নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, রবিবার।
আজ বইমেলা ধন্য। শিল্পী ধ্রুব এষ আজ বইমেলায় এসেছিলেন। অবশ্য আমি বইমেলায় পৌঁছানোর আগেই ধ্রুবদা মেলা থেকে চলে গেছেন। খবরটি আমাকে দিয়েছিলেন ঢালী ভাই। উদ্যানে ঢুকে মাধবদার সঙ্গে কথা বলছি। তখন ঢালী ভাই (লেখক ও কবি হুমায়ুন কবির ঢালী) জানালেন, ধ্রুবদা মেলায় আছে। একাডেমি প্রাঙ্গনে আছে। আমি দ্রুত ছুটি। বাংলা একাডেমির সামনে পাই দুই কমরেডকে। শিল্পী শেইখ শাহেদ আর রম্য লেখক ও উন্মাদ পত্রিকার সম্পাদক আহসান হাবিবকে। আহসান হাবিবকে আমি ডাকি শাহীন ভাই। রাস্তার আইল্যান্ডে বসে অনেকক্ষণ আমরা আড্ডা দিলাম। চা-সিগারেট খেলাম। শাহীন ভাই জানালেন, ধ্রুবদা বের হয়ে গেছেন।
এবার বাংলা একাডেমি উন্মাদ পত্রিকাকে কোনো স্টল বরাদ্দ দেয়নি। এজন্য শাহেদ ভাই, শাহীন ভাইয়ের মত একনিষ্ঠ উন্মাদভক্ত আমারও খুব মন খারাপ। শাহীন ভাইকে বললাম, চলেন, মিছিল করি। শাহীন ভাই বললেন, তার চেয়ে চা খাই, কোরিয়ান সিগারেট খাই, আড্ডা মারি, সেই অনেক ভালো। কিছুক্ষণ আড্ডা মেরে আমি নন্দন স্টলে গিয়ে বই সাজাতে সাজাতেই আসল নন্দন সম্পাদক বন্ধু কবি আলফ্রেড খোকন। খোকন বলল, বই আনতে পারি নাই। তুই পারলে একবার সময় করে অফিসে আয়। খোকন মেলা থেকে বের হয়ে গেল।
দেখি বর্ধমান হাউজের সিঁড়িতে বসে আছে শিল্পী সব্যসাচী হাজরা, কবি তনুজা, সব্য-তনুজার কন্যা পৌষ। ওদের ঘিরে বিশাল জটলা। জটলায় ঢুকে জানলাম, সব্য'র বইটার মোড়ক উন্মোচন করতেই ধ্রুবদা আজ বইমেলায় এসেছিলেন। থাকতে না পেরে খুব খারাপ লাগল। লিটল ম্যাগ স্টল থেকে সব্য'র বইটা হাতে নিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখলাম। নিঃসন্দেহে এবারের বইমেলার সেরা প্রোডাকশন এটি। শিশুদের চিত্রবর্ণ পরিচয় করাতে সব্যসাচী হাজরা এক ব্যতিক্রমী বই প্রকাশ করেছেন। বইয়ের নাম চিত্রলিপি। স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের প্রতিটি অক্ষরকে এক-একটা ছবি আকারে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন সব্য। যাতে শিশুরা চেনাজানা পাখি, প্রাণী, প্রজাপতি এসব দেখে দেখে অক্ষর চিনতে পারে। বইটির প্রকাশক সব্যসাচী হাজরা নিজেই। বইটি যারা দেখেননি, তারা লিটল ম্যাগ চত্বরে ভিন্নচোখ স্টলে ঢু মারতে পারেন। আপনার যদি ছোট্ট শিশু থাকে, যার এখন অক্ষর শেখার বয়স, বইটি তার জন্য খুুবই প্রয়োজনীয়। এই সময়ের, এবারের বইমেলার সেরা উপহার এটি। বইটির প্রচ্ছদ, অংকন, শিল্পভাবনা সবকিছুই সব্য করেছে। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর বাংলা ভাষার বর্ণ পরিচয়ে সব্যসাচী হাজরা এক নতুন উদ্যোগ গ্রহন করল। সব্যকে প্রাণ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি, বাংলা একাডেমি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঠশালা ও বাংলাদেশের ও বাইরের সকল স্তরে যারা বাংলা বর্ণ পরিচয় শিখতে চায়, তাদের জন্য, বিশেষ করে শিশুদের জন্য বইটি দারুণ উপকারে আসবে। বইটির মূল্য ধরা হয়েছে দুইশো টাকা।
দেখা হল, আড্ডা হল মুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির প্রেসিডেন্ট বেলায়েত হোসেন মামুনের সঙ্গে। কবি জুয়েল মোস্তাফিজ, কবি আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কবি মাহবুব কবির, কবি মামুন খান, কবি মাসুদ হোসেন, কবি তানিম কবির, লেখক স্বকৃত নোমান, লেখক ঋষি এস্তেবান, কবি সাফি সমুদ্র, শিল্পী চারু পিন্টু, কবি শামিমুল হক শামীম, শামীম ভাইয়ের দুই ছেলে সহ অনেকের সঙ্গে। আজ ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে মেলায় এসেছে কবি মাহবুব কবিরের কাব্যগ্রন্থ 'আয়নার দিকে'। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী ধ্রুব এষ। মাহবুব ভাই জানালেন, এডিট করতে গিয়ে কিছু কবিতা ফেলে দিয়েছেন। তাই বইটি হয়েছে ৪০ পৃষ্ঠার। কিন্তু বইটি হাতে নিলেই যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে।
বইমেলায় পরিচয় হল কবি কবির য়াহমদ ও অনুপ্রাণন পত্রিকার সম্পাদক প্রকৌশলী ইউসুফ ভাইয়ের সঙ্গে। তারপর জুলেল, মামুন, পিন্টুদের সঙ্গে আড্ডা মারতেই মেলার ছুটির ঘণ্টা বেজে গেল। আজও কোনো বেচাবাট্টা হয়নি। সো, স্টল বন্ধ করে মেলা থেকে বের হলাম দলবেধে।
জুয়েল, মামুনদের সঙ্গে ছবিরহাটে এসে পেলাম চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কবি টোকন ঠাকুর ও ফটোগ্রাফার সূর্যকে। সেখানে দেখা হল বন্ধু লেখক ও সাংবাদিক তরুণ সরকারের সঙ্গে। কবি কামরুজ্জামান কামু'র সঙ্গে। পরে ঠাকুর আর আমি ধ্রুবদার বাসায় গেলাম। জি-বাংলায় আজ ছিল মিরাক্কল-৮ এর ফাইনাল রাউন্ড। ধ্রুবদা আর শিল্পী মামুন হোসাইন বসে বসে মিরাক্কল দেখছিলেন। পরে আমরাও তা দেখার জন্য বসে গেলাম। পরে সেখান থেকে সোজা বাসায়।
................................
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
ঢাকা
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার লেখা থেকে হাজার হাজার কবির নাম পাচ্ছি; এঁদের ১টা করে বিখ্যাত কবিতা ব্লগে যদি দিতেন, এঁদের বুঝতে পারতাম।
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪০
শায়মা বলেছেন: দেখি বর্ধমান হাউজের সিঁড়িতে বসে আছে শিল্পী সব্যসাচী হাজরা, কবি তনুজা, সব্য-তনুজার কন্যা পৌষ।
এই তনুজা আর সব্যসাচীভাইয়া কি আমাদের ব্লগের তনুজা আপুনি আর ভাইয়া???
ভাইয়া কাল নির্ঝর ভাইয়ার ফেসবুক পোস্ট থেকে এই বই এর কথা জেনেছি। এই বই আমার খুবই দরকার । জানিনা আমি যখন যাবো তখন সেটা পাবো কিনা। সবাই মনে হয় কিনেই ফেলবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দেশে নেই বলে,মন্তব্যও নেই।। বই পড়ার সুখ এবং আনন্দও আমার কম নেই।।দুঃখটা এখানেই যে,আপনাদের সুখ-দুঃখের সাথী হতে পারছি না।।