নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
ISBN কি? International Standard Book Number। প্রকাশিত বইয়ের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি ইউনিক নম্বর। প্রতিটি বই শুধুমাত্র এই একটি নম্বর দিয়ে সারা বিশ্বে পরিচিত হয়। বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত কোনো বইয়ের ISBN নম্বর সঠিক নয়। কারণ তেরো ডিজিটের এই ISBN নম্বর ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে বাংলাদেশের কোনো বইয়ের পরিচয় জানা যায় না। তাহলে আমরা কেমন ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করছি, এটা একটি মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন বটে!!!
বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বইপত্রে যে সকল ISBN নম্বর দেওয়া হয়, সবগুলোই বাতিল জিনিস ভুয়া নম্বর।। ইন্টারনেটে বাংলাদেশের কোনো বইয়ের ISBN নম্বর দিয়ে সার্চ দিলে কিছুই দেখায় না। মানে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বইয়ের এসব ISBN নম্বরের কোনো পরিচয় জানা যায় না। কারণ টা কি? প্রধান কারণ, সরকারিভাবে যে ISBN নম্বরটি একটি বইয়ের জন্য দেওয়া হয়, সেটি ভুল। যার সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো স্বীকৃতি নেই। থাকলে আপনার বইয়ের ISBN নম্বরটি ইন্টারনেটে সার্চ দিলে আপনার বইয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচয় জানা যেত। আমাদের মহান প্রকাশকগণ বই প্রকাশের সময় যে ISBN নম্বরটি বইয়ে ব্যবহার করেন, এটার কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। ৪৩ বছর ধরে একটি দেশে ভুয়া ISBN নম্বর ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যা নিয়ে সরকার বা আমাদের লেখক, প্রকাশক কারো কোনো আগ্রহ নেই। বিষয়টা সত্যিসত্যিই খুব পিড়াদায়ক। তাহলে আপনার বই প্রকাশ পেলেও আপনার বইয়ে যে ISBN নম্বর সেটি ভুয়া। ভুয়া ISBN নম্বর দিয়ে আপনি ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে এই বইয়ের কোনো পরিচয় জানতে পারবেন না।
এজন্য এখন কী করতে হবে? সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ISBN নম্বর ব্যবহার করার উদ্যোগ নিতে হবে। এ যাবত প্রকাশিত সকল বইয়ের ISBN নম্বর সংশোধন করতে হবে। আর নতুন প্রকাশিত বইয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ISBN নম্বর ব্যবহার করতে হবে। নইলে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত কোনো বইয়ের পরিচিতি ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে জানার উপায় নাই। বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত সকল বই, টেক্সট, ছবি, অডিও, ভিডিও, প্রকাশনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উপাত্তের কপিরাইট সংরক্ষণ, লাইসেন্সিং এবং পুনঃপ্রকাশের ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য সরকারকেই এখন উদ্যোগ নিতে হবে। নতুবা বছর বছর আমরা যা কিছু প্রকাশ করি না কেন, আন্তর্জাতিকভাবে এটার কোনো স্বীকৃতি নেই।
আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আগারগাঁওয়ের শেরে বাংলা নগরে যে নামকাওয়াস্তে একটি অথর্ব আরকাইভস ও জাতীয় পাঠাগার আছে, সেখানে আলাদা একটি বিভাগ থেকে কপিরাইট ও ISBN নম্বর দেওয়ার প্রচলন আছে। সরকারিভাবে সেখান থেকে প্রকাশকদের/লেখকদের জন্য যে ISBN নম্বর দেওয়া হয়, সেটি ভুয়া। সেটি ঠিক করার কোনো উদ্যোগ বিগত ৪৩ বছরে নেওয়া হয় নাই। কেন নেওয়া হয় নাই, তা জানার উপায় নাই। হয় আমাদের সরকার এই বিষয়টি বোঝে না। অথবা এটি কার্যকর করার জন্য যে সব উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন, সে ব্যাপারে কোনো আগ্রহ নেই।
কয়েক বছর ধরে অমর একুশে গ্রন্থমেলার সময় মেলায় আমাদের জাতীয় আরকাইভস ও জাতীয় পাঠাগারের একটি স্টল দেখা যায়। জাতীয় আরকাইভস ও জাতীয় পাঠাগার অধিদপ্তর থেকেই আমাদের সকল ISBN নম্বর প্রদান করা হয়। কিন্তু তারা যে ISBN নম্বরটি প্রদান করেন, সেটি ভুয়া। যার কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। যদি থাকতো তাহলে সেই ISBN নম্বর দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে সেই প্রকাশনার সংক্ষিপ্ত পরিচয় জানতে পাওয়ার কথা।
মাননীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর, আমাদের ISBN নম্বর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত করার যথাযথ উদ্যোগ নিবেন বলেই আমরা আশা করি। নইলে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত কোনো কিছুরই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না থাকলে ডিজিটাল উন্নয়নের নামে আমরা যা কিছু করব, সব আবর্জনা হবে। ৪৩ বছরে বাংলাদেশে যে বিষয়টি ঠিক করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, সেটি এখন কিভাবে ঠিক হবে তা এখন দেখার বিষয়।
এ ব্যাপারে আমাদের প্রকাশক ও লেখকদের আরো সচেতন হবার এখনই সময়। নইলে প্রতি বছর আমরা যেসব বই প্রকাশ করছি, তার কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া যাবে না। কারণ, বইয়ে প্রকাশিত বা প্রদানকৃত ISBN নম্বরটি যে ভুয়া। ভুয়া ISBN নম্বর দিয়ে আর কতকাল চলবে বাংলাদেশ???
..............................
৫ জানুয়ারি ২০১৫
ঢাকা
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭
লিখেছেন বলেছেন: very thought provoking sharp write up. But hey, we expect this from Reza The mAtchMaker!
Happy New Year Bhai.
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৮
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
বিষয়টা যতখানি দেখলাম ISBN চাইতে গেলে সবার আগে পাবলিশারকে নিজের দেশের ISBN প্রভাইডারের কাছে যেতে হবে।
ISBN নম্বর দেয়া আর তার টাইটেল পাবলিশ করা দুটো ভিন্ন ব্যাপার। এটা পাবলিশারের নিজ দায়িত্বে আপডেট করতে হয়।
আমি দেখছি যে ISBN এ 984 নম্বর গ্রুপে বাংলাদেশের কথা স্পষ্ট লেখা আছে। Bangladesh er সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে যে ISBN দেয়া হয়ে থাকে ভুয়া কোথায় হবে?
আপনি কি মিন করছেন যে যে ভাবে নম্বরটা দেয়া হয় সরকারী পর্যায়ে সেটা অবৈধ? বা যথযথ নিয়ম মেনে দেয়া হয় না?
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫১
রেজা ঘটক বলেছেন: বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে ISBN প্রদান করে National Library of Bangladesh, Directorate of Archives & Libraries, ISBN agency. জাতীয় ভাবে প্রদান করা সঠিক সিরিয়াল এ আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রিফিক্স হল- ৯৭৮-৯৮৪। এরপর আমাদের চার ধাপে যে সব নম্বর দেয়ি যাবে সেই ধাপ চারটি হল ০০-৯৯, ৪০০-৭৯৯, ৮০০০-৮৯৯৯ ও ৯০০০০-৯৯৯৯৯। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত যে কোনো বইয়ের জন্য আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ISBN নম্বরটি অবশ্যই এই ডিজিটের আওতায় থাকতে হবে। এর বাইরে যত ISBN নম্বর দেখা যাবে, সেগুলো সব ভুল অথবা ভুয়া।
কিন্তু অমর একুশে গ্রন্থমেলায় যে সকল বই প্রকাশিত হয়, তার অধিকাংশই ISBN-এর এই নিয়ম অনুসরণ করে না। যারা করে না, তাদের ব্যাপারে জাতীয় এই প্রতিষ্ঠানটিরও কোনো যথাযথ নজরদারী নেই। ভুল ISBN দিয়ে ছাপা হচ্ছে আমাদের বই। আমাদের প্রকাশকরা যথাযথভাবে ISBN সংগ্রহ করতে যেমন অনাগ্রহ দেখাচ্ছে, তেমনি ISBN প্রদানকারী সংস্থাটি এটি কঠোরভাবে অনুসরণ করাও বাধ্যতামূলক করছে না। দুঃখজনক এই ভ্রাকুয়াম থেকেই আমাদের প্রকাশকগণ নিজেদের ইচ্ছে মত আন্দাজে নানান ডিজিটের ISBN নম্বর দিয়ে বই প্রকাশ করছেন। এই অনিয়মটি গত ৪৩ বছর ধরেই চলছে। আমি এই কথাটি বুঝাতে চেয়েছি।
সরকারের উচিত হবে, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ISBN এর নিয়ম কানুন যথাযথ ভাবে পালন করার জন্য প্রকাশক বা লেখকদের বাধ্য করা। যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি এটি যথাযথভাবে পালনে ব্যর্থ হচ্ছে, যে কারণে ভুল বা ভুয়া ISBN নম্বরে ভরে যাচ্ছে বইয়ের দুনিয়া। যা একটি ধারাবাহিক অনিয়ম। এটি বন্ধ হওয়া জরুরী। নইলে প্রকাশিত বইটি আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ISBN ব্যবহার না করার জন্য সারা বিশ্বে এর আইনগত কোনো গ্রহনযোগ্যতাও থাকছে না। যে কারণে আইনগত জটিলতায় বইয়ের লেখক কিন্তু কপিরাইট থেকে এক ধরনের বঞ্চিত হচ্ছেন।
আমি বলতে চাচ্ছি, যেভাবে ISBN দেওয়া হচ্ছে, এটি সম্পর্কে প্রকাশক ও লেখকদের আরো সচেতনতা তৈরিতে এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানটির যতটুকু সামনে আসার কথা, তারা যেনো ততটুকু গর্তে ঢুকে এক ধরনের দায়সারা গোছের দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সুযোগে ভুল ISBN নম্বরে বইয়ের দুনিয়া ছয়লাভ হয়ে যাচ্ছে।
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটা সিরিয়াল ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সিরিয়াল তারা যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করল কিনা, একই ISBN নম্বর দুটি বইয়ের জন্য গেল কিনা, বা ভুল ISBN নম্বরে বই ছাপা হল কিনা, এই তদারকিটা কোথাও নেই। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই তদারকিটা কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারে না।
এখন প্রকাশিত বইয়ের প্রকাশক বা লেখক কেন নির্দিষ্ট বইটির ISBN নম্বরের সংগে যুক্ত বইটির পরিচিতি যথাযথভাবে আপডেট করছে না, যে কারণে ইন্টারনেটে সেই নম্বরের কোনো বইয়ের খবরও পাওয়া যাচ্ছে না। কেন আমাদের জাতীয় পাঠাগার ও আর্কাইভ অধিদপ্তর এই প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে নজরদারি করছে না? সেটি না করার কারণে প্রকাশক বা লেখকরা প্রাপ্ত ISBN নম্বরে প্রকাশিত বইটির কোনো আপডেটও রাখছেন না। যা ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
পুরো প্রক্রিয়াটি একটি সুনির্দিষ্ট সিস্টেম অনুসরণ করার কথা। সেটি এতোই অকার্যকর যে, সেই সুযোগে ভুল ISBN নম্বরে বইয়ের দুনিয়া ছয়লাভ হচ্ছে। আমার পুরো লেখায় এই বিষয়টি বুঝাতে চেয়েছি। আর সেজন্য সংস্কৃতিমন্ত্রী মহোদয়কে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়েছি।
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৯
আবু শাকিল বলেছেন: হ্যাপি নিউ ইয়ার রেজা ঘটক ভাই
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫২
রেজা ঘটক বলেছেন: বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে ISBN প্রদান করে National Library of Bangladesh, Directorate of Archives & Libraries, ISBN agency. জাতীয় ভাবে প্রদান করা সঠিক সিরিয়াল এ আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রিফিক্স হল- ৯৭৮-৯৮৪। এরপর আমাদের চার ধাপে যে সব নম্বর দেয়ি যাবে সেই ধাপ চারটি হল ০০-৯৯, ৪০০-৭৯৯, ৮০০০-৮৯৯৯ ও ৯০০০০-৯৯৯৯৯। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত যে কোনো বইয়ের জন্য আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ISBN নম্বরটি অবশ্যই এই ডিজিটের আওতায় থাকতে হবে। এর বাইরে যত ISBN নম্বর দেখা যাবে, সেগুলো সব ভুল অথবা ভুয়া।
কিন্তু অমর একুশে গ্রন্থমেলায় যে সকল বই প্রকাশিত হয়, তার অধিকাংশই ISBN-এর এই নিয়ম অনুসরণ করে না। যারা করে না, তাদের ব্যাপারে জাতীয় এই প্রতিষ্ঠানটিরও কোনো যথাযথ নজরদারী নেই। ভুল ISBN দিয়ে ছাপা হচ্ছে আমাদের বই। আমাদের প্রকাশকরা যথাযথভাবে ISBN সংগ্রহ করতে যেমন অনাগ্রহ দেখাচ্ছে, তেমনি ISBN প্রদানকারী সংস্থাটি এটি কঠোরভাবে অনুসরণ করাও বাধ্যতামূলক করছে না। দুঃখজনক এই ভ্রাকুয়াম থেকেই আমাদের প্রকাশকগণ নিজেদের ইচ্ছে মত আন্দাজে নানান ডিজিটের ISBN নম্বর দিয়ে বই প্রকাশ করছেন। এই অনিয়মটি গত ৪৩ বছর ধরেই চলছে। আমি এই কথাটি বুঝাতে চেয়েছি।
সরকারের উচিত হবে, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ISBN এর নিয়ম কানুন যথাযথ ভাবে পালন করার জন্য প্রকাশক বা লেখকদের বাধ্য করা। যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি এটি যথাযথভাবে পালনে ব্যর্থ হচ্ছে, যে কারণে ভুল বা ভুয়া ISBN নম্বরে ভরে যাচ্ছে বইয়ের দুনিয়া। যা একটি ধারাবাহিক অনিয়ম। এটি বন্ধ হওয়া জরুরী। নইলে প্রকাশিত বইটি আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ISBN ব্যবহার না করার জন্য সারা বিশ্বে এর আইনগত কোনো গ্রহনযোগ্যতাও থাকছে না। যে কারণে আইনগত জটিলতায় বইয়ের লেখক কিন্তু কপিরাইট থেকে এক ধরনের বঞ্চিত হচ্ছেন।
আমি বলতে চাচ্ছি, যেভাবে ISBN দেওয়া হচ্ছে, এটি সম্পর্কে প্রকাশক ও লেখকদের আরো সচেতনতা তৈরিতে এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানটির যতটুকু সামনে আসার কথা, তারা যেনো ততটুকু গর্তে ঢুকে এক ধরনের দায়সারা গোছের দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সুযোগে ভুল ISBN নম্বরে বইয়ের দুনিয়া ছয়লাভ হয়ে যাচ্ছে।
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটা সিরিয়াল ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সিরিয়াল তারা যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করল কিনা, একই ISBN নম্বর দুটি বইয়ের জন্য গেল কিনা, বা ভুল ISBN নম্বরে বই ছাপা হল কিনা, এই তদারকিটা কোথাও নেই। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই তদারকিটা কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারে না।
এখন প্রকাশিত বইয়ের প্রকাশক বা লেখক কেন নির্দিষ্ট বইটির ISBN নম্বরের সংগে যুক্ত বইটির পরিচিতি যথাযথভাবে আপডেট করছে না, যে কারণে ইন্টারনেটে সেই নম্বরের কোনো বইয়ের খবরও পাওয়া যাচ্ছে না। কেন আমাদের জাতীয় পাঠাগার ও আর্কাইভ অধিদপ্তর এই প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে নজরদারি করছে না? সেটি না করার কারণে প্রকাশক বা লেখকরা প্রাপ্ত ISBN নম্বরে প্রকাশিত বইটির কোনো আপডেটও রাখছেন না। যা ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
পুরো প্রক্রিয়াটি একটি সুনির্দিষ্ট সিস্টেম অনুসরণ করার কথা। সেটি এতোই অকার্যকর যে, সেই সুযোগে ভুল ISBN নম্বরে বইয়ের দুনিয়া ছয়লাভ হচ্ছে। আমার পুরো লেখায় এই বিষয়টি বুঝাতে চেয়েছি। আর সেজন্য সংস্কৃতিমন্ত্রী মহোদয়কে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়েছি।
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪০
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: প্রবাসে থাকাকালীন সময় একাডেমিক রেফারেন্স ব্যবহার করতে গিয়ে বাংলাদেশি বই এর এই আইএসবিএন নম্বর নিয়ে খুব সমস্যায় পরেছিলাম কয়েকবার।
৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
ইছামতির তী্রে বলেছেন: খুব ভালো পোস্ট।
একটা কথা, আপনার লেখাটির কিছু অংশ ব্যবহার করতে পারি কি?
হ্যাপি নিউ ইয়ার।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৩
রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যা অবশ্যই। এই বিষয়ে সবাইকে সচেতন করার জন্য সম্মিলিত প্রয়াস খুব দরকার।
৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। +++
পোস্টটি স্টিকি করা যায় কিনা কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখতে পারে। এতে বিষয়টি সবার নজরে আসবে।
ধন্যবাব লেখককে সুন্দরভাবে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য।
৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৪
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয় তুলে ধরেছেন ।
১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪১
রেজা ঘটক বলেছেন: সবাইকে ধন্যবাদ
১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১০
বর্ণহীণ বলেছেন: বড় বড় প্রকাশকদেরও এই বিষয় নিয়ে তেমন মাথা ব্যথা নেই। তাদের নাম কামানো আর ব্যবসা হলেই হলো ।
খুব দরকারী একটি বিষয় নিয়ে কলম ধরেছেন। এই ভুয়া নাম্বার দিয়ে মুলা দেখানো আর কতোকাল?
১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৭
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
ভালো একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। আশাকরি যথাযথ কর্তৃপক্ষ এর দিকে নজর দিবেন।
১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৬
ঠকচাচা বলেছেন: বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাননীয় মন্ত্রী একটু দেখবেন কী?
১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২১
নিলু বলেছেন: মন্ত্রী মহোদয়ের এখন সময় নেই এসব দেখার , ধন্যবাদ এখন আসতে পারেন ,
১৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪১
জন রাসেল বলেছেন: আমি এবার যে প্রকাশকের কাছ থেকে বই বের করছি উনি আমাকে এই বিষয়টা জানানই নি। তিনি নিজের মত করে এই নাম্বার ছাড়াই বই করবেন বলে শুনলাম।
এখন আমি ব্যাপারটা নিয়ে শংকিত। এই নাম্বারটা কার কালেক্ট করে আনার কথা? লেখকের নাকি প্রকাশকের? আমি ব্যক্তিগতভাবে কি এটা কালেক্ট করে আনতে পারব? নাকি প্রকাশককে গিয়ে কালেক্ট করতে হবে?
আর এটা না থাকলে কোন বড় সমস্যা আছে দেশীয় গন্ডির ভিতরে, আইনগত কোন জটিলতা কিংবা এই জাতিয় কিছু? থাকলে দয়া করে ব্যাপারটি আমাকে জানান এবং এই ক্ষেত্রে আমার করণীয় কি সেটি ব্যাখ্যা করুন। আমার প্রকাশক খুবই ধান্ধাবাজ এবং দুই নাম্বার, উনি এই ব্যাপারটাই আমার কাছে গোপন রেখেছিলেন। সুতরাং তার দিক থেকে আমি কোন সহায়তা পাব না, আমি ব্যক্তিগতভাবে কি এটা কোনভাবে কালেক্ট করতে পারব।
উল্লেখ্য আমার বইটা আগামী দুই তিনদিনের মধ্যেই প্রিন্ট করা হবে।
এমতাবস্থায়, করণীয় কিছু থাকলে যদি সেটি জানান তাহলে কৃতজ্ঞ থাকব।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: এসব বিষয় নিয়া সরকারের বা মন্ত্রী বাহাদুরের খোরাই মাথা ব্যাথা আছে!