নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাত্তর টেলিভিশনের এক্সক্লুসিভ নিউজ এক্সক্লুসিভলি রিজেক্ট !!!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭

গত ৪৩ বছরে ব্যাঙের ছাতার মত বাংলাদেশে মিডিয়ারও ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। মিডিয়ার এই প্রসারের পেছনেও রয়েছে ব্যাপকহারে অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, অনিয়ম ও দুবৃত্তায়ন। প্রাইভেট টেলিভিশন, এফএম রেডিও, দৈনিক, সাপ্তাহিক, অনলাইন নিউজপেপার, সবখানেই এই দুবৃত্তায়ন এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। এসব প্রাইভেট সংবাদ মিডিয়ার (ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া) মালিকদের কিছু সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা আছে। প্রথম এজেন্ডা এরা কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র। দ্বিতীয় এজেন্ডা এরা নিজেদের আয়ের বিশাল আয়কর ফাঁকি দেবার জন্য একটি করে মিডিয়ার মালিক বনে গেছেন। আয়কর ফাঁকি দেবার জন্য একটি মিডিয়া থাকা মানে, দেশে সে যা খুশি তাই রটিয়ে দিতে সক্ষম। রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধাগুলো বাগিয়ে নিতে সক্ষম। সরকারি বিজ্ঞাপনের ভাগ পাওয়ার ভাগিদার। অনেক অনেক সুযোগ সুবিধা।
মিডিয়ার মালিকরা বলতে গেলে সবাই অর্ধ-শিক্ষিত বা মুর্খ। কিন্তু মিডিয়ার ব্যবস্থাপনায় যাদের তারা নিয়োগ দেন, সেখানে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকেন মালিকপক্ষের কিছু খাস লোক। যাদের একমাত্র ও প্রধান যোগ্যতা চামচামি, তোষামোদি।
কিন্তু একটি প্রাইভেট টেলিভিশন বা একটি এফএম রেডিও বা একটি দৈনিক সংবাদপত্র বা একটি অনলাইন নিউজপেপার চালানোর জন্য যে পরিমাণ দক্ষ, মেধাবী, রুচিশীল, চৌকশ সংবাদকর্মী প্রয়োজন, টেকনিশয়ান প্রয়োজন, তা বলতে গেলে কারোরই নেই। এক ধরনের জোড়াতালি, কপি-পেস্ট, নকল, অনুকরণ, একই ধরনের অনুষ্ঠান, একই ধরনের উপস্থাপনা, একই ধরনের আতলামি, একই ধরনের বাকবাকুম সবখানে। আমাদের প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল এখন কয়টি? কম করে হলেও ২৬/২৭টি। আরো ৭/৮টি পাইপলাইনে আছে। শিঘ্রই তারা টেলিকাস্টে যাবে। অথচ যে পরিমাণ দক্ষ লোকবল এতগুলো চ্যানেল চালানোর জন্য প্রয়োজন, তা আমাদের নেই। কিন্তু একটার পর একটা প্রাইভেট চ্যানেল বাজারে আসছে। আসছে সেই হযবরল হয়েই। কোনো নতুনত্ব নেই। কোনো সঠিক পরিকল্পনা নেই। কোনো রুচিবোধ নেই। নতুন কোনো আইডিয়া নেই। সব একই গদবাধা মুল্লুক ফতেহাবাদ।
বিশেষায়িত চ্যানেল করার মত মেধাবী ও দক্ষ লোকজন তো একদম নেই। এরা এক সময় দৈনিক সংবাদপত্রের সাংবাদিক ছিল। দেশে টেলিভিশন চ্যানেল আসায় সেই সংবাদকর্মীরাই এখন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী। তাদের তো ইলেকট্রনিক বিষয়ে কোনো পূর্ব-অভিজ্ঞতা ছিল না। তো যারা আগে আগে এই লাইনে যুক্ত হয়েছে, তারাই এখানে হত্যা-কর্তা গোছের। টেলিভিশন চ্যানেলে এরা কী করবে, কেন করবে, কিভাবে করতে হবে, নিজেরাই ভালো বোঝে না। কিন্তু এক একজন বড় বড় কর্মকর্তা সেজে বসে গেছেন। তো তাদের দিয়ে বেশি প্রত্যাশা করারও কিছু নেই। কারণ তাদের যোগ্যতা ওই মোল্লার মসজিদ দৌড় পর্যন্ত। ঘটে বুদ্ধি যতটুকু আছে, তার বেশি সে কোথায় পাবে? তাই অন্য চ্যানেলের অনুষ্ঠান নকল, একই টাইপ, একই বকরবকর, একই ইতরামি সবখানেই।
কোনটা খবর আর কোনটা খবর নয়, অনেক সময় এই জ্ঞান পর্যন্ত এসব মিডিয়া কর্মীর নেই। এদের কাছে কোরবানির গরুর হাট লাইভ প্রচার করাই একটা বিশাল ব্যাপার। খবরের পিছনে না গিয়ে এরা নিজেরাই খবর বানাতে এখন ব্যস্ত গলদঘর্ম করে বেড়ায়। বাংলাদেশে এখন যে কোনো মিডিয়ার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক অনেক আগে যে কোনো সংবাদ প্রচারে অনেক বেশি কার্যকর। মিডিয়ার এখানেই দেউলিয়াত্ব সবচেয়ে বেশি ধরা পড়ে। কোন চ্যানেল কতজন দর্শক দেখে, কতক্ষণ দেখে, এ বিষয়ে এসব চ্যানেলের কোনো ধারণা নাই। এসব জানারও এরা প্রয়োজনবোধ করে না। তবু এরা একটার পর একটা অখাদ্য অনুষ্ঠান বানিয়ে যাচ্ছে। বানিয়ে যাচ্ছে নিজেদের অরুচিকর অখাদ্যের ভাগাড়। কোনো নতুনত্ব নেই। কোনো মেধার যোগসূত্র নেই। কোনো আগামাথা নেই।
সাম্প্রতিক সময়ে মিডিয়ার সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় হল গোসিপ। কোনটা যে কি ধরনের গোসিপ, সেই বিষয়ে এরা নিজেরাও ততটা বোঝে না। কিন্তু গোসিপ তাদের করতেই হবে। এটাই তাদের একমাত্র পন। সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় রুবেল হোসেন ও তার কথিত প্রেয়সি হ্যাপির ফোনালাপ দিয়ে একাত্তর টেলিভিশন করেছে এক্সক্লুসিভ একাত্তর। কতোটা নিম্নরুচির হলে একটি প্রাইভেট টেলিভিশন একটি পার্সোনাল বিষয়কে এক্সক্লুসিভ নিউজ করার মত ঔদ্বত্ত দেখায়, স্পর্ধা দেখায়, সে বিষয়ে কি বলব! এরা এই স্পর্ধা কোথায় পেল?
একাত্তর টেলিভিশনের সংবাদকর্মী শামসুল আরেফিন, রুবেল-হ্যাপির গোপন ফোনালাপ নিয়ে তিনপর্বের ধারাবাহিক এক্সক্লুসিভ নিউজ করেছেন। মিস্টার শামসুল আরেফিন, নিউজ করার মত হাজারো বিষয় থাকতে আপনার কাছে কিনা কারো ব্যক্তিগত বিষয় হয়ে গেল এক্সক্লুসিভ। একাত্তর টেলিভিশনের ম্যানেজমেন্ট টিমে যারা আছেন, তাদের রুচিবোধ বা কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো? এত রুচিবোধ নিয়ে আপনারা একটি প্রাইভেট চ্যানেল চালান কি করে? আপনাদের ঘটে তো অনেক বুদ্ধি দেখছি!!!
সংবাদ খুঁজে না পেয়ে একটা গোপন আঁড়িপাতা বা চুরি করা ফোনালাপ আপনাদের কাছে এক্সক্লুসিভ নিউজ? ওরে আমার ফুটানি রে!!!
এক্সক্লুসিভ নিউজ কি, এই বিষয়ে একাত্তর টেলিভিশনের আদৌ কোনো ধারণা আছে কিনা, তাই বরং এখন সন্দেহ হয়। সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে গত ৯ ডিসেম্বর একটি তেলের ট্যাংকার ডুবে আমাদের প্রাকৃতিক রক্ষাঢাল সুন্দরবন এখন মারাত্মক ধ্বংসের মুখে। সুন্দরবনের সেই দুর্ঘটনাস্থলে একাত্তরের ক্যামেরা কখন পৌঁছালো? কী নিউজ করল? এক্সক্লুসিভ হওয়ার মত বিষয় তো এটা। আপনাদের কাছে রুবেল-হ্যাপির গোপন প্রাইভেট ফোনালাপ হয়ে গেল এক্সক্লুসিভ?!! আপনারা পারেন বটে। বেহায়া বললেও বেহায়া শব্দটাকে অপমান করা হবে।
জাতীয় দলের খেলোয়াড় রুবেল এখন একাত্তর টেলিভিশনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে পারে। মানহানীর মামলা অভিনেত্রী হ্যাপিও করতে পারে। অন্তত তারা উকিল নোটিশ দিতে পারেন একাত্তরকে। আমাদের মহামান্য আদালতের বিচারকগণ অনেক সময় নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন ইস্যুতে রুল জারি করেন। সংবাদ বিষয়ে মহামান্য বিচারকগণ একটু নজরদারী করতে পারেন। দুইনেত্রীর ফোনালাপ আমাদের টেলিভিশন মিডিয়া যেভাবে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রাষ্ট্র করেছিল, সেখানে তবু মানুষের আগ্রহ ছিল, কিন্তু একজন ক্রিকেটার বা একজন অভিনেত্রীর গোপন ফোনালাপ কী করে এক্সক্লুসিভ হয়? একাত্তর টেলিভিশনের ম্যানেজমেন্ট টিম কি সেই প্রশ্নের উত্তর জানে?
কোনটা সংবাদ আর কোনটা সংবাদ নয়, এই বোধ যাদের নাই, তারা একটি টেলিভিশন চ্যানেল কিভাবে চালায়? এমনিতে আমাদের দেশে এখন সাংবাদিক না পুলিশ কে বেশি অসৎ এ নিয়ে বরং বিতর্ক হতে পারে। সাংবাদিকরা পুলিশের কাছ থেকেও ঘুষ খায়, এমন ঘটনাও আমার জানা আছে। হলুদ সাংবাদিকতা দিয়ে মানুষের অন্তর জয় করা যায় না। হলুদ সাংবাদিকতা সব সময়ই রাষ্ট্র ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর। মিডিয়ার একটি নিজস্ব দায়িত্ববোধ আছে। সেই দায়িত্ববোধের কথা যদি তারা ভুলে যায়, তখন তাদের আর মিডিয়া ভাবা যায় না। তারা তখন অন্য অনেক দুবৃত্তায়নের মত একটি দুবৃত্ত, একটি অসৎ চক্র। তখন কোনো ভাবেই এরা রাষ্ট্রের চতুর্থ/পঞ্চম/ষষ্ঠ অঙ্গ নয়!
টেলিভিশন সাংবাদিকতায় দেশ এখনো একেবারে প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। সেখান থেকে উন্নতির চেষ্টার পরিবর্তে যদি এই হয় আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর রুচিবোধ, দায়িত্ববোধ, কর্মকাণ্ড, তাহলে এদের দিয়ে বরং জাতির কপালে আরো অনেক হ্যাপা আছে। আরো অনেক দুঃখ আছে। আরো অনেক অঘটন আছে।
কারো অর্জনকে মিডিয়া স্বীকার করুক বা না করুক, কারো অর্জনকে খাটো করার দুঃসাহস মিডিয়া কোথায় পায়? কিভাবে পায়? একাত্তর টেলিভিশনের উত্থানের পেছনে কারা আছে? তাদের ব্যবস্থাপনায় কারা? তাদের হাউজ কিভাবে এমন একটি ব্যক্তিগত বিষয়কে আইটেম বানিয়ে একেবারে এক্সক্লুসিভ নিউজ করে? একাত্তরের দৃষ্টিতে যা এক্সক্লুসিভ তা হয়তো আদৌ কোনো নিউজই নয়। মানুষকে কোন জিনিসের খবর দেবেন, তা যদি একটি মিডিয়া হাউজের নিজস্ব নীতিমালায় সুস্পষ্ট না থাকে, আদৌ কোনো নীতিমালা এসব হঠাৎ গজিয়ে ওঠা প্রাইভেট চ্যানেলগুলোর আছে কিনা, তাই বরং এখন দেখার বিষয়।
একটি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলকে চালানোর সুযোগ দেবার আগে রাষ্ট্রের বরং এসব বিষয়ে আরো খোঁজখবর নেওয়া উচিত। দক্ষ লোকবল, যন্ত্রপাতি, অনুষ্ঠানমালা, কোনো প্রোগ্রাম অন্য কারো নকল কিনা, অনুকরণ কিনা, এসব বিষয়ে আরো কঠোর হওয়ার সময় এখন। অখাদ্যকে খাদ্য বানানোর প্রতিযোগিতায় আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যে পরিমাণ গলদঘর্ম করছে, তা বরং এখন বাংলাদেশের জন্য এক নতুন বোঝা। জগাখিচুরি অনুষ্ঠান দিয়ে এক একটি চ্যানেল এক একটি দোকান খুলে বসেছে। সে দোকানের সামনে কোনো দর্শক ক্রেতার ভিড় না থাকলেও তারা গলাবাজি করছে। এভাবে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার উন্নয়ন সম্ভব নয়। আদৌ সম্ভম নয়।
সবচেয়ে আগে যেটি প্রয়োজন, সেটি হল দক্ষ লোকবল তৈরি করা। তা না করে আমাদের মিডিয়া একপাল গরুছাগলকে দিয়ে যা খুশি তাই গোটা জাতিকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। বিশেষায়িত চ্যানেল হওয়ার দিকে কারো ঝোক নেই। কারণ, আগে তো ঘটে সেই পরিমাণ বুদ্ধি, মেধা, রুচিবোধ, আর দক্ষতা থাকতে হবে। সেদিকে কোনো চ্যানেলের যাবার প্রস্তুতিও নেই। সবচেয়ে দুঃখের বিষয়, এরা কোনটা খবর আর কোনটা খবর নয়, এই জ্ঞানটুকুরও ধার ধারে না। নতুন চিন্তা তো অনেক দূরবর্তী অজানা বিষয়।
একাত্তর টেলিভিশনের শামসুল আরেফিনের তিনপর্বের এক্সক্লুসিভ নিউজকে এক্সক্লুসিভলি প্রতিবাদ করা হল। এ ধরনের অপনিউজ থেকে একাত্তর টেলিভিশন যদি ফিরে না আসে, ভবিষ্যতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে রাষ্ট্রের যে কোনো নাগরিক নালিশ দিবে বলেই আমার বিশ্বাস। জনাব শামসুল আরেফিন, আগে সংবাদ কী, তা বোঝার চেষ্টা করুন, চেনার চেষ্টা করুন, নইলে এই লাইনে আপনার গলদঘর্মের দৌড় বেশি দূর যাবে না। সো, সাধু সাবধান।
...............................
২১ ডিসেম্বর ২০১৪
ঢাকা

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

খেলাঘর বলেছেন:


অন্য ব্যবসার বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে ব্যবসায়ীরা মিডিয়াকে দখল করছে নিজেদের কাজে।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: এই খবরটা সামনে আসা মাত্রই আমার ওই প্রেজেন্টরটাকে আচ্ছামত পিটাইতে ইচ্ছা করছিলো। X(( X(( X((

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: ওই মিডিয়া কারা চালায় সেটা তত্ত্ব তালাশ করলে রুচিবোধের বিষয়টি পরিস্কার হবে... যার যা রুচি...

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আমি বলব একাত্তর টেলিভিশন ৭১ সখ্যাটার অবমাননা করেছে। গ্রাফিক্স আর রংচঙে খুব উন্নত হতে পারে, কিন্তু নিউজের বিষয়বস্তু ও তার প্রেজেন্টেশন একেবারেই নিম্নমানের

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কোট:
" সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে গত ৯ ডিসেম্বর একটি তেলের ট্যাংকার ডুবে আমাদের প্রাকৃতিক রক্ষাঢাল সুন্দরবন এখন মারাত্মক ধ্বংসের মুখে। সুন্দরবনের সেই দুর্ঘটনাস্থলে একাত্তরের ক্যামেরা কখন পৌঁছালো? কী নিউজ করল? এক্সক্লুসিভ হওয়ার মত বিষয় তো এটা। আপনাদের কাছে রুবেল-হ্যাপির গোপন প্রাইভেট ফোনালাপ হয়ে গেল এক্সক্লুসিভ?!! আপনারা পারেন বটে। বেহায়া বললেও বেহায়া শব্দটাকে অপমান করা হবে। "

দারুন বলেছেন। কিন্তু যাদের বলেছেন তাদের চোখে কুলো আর কানে তুলো!

স্ব-ঘোষিত চেতনার সুশীলপনায় তারা এতটাই বিভোর ভবে সব আন্ধার দেখে ;) :P =p~ =p~ =p~

৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

হামিদ আহসান বলেছেন: সহমত ...............

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩০

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ki ar bolbo vai bolar kon juggotai to nai.

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৭

আলম দীপ্র বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কোট:
" সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে গত ৯ ডিসেম্বর একটি তেলের ট্যাংকার ডুবে আমাদের প্রাকৃতিক রক্ষাঢাল সুন্দরবন এখন মারাত্মক ধ্বংসের মুখে। সুন্দরবনের সেই দুর্ঘটনাস্থলে একাত্তরের ক্যামেরা কখন পৌঁছালো? কী নিউজ করল? এক্সক্লুসিভ হওয়ার মত বিষয় তো এটা। আপনাদের কাছে রুবেল-হ্যাপির গোপন প্রাইভেট ফোনালাপ হয়ে গেল এক্সক্লুসিভ?!! আপনারা পারেন বটে। বেহায়া বললেও বেহায়া শব্দটাকে অপমান করা হবে। "

দারুন বলেছেন। কিন্তু যাদের বলেছেন তাদের চোখে কুলো আর কানে তুলো!

স্ব-ঘোষিত চেতনার সুশীলপনায় তারা এতটাই বিভোর ভবে সব আন্ধার দেখে ;) :P =p~ =p~ =p~

৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০২

ইমরুল_কায়েস বলেছেন: ভাই আপনি ৭১ কে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। রাজাকার ট্যাগিং খেতে পারেন। আমাদের স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক একটা গল্প বলতেন। গল্পটা এমন- একবার এক চোর যার নামের শেষে ইসলাম শব্দটি রয়েছে রাতের, অন্ধকারে চুরি করতে যেয়ে কূয়োয় পড়ে গেল। সাতার না জানা চোরটি তখন বাচার জন্য চিৎকার করে বলতে লাগল “তোমরা কে কোথায় আছ ইসলাম ডুবে গেল রক্ষা কর”। গ্রামবাসী এসে ইসলাম ডুবে যাওয়ার কোন নিশানা খুজে পেলনা বরং কূয়োয় পড়ে যাওয়া চোরটিকে পেল এবং ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে গ্রামবাসী কাকে রক্ষা করল ইসলামকে নাকি চোরকে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.