নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
সময় আর নদী স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। টাইম অ্যান্ড টাইড ওয়েট ফর নান। ছোটবেলায় এই কথাটি বহুবার শিক্ষকদের কাছে শুনেছি। একবার জীবেস স্যার এটা ভয়েস চেইঞ্জ করতে দিয়েছিলেন। কিছুতেই আমরা বুঝতে পারছি না কি করবো। পরে একটা ধামাচাপা দেবার জন্য খাতায় লিখেছিলাম- টাইম অ্যান্ড টাইড হ্যাজ নট বিন ওয়েটেড ফর নোবডি। কনফিউশান দূর করতে উইথ ইন ব্রাকেটে লিখেছিলাম ইভেন ইট'স পাস্ট, প্রেজেন্ট অর ইন ফিউচার। দেখে জীবেস স্যার মিটমিট করে হেসেছিলেন। পরে স্যার এটার এক্সাক্ট ভয়েস চেইঞ্জ করেছিলেন। সেটা এখন মনে করতে পারছি না। কারো জানা থাকলে আওয়াজ দিয়েন। এবার ধীরে ধীরে প্রসঙ্গে চলে যাই।
আবুল মনসুর আহমেদ (১৮৯৮-১৯৭৯) আমার খুব প্রিয় একজন লেখক। তাঁর লেখা রম্য উপন্যাস 'আয়না', 'ফুড কনফারেন্স', 'গালিভারের সফরনামা' ও 'আসমানী পর্দা' আমি খুব ইনজয় করেছি। তাঁর স্মৃতিকথা 'আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর' ও 'শেরে বাংলা হইতে বঙ্গবন্ধু' আমাদের ইতিহাসের অনেক না বলা কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি তিনি রাজনীতি করতেন। ছাত্র অবস্থায় তিনি নেতাজী সুভাস চন্দ্র বোসের নের্তৃত্ব কংগ্রেস মুভমেন্টে যোগ দেন। পাকিস্তান আন্দোলনে তিনি একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে তিনি বেঙ্গল মুসলিম লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহারের তিনি একজন অন্যকম রূপকার। ওই নির্বাচনে তিনি ময়মনসিংহের ত্রিশাল আসন থেকে যুক্তফ্রন্টের সাংসদ নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে তিনি শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ইউনাইটেড ফ্রন্ট মন্ত্রীসভায় প্রাদেশিক শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তারপর ১৯৫৭ সালে আওয়ামী লীগ নের্তৃত্বাধীন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী'র মন্ত্রীসভায় প্রথমে তিনি কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী;র দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি উপপ্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। আইউব খান ক্ষমতা দখল করে তাঁকে কারাগারে বন্দী করে রাখেন। ১৯৬২ সালের দিকে তিনি জেল থেকে মুক্তি লাভ করেন। সম্ভবত তখন থেকেই তিনি রাজনীতিতে আর ততোটা সক্রিয় ছিলেন না।
জনাব আবুল মনসুর আহমেদ ১৯৬০ সালে সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। আর ১৯৭৯ সালে তিনি অর্জন করেন স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। মূলত ১৯৬২ সালে জেল থেকে ছাড়া পাবার পর তিনি রাজনীতি যতোটা না সক্রিয় ছিলেন, তার চেয়ে বেশি পছন্দ করতেন পাকিস্তানকে। যে কারণে পরবর্তী সময়ে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থান আর ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর কি কি ভূমিকা ছিল, সেই ইতিহাস তেমন একটা পাওয়া যায় না। অনেকে দাবী করেন, উনি কারাগার থেকে বের হবার পরে রাজনীতি ছেড়ে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসের এই যে বড় বড় ঘটনাগুলো'র সময় ওঁনার মত একজন রাজনীতিবিদের অমন আশ্চার্যজনক নিরবতা কেমন একটু রহস্যজনক!
নাকি উনি খাস দিলে চাইতেন পাকিস্তান অখণ্ড থাকুক। নাকি উনি রাজনৈতিক নের্তৃত্বের মারপ্যাচে ঘায়েল হয়ে বিপক্ষ দলের ইনফরমার হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন? নাকি উনি পরে স্রেফ রাজনীতি থেকে নিজেকে মুক্ত করে কেবল সাহিত্য চর্চা করেছেন? কারণ, ওঁনার যে তিনটি আত্মজীবনী লিখেছেন সেগুলো ১৯৬৯, ১৯৭২ আর ১৯৭৮ সালে প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর যখন মোশতাক গংরা ক্ষমতায় চলে আসে, তখন থেকে ওনাকে আবার একটু একটু প্রকাশ্যে দেখা গেল! যার বিনিময়ে জেনারেল জিয়া ১৯৭৯ সালে ওঁনাকে স্বাধীনতা পদক দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন!!
এই যে বর্নচোরা একজন রাজনীতিবিদ জনাব আবুল মনসুর আহমেদ, তিনি কি সত্যিকারের বাংলাদেশ কখনো চেয়েছিলেন? পাকিস্তানের প্রতি যাঁর এতো প্রেম এতো আবেগ, সেই মানুষটি'র পুত্রধন আজকের দ্য ডেইলি স্টারের এডিটর জনাব মাহফুজ আনাম। কাজে কর্মে বড়োই বর্নচোরা। মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে ফেনা ছুটিয়ে ফেলেন। আর তলে তলে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা পাতান। বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে কিভাবে খুব সুক্ষভাবে খাটো করা যায়, সেই প্রচেষ্টায় এই বর্নচোরা লোকটি অবিরাম লেগে আছেন। সেই সুক্ষ মুখোশটি খালি চোখে ধরার উপায় নাই। মাইক্রোস্কোপ দিয়ে ডাবল ফ্রেমের চশমা লাগিয়েই কেবল সেই আসল মুখোশটির দেখা পাওয়া সম্ভব।
এই মাহফুজ আনাম একটি ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক। সময় সুযোগ পেলেই আওয়ামী লীগের ভুল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিএনপি ওনার চোখে ধোয়া তুলশি পাতা। এই মাহফুজ আনাম বাংলা একাডেমিতে তথাকথিত হে ফেস্টিভালের আয়োজক ও প্রধান আর্কিটেক্ট। এই মাহফুজ আনাম তার মেয়েকে একটি বুকার পুরস্কার জেতানোর জন্য লন্ডনের ব্যাংক ব্যালেন্স প্রায় নিঃশেষ করেছেন। এই মাহফুজ আনামের স্ত্রী একটি বড় আন্তর্জাতিক এনজিও'র নির্বাহী প্রধান। যেটি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, জাতিসংঘ, আইএমএফ সহ অন্যান্য দাতা সংস্থার কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে তথ্য পাচার করেন। বিনিময়ে বিশাল অংকের টাকা পান। এই মাহফুজ আনাম একটি চক্র তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, যেখানে সবাই তোষামোদী করে ফাই ফরমায়েস খাটেন।
তো মাহফুজ আনামকে আপনারা সবাই খুব ভালো করেই চেনেন। উনি খুব ভালো লেখেন। উনি যখন কোনো কলাম লেখেন, বুঝতে হবে সেখানে একটি শেয়ালের মুখোশ আড়ালে ছিল। সেই মুখোশটি যারা চেনে না, তাদের সহজে ওনার লেখার দায় বা উদ্দেশ্য বোঝানো যাবে না। আজ দ্য ডেইলি স্টারে উনি দশম সাধারণ নির্বাচন নিয়ে একটি অম্ল মধুর লেখা প্রসব করেছেন। সেই লেখার মর্মবাণী হল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করাই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে চরম ভুল। সেই চরম ভুলের মাশুল দেবার জন্য শেখ হাসিনাকে উনি নানান ওয়াজ নছিয়ত করেছেন। সেই ওয়াজে ওনার কাছে ভোটার মানেই পৃথিবীর ফেরেশতা। আর আওয়ামী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সাংসদ মানেই দুনিয়ার সবচেয়ে খারাপ প্রাণী।
জনাব মাহফুজ আনাম বর্নচোরা এটা জানতাম, কিন্তু উনি যে ইদানিং এক চোখে অন্ধ হয়ে আছেন, তা জানতাম না। ওয়ান ইলেভেনের একজন সুদক্ষ কারিগর হিসেবে মাহফুজ আনামের অনেক সুনাম। ওনার কাছে ভোটার মানেই হল সবচেয়ে রাজনৈতিক সচেতন জনগোষ্ঠী, যারা নির্বাচনে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে যাচাই বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীকেই নির্বাচিত করেন। জনাব মাহফুজ আনাম, ভোটারদের মহৎ ভাবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কিন্তু ভোটারদের সচেতন বলাটা মনে হয় একটু বাড়িয়ে বললেন।
বাংলাদেশের সাড়ে নয়টি সাধারণ নির্বাচন, দুইটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আর দুইটি হ্যা না ভোটের নির্বাচন এবং অসংখ্য স্থানীয় পরিষদের নির্বাচনের সুদীর্ঘ ইতিহাস, চর্চা, প্রয়োগ আর নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষন করলে এটা প্রায় সবাই বিশ্বাস করবেন, এখনো আমাদের ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়, এখনো জাল ভোট পড়ে, এখনো কেন্দ্র থেকে পুলিং এজেন্ট জোর করে বের করে দেওয়া হয়, এখনো ভোট বাক্স ছিনতাই হয়, এখনো ভোটারদের বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়, এখনো ভোটারদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে ভোট টানার নজির রয়েছে, এখনো ফলাফল পাল্টে ফেলার অবস্থা কোথাও কোথাও আছে, এখনো নির্বাচন কমিশনের দখল নেওয়া মানে সেই দলের ক্ষমতায় যাওয়া নিশ্চিত এই চর্চা আছে, এখনো দেশের প্রশাসন কোনো দলের পক্ষে কাজ করে, ইত্যাদি হাজারো রকমের কারবার ছাড়াও টাকা দিয়ে ভোট কেনার, বস্তি ভোটার, মোবাইল ভোটার কত হরেক রকমের ভোটারের ইতিহাস বাংলাদেশে। এটাই বাংলাদেশের বাস্তবতা। অথচ জনাব মাহফুজ আনাম এমন ভঙ্গিতে কথা কইলেন যে, সব বইয়ের ভাষা, বাংলাদেশে ভোটারাই কোনো একটি দলকে ক্ষমতায় বসায়!
তাহলে জনাব মাহফুজ আনাম অন্যসব মেকানিজম গুলো কি বাংলাদেশ থেকে চিরদিনের মত হারিয়ে গেছে বা উধাও হয়ে গেছে? আপনার দৃষ্টিতে বিএনপি'র একটিও খারাপ কাজ পড়লো না? বেগম জিয়ার একটি সিদ্ধান্তও আপনার চোখে বেঠিক নয়? চলমান সহিংস আন্দোলনও আপনার চোখে পুরাই ঠিক আছে? জামায়াত শিবিরের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা আপনার নজরে পড়েনি? আপনি কি দেশে আছেন? নাকি লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার লনে হাওয়া খেয়ে এসব লিখছেন? একটি সমস্যারও কোনো উল্লেখ নাই আপনার লেখায়। আর আপনি দাবী করছেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত এই সাংসদরা কিভাবে শপথ নেবেন আর সেই সংসদ কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে, তাই নিয়ে আপনি ভারী চিন্তিত! শেখ হাসিনাকে আপনি কিছু বিনা পয়সায় বুদ্ধিও দিয়েছেন। এগুলোকে যদি বুদ্ধি বলা যায়, তাহলে ডিকশোনারি থেকে 'কু' শব্দটি আগে ডিলিট করতে হবে।
জনাব মাহফুজ আনাম, আপনি এখনো বাংলাদেশকে যথাযথভাবে সম্মান করেন না। বরং বাংলাদেশের ভাবমুর্তি বিক্রি করার নানান ফন্দি ফিকির করেন। আপনি আওয়ামী লীগকে হাজারো গালি দেন কোনো সমস্যা নাই, কেউ বুল করলে গালি খাবে। কিন্তু বিএনপি আপনার কাছে ধোয়া তুলশি পাতা। আবার গণতন্ত্রের দোহাই ছাড়তে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক বিষয়টি খুব সুন্দর করে তুলে ধরতে ভোলেননি। ১৯৭৯ সালে জেনারেল জিয়া যে আপনার বাবাকে স্বাদীনতা পদক দিয়েছিলেন, তারই কৃতজ্ঞতা বুঝি এভাবে লিখে দেখানোর নিয়ম!!!
জনাব মাহফুজ আনাম, আপনি একটি বর্নচোরা মুখোশপড়া দালাল। মুখোশটি খুলে জনগণের কাতারে দাঁড়ান, দেখেন কেউ চিনতে পারে কিনা!!!!
২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:০৩
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: রাজনীতি ঘৃণা করেন সেটা কি আপনার রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব লুকানোর জন্য?
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৯
কাঙাল বলেছেন: আওয়ামী লীগের সমালোচনা করা যাবে না?
শেখ হাসিনা কি নির্বাচন নিয়ে তামাশা করছেন না?
যিনিই হাসিনার দোষগুলি শুধরানোর চেষ্টা করবেন, তাকেই দালাল বলবেন, এটাই আপনাদের চরিত্র? ছিহ্
একটা জিনিষ কি লক্ষ্য করেছেন, শেখ হাসিনার ভুল রাজনীতির শিকার এই দেশের গণতন্ত্র? আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে এবং হবে এই দেশকে, এই দেশের মানুষকে, আওয়ামী লীগকে আর শেখ হাসিনাকে।
দয়া করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একটু বোঝান। অবশ্য আপনাদের মত নিবেদিত প্রাণদের (!) কথাও যে তিনি শুনবেন সেই গ্যারান্টি নাই।
৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
নীলতিমি বলেছেন: আবাল !
৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০
এই আমি সেই আমি বলেছেন: এই বর্ণ চোরা মহারথী বানরের পিঠা ভাগের মত আগে দুইদিকে কামড়াত এখন শুধু একদিকে কামড়ান ।
৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: কেউ রাজনীতির বাইরে নয়, কোন স্বাভাবিক মানুষই অরাজনৈতিক নয়। মাহফুজ আনামের বিশেষত্ব হলো, তিনি দেশের নোংরা রাজনীতির ঘৃণ্য দিকটি বিশ্বস্ততার সাথে তুলে ধরেন। হয়তো সব কথা গ্রহণযোগ্য নয়, তবে তার যুক্তির প্রখরতা উপেক্ষা করা যায় না। তার লেখাগুলোতে থাকে প্রাসঙ্গিক তথ্য আর ঐতিহাসিক ভিত্তি।
আপনার লেখাগুলোতে আমি নিয়মিতই দৃষ্টি দেই। ভালো লাগে। কিন্তু আপনার আজকের লেখাটিতে আমি রীতিমত বিস্মিত হলাম। মাহফুজ আনামকে আপনি যে কায়দায় মূল্যায়ন করলেন, তাতে আপনার লেখাটি পুরোপুরি একটি ব্যক্তিগত ক্ষোভ-পত্রে পরিণত হয়েছে। আপনি এতো সংকীর্ণভাবে দেখেন, এটি দেখে আশ্চর্য হলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৭
puronodin বলেছেন: মাইনাস........