নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
বাংলাদেশে প্রতি বছর নৌপথে লঞ্চ ডুবি হবে, হাজার হাজার নিরীহ সাধারণ মানুষ মারা যাবে, এটাই এখন প্রচলিত রেওয়াজে পরিনত হয়েছে। লঞ্চ ডুবি নিয়ে ঘটনার পর কয়েকদিন মিডিয়া একটু উচ্চবাচ্য করবে। তারপর অন্য কোনো বড় ঘটনা বা অঘটন ঘটলে, মিডিয়াও লঞ্চ ডুবির খবরকে পাশ কাটিয়ে নতুন খবরের পেছনে ছুটবে। আর মানুষ এক সময় ভুলে যাবে লঞ্চ ডুবির সেই ভয়াল খবরের আহাজারি। কিন্তু লঞ্চ ডুবির পর বাংলাদেশের শাসকদের যেনোবা একটাই মাত্র কাজ, সেটি হল- এক বা ততোধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা, তাদের কিছু সময় সীমা বেধে দেওয়া। কিন্তু কী কারণে লঞ্চ ডুবি হল, কোথায় গলদটা, সেই অনুসন্ধানে খোদ সরকার বাহাদুরের কখনোই যেনো কোনো আগ্রহ নেই। অন্তত ইতিহাস এখন পর্যন্ত সেই সাক্ষ্যই দেয়। এর প্রধান কারণ কি? কারণ হল, লঞ্চ ডুবলে সাধারণভাবেই ধরে নেওয়া যায়, যে কিছু হাভাতের দল, কিছু না খাওয়া মানুষ, কিছু গরিব মানুষ, কিছু ছাপোষা কেরানির আন্ডাবাচ্চারা হয়তো ডুবেছে। ওরা ডুবে মরলে বা কি, ওরা জীবিত থাকলে বা কি! ওরা তো রাষ্ট্রের কোনো উপকারে আসে না। ওরা তো আর ধনির দুলাল নয়, ওদের দিয়ে তো আর রাষ্ট্রের বড় বড় কাজকাম করানো যেতো না। সুতরাং, উদ্ধারকাজ ঢিলেঢালাভাবে করলেই তো হল। গরিব মানুষ মরছে, তো কিছু শোকবার্তা দিলেই হল। নিয়ম-নীতি যা যা বহাল আছে, ভবিষ্যতেও গরিবদের জন্য ওই একই নীতি বহাল থাকবে। তোরা খালি কয়দিন একটু কান্নাকাটি কর... তারপর দেখবি দুনিয়া আবার ঠিক হয়া গ্যাছে গা।
গতকাল মাওয়াঘাট থেকে মাত্র ৬০০ গজ দূর থেকে প্রমত্ত পদ্মায় ডুবে যায় এমএল পিনাক-৬ লঞ্চটি। এই লঞ্চটির ধারণ ক্ষমতা ছিল মাত্র ৮৫ জনের। কিন্তু লঞ্চটি যাত্রী নিয়েছিল তিনশো'রও অধিক। দূরত্ব মাত্র ১৬ কিলোমিটার। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাট। ওপার গেলেই তো ফুলসুরাত পারায়া গোলাম গা। লঞ্চটি ডুবল কখন? গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে। আর উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তুম অকুস্থলে পৌঁছাল কখন? রাত সাড়ে আটটায়। কয় ঘণ্টা পর? মাত্র সাড়ে নয় ঘণ্টা পর। উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তুম কোথায় ছিল? বরিশাল। সেখান থেকে মাওয়া আসতে রুস্তুমের একটু সময় তো লাগবেই ভাই। উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তুম দিয়ে কি উত্তাল পদ্মায় উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হয়েছিল? না। না কেন? কারণ, রুস্তুমের মাওয়া পৌঁছাতেই রাত হয়ে গেছিল। তারপর রুস্তুম পৌঁছে সেখানে কি করল? কি করবে, নোঙ্গর গেড়ে পরদিন সকালের জন্য অপেক্ষা করেছিল। ও আচ্ছা, তাই বলুন। তা রুস্তুমে কি আধুনিক যন্ত্রপাতি কিছু আছে? নারে ভাই, রুস্তুমে আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকলে তো রাতেই কিছু কইরালাইতো। জানেন না, আমাদের উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা আর রুস্তুম হইল গিয়া আমাদের সেই প্রাচীন দিনের একমাত্র উদ্ধারকারী জাহাজ। তো এখনো যে রুস্তুম খবর পাইয়া ঘটনা স্থলে রওনা দিবার পারছে, হের জন্য তো রুস্তুমরে একটা ধন্যবাদ দেওন লাগে।
ভাই, আপনাগো কি আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে উদ্ধার করার মত কোনো উদ্ধারকারী জাহাজ নাই? কে কইছে নাই, আছে তো। দুই খান জাহাজ আছে, তয় ভাই একখানের নাম মনে নাই। আরেক খানের নাম কইতাছি, হের নাম নির্ভিক। তো ভাই, নির্ভিক মহাশয় কোথায় ছিলেন? উনি নারায়নগঞ্জে আছিলেন। কেন, উনি নারায়নগঞ্জে ছিলেন কেন? আপনে বুঝি জানেন না শীতলক্ষায় আলোচিত যে সাত খুনের লাশ পাওয়া গেল, হেইগুলা তো নির্ভিক মহাশয়ের কারণে দ্রুত আবিস্কার হইছিল। ও আচ্ছা, তো হের পর উনি ওইখানেই বইসা বইসা এতোদিন ডিম পাড়ছে? হে কথা মুই কইতে পারতাম না। হে কথা উপরের লোকজন জানে।
হুলনাম, তোমাগো মাওয়া ঘাটে নাকি সব সময় অন্তত একখান আধুনিক উদ্ধারকারী জাহাজ থাকার কথা। তো নির্ভিক কেন মাওয়া ঘাটে থাকলো না। এমনিতে ঈদের সময় পদ্মায় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, হেই কথা কি আমনের স্মার্ট মন্ত্রী খান বাহাদুর জনাব শাহজাহান খান সাহেব জানতেন না? হেই কথা মুই কেমনে কমু ভাই? হেয় তো মন্ত্রী মানুষ। অন্য সবাইগো মত হেয় তো ঈদ করতে ব্যস্ত ছিল। এই সামান্য ব্যাপারডা আমনে বোঝেন না।
তো আপনাগো আধুনিক উদ্ধারকারী জাহাজ এমভি দুর্ভিক মহাশয় মাওয়া ঘাটে নারায়নগঞ্জ থেকে কখন পৌঁছালেন? আজ সকালে হেয় পৌঁছাইছে। পৌঁছাই মাত্র পুরাদমে উদ্ধারকাজ শুরু করছে নির্ভিক মহাশয়।
হুনলাম আরেকখান উদ্ধার জাহাজ চট্টগ্রাম থাইকা রওনা হইছে, ওনারা মাওয়া আইতে কতক্ষণ লাগবে? আবহাওয়া যদি ভালো থাকে আইজ সূর্য থাকতে আইয়া পড়তে পারে। ও আচ্ছা...
তো এমএল পিনাক-৬ লঞ্চটি ডোবার পর কয় জন মানুষ জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হল? জীবিত অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জনকে উদ্ধার করা গেছে। তাইলে লঞ্চে যাত্রী যদি ৩০০-এর বেশি হয়, তাইলে ২২০ জনেরও বেশি মানুষের ভাগ্যে কি ঘটল, তা এখনো জানা গেল না, তাইতো? হ, হিসাবে তো হেইরম-ই মনে হয়।
ভাই, এমএল পিনাক-৬ এর ধারণক্ষমতা তো মাত্র ৮৫ জন। হেয় ৩০০-এর বেশি যাত্রী কেন নিল? আরে ভাই, ঈদের সময় না, দুই চাইরডা পয়সা কামাই করব না। এইডা বোঝেন না??
তো এমএল পিনাক-৬ লঞ্চের কি চলাচলের অনুমোদন ছিল? নারে ভাই, ঈদের সময় কি কোনো অনুমোদন লাগেনি? ঈদের সময় লঞ্চে খালি ঠিকমত স্টার্ট লইলেই হইল। জানেন না, ঈদের সময় সব পুরান অচল লঞ্চ রঙ কইরা চলাচলের উপযোগী করা হয়। কিন্তু ভাই নিয়ম বলে ইংরেজিতে একটা কথা আছে। এই যে ধরেন, নদীতে যদি ২ নাম্বার সতর্ক সংকেত থাকে, তখন কোন কোন লঞ্চ বা কি মানের লঞ্চ চলাচল করতে পারবে, হেইগুলা কি এমএল পিনাক-৬ লঞ্চের বেলায় খাটছে? আরে ভাই আপনি পাগল নি? নদীতে যদি ২ নাম্বার সিগন্যাল থাকে, তাইলে ৬৫ ফুটের কম লম্বা লঞ্চের চলাচল করা নিষেদ। কিন্তু এমএল পিনাক-৬ লঞ্চের দৈর্ঘ কত রে ভাই? ৫২ ফুট। তাইলে ওই হালায় কোন সাহসে পদ্মা পাড়ি দিল? ক্যান, কেওড়াকান্দি ঘাট থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ আর সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পারমিশান দিছে। হেরা চেক কইরা পাস দিলেই তো লঞ্চ ঘাট ছাড়ে।
তো ভাই, এই যে ৭০ থেকে ৮০ জনরে জীবিত উদ্ধার করলেন, এইডা কারা করলো? আপনেগো আধুনিক উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভিক মহাশয় নাকি রুস্তুম মহাশয়? আরে ধুরো ভাই, হেরা আইতে আইতে তো একদিন আর অর্ধেক দিন লাগাইলো। মাওয়া ঘাটে ২৫/৩০টা স্পিডবোট আছিল, হেরা দৌড় পাইরা গিয়া জাগো জাগো পারছে উদ্ধার করছে। আর স্রোতের বেগ জানেন মিঞা? হগ্গোল ঠেইল্লা লইয়া যায়। টেহোন যায় না। হেরাো ঘাটে না থাকলে তো কেউ আর বাঁচতো না।
তাইলে উদ্ধার করছে আসলে ঘাটের কাছাকাছি যারা ছিল হেরাই? হ ভাই, সরকারের উদ্ধারকারী জাহাজ সব সময় আসে লাশ উদ্ধার করতে। হেরা কখনো জীবিত মানুষ উদ্ধার করতে আহে না। বুঝছি, এইবার তোমার কথা বুঝছি।
আচ্ছা ভাই, মানুষ মরতে কতক্ষণ লাগে? এই ধরেন গিয়া দুই তিন মিনিট। এক সেকেন্ডের নাই ভরসা। আর আপনে ওই পদ্মার যৌবনের সময় স্রোতের ঠেলা দেখছেন, মিঞা? দেখলেই ধর ধাইকা পরান এমনিতেই পালায়।
ভাই, আপনারা নাকি নদীমার্তৃক দেশ? হ, বাংলাদেশ একটি নদীমার্তৃক দেশ এই কথা পৃথিবীর সক্কল মাইনষেই জানে। এইডা আবার নতুন কি জিগান? আপনের মাথা ঠিক আছেনি? না, কইতে চাইছিলাম কি, তাইলে আপনেগো দেশে প্রতি বছরই লঞ্চ ডোবে, প্রতি বছরই হাজার মানুষ লঞ্চ ডুবিতে মারা যায়। এইডা নিয়া আপনারা কেন একটা সমন্বিত ব্যবস্থাপনা মানে ম্যানেজমেন্ট নাইকা? আপনারা তো যুদ্ধজাহাজ কেনেন কোটি কোটি টাকা খরচ কইরা। যা আপনাগো কোনো পূজায় আজ পর্যন্ত লাগে নাই। ভবিষ্যতে লাগবে কিনা জানেন না। কিন্তু উদ্ধারকারী আধুনিক জাহাজ যদি আপনাগো মিনিমাম তিনশো ডা থাকে, কোনো দোষ আছে? আপনাগো তো যুদ্ধ জ্হাজ দরকার নাই, আপনাগো দরকার উদ্ধারকারী আধুনিক জাহাজ। প্রত্যেক ঘাটে ঘাটে মিনিমাম একটা কইরা থাকোন দরকার। যাতে দুর্ঘটনা ঘটলেই তরিৎ অ্যাকশানে যাওয়া যায়। আপনারা তা না কিন্না কেনেন যুদ্ধ জাহাজ, আপনাগো তো মাথাই নষ্টরে ভাই।
আপনারা কেনেন আধুনিক জঙ্গি বিমান। আপনাগো দরকার উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার। কিন্তু আনপারা জঙ্গি বিমান কিন্না বইসা আছেন। যা কোনো দিন কোনো পূজায় লাগবে না। কারণ, আপনারা তো স্বাধীন দেশ। পাকিস্তানরে যুদ্ধে হারিয়ে আপনারা স্বাধীন হইছেন।
ভাই, আপনার কথাবার্তা কিন্তু বেলাইনে যাইতাছে। আমনে বুঝি জানেন না, সরকার গতকাল জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার খসড়া অনুমোদন করছে। এইডা আবার কি ভাই? এইডা আইন। আপনারা টিভিতে টকশোতে গিয়া সরকারের বিরুদ্ধে কথা পারেন, পত্রিকায় সরকারের বিরুদ্ধে কথা কন, এইডা যাতে না কইতে পারেন, সেজন্য এই আইন হচ্ছে।
ধুরো ভাই, আপনে এইডা আগে কইবেন না। তাইলে কি আর আমি পদ্মায় লঞ্চ ডুবি লইয়া এতো প্যাঁচাল পারি। বরং দুই কথায় শোক জানিয়ে শোকার্ত পরিবারের উদ্দেশ্যে দুই কথা কইয়া ক্ষ্যামা দিতাম। ভাই, আইনের কথা বার্তা একটু আগে জানাইবেন। নইলে বোঝেন তো, দিনকাল কেমন খারাপ। বহেন, আপনে বইয়া বইয়া টিভি দেখেন, আমি গেলাম গিয়া....
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
অতঃপর জাহিদ বলেছেন: যে দিন বাংলাদেশ ডুবে যাবে সেদিন ও নিরব থাকবে প্রশাসন!
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এত যে লঞ্চডুবি হলো .....সেটির প্রতিরোধে কি ব্যস্থা নেয়া হলো জানা গেলনা। শত শত লোক এভাবে সলিল সমাধি হচ্ছে আর প্রশাসন কি করছে? এটা আজকের ঘটনা নয়।বহুদিন আগে থেকেই এমন হচ্ছে। এর একটা টেকসই বিহিত চাওয়াটা অযৌক্তিক নয় ।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯
বাঙ্গাল অ্যানোনিমাস বলেছেন: প্রশাসন এর কাছে আমাদের এইসব গিফট পাওয়া ছাড়া আর কিছু আশা করার আছেকি!
আমাদের দেশের প্রশাসন বইলা তো কথা!
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
যতই বেদনাতুর হোক না কেন, এটি একটি বার্ষিক লঞ্চডুবির নিয়মিত ঘটনা, যা অন্য যেকোন দেশে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। প্রতি বছরেই এরকম ঘটনা ঘটছে এবং এবং ঘটবেও। এর নাম পরিকল্পিত মৃত্যুযজ্ঞ। তদন্ত কমিটি করে অনেক কারণই বের হবে, শুধু কারণগুলো ধ্বংস করার কোন চেষ্টা হবে না। তারা এভাবে মৃত্যুকে করে তুলেছে দৈনন্দিন ঘটনা।
কতদিন ফাঁক দিয়ে বেঁচে থাকবেন?
আজ তাদের, কাল হয়তো আমার জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু ফাঁদ।
৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৩
ডি মুন বলেছেন: না, কইতে চাইছিলাম কি, তাইলে আপনেগো দেশে প্রতি বছরই লঞ্চ ডোবে, প্রতি বছরই হাজার মানুষ লঞ্চ ডুবিতে মারা যায়। এইডা নিয়া আপনারা কেন একটা সমন্বিত ব্যবস্থাপনা মানে ম্যানেজমেন্ট নাইকা? আপনারা তো যুদ্ধজাহাজ কেনেন কোটি কোটি টাকা খরচ কইরা। যা আপনাগো কোনো পূজায় আজ পর্যন্ত লাগে নাই। ভবিষ্যতে লাগবে কিনা জানেন না। কিন্তু উদ্ধারকারী আধুনিক জাহাজ যদি আপনাগো মিনিমাম তিনশো ডা থাকে, কোনো দোষ আছে?
৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৩
সুমন কর বলেছেন: মজা করে লিখেছেন, বলে পড়তে ভাল লাগল। যদিও কথাগুলো মোটেও মজার না। বরং আক্ষেপের, অনুশোচনার। তবুও সরকারের নজর পড়বে না।
ভালো বলেছেন। সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩
মুহাই বলেছেন: আর কত???