নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ বাবা'র আঠারোতম মৃত্যুবার্ষিকী: আজ আমার মন ভালো নেই !!!

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৩২

বাবাকে আমি খুব ভালোবাসি। বাবাকে আমি খুব মিস করি। ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবা আমাদের ছেড়ে অকালে চলে যান। আমি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধুকে হারাই সেদিন। পরিবারে বাবার সাথে আমার ছিল খুব ভালো সম্পর্ক। বাবা আমার প্রতিটি কথা বুঝতে পারতেন। আমার যে কোনো আবদার যে কোনো মূল্যে মেটাতে চেষ্টা করতেন। আমরা অনেকগুলো ভাইবোন। পাঁচ ভাই চার বোন। পরিবারে আমার অবস্থান ষষ্ঠ হলেও বাবার সাথে আমার যে কোনো বিষয়ে সরাসরি একটা বোঝাপড়া হতো। পরিবারের অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নেবার সময় বাবা সিরিয়াসলি আমার সাথে পরামর্শ করতেন। আমাকে জিজ্ঞসে করতেন, আমার জায়গায় তুই হলে কী করতি? আমার ছোট্ট মাথায় ভেবে চিন্তে যা মনে হতো, আমি তাই বলতাম। অনেক ক্ষেত্রেই বাবা আমার বলা সেই সিদ্ধান্তটি নিতেন। এভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে কিভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, বাবা অনেকটা হাতেকলমে আমাকে তাই শেখাতেন।
আমরা অনেকগুলো ভাইবোন হওয়ায়, আমাদের পড়ালেখার খরচ যোগাতে বাবাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। একজন আদর্শ কৃষক হিসেবে বাবা ছিলেন অনন্য। কৃষিকাজটা বাবা খুব ভালো বুঝতেন। আমাদের গ্রামের অনেকেই বাবার কাছে কৃষি বিষয়ে পরামর্শ নিতে আসতেন। কখন কোন ফসল বুনতে হবে, কখন ধান কাটা শুরু করতে হবে, কখন ধানের বীজ দিতে হবে, কখন মরিচের জমি চাষ করতে হবে, কোন জমিতে একসাথে দুই ফসল দেওয়া সম্ভব, কোন জমিতে ডাল চাষ করতে হবে, কোন জমিতে তীলের সাথে ধান বোনা সম্ভব, এসব প্রায় সকল কিছুই বাবা খুব যত্নের সাথেই দেখাশুনা করতেন।
শীতকালে বাবার সাথে আমি কিছু বাড়তি দায়িত্ব পালন করতাম। সাধারণত ইরি জমিতে বারবার পানি সেচ দিতে হয়। সেচের পানির জন্য জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করতে হতো। আমাদের একটা পাওয়ার পাম্প ছিল। খুব ছোটবেলায় সেই পাওয়ার পাম্প চালানোর প্রায় সকল কৌশলই আমি বাবার নির্দেশে শিখে ফেলেছিলাম। আমাকে অনুসরণ করে আমার ছোট ভাই জাকিরও পাওয়াার পাম্প চালানো শিখে ফেলল। পাম্প নষ্ট হলে মেকানিকের বদলে আমরা দুই ভাই মিলেই সেই পাম্প ঠিক করে ফেলতাম। একেবারে বড় ধরনের বিপর্যয় না হলে আমরাই ছিলাম ছোটখাটো মেকানিক। জোয়ারের সাথে পাম্প চালানোর একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সকাল, দুপুর, বিকাল, সন্ধ্যা, রাত, মাঝরাত হোক আর ভোর হোক যখনই জোয়ার আসত, তখনই আমাদের পাম্প চালাতে হতো। অনেক সময় গভীর রাতে বাবা পাম্প চালানোর জন্য আমাকে ডেকে তুলতেন। মেশিন চালিয়ে দিয়ে আমি এসে হেরিকেনের আলোতে বই নিয়ে পড়তে বসতাম। সবাই যখন জেগে উঠতো, মেশিন বন্ধ করে আমি ঘুমোতে যেতাম। মা-বাবা ছাড়া আর কেউ টের পেত না, আমি বেলা পর্যন্ত ঘুমালেও আমার আসলে পড়া শেখার কাজটি আগেই হয়ে গেছে। এভাবে রাত জেগে পড়ার অভ্যাসটা ওই পাওয়ার পাম্প চালানোর কারণে হয়েছিল।
বাড়িতে যখন ইরি ধান উঠতো তখন আমার একটা বাড়তি দায়িত্ব পড়তো। কোন জমিতে কত ধান হল, মাড়াই শেষে সেই ধানের হিসেব রাখতাম আমি। আগের বছরের তুলনায় ফলন কত বেশি হল বা কম হল, এসব আমি অংক কষে বাবাকে হিসেব দিতাম। বাবা পরবর্তী বছরে সেই জমির জন্য সেভাবে প্রস্তুতি নিতেন। বাবা এক জমিতে ভিন্ন বছর ভিন্ন ধান লাগিয়ে এক ধরনের এক্সপারিমেন্ট করতেন। কখনো সেই এক্সপারিমেন্ট বিফলে গেলে বাবা মনে মনে খুব কষ্ট পেতেন। আবার যেটা সফল হতো, বাবা তখন ভারী খুশি হতেন।
ষড়ঋতুর নানান কিসিমের হিসেব নিকেশের সাথে বাবা খুব সিরিয়াসলি তাল রাখতেন। আর ফসলের চাষবাস করতেন সেই হিসেবের সাথে মিল রেখে। অনেক সময় চৈত্র মাসের শেষের দিকে আমাদের চাল কেনা লাগত। বাবা চাল কেনা সামাল দিতে কিছু জমিতে বোড়ো ধান দিতেন। বোড়ো ধান ইরি ধানের চেয়ে একটু আগে উঠতো। যা দিয়ে চৈত্র বৈশাখ সামাল দিতে দিতেই ইরি ধান উঠে যেত। কখনো অতিরিক্ত বন্যার পানিতে আউশ-আমন ধানের ক্ষতি পোষাতে বাবা উঁচু জমিতে কিছু অন্যান্য ফসলের আবাদ করতেন। কখনো তীল, কখনো মরিচ, কখনো মুগ ডাল, কখনো কখনো তীল ধান একসাথে, কখনো করল্লা, কখনো বা নানান জাতের সব্জির চাষ করতেন।
অনেক সময় আমার মনে হতো, বাবার নিজের সন্তানদের চেয়ে ফসলের দিকেই তার বেশি মায়া। আবার যখন দেখতাম সেই ফসল বিক্রি করেই আমাদের পড়ালেখার খরচ যোগাচ্ছেন, তখন বাবার হিসেবকে খুব সঠিক মনে হতো। বাবা ফসলের চাষবাসে বাংলা পঞ্জিকা খুব মনযোগ দিয়ে অনুসরণ করতেন। একেবারে কাঁটায় কাঁটায় সেই তারিখে সেই ফসলের বপন করতেন। একটু এদিক সেদিক হলেই বাবা খুব অস্থির হয়ে যেতেন।
আমার বাবা লেখাপড়া তেমন জানতেন না। ক্লাস টু-থ্রি পর্যন্ত হয়তো স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। নিজে কিষানের হিসাব ডায়েরি লিখে অনুসরণ করতেন। এই কাজটি বাবা কোনো ধরনের বিরক্ত না হয়ে নিয়মিত খুব যত্ন নিয়েই করতেন। বাবার হাতের লেখা ছিল খুব সুন্দর। ছোট ছোট হরফে একটু ডান কাতে লিখতেন। ডায়েরির ভেতরে সব সময় একটা কলম থাকতো। দুপুরে গোসলের আগে আগে বাবা ডায়েরি খুলে কিষানের হিসাব লিখতেন। কে কে সারা দিন কিষান দেবে আর কে কে অর্ধ বেলা দেবে, তা তখনই ঠিক করতেন। যারা সারা দিন কাজ করবে, তাদের নামের সাথে লিখতেন একটা যোগ চিন্থ দিয়ে ১। আর যারা অর্ধ বেলা করবে, তাদের নামের শেষে একটা যোগ চিন্থ দিয়ে লিখতেন ১/২।
সাধারণত হাটের দিন বাবা কিষানের দাম পরিশোধ করতেন। যাদের এমার্জেন্সি থাকতো, তারা প্রায় রোজেরটা রোজ নিত। বাকিরা হাটের দিন সবাই দুপুরের খাওয়ার পর আমাদের বাড়িতে আসতো। বাবা হয়তো কিছু একটা বিক্রি করে কিষানের দাম দিবেন। সে অনুযায়ী তারা সেই জিনিস হাটে নিয়ে বিক্রি করে বাবার হাতে টাকা দিতেন। অনেকে আবার ফিরতি পথে আমাদের সদাইপাতি মার কাছে দিয়ে যেতেন।
কোনোদিন এই কাজে কোনো অনাকাঙ্খিত বিপত্তি হলে দেখতাম বাবার মেজাজ চরম খারাপ। যাদের টাকা দেবার কথা, তাদের অনেকে চুপচাপ বাড়িতে এসে মায়ের কাছ থেকে চাল নিয়ে যেতেন। কখনো আমাদের বাগান থেকে সব্জি, কখনো আমাদের পুকুর থেকে মাছ ধরে নিতেন। মাকেও কিছু মাছ দিয়ে যেতেন, যাতে পরবর্তী দুই বেলা চলে। ছোটবেলায় আমরা কখনো মরা মাছ খেতাম না। রান্নার আগে আগে পুকুর থেকে মাছ ধরার পর সেই তাজা মাছই রান্না হতো। বাবা মরা মাছ একদম সহ্য করতেন না। বর্ষাকালে আমাদের পরিবারের আমি ছিলাম প্রধান জেলে। সারা দিন মাছ ধরতাম। অনেক সময় মাছ ধরার নেশায় স্কুল ফাঁকি দিতাম। মা মাছ ঠিকই রান্না করতেন। কিন্তু স্কুল ফাঁকির নালিশটাও বাবাকে চুপি চুপি বলে দিতেন। পরের দিন আর স্কুল কামাই দিয়ে মাছ ধরার সুযোগ হতো না। কারণ, বাবা পরের দিন স্কুলের বেলায় চোখে চোখে রাখতেন।
বর্ষাকালে আমার দুই হাতের আঙুলের ফাঁকে বড় বড় ঘা হতো। আর পায়ের গোড়ালি পচে যেত। কারণ, সারাক্ষণ মাছ ধরা বা ফুটবল খেলার কারণে কাদাপানির সাথে আমার দিন কাটত। পায়ের অবস্থা বেশি খারাপ হলে বাড়ির পাশের জুমির দুদুর কাছ থেকে তুঁতে এনে লাগাতাম। পরের দিন আবার পা তখন পানিতে নামার উপযোগী হতো। শিং মাছের কাঁটা খেয়ে হাতের আঙুল বল্টু পাকিয়ে থাকতো। বাবা একটু বকাঝকা করতেন। কিন্তু সুযোগ পেলেই আমি আবার মাছ ধরতে নেমে যেতাম। বর্ষাকালে রোজ সন্ধ্যায় আমি কৈয়া জাল পাততাম। আর খুব ভোরে একটা লাঠি আর একটা মাছের হাড়ি নিয়ে সেই জাল উঠাতে যেতাম। যদি কোনো জালের এক প্রান্তে একটা শিং মাছ আটকাতো আর অন্যপ্রান্তে একটা ঢোরা সাপ আটকাতো, তাহলে ওই জালের মাঝখান থাকতো একেবারে ফাঁকা। হয়তো সন্ধ্যারাতেই ঢোরা সাপের ওই প্রান্তে কোনো মাছ ধরা পড়েছিল, সেই মাছ খেতে গিয়েই ঢোরা সাপ জালে জড়াত। আর অন্যপ্রান্তে শিং মাছ জড়ালে, শিং মাছ সারাক্ষণ ডিগবাজি দিত। ফলে গোট জাল শিং মাছ আর ঢোরা সাপের যৌথ প্রযোজনায় একেবারে ফাঁকা।
ঢোরা সাপ আটকালে সব মাছ ছাড়িয়ে তারপর ঢোরা মশাইকে নিয়ে চলত আমাদের আচ্ছা মত তামাশা। একটু মারতাম। আবার গোয়াল থেকে গোবর নিয়ে সাপের মুখে দিলে সাপ একটু তাজা হতো। আবার মারতাম। আবার গোবর দিতাম। এই নিয়ে আমাদের ছোটদের সেদিন সকালের নাস্তা খাওয়ার সময় বয়ে যেত।
জাল পরিস্কার করে আবার রোদে শুকাতে দিতাম। কখনো কখনো জালে আবার গাব লাগাতাম। গাব লাগানো জালে খুব মাছ ধরা পড়তো। রহস্যটা আমি আজ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি। একটা ব্যাপার ছিল জালের ফাঁস গুলো গাব লাগালে বেশ টাইট হতো। কিন্তু বেশি মাছ সেদিন জালে আটকা পড়ার অন্য কি মানে থাকতো বুঝতাম না। কারণ কৈয়া জালে কোনো মাছ আটকা পড়লে তার নিজেকে ছুটিয়ে নেওয়াটা চাট্টিখানি কথা নয়। কখনো কখনো শৈল মাছ কিন্তু জাল ছিড়ে ঠিকই পালিয়ে যেত। পরদিন আমাদের অনেক বেলা পর্যন্ত সেই জাল রিপেয়ার করতে চলে যেত।
বর্ষাকালে অনেক সময় রাতে আমি মাছ কোপাতে যেতাম। সঙ্গে নিতাম দা, কোচ আর হাড়ি। বাবা জানতে পারলে খুব বকা দিতেন। কারণ, মাছের চলাচলের সাথে নাকি সাপের চলাচলের একটা অদ্ভুত মিল আছে। কিন্তু বাবা বাইরে গেলেই আমি আর চাচাতো ভাই কালাম ঠিকই মাছ কোপাতে নেমে যেতাম। কখন কোথাও আমরা মাছ ধরতে যাব, সেই পরিকল্পনা আমরা আগেভাগেই করে রাখতাম। অন্যরা মাছ ধরছে, আর আমরা পড়ার টেবিলে, এই ঘটনা খুব বিরল ছিল। বাইরে মাছ না পেলে অনেক সময় পুকুর থেকেই মাছ ধরে মনের জ্বালা মেটাতাম।
অনেক সময় নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যেতাম রাতে। সেক্ষেত্রে বাবার টর্চলাইট চুরি করে নৌকা নিয়ে পালাতে হতো। বাবা টের পেলেই বাড়িতে যাবার জন্য নির্দেশ আসতো। বাবার পছন্দের মাছ পেলে সে যাত্রা কোনোভাবে রক্ষা হতো। আর না হলে কারো হাতে টর্চ দিয়ে একদিকে পালিয়ে যেতাম। কিন্তু মাছ ধরার জন্য কোনোদিনই বাবা আমাকে মারেনি। বকাঝকা করেছে। এই পর্যন্তই। কারণ, পরিবারের সারাদিনের মাছের যোগান প্রায় আমি একাই দিতাম। আমার যখন কলেজ পর্ব শুরু হল। তখন থেকে মাছ ধরায় এক ধরনের ছন্দপতন ঘটল। কলেজের ছুটিতে বাড়ি গিয়ে প্রথম কাজ হতো তখন মনের সাধ মিটিয়ে মাছ ধরা। আহা সেই দুরন্ত কৈশোরে আমি কত না মাছ ধরেছি। আর এখন ঢাকায় তাজা মাছের চেহারাই দেখা হয় না। শহরে আসার পর তাজা মাছের বদলে মরা মাছের সাথেই আমাদের নতুন করে পরিচয় ঘটল। তাজা মাছের যে স্বাদ, সেই স্বাদ দুই তিন জিয়িয়ে রাখা তাজা মাছেও নাই। শহরে যারা মাছ খায়, তারা সেই কয়েক দিনের পরের পরিবর্তিত স্বাদ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে।
প্রায় প্রতি বছর বাবা আর আমি মিলে গাছ লাগাতাম। বাবা খোন্তা দিয়ে মাটি কাটতেন। আমি গর্ত থেকে মাটি তুলতাম। তারপর গাছ লাগানোর সময় আমার কাজ থাকত মাটি ছড়িয়ে দেওয়া। গাছের গোড়ালি কতটা শক্ত রাখতে হবে, কতটা মাটি দিতে হবে, কতটা পানি দিতে হবে, এটা বাবা নিয়ন্ত্রণ করতেন। বাবার হাতে লাগানো বেশ কিছু গাছ ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় নষ্ট হয়েছিল। মেহগনি, কড়াই, নিম, সিরিজ, এরকম অনেক গাছ সিডরে নষ্ট হয়েছিল।
বাবার হাতের একটা জিনিস আমার কাছে এখনো সংরক্ষিত আছে। বাবার একটা মাফলার। ওটা আমি বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমার কাছে রেখেছি। ওই মাফলারে আমি এখনো বাবার শরীরের ঘ্রাণ পাই। কিন্তু বাবাকে কাছে পাই না। এই দুঃখ বাকি জীবন বয়ে বেড়াতে হবে। এটাই নাকি নিয়তি।
১৯৯৬ সালের পর থেকে প্রতি বছর ডিসেম্বর আসলেই আমার আর মন ভালো থাকে না। বাবাকে খুব মিস করি। কিন্তু কাউকে সেই কথা বলে বোঝানো যাবে না। কতোটা মিস করি। আর ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি মা মারা যাবার পর থেকে জানুয়ারি মাসেও আমার সেই মন খারাপ ভাবটা চলতে থাকে। ডিসেম্বর আর জানুয়ারি আমার সবচেয়ে পরম সম্পদ হারানোর মাস। এই দুই মাস আমি তাই শত চেষ্টা করেও ভালো থাকতে পারি না। ভালো থাকার উপায়ও আমার জানা নাই। যাদের বাবা-মা নেই, এই কষ্ট শুধু তারাই বুঝতে পারবে। আর কেউ না। কোনোভাবেই না। বাবা তুমি যেখানে থাকো, ভালো থেকো। আই লাভ ইউ, বাবা। আই রিয়েলি মিস ইউ, বাবা। ভ্যারি ভ্যারি মিস ইউ, বাবা....

..........................
৬ ডিসেম্বর ২০১৪
ঢাকা

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:০৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বাবাকে হারানোর যন্ত্রণা সত্যিই কঠিন, বাবা যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক, এই কামনা......

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৫

খেলাঘর বলেছেন:


অনেক স্মৃতি, অনেক আবেগ, অনেক ভালোবাসার প্রকাশ।

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩১

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আল্লাহ আপনার বাবাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন। আমিন।
উনার জন্য বেশী বেশী দোয়া করুন।

ভাল থাকার চেস্টা করুন।

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:




প্রত্যেক সন্তানের মনে বাবা এক অমূল্য অনুভূতির নাম। অনেক আবেগ আর ভালোবাসার প্রকাশ বর্তমান লেখাটি। আপনার বাবার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি!

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১০

সুমন কর বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ ভাল লাগল।

আপনার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করি।

৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৬

এহসান সাবির বলেছেন: আপনার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করি।

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৪

রেজা ঘটক বলেছেন: সবাইকে ধন্যবাদ

৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.