নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
যথারীতি অমর একুশে বইমেলায় দ্বিতীয় দিনে সোমবারও দেখা হল অনেকের সাথে। আড্ডাও হল অনেক। মাগার বেচাবাট্টা নাই। এক বড় প্রকাশক ভারী দেমাগ দেখালেন। হাঁটছেন মাটিতে কিন্তু পা তাঁর আকাশে!!! লেখক আর প্রকাশকদের মধ্যে যেন টেস্ট ক্রিকেট আর বৃষ্টির সম্পর্কের মত এক রহস্যময় খেলা চলে সারাক্ষণ। প্রকাশকগণ যে জিনিসটা বুঝতে চান না, সেটি হল, লেখক না থাকলে তাদের ব্যবসা কিভাবে হবে!! ইয়েস, ব্যবসা হবে বটে অন্য কোনো লেখক বা কবি সাহিত্যিকের উপর ভর করে। তবে মোটেও আমার উপর ভর করে নয়, এটা একদম সত্যি!!!
বইমেলায় উদ্যানে ঢুকেই দেখা হল বিজ্ঞান লেখক ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী'র সঙ্গে। ফারসীমের অনুযোগ, বাইরে দেখা হলে নাকি আড্ডা দেই না। আমি আড্ডা দেই না, এটা কে কে বিশ্বাস করবে!!! কেউ কী বিশ্বাস করবে!!! পরে ফারসীম ও তার দলবলসহ গেলাম বাংলা একাডেমি চত্বরে। গিয়েই পেলাম প্রিয় জাহীদ ভাইকে (লেখক সাংবাদিক জাহীদ রেজানূর)। জাহীদ ভাইকে স্মরণ করিয়ে দিলাম আমার সঙ্গে প্রতিশ্রুত সেই বিষয়। জাহীদ ভাই প্রতিবছর আমাকে একটা পছন্দের বই কিনে দেন। এবারো দেবেন। আমি বলেছিলাম, এবার কোনো সমগ্র কিনে দাও। জাহীদ ভাই বলল, ওরে শয়তান, আমার মনে আছে, তোরে কইছি, একটা সিঙ্গেল বই কিনে দেব। জাহীদ ভাইরে কইলাম, তোমাদের স্টল তো এবার নরসিংদির কাছাকাছি। ভৈরব সেতু পার হয়ে ডানদিকে হাঁটলেই পাবা। জাহিদ ভাই বলল, যাই দেখে আসি। আমি এখনো যাই নাই।
জাহীদ ভাই চলে যাবার পর লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ঢুকলাম। বহেড়াতলা এবার বসার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এবার আমি গোটা মাস নন্দনে বসব। কিন্ত চেয়ার নাই। কি করি রে ভাই! নন্দন স্টলে কবি বন্ধু আলফ্রেড খোকনের দেওয়া নন্দন গুলো সাজিয়ে রেখে গেলাম একাডেমি'র নতুন ভবনে। সরাসরি কবি সরকার আমিনের রুমে। বাংলা একাডেমি'র লিফটে উঠতে আমার খুব ভয় লাগে। সেদিন কবি সাজ্জাদ আরেফিন (মোবারক হোসেন) যা শোনালেন, লিফটে আটকা পড়েছিল কয়েকজন। তাদের উদ্ধার করার কাহিনী শুনে আমার আত্মা শুকিয়ে খাঁক। এর আগে কারওয়ান বাজারে এক পত্রিকা অফিসের লিফট থেকে পড়ে কবি টোকন ঠাকুর তিনমাস ধরাসাই ছিলেন। সেই ঘটনা মনে পড়ায় লিফটে ওঠায় আমার আতঙ্ক আরো বেড়ে যায়।
সিড়ি বেয়ে আমিন ভাইয়ের রুম পর্যন্ত যাওয়া আর খোলা আকাশের নিচে নীলগিড়িতে ওঠা প্রায় সমান কষ্ট। আমিন ভাইয়ের (কবি ডক্টর সরকার আমিন) রুমে গিয়ে পেলাম অনু ভাইকে (ডক্টর অনু হোসেন)। দুই বন্ধু খুব আড্ডা দিচ্ছিলেন। আমিন ভাই তার এবং মুন্নী আপার (শাহনাজ মুন্নী) নতুন বই দেখালেন। আমিন ভাইয়ের 'চিন্তা ও দুশ্চিন্তার সংকলন- মুহূর্তের দর্শন' আর মুন্নী আপার উপন্যাস 'হৃদয় ঘরের বারান্দায়'। আমিন ভাইয়ের বইটা সত্যি সত্যি অনেক দর্শনের সমাহার। ফেসবুকে বিভিন্ন সময়ে আমিন ভাই মনোজাগতিক যেসব স্টাটাস লিখেছেন, তার একটা সম্পূর্ণ কোলাস ওটা। কবিদের গদ্য আমার খুব পছন্দ। আমিন ভাইয়ের বইটাও অনেক মজার বিষয় নিয়ে চিন্তার এক-একটা বিস্ফোরণ যেন।
অনু ভাই একটা মজার তথ্য দিলেন। বিশ্ব সাহিত্যের প্রথম ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন কবি সত্যেন্দ্র নাথ দত্ত। যাঁকে বোদ্ধারা বলেন কবিশিল্প। কবিতার সকল নান্দনিক দিক যিনি হাতে কলমে জানেন এবং প্রয়োগ করেন, তিনিই কবিশিল্প। আমাদের আড্ডা জমে ওঠার এক ফাঁকে আমিন ভাই এক মিটিংয়ের কলে বেড়িয়ে গেলেন। অনু ভাই বসে বসে প্রুভ দেখতে লাগলেন। আমিও বেড়িয়ে গেলাম মুর্শিদ (মুর্শিদ আনোয়ার) ভাইয়ের রুমে। মুর্শিদ ভাই বাংলা একাডেমি প্রকাশিত 'অমর একুশে' স্মারকগ্রন্থ দিলেন। সঙ্গে চা আর সিগারেট। একটু পরে সেখানে আসল মাসুম অপু। দিন দিন অপু'র পেটটা যেন ঝালকাঠির দিকে যাচ্ছে। টোকা দিলেই আঙুলে ব্যথা লাগে!!
একাডেমি ভবন থেকে বেড়িয়ে লিটল ম্যাগ চত্বরে এসে দেখা পেলাম শিল্পী সব্যসাচী হাজরা, 'পৌষ' (সব্য ও তনুজা'র কন্যা) আর শিল্পী চারু পিন্টুকে। পৌষ আমাকে রাক্ষস সেজে খুব ভয় দেখাল। বইমেলার মাঠে যতগুলো মাইকের স্পিকার আছে, তার চেয়ে পৌষের কণ্ঠ আরো বেশি চড়া যেন! পৌষ বিশাল এক রুই মাছের ঘুড়ি নিয়ে মেলায় এসেছে। সেই ঘুড়ি ততক্ষণ ওড়াচ্ছিল বন্ধু চলচ্চিত্র নির্মাতা সুমন শামস। সুমন জানাল, নদী নিয়ে কয়েকটি পর্বের ডকুমেন্টারির শুটিং শেষ। এখন এডিটিং চলছে।
সব্য, পৌষ আর সুমন চলে যাবার পর পিন্টু আর আমি মেলায় ঢু মারতে গিয়েই বর্ধমান হাউজের সামনে পেলাম জাকির ভাইকে। কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার কথাসাহিত্যে ২০১৪ সালের বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। জাকির ভাই জানালেন, শাহবাগ উপন্যাসটা এবারের মেলায় আসবে না। ওটার জন্য আগামী মেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সেই সময় আমাদের সঙ্গে যোগ দিলেন কবি মাসুদুজ্জামান মাসুদ ও কবি দ্বিত্ব শুভ্রা। শুভ্রা জানাল, এবারের বইমেলায় তার প্রথম বই এসেছে। বইয়ের নাম ‘চৌপাহারার গেহ’। এটি নিশ্চয়ই আমাদের সমাজ, রাজনীতি, দেহ ও আত্মার পাহারায় নতুন অভিযোজনের এক সারাংশ লিপি হবে। মাসুদ ভাই বেশি আলোতে কবি'র সঙ্গে ছবি তুলবেন। তাই ট্যাব নিয়ে আলোতে চলে গেলেন পিন্টু আর শুভ্রাকে নিয়ে। জাকির ভাই আর আমি আড্ডা দিতে লাগলাম।
কিছুক্ষণ পরে পাশ ফিরে দেখি রিটন ভাই (বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক ও ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন) ভূতের মত মিটমিট করে মাযহার ভাইয়ের উপস্থাপনা দেখছেন। রিটন ভাই যে কাজে ফাঁকি দিচ্ছিলেন, এটা ধরে ফেলায় রিটন ভাই উল্টো আমারে ঝাড়ি দিয়ে বললেন, আরে মিঞা, তোমারেই তো খুঁজতাছি। আছো কেমন? কইলাম, আপনি টরন্টো থেকে আইসা কোথায় কোথায় টইটই করতাছেন? দেখা নাই, আড্ডা হয় না। রিটন ভাই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে কইলো- আইসো। আড্ডা হবে। এর মধ্যে মাযহার ভাই আবার ইসারায় রিটন ভাইকে লাইভ-যজ্ঞে ফিরিয়ে নিলেন।
আমি জাকির ভাইয়ের কাছ থেকে লিটল ম্যাগ চত্বরে ফিরে পেলাম শিশিরকে। কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা আশরাফ শিশির। শিশিরের 'গাড়িওয়ালা' ছবিটি এবার যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র উৎসবে তিনটি পুরস্কার জিতেছে। শিশিরকে কংগ্রাচুলেট করে জিজ্ঞেস করলাম, রায়চৌধুরানী কোথায়? শিশির বলল, কলকাতা বইমেলায়। সেখানে কবি'র নতুন বই এসেছে 'উড়োমেল' (পত্রভারতী)। তাই নিয়ে ভারী ব্যস্ত কবি কাবেরী রায়চৌধুরী মানে আমাদের শিশিরের বউ। ৮ তারিখ কলকাতা বইমেলা শেষ হলে তারপর ঢাকায় আসবে। শিশির একটা টেলিভিশন চ্যানেলে গুলশান গিয়ে আড্ডা দেবার বায়না ধরল। কইলাম, আমি তো এখন ওইপাড়ায় নাই। এই পাড়ায় আইসা পড়ছি। বইমেলার সময় ওইপাড়ায় যাবার সময় কোথায়! শিশির বলল, তাহলে বইমেলায় একটা সিডিউল করি। একটু সময় দিয়েন। শিশিরের এবারের মেলায় দুইটা বই এসেছে। শিশির নিজের কাব্যগ্রন্থ "কোন কোন বৃষ্টি কাউকে ভেজায় না'' দেখাল। শিশির নিজের বই নিজে প্রকাশ করেন। নিজের পছন্দমত খুব সুন্দর প্রডাকশন করেছে। "কোন কোন বৃষ্টি কাউকে ভেজায় না'' পাওয়া যাবে লিটল ম্যাগ চত্বরের উন্মুক্ত স্টলে।
তারপর আবার এসে নন্দনের সামনে দাঁড়াতেই দেখা হল বন্ধু কবি ও সঙ্গীত পরিচালক সাঈম রানার সঙ্গে। সাঈমের সঙ্গে লিটল ম্যাগের পেছনে গিয়ে সিগারেট খেলাম। সঙ্গীত নিয়ে একচোট আড্ডা হল। সাঈম চলে গেলে আবার নন্দনের সামনে ফিরে আসলাম। এসে দেখা পেলাম চিরনীল দম্পতি লেখক ও ঘুড়িব্লগের সম্পাদক নীলসাধু ও শিমুল ভাবী'র। নীলসাধু এবার 'এক রঙ্গা এক ঘুড়ি' থেকে প্রকাশ করেছেন বেশ কিছু নতুন বই। বইমেলায় দুই কপোত-কপোতি পাংখা লাগিয়ে ঘুরছেন। শিমুল ভাবী বললেন, চেনেন আমাকে। আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম। নিশ্চয়ই সাধুদার কোনো রহস্যময় মদদ আছে এর পেছনে।
এই সময় দেখা হল কানাডা থেকে উড়াল দিয়ে আসা লিটলমাস্টার কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল ভাইয়ের সঙ্গে। দুলাল ভাই সকালে ঢাকায় নেমে কয়েক ঘণ্টা রেস্ট নিয়েই বইমেলায় এসেছেন। খুঁজছিলেন এক ভারতীয় কবিকে। বললাম, নতুন ভবনের নিচতলার অডিটরিয়ামে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন হচ্ছে, ওখানে পাবেন। দুলাল ভাই সেদিকে গেলেন।
এরপর যথারীতি আবার দেখা হল কমরেড লেখক ঋষি এস্তেবান ও কবি সাফি সমুদ্র, মানিক জোড়ের সঙ্গে।
না, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দোকানদারিতে আর পোসালে না। নতুন বই না আসা পর্যন্ত কি বেচাবিক্রি হবে না নাকি!!! তো সংসার চলবে কেমনে? বউ ছেলেমেয়ে খাবে কী!!! রাত আটটার দিকে নন্দনের সামনে আসলো অভিনেতা ইকতারুল ইসলাম আর অভিনেতা শাহজাহান সম্রাট। আমি দোকান গুটিয়ে ওদের সঙ্গে আবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢু মারতে গেলাম। মেলা দুইপাড়ে হওয়ায়, এই এক জ্বালা। এপারে থাকলে ওপারের কারো সাথে আর দেখা হয় না। ওদের নিয়ে উদ্যানের মূল মেলায় ঢুকেই পেলাম গণি ভাইকে। আগামী প্রকাশনীর বিখ্যাত প্রকাশক ওসমান গণি। গণি ভাইয়ের অতো সময় কোথায়! আমার মত পুচকে এক লেখকের সঙ্গে এক মিনিট কথা বলবেন! তো ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি অবস্থা। অন্যপ্রকাশের সামনে গিয়ে আবার দুলাল ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হল। সেই ফাঁকে ইকতার আর সম্রাট হারিয়ে গেছে। ফোন দিয়ে শুনলাম, ওরা বাইরে উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চে নাটক দেখছে।
এবার মেলায় ঘুরতে ঘুরতে গেলাম শ্রাবণ প্রকাশনীর সামনে। প্রকাশক ও কবি বন্ধু রবীন আহসান বলল, গরম গরম পেটিস খা। আজকে আমার ১৮ বছরের মেলার বয়সে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। খা খা গরম পেটিস খা। রবীনের যা আজ আয় তার তিন ভাগের এক ভাগ নাস্তায় ব্যয়। হরি বল হরি বল। কিন্তু মাগার পেটিস মুখে পুরে দেখি মাঘের শীতে তা ভারী ঠাণ্ডা। এবার পানি পাই কোথায়। রবীনের স্টলে পানি নাই। এই সময় গল্পপাঠ পত্রিকার ঢাকা প্রতিনিধি এহসান বলল, রেজা ভাই ত্রিশ মিনিটের একটা ইন্টারভিউ দেন। কইলাম, এখন সময় নাই। তুমি প্রশ্ন দিয়ে দাও মেইলে। লিখে দিমুনে। আরো জিগাইলাম, কুলদা রায় মেইলে আমাকে বিশাল এক লটবহর প্রশ্ন দিয়ে রেখেছেন কয়েকদিন আগে। বইয়ের প্রুফ কাটাই শেষ হয়নি। কখন ধরমু? এহসান জবাবে কইলো, ও তাই! আমিও সেই একই প্রশ্নই করব। বললাম, দেখি, প্রুফ শেষ হলে দেখা যাবে। এহসান বলল, ভাইয়া, ১০ তারিখের মধ্যে দিয়েন।
এই সময় পেছন থেকে হাঁক দিল বন্ধু গল্পকার রুদ্রাক্ষ রহমান। রুদ্র উত্তরাবাসী হওয়ায় ওর সাথে খুব একটা দেখা হয় না। হারামজাদা লাস্ট একবার ধ্রুবদার বাসা থেকে মটর সাইকেলে সেই যে আমারে চৌরাস্তার জাহান্নামের মোড়ে গভীর রাতে নামিয়ে দিয়ে ফুটল, আর আজ দেখা। রুদ্র বলল, চল, সময় প্রকাশনে যাব। গোটা উদ্যান খুঁজে আমি যখন হয়রান, তখন দেখা পেলাম আরেক তূর্য কমরেড রম্যলেখক আহসান কবিরের। গতকাল কবির ভাইয়ের জন্মদিন ছিল। কবির ভাই টেলিভিশনে যোগ দেবার পর থেকে আমাদের আর চেনেন না। কি আর কমু, ধানমন্ডি লেকের পাড়ে খুব ভোরে আবার কখনো হাঁটতে গেলে ধরমু একদিন। সঙ্গে যথারীতি আরেক রম্যলেখক পলাশ মাহবুব। এই মানিকজোড়কে দেখলাম মেলায় এসেও মাথা থেকে টেলিভিশন ফেলে নাই। কারে নিয়ে টকশো করবে সেই আলাপে ব্যস্ত। আমি বিদায় নিয়ে বের হব। পেছন থেকে আরেক কমরেড লেখক রুদ্র সাইফুল চিৎকার দিল। রুদ্র'র সঙ্গে মাধবদার ত্রয়ী প্রকাশনে কিছুক্ষণ বসে আড্ডা দিলাম। ততক্ষণে বইমেলার বাতি নেভানোর সময় হয়ে গেছে। আমরা হেঁটে হেঁটে উদ্যানের বাইরে আসলাম। শাহবাগ এসে পেলাম আমাদের আড্ডার গ্যাং। বন্ধু কবি জাফর আহমেদ রাশেদ, বন্ধু শিল্পী মোবাশ্বির আলম মজুমদার, বন্ধু ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবির, কবি ফিরোজ এহতেশাম, মাস্টারনী ফারহা তানজিম তিতিল ও টাইগার ডোয়েলকে। তারপর ঘণ্টাখানেক তুমুল আড্ডা দিয়ে সরাসরি বাসায় ফিরলাম।
মাথার মধ্যে অনেক কাজের চাপ। দুইটা বইয়ের প্রুফ দেখতে বাকি। মাসুক ভাইকে (শিল্পী মাসুক হেলাল) ফোন করলাম। মাসুক ভাই আমার একটা বইয়ের প্রচ্ছদ করবেন। মাসুক ভাই জানালেন, মাত্র বাসায় পৌঁছলেন। কাল সন্ধ্যায় শাহবাগ দেখা হবে। ক্ষুধায় তখন পেট চো চো করছে। ধুপধাপ খেয়ে প্রুফ দেখতে বসে গেলাম।
.........................................
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
ঢাকা
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪
আবু শাকিল বলেছেন: পড়লাম
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
রেজা ঘটক বলেছেন: সবাইকে ধন্যবাদ
৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪১
সুমন কর বলেছেন: পড়ে গেলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৩৬
মহান অতন্দ্র বলেছেন: ফেসবুকেই পড়েছি। কিছুটা মন খারাপই হল। সবাই আসলে শুধু বিখ্যাতদের বইই কিনতে চায় কিন্তু বিখ্যাত হতে আর কাউকে সুযোগ দিতে চায়না।