নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
সরকারের উচিত ছিল আজ বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া। সরকার সেই কাজটি না করে বলটি বিএনপি'র হাতে তুলে দিল। এখন বিএনপি সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আগামীকাল সারা দেশে বিক্ষোভ করবে। এতে রাজনৈতিকভাবে বিএনপি চাঙ্গা হবার একটা চেষ্টা চালাবে। পাশাপাশি আগামীকাল একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহম্মদ কামারুজ্জামানের সাতদিনের সময় সীমা শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি'র কাছে ক্ষমা প্রার্থণা চাওয়ার। সেই হিসেবে আগামীকাল রাতেই এই নরঘাতকের ফাঁসির রায় কার্যকর হবার সম্ভাবনা রয়েছে। ঠিক এই সময়কে মাথায় রেখেই বিএনপি শেষ সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে দেশে আবারো রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়। এতে বিএনপি'র এক ঢিলে দুই পাখি মারার সুযোগ। এক, বিক্ষোভের নামে সারা দেশে তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। দুই, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি'র যে দুরত্ব তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে জামায়াতের বাংলাদেশ চাপ্টারের গুরু গোলাম আযম মারা যাবার পর, বিএনপি যে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক প্রকাশ বা জানাজায় অংশগ্রহন না করে, গোলামপুত্র কর্তৃক চপেটাঘাত পেয়েছে, তার কৈফিয়ত দিয়ে জামায়াতকে আবারো কোলে টেনে নেবার একটা সুযোগ পেল বটে।
আর যদি আগামীকাল রাতেই কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হয়ে যায়, তখন জামায়াত বিএনপি'র বিক্ষোভ থেকে প্রসূত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে গত সপ্তাহের টানা ব্যর্থ হরতালের ঘাটতি পুষিয়ে নেবার জন্য আবার সোমবার থেকে টানা হরতালের একটা মঞ্চ পায়। মাঝখান থেকে বিএনপি আবার জামায়াতের সাথে কোলাকুলি করার একটা প্রাকাশ্য সুযোগ পেয়ে গেল, যা তাদের কর্মীদেরও নিঃসন্দেহে চাঙ্গা করবে। জামায়াত বিএনপি'র কোলে সবসময়ই আছে। কিন্তু জামায়াত নেতাদের সারা দুনিয়ায় লবিষ্ট থাকা স্বত্তেও যেহেতু একটা একটা করে মামলার নিস্পত্তি হচ্ছে, এবং তাদের সাজা হচ্ছে, যা তারা মেনে নিতে পারছে না। আর বিনএপি একেবারে ঘরে ঢুকে যাওয়া থেকে আবার রাস্তায় বের হবার একটা মহড়া দেবার সুযোগ পেল।
অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আগামী সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারো উত্তপ্ত থাকবে। আর এই টোটাল বিষয়টি নিয়ে জুয়া খেলছে স্বয়ং সরকার। জামায়াতকে কেন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করা হবে না, সেই প্রশ্নে সরকার এখনো তালবাহানা করছে। সময় ক্ষেপন করছে। রাজনীতি করছে। একটা জিনিস আমরা ভুলে যেতে পারি না, কিছুতেই ভুলতে পারি না। একাত্তরে এই জামায়াত সারা বাংলাদেশ ভূখণ্ডে যে নিপিড়ন, অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ, দখল, লুটপাট ও মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে, সেই দলটিকে বাংলাদেশ কেন পরবর্তী ৪৩ বছরেও নিষিদ্ধ করতে পারলো না? কারণ, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের পাকিস্তানমুখী যাত্রা। সেই যাত্রার সকল কৃতিত্ব বিএনপি'র। বিএনপি বাংলাদেশকে একটি পাকিস্তানপন্থী দেশ হিসেবেই দেখতে চায়। জামায়াত তাদের সেই সদিচ্ছার প্রধান শক্তি। গোলাম আযমরা বিএনপি'র ডাকে আবার বাংলাদেশের মাটিতে রাজনৈতিকভাবে শিকড় গাড়ার সুযোগ পেয়েছে। এখনো তাদের একমাত্র ভরসা বিএনপি।
আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে কিছু কিছু রাজনীতিতে না জড়ালে, সরাসরি জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে, তাদের যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের আটক করে বিচার আরো দ্রুত করার উদ্যোগ নিলে, এই সমস্যা সৃষ্টি হতো না। মামলা পরিচালনায় আরো গতি থাকা খুব দরকার ছিল। এই মামলাকে পুঁজি করে ক্ষমতায় থাকার কৌশলের মধ্যে কোনো ভালোত্ব নেই। বরং আওয়ামী লীগের অনেক অপকর্ম এই মামলা দিয়ে ঢাকার যে কৌশল, সেটি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। যুদ্ধাপরাধীদেরর বিচার এবং বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারটি বাংলাদেশে গুটি কয়েক বিএনপি'র চামচা আর জামায়াতের আণ্ডাবাচ্চা ছাড়া গোটা বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া। আওয়ামী লীগ সেই জনগণের মনের কথা বুঝতে পেরে সেই উদ্যোগটি নিয়ে একটি ভালো আশা জাগিয়েছে। কিন্তু সেটিকে রাজনৈতিকভাবে ক্যাশ করতে গিয়ে কিছুটা তালগোল পাকিয়েছে।
আর বাংলাদেশের বিগত ৪৩ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, স্বার্থের জন্য আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর চরিত্র সবার প্রায় একই। চুরি, লুটপাট, দখল, দুর্নীতি, সম্পদ বানানো এই জায়গাগুলোতে কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি, কে জামায়াত চেনার উপায় নাই। কিন্তু বৃহত্তর জনসাধারণের সস্তা সমর্থন লাভের জন্য এসব দলগুলোর কিছু কিছু বিষয়কে রাজনৈতিকভাবে পুঁজি করার কৌশল দীর্ঘদিনের প্রাকটিস। সেই রাজনৈতিক কৌশল থেকে এরা নিজেরাই বের হতে চায় না। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হল, এখনো দেশে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা হয়!!! যেখানে রাজাকারের তালিকা করার কথা, সেখানে এরা মুক্তিযুদ্ধের তালিকা নিয়ে ব্যস্ত। মুক্তিযুদ্ধ বিক্রি করে বাংলাদেশ ৪৩ বছর চলল। আর কত? আর কত? চেতনা বিক্রি করে যারা মুখে বড় বড় কথা বলে, তাদের হাড়ির খবর নিতে গেলেই দেখি, অনেক ব্যাপার স্যাপার জড়িত। নইলে গোলাম আযমের জানাজা কিভাবে দেশের জাতীয় মসজিদে হয়? একজন চিন্থিত অপরাধীর জানাজা জাতীয় মসজিদে করতে দিয়ে আওয়ামী লীগ যে বদনামটি করেছে, সেটি ঢাকার জন্য পরপর কয়েকটি মামলার রায়। এই সহজ বিষয়টি বোঝার মত হাজার মানুষ আছে। অন্য মামলাগুলো, বিশেষ করে যে গুলোর রায় হয়ে গেছে, তা নিয়ে এতো সময় ক্ষেপন কেন? কারণ, এই মামলা নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবার খায়েস নিয়েছে। দেশের জনসাধারণের চাওয়া পাওয়া সেখানে মুখ্য নয়। কিংম্বা বাংলাদেশকে কলংকমুক্ত করার ব্যাপারটিও মুখ্য নয়। মুখ্য বিষয় হল, রাজনৈতিক লাভ লোকসান। হায়রে রাজনীতি।
আমি যখন কোনো মন্ত্রীর মুখে শুনি, অমকু কাজটি করতে হবে, তমুক বিষয়টি করতে হবে, তখন প্রশ্ন জাগে, তাহলে কাজটি কে করবে? অন্য কোনো মন্ত্রী এসে পূর্ববর্তী মন্ত্রী বাহাদুরের এই স্বপ্ন পূরণ করতে চেষ্টা করবে। একজন মানুষ সরকারে থেকে কিভাবে বলে- করতে হবে। কাজটি তো তারই করার কথা। জনগণ বরং তার কাজের দায় কতোটা সফল হল, সেই বিচার করবে। আসলে আমরা এক উদ্ভট উল্লুকের দেশে বাস করি। এখানে কারো বিরুদ্ধে সত্য কথাটি বললে তারা ধরে নেয়, লোকটি হয়তো অন্য দলের। সমালোচনা করার ক্ষেত্র বাংলাদেশে নেই। সরকার ইচ্ছা করে বিএনপিকে রাস্তায় পাঠিয়ে যে খেলাটি খেলার ইচ্ছাপোষণ করল, এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে দেশের সাধারণ মানুষ। যাদের কাজের জন্য ঘরের বাইরে যেতেই হবে। বাংলাদেশে জন দুর্ভোগ বাড়ানোর এই যে রাজনৈতিক কালচার, এ থেকে আমাদের মুক্তি নাই। কারণ, দেশের মানুষ জানে না, কুটনৈতিক পাড়ায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত সবাই একই সোফায় বসে আড্ডা মারে। একই অনুষ্ঠানে গিয়ে তারা কোলাকুলি করে। কুশল বিনিময় করে। আর রাস্তায় এসে জনগণের সামনে একগাদা মিথ্যা কথা বলে। হয়তো কি কি বলবে, সেই খতিয়ানও আগের রাতে তারা একত্রে বসে ঠিক করে। নইলে স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরে যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য শুরু হয়েছে, তা নিয়ে এতো রাজনৈতিক ক্যাচাল হবার কথা না। নইলে মামলা দ্রুতগতিতে এগোতো। দ্রুত গতিতে রায় কার্যকর হতো।
বিএনপি ক্ষমতায় এসে ইতিহাস নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছে, তার কেন বিচার হবে না? বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় আজ পর্যন্ত যত মানুষ নিহত হয়েছে, তার কেন বিচার হবে না? আমরা নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের বর্তমান নিদারুন হালের কথা জানি। কই তাদের তো সম্পত্তি বাড়লো না। পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধরা তো সুচিকিৎসা পায় না। আর গোলাম আযম রাষ্ট্রীয় খরচে সবচেয়ে সেরা চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে মরার সুযোগ পেল। সাঈদীকে এখন জেলে জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় আমদুধকলা খাওয়াতে হবে মৃত্যু পর্যন্ত। এ যেনো জনগণের সব দায়। তোরা কেন জনগণ? তোদের সব দায়। আমরা রাজনীতি করি। আমরা দুটা ভালো খেয়ে আরামে আয়াসে থাকব। নিরাপত্তায় থাকব।
৪৩ বছরে বাংলাদেশে অনেক টাকাওয়ালা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কোনো উন্নতি হয়নি। যারা সংখ্যার বিচারে এটা যাচাই বাছাই করে, একটু ভালো খাবার চেষ্টা করেন, তারাও কোনো না কোনোভাবে রাজনৈতিক শাসকদের সঙ্গে এক ধরনের আতাত করেছে বলে, গুণ গায়।
জাতিসংঘের উদ্বেগের কথা বলে আজকের এই লেখাটি শেষ করব। একাত্তরে যখন বাংলাদেশে ত্রিশ লাখ মানুষকে হত্যা করা হল, তখন কোথায় ছিল এই জাতিসংঘ? একাত্তরে যখন চার লাখ মা বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নেওয়া হল, তখন কোথায় ছিল এই আমেরিকার চামচা জাতিসংঘ? ফিলিস্তিনে ইসরাইল যে এখনো হামলা করে, তখন কোথায় থাকে জাতিসংঘ? শুধু বাংলাদেশে এখনো মিথ্যা মামলায় যে সব লোক কারাগারে আটক আছে, তাদের বেলায় জাতিসংঘ নিরব কেন? কেবল মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে আটক নেতাদের রায় কার্যকরের সময় আসলেই জাতিসংঘের মানবিকতা উথলে ওঠে। হায়রে জাতিসংঘ, তোরা গু খা। কারণ, তোদের কাছে মানবিকতা একটা প্রহসন। তোরা আমেরিকার একটা দালাল, এছাড়া তোদের আর কোনো পরিচয় আমার জানা নেই।
বিএনপি নানান অছিলায় তাদের মিত্রদের জন্য দুঃখ দেখানোর খায়েস করবে, এটাই জানা কথা। কিন্তু সরকারকে আরো দক্ষ হাতে সেটি মোকাবেলা করতে হবে। কারণ, জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া, দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করার দায়িত্বটি সরকারের ঘাড়েই বর্তায়। একাত্তরের মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শুরু করার জন্য এই সরকার ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। কিন্তু সেটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াস রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়াত্বের সামিল। ভালো কাজ করলে দেশের মানুষ তাদের আবারো ক্ষমতায় বসাবে। কিন্তু সেই আস্থাহীনতায় যারা ভোগে, তাদের বুঝতে হবে, আসলে দেশের জনগণের সাথে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর নিযুত নিযুত দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এই দূরত্ব যতো কমিয়ে আনা যাবে, ততোই দেশের মঙ্গল।
আইন সবার জন্য সমান, এই কথাটিকে বাস্তবে রূপ দিতে চাইলে, সেটি খালেদা জিয়ার জন্যই যেমন প্রযোজ্য, শেখ হাসিনার জন্যও প্রযোজ্য। আবার আমাদের মত কলিম ছলিম রাম শ্যামদের জন্যও প্রযোজ্য। অমুক নেতা বলে, সে আদালতে হাজিরা না দিয়েই অ্যাডভান্স জামিন পেয়ে যাবে, আর মুরগি বিক্রেতা রাজপথে হেঁটে কেন মুরগি বিক্রি করলো, এজন্য তার জামিন হবে না। এটা কোনোভাবেই আইনের সবার জন্য সমান প্রমাণ করে না। বাংলাদেশে আইন যে সবার জন্য সমান নয়, এই বিষয়টি বোঝার জন্য গবেষক হবার দরকার নেই। ইতিহাস সেই সাক্ষ্য দেয় যে, আইন হচ্ছে ব্যক্তি কতোটা দাপুটে তার উপর নির্ভরশীল। যদি ব্যক্তিটি গোলাম আযম হয়, তাহলে মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধ করলেও, সে ফাঁসি থেকে রেহাই পাবে, তার দেশি বিদেশি দাপটের জোরেই। এই দাপটের জোরেই তার জাতীয় মসজিদে জানাজা হবে। আর যদি ব্যক্তিটি হয় মোরের চায়ের দোকানদার, যার রাগের মাথায় চপেটাঘাতে সহযোগী কর্মচারীর মৃত্যুজনিত কারণে তার ফাঁসিই হবে। বাংলাদেশে আইনের এমন ব্যবহার দেখেই আমরা অভ্যস্থ। সুতরাং, আইনের সবার জন্য সমান কথাটি আর দয়া করে উচ্চারণ করার প্রয়োজন দেখি না।
সবশেষে আবারো বলতে চাই, একাত্তরের মানবতা বিরোধী সকল যুদ্ধাপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। যারা এটা নিয়ে রাজনীতি করবে, তালবাহানা করবে, কোন মানের হল বলবে, মানবিক কিনা, তা কেবল নতুন প্রজন্মের সন্তানেরা দেখে রাখবে। দেখে রাখবে এই কারণে যে, ভবিষ্যতে এই রাজনৈতিক দুবৃত্তদেরও একদিন বাংলাদেশে বিচার হবে। হতেই হবে। নইলে বাংলাদেশের উন্নয়ন, সভ্যতা এসব মিথ্যা এবং লোক দেখানো বলেই বিবেচিত হবে। সো, সাধু সাবধান।।
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫
লিখেছেন বলেছেন: Click This Link
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
সরদার হারুন বলেছেন: পরপারে নাকি দু ধরণের মানুষ থাকবে । বেহেস্তি আর দোজগী ।
কিন্তু আমিতো দেখি পৃথিবীতেই এরা আছে।
যারা বেহেস্তি তারা ভাল খাবে,ভাল পড়বে উন্নত জীবন যাপন করবে ।
তাদের নাম হবে রাজনীতিক,আমলা,ধনী,ধনবান,পীর ইত্যাদি.।তাদের সন্তানেরা বাংলাদেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়বে না । এমন কি জেলে বসেও
২৮ পদ দিয়ে ভাত খাবে ।চাটনি না হলে অভিমান করে খাবেনা ।[গোলাম আজম] আর আমাদের মত দোজকিরা যা করা উচিৎ তাই করি ।
এটাইতো নাকি আমাদের জন্য আল্লাহর একটা পরীক্ষা ।
আমাদের ছেলেরা তাদের সুখ ও ক্ষমতার জন্য জীবন দিবে ।তাদের ছেলেরা বিদেশে বসে ভাষন দিবে । সারাদিন হরতালের পরে ফোনে একজন আর একজনের সাথে আমাদের কতজন ছেলে মরলো তার হিসেব নিবে । এটাইতো নিয়ম। তাহলে আপনি কথা বলে তাদের স্বর্থের ব্যাঘাত করছেন কেন ?দাড়ান ক্ষমতায় গেলে আপনাকে দেখে নিবো ।
আপাতাত++++++++++++++++++++++++++++
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭
খেলাঘর বলেছেন:
বিএনপি'র ক্ষমতা মাপটে চাচ্ছে শেখ হাসিনা।
৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
খেলাঘর বলেছেন:
আপনার প্রোফাইল:
"ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। রাজনীতি ঘৃণা করি। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি। "
-এটা রাজনৈতিক পোস্ট; কথায় ও কাজে মিল দেখছি না।
৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৩
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: আমার কেন জানি মনে হয় সরকার চায় বিএনপি এখন মাঠে নামুক আর জামায়াত তাতে সঙ্গ দিক। কারণ এতো রায়ের পরও বিএনপি চুপ করে আছে, তাতেতো তেমন কিছু বলা যায় না। কিন্তু এবার মাঠে নামলে বলা যাবে, কামরুজ্জামানকে বাচানোর জন্যই বিএনপি মাঠে।
হয়তোবা এই সুযোগে বন্ধুকে বাচানোর চেষ্টাও করতে পারে বিএনপি।
৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৮
কিবর বলেছেন: "ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। রাজনীতি ঘৃণা করি। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি। "
-এটা রাজনৈতিক পোস্ট; কথায় ও কাজে মিল দেখছি না।
আপনার কাছ থেকে কোন কিছু আশা করা ভুল ছাড়া আর কিছুই না। আগে নিজে ঠিক হোন তারপর অন্যের সম্পর্কে কিছু বালার সাহশ প্রদর্শন করুন।
৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৩
খাটাস বলেছেন: প্রথম টুকু না মিললে ও সম্ভাবনা ছিল ব্যাপক।
সব মিলিয়ে চমৎকার।
৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪২
বিষের বাঁশী বলেছেন: খেলাঘর বলেছেন:
আপনার প্রোফাইল:
"ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। রাজনীতি ঘৃণা করি। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি। "
-এটা রাজনৈতিক পোস্ট; কথায় ও কাজে মিল দেখছি না।
আমিও তাই জিজ্ঞস করতে যাচ্ছিলাম এবং চাইছিলাম , আসলেই তো আমি ,আপনি রাজনীতি ঘৃণা করলে রাজনীতি আরও কতখানি নোংরা হতে পারে সেইটা দেখার অপেক্ষায় থাকুন
১০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৩
রাফা বলেছেন: সবাই বলে আইনের দৃস্টিতে সবাই সমান।বাস্তবতা বলে ঠিক তার উল্টো...আইন এখন একটি পণ্যে পরিনত হয়েছে।
আপনার অর্থ এবং ক্ষমতা থাকলেই কেবল আইনের সহায়তা পাবেন।প্রথমেই হোচট খেতে হয় এখানে।কাজেই যার যত অর্থবিত্ত ও ক্ষমতার দাপট বেশি আইন তার পক্ষে তত বেশি ঝুকে থাকে।
আর মানবাধিকার বিচার প্রসঙ্গে বলতে চাই-এটা রাজনৈতিক হত্যাকান্ডই ছিলো।রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েই এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।এখানে রাজনিতী থাকবেই।আর বাংলাদশের প্রেক্ষাপটে তো আরো বেশি।আমরা সব কিছুকেই রাজনৈতিক করে ফেলেছি।
আওয়ামি লীগ শুধু বিচারই করছেনা-সাথে অপ রাজনিতীকে মোকাবেলা করেই করতে হোচ্ছে এই বিচার।
বিএনপি ও তার জোট শুধু মুখে উচ্চারণ করতে বাকি রেখেছে।আর সকল পর্যায়ে প্রচন্ডভাবে বিচারের বিরোধীতা করে চলেছে।
ধন্যবাদ,রেজা ভাই।ভালো লিখেছেন।
১১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৭
রাফা বলেছেন: যারা বলছেন এটা রাজনৈতিক পোস্ট ,তাদের কাছে আমার প্রশ্ন।
রাজনিতীকে ঘৃণা করলে রাজনৈতিক পোস্ট দেওয়া যাবেনা কেনো?
বরং ঘৃণা প্রকাশ করার জন্যই তো আরো বেশি করে পোস্ট দেওয়া উচিত বলে মনে করি।
কেউ ব্যাক্তিগত ভাবে নিবেননা।
১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৮
সরদার হারুন বলেছেন: লেখক কেন নিরব কবির মত ঘুমিয়ে আছে ?
১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৩৬
রেজা ঘটক বলেছেন: সবাইকে ধন্যবাদ। রাজনীতি ঘৃনা করি। তাই বলে রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে পারব না, এটা তো বলিনি কখনো। বরং রাজনীতি কেন ঘৃনা করি, তার প্রমাণ নিশ্চয়ই এই লেখাতেও আছে। সবাই ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫
লিখেছেন বলেছেন: রেযা ভাই, সালাম নিন। আপনার লেখা খুব একটা চখে পড়ে না কেন ব্রাদার?
আগামী বই মেলাতে কি বের করছেন?
আমার একটা লেখার লিঙ্ক নিন
http://www.somewhereinblog.net/blog/bolechen/29991918