখাটি আমি না লিখে যদি আপনি লিখতেন, তাহলে ভেতরের আরো অনেক গুমর হয়তো ফাঁস হত। কেঁচো খুড়তে যে সাপ বের হবে সেটি-ই আমি বলার চেষ্টা করেছি। এখন সেই কালো সাপ খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেশের আপামর দেশপ্রেমিক জনসাধারণের।
আমি কোনো দলের হয়ে বা কারো প্রতি অনুকম্পা নিয়ে এই লেখা লেখিনি। এটা আমার মনে হয়েছে কয়েকটি অনুষ্ঠান দেখার পর। ব্রিটিশ আমেরিকার একটি সাজানো নাটকে কিভাবে দেশের ভাবমুর্তি বিনষ্ট হচ্ছে আমি সেটিই বলতে চেয়েছি।
১২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫২
সালটু বলেছেন: এহন আবার নতুন ভং শুরু হইছে, সরাসরি হাম্বা কইতে লজ্জা পায় তাই কয় সচেতন, নিরপেক্ষ নাগরিক, তলে তলে কি আমরা কিছু বুজিনা। BAL আমাগো আবাল ভাবে!!! তয় অইডা আমি দেখিনা কারন সঞ্চালক কাউরে ঠিক মত কইতে দেয়না হে নিজেরে বেশী পণ্ডিত মনে করে, একবার তো মতিয়া আফা সেরাম ঝাড়ি দিছিল।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
১৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: যেমন জামায়াত শিবিব সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ করে বলছে আন্দোলন। আর বিএনপি সহিংস আন্দোলন করে বলছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। চরিত্রে কোনো পার্থক্য নাই।
লাঠি-বৈঠার আন্দোলনকে কি শান্তিপূর্ন বলবেন মি.ঘটক?? ১১ জন পুড়িয়ে মারা (কদিন আগে নানক,আজম গং খালাস পেলেন) কি শান্তিপূর্ন আন্দোলন ছিল?? বিশ্বজিৎ কি শান্তিপূর্ন কর্মের বলি!! অন্যকে দোষারোপ করার আগে একটু পেছনে তাকালে ভাল হয়।
অন্ধ না থেকে আমরা সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলা শিখি, তাতেই দেশের মঙ্গল হবে জনাব ঘটক...
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
সাদা সাদা কালোকে কালো বলা শিখেছি বলেই কথাগুলো বলেছি...
১৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯
সালটু বলেছেন: ভাই মিঠু , খালি খোঁচান কেন?
এমনিতেই টিভি তে উনাদের নেতাদের চেহেরা দেখলে কষ্ট হয়। কেমন বলদের পু...মত। তবে এখনও কথার চোপাট আছে। খালি পাত্র বাজে বেশী, উনিও তো তার বাইরে না ।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
১৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১২
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: চ্যানেল আই একদিকে বলছে হৃদয়ে বাংলাদেশ, আরেকদিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে সেই চ্যানেলটি সরাসরি ভূমিকা পালন করছে মুনাফার লোভে।
না জেনে আন্দাজে ঢিল মারা বন্ধ করেন মি.ঘটক। "বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ" অনুষ্ঠানের জন্য বিবিসি একটা টাকাও চ্যানেল আইকে দেয়না, তবে মুনাফা অবশ্যই হয় সেটা হলো দর্শকপ্রিয়তা TRP। ভাল একটা অনুষ্ঠান চ্যানেল আই এ সম্প্রচার হবে চ্যানেলের সুনাম হবে এ কারনে ৭টি ক্যামেরা, এডিটিং প্যানেল সহ সব যন্ত্রপাতি ও লোকবল দিয়ে কোন টাকা ছাড়াই অনুষ্ঠানটি যৌথ প্রযোজনায় হয়ে আসছে সেই শুরু থেকেই। যদিও বর্তমানে আমি বিবিসি বা চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে যুক্ত নেই তবুও সত্য যা তা বলবোই। সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সাহস আমার আছে বলেই মনে করি....
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
আন্তর্জাতিক রাজনীতি না বুঝলে আপনার সাথে এ নিয়ে কুতর্ক করার সময় আমার নেই
১৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৪
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: হাহাহা......ভাল বলছেন সালটু ভাই, আমি ক্ষ্যামা দিলাম....
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
পথহারা সৈকত বলেছেন: ৭১টিভির আরো শাখা খোলা হোক।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২০
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ
৭১ টিভি কোনো ধোয়া তুলশি পাতা না মোটেও
১৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
নষ্ট ছেলে বলেছেন: বাংলাদেশে এখন দুইটা দল আওয়ামী লীগ আর জামাত!
নিরপেক্ষ বা সচেতন নাগরিক বলে কিছু নাই। এইগুলা ছুপা আওয়ামী লীগ অথবা ছুপা জামাত। নিজেদের গা বাচাইতে নিরপেক্ষ, সচেতন নাগরিক আরো ালছাল অনেক কিছুই কয় এরা সবই সুবিধাবাদী! আপনি জামাত বিরোধী হলেই অবশ্যই আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট করতে হবে কিংবা আওয়ামী বিরোধী হলেই অবশ্যই জামাতকে সাপোর্ট করতে হবে।
পাকিস্থানি এজেন্ট এক সময় ছিল এখন নাই। কারণ এখন পাকিস্থান নিজেদের পাছা বাচাইতেই ব্যস্ত। এখন যা আছে সব ভারত কিংবা আমেরিকার এজেন্ট।
বাংলাদেশকে নিয়ে খেলেছে এখন ভারত আর আমেরিকা এবং সেটা অবশ্যই তাদের স্বার্থের জন্য। আপনি কাকে সাপোর্ট দিবেন?
আপনার শত্রুর শত্রু অবশ্যই আপনার বন্ধু। জামাত আপনার শত্রু হয়ে থাকলে আওয়ামী লীগ অবশ্যই আপনার বন্ধু। কিংবা উল্টাটা।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ। কিন্তু বিষয়টা মোটেও এত সহজ সমীকরণের নয়...
১৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
সীমাহীন ভালবাসা বলেছেন: রেজা ঘটক ভাই,,, আপনার রেখাটা পড়ে অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করেছিল তবে অনেকে মন্তব্য দিয়েছে সে সব মতামতে আমার কথাই প্রকাশ পেয়েছে তাই নতুন কিছু বলার নাই,,তবে একটা কথা বলতে মন চাচ্ছে ভাই জান যে যতগুলি মানুষ এখানে মন্তব্য করেছে সবাই আপনার লেখার প্রায় বিরোধিতা করেছে,, অবুঝ শিশুরা যুক্তি মানে না যা বলে তাই মানতে চায় বা মানাতে চায়,আপনি যদি ভাবেন আপনি ছারা সবাই ভুল তবে ধরেই নিতে হবে আপনি হয়তো অবুঝ শিশু নয়তো মাথায় সমস্যা আছে হিহিহি
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৪
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: সেই ৪৭ এর আগে থেকেই বাংলা আন্তর্জাতিক রাজনীতির বলি হয়ে আসছে। আসলে আমাদের কেউ বলি দিচ্ছে না বরং আমরা নিজেরাই বলি হওয়ার জন্য বসে থাকি।
আমাদের নিয়ে আমরাই ব্যবসা করে যাচ্ছি সেই ৪৭ এর পর থেকে যা ৭১ পরবর্তী সময়ে ভয়ংকর রুপ ধারন করছে এবং যার বলি ১জন জাতীর জনক অপরজন স্বাধীনতার ঘোষক।এর দায়টা কিন্তু অনেকাংশেই আমাদের।
স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও আমরা জাতীর জনক ও স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে টানাটানি করছি। যার যার প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা আমরা এখনো দিতে পারিনি। আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে দোষ দেয়ার আগে নিজেদের শুধরাতে হবে সেটা কি আমরা মোটেও ভাবি! মোটেও ভাবিনা কিন্তু দোষটা আমরা ঠিকই অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেই।
এসব বলছি বলে আন্তর্জাতিক রাজনীতি পক্ষে সাফাই গাইছি ভাববেন না, মনের দুঃখে কথাগুলো বললাম।
আমরা একটা নির্বাচন করতে পারিনা আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া, ব্যপারটা কি লজ্জাজনক নয়? কে ক্ষমতায় থাকবে আরকে থাকবেনা তা নির্ধারন করতে প্রকাশ্যে তৎপর আমাদের পার্শবর্তী দেশ!! এতবড় সাহস ঐ দেশকে কে দিয়েছে? উত্তর হলো আমরা দিয়েছি আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো এ সুযোগ করে দিয়েছে।
সুযোগ পেলেই শিয়াল হাঁস-মুরগী খাবে তা আমরা জানি, সুযোগটা না দিলেই হয়। আমরা আন্তর্জাতিক গোষ্টিকে নাক গলানোর সুযোগ তৈরী করে আমরা বসে আছি। দোষটা কিন্তু নিজেদেরই বেশি। আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের মধ্যে দেশপ্রেম এতো বেশি(?) যে নিজের লাভের জন্য দেশ গোল্লায় গেলেও তাদের কিছুই যায় আসেনা। কোন একটা দলের কথা আমি বলছিনা, প্রত্যেকটা দলের এই একই অবস্থা। শেয়াল তো সুযোগের অপেক্ষায় থাকবেই আমরা সুযোগ না দিলেই তো হয়...আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের সুযোগ না দিলেই হয়......
যাহোক, রেজা ভাই ঠিকই বলছেন যে আমি আন্তর্জাতিক রাজনীতি বুঝিনা, একদম সত্যি বলছেন ভাইজান..
অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকবেন।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমাদের নিজেদের ভুলগুলো আমরা নিজেরাই ঠিক করার জন্য যথেষ্ঠ। কিন্তু একাত্তরের পরাজিত অপশক্তির সঙ্গে আপোষ করে সেই ভুল ঠিক করা যাবে না।
২১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
তাজুল ভাবুক বলেছেন: আপনাকে ভোদাই আওয়ামীলীগ এর চামচা ছাড়া আর কিছু মনে হচ্ছে না।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ। গায়ে লাগছে মনে হয়...
২২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৫
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: একাজ্ঞরের পরাজিত অপশক্তির সঙ্গে আপোষ নয় এবং কথিত বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে মিলে আপোষ করলেও চলবেনা। দুটোই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ, নিজেদের স্বার্থ ছাড়া কেউ বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না।
৭১ এর পরাজিত অপশক্তির সঙ্গে আপোষ কোন ভাবেই কাম্য নয় আবার ভারতের প্রকাশ্য নাক গলানো আমাদের জন্য মঙ্গলজনক অবশ্যই নয়।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব যেভাবে নগ্ন দালালী করে গেল তা এক কথায় লজ্জাজনক। কোন রাষ্ট্রকে আমাদের অভ্যন্তরিন সমস্যায় এমন ভাবে দালালীর অধিকার দেয়া উচিত নয়। আর পাকিস্তান সংসদে যে বিল পাশ করেছে তার জন্য ঘৃণা জানাতেও ঘৃনা হয়।
ভারত আমাদের স্বাধীনতার জন্য সহযোগীতা করেছে তাতে কোন সন্দেহ নাই, তাই বলে ৪২ বছর ধরে তারা আমাদের সব ব্যাপারে নাক গলাবে এটা মেনে নেয়া যায়না। সিমানা সমস্যার সমাধান তারা করছেনা ইচ্ছে করে। একদিকে সিমান্ত হত্যা নিয়ে পতাকা বৈঠক হয় অন্যদিকে কাটাতারে ফেলানীর লাশ ঝুলে, এটা কি ধরনের বন্ধুত্বের নমুনা!! গঙ্গার পানি তো দুরের কথা তিস্তার পানিও আমাদের জন্য বন্ধ হয়ে গেলো, মমতার মন গলাতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি কিন্ত আমরা ভারতকে শুধু দিয়েই যাচ্ছি কিছু কিছু বিষয়ে মিনিমাম শুল্কও আমরা নিচ্ছিনা!! কেন এতো প্রেম ঐ কথিত বন্ধু রাষ্ট্রের প্রতি? ৪২ বছরেও কি ভারতের দায় শোধ হয়নি?? এই অতিপ্রেমও দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে অনেনি বা আনবেও না।
যাইহোক ৩য় কোন দেশ সে ভারত,পাকিস্তান বা আমেরিকা যেই হোক বাংলাদেশের অভ্যন্তরিন বিষয়ে তাদের হস্তক্ষেপ আমাদের জন্য বিন্দু পরিমান মঙ্গল বয়ে আনবেনা তা আমাদের মনে রাখতে হবে।
ধন্যবাদ রেজা ভাই, ভালো থাকবেন......
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪
মুহামমদ মিনহাজ বলেছেন: ময়না পাখি, যা কইতেছিলেন তা ভালাই লাগতেছিলো ! সৈল্লে কেমন জানি জোর পাইতে শুরু করছিলাম কিন্তু বিবিছি সংলাপ নিয়া কইয়া তো আমারে পুরা নেতেইয়া দিলেন !
যত্তসব চোর-বাটপার এম্প-মন্ত্রীগো লাইজ্ঞা এত্ত দরদ কিন্তু ভালা লক্ষন না