নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, সোমবার। অমর একুশে বইমেলার দশম দিন। অথচ বইমেলা একেবারে ফাঁকা। বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধ ও হরতালের মধ্যে বইপ্রেমীরা মেলায় আসতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রকাশকদের মুখের দিকে তাকানো যায় না। কেউ কেউ বলছেন, বাংলা একাডেমিকে যে ভাড়া দিয়েছি, তাই মেলায় উঠবে কিনা এখন বলা কঠিন! কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর সেদিকে কোনো মালুম নেই। এখন চলছে এসএসসি পরীক্ষা। অবরোধ-হরতালের কারণে যা ছুটির দিনে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি হরতালের মেয়াদ এক বিবৃতির মাধ্যমে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। যথারীতি চলছে পেট্রোলবোমা হামলা। পেট্রোলবোমায় নিরীহ পথযাত্রী হত্যা করে রাজনৈতিক বিজয় ছিনিয়ে নিতে বিএনপি ও তাদের জোট এখনো সক্রিয়। মাঝখান থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে, কেউ তা বলতে পারে না। দেশে বিরতিহীন ভয়ংকর যে রাজনৈতিক চলচ্চিত্র এখন চলছে, তার মধ্যে রহস্যময় কারণে বন্ধ রয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া। নইলে ইতোমধ্যে যাদের আদালতে ফাঁসির নির্দেশ হয়েছে, সেগুলোর আর কোনো তৎপরতা নাই কেন?
আজ প্রতিবেশী ভারতের দিল্লী বিধানসভার ভোটের ফলাফল জানা গেল। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি এবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতেছে। দিল্লী বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে আম আদমি পার্টি ঝাড়ু মার্কায় জিতেছে ৬৭টি আসন, ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) পেয়েছে বাকি ৩টি আসন। কংগ্রেস এবার দিল্লীতে শূণ্য পেল। গত বছর কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথভাবে দিল্লী বিধানসভায় সরকার গঠন করেছিল আম আদমি পার্টি। অাম আদমি পার্টির প্রধান ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন নক্ষত্র অরবিন্দ কেজরিওয়াল হয়েছিলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সরকার গঠনের ৪৯ তম দিনে ১৪ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেছিলেন কেজরিওয়াল। ঠিক এক বছর পর সেই ১৪ ফেব্রুয়ারি কেজরিওয়াল আবার দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে পরাজয় মেনে নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিঙ্গাপুর থেকে কেজরিওয়ালকে টেলিফোন করে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, দিল্লী সরকারকে সব ধরনের নিশর্ত সহযোগিতা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তুত। প্রতিবেশী দেশের এমন গণতন্ত্র দেখে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে- চলমান রাজনৈতিক ক্যাচাল থেকে মুক্ত হয়ে কবে বাংলাদেশ একজন নতুন কেজরিওয়ালের দেখা পাবে??? আমরা কেউ জানি না।
আজ বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকেই ইউপিএল-এর সামনে দেখা হল অপুর সঙ্গে। মাসুম অপু। দৈনিক প্রথম আলো থেকে বইমেলা কভার করছেন অপু ও তার গ্যাং। উদ্যানে কয়েকটি স্টলে ঢু মেরে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে লিটল ম্যাগ চত্বরে এসে নন্দনের স্টল খুললাম। আজও কেউ বরাবরের মত আমার চেয়ারখানা নিয়ে গেছে। লিটল ম্যাগের কেউ নিয়েছে এমন সাক্ষ্য দিল আমার দু'পাশের দুজন। আরে বাবা, একাডেমির মঞ্চের সামনে কয়েক শো চেয়ার আছে। সেখান থেকে আমি দুটো চেয়ার এনেছিলাম। অন্যরাও সেখান থেকে এনেছে। এই চেয়ারগুলো বসার জন্য। যদি কারো চেয়ার লাগে, একটু কষ্ট করে সেখান থেকে আনা যায়। কিন্তু রোজ অন্য একজনের আনা চেয়ার না বলে এভাবে নিয়ে যাওয়া কোন ধরনের সভ্যতা? ভাবছি, ওয়েবক্যাম লাগিয়ে রাখব কিনা? যে চেয়ার নেবে, পরে তাকে ভিডিও দেখিয়ে কিছু সভ্যতা শেখানোর সুযোগ হয়তো হবে। অথচ এই চত্বরে যারা আসেন, সবাই কিন্তু শিক্ষিত। অনেকে নিজেরাই লেখালেখি করেন। কিন্তু আমাদের মানসিকতায় এমন দৈন্যতা কেন? নেরে মাথায় তেল দিতে বেশি সুবিধা, তাই না?!
আড্ডা দিচ্ছিলাম শিল্পী শতাব্দী ভব ও শিল্পী চারু পিন্টুর সঙ্গে। আমাদের ভব মূলত গান গায়। ভব'র গান 'গোলাপ' নামে একটি অ্যালবাম ইতোমধ্যে বাজারে এসেছে। আরেকটি অ্যালবামের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভব। ভব নিজেই গান লেখেন। নিজেই সুর করেন। নিজেই গান। যারা ভব'র গান শোনেননি, তারা একবার শুনে দেখুন, তাহলে বুঝবেন ভব ঠিক কোন ঘরানার। শিল্পী চারু পিন্টু আরজ আলী মাতুব্বরের একটি প্রোট্রেট করেছিল। এবার অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষ্যে সেটি পোস্টার আকারে বের করেছেন শতাব্দী ভব। আরজ আলী মাতুব্বর ভক্তরা পোস্টারটি পাবেন লিটল ম্যাগ চত্বরে আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশ-এর স্টলে। স্টল নং ৮১। পোস্টারটির দাম ধরা হয়েছে পঞ্চাশ টাকা।
ওই সময় আড্ডায় আমাদের সঙ্গে যোগ দিল শিল্পী সব্যসাচী হাজরা ও তার মেয়ে পৌষ। পোস্টার দেখে সব্য পিন্টুকে কিছু কারিগরি প্রশিক্ষণ দিল। পিন্টু জানালো, মূল কাজটি ওর কম্পিটারে ছিল না। তাই অনেক ঝামেলা গেছে। সব্য বলল, তুই মাল্টি অপশান ইউজ করলে এই সমস্যা হতো না। বাসায় গিয়ে দেখিস। ওই সময়ে কবি সাফি সমুদ্র পৌষকে ক্ষেপাচ্ছিল। পৌষ বলল, আমার নাম ম্যাও। ম্যাও সেজে পৌষ আজ সবাইকে ভারি ভয় দেখাল। এরপর পৌষ বায়না ধরল বিস্কুট খাবে। কিন্তু বইমেলায় তো বিস্কুট পাওয়া যায় না। তাহলে পৌষের বায়নার কি হবে? পিন্টু পকেট থেকে সিভিট বের করে বলল, এই নাও চকলেট। পৌষের সেই সিভিট শেষ করতে লাগল- অনলি এ সিঙ্গেল মিনিট। তারপর আবার সেই বিস্কুটের বায়না। সো, সব্য আর আড্ডায় থাকতে পারল না।
এই সময় আড্ডায় যোগ দিলেন কবি শহিদুল্লাহ সিরাজী। ছোটবেলায় সিরাজী ভাইকে কেউ বকা দিলে বা মাইর দিলে, বাড়িতে গিয়ে চাচাতো ভাইদের কাছে নালিশ দিতেন, তোরা আমার কি হোস? অমুক অমুক আমাকে বকেছে বা মেরেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। অমনি সিরাজী ভাইয়ের চাচাতো ভাইয়েরা তমুককে তখন আচ্ছামত উত্তম মধ্যম দিয়ে আসতো। সিরাজী ভাইয়ের এবার মেলায় আসবে তিনটি বই। সিরাজী ভাই'র গল্প শেষ হবার আগেই তার এক ভক্ত বই কিনবে, তাই ফোন করে উদ্যানে ডেকে নিলেন।
এই সময় লিটল ম্যাগ প্রাঙ্গনে আসলেন বন্ধু গল্পকার ও সাংবাদিক রাজীব নূর ও সামান্য কিছু'র নির্বাহী সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। রাজীবদা আর সাদ্দাম বইমেলায় ঘুরে ঘুরে কিছু সন্ধান করছেন। রাজীবদা জানালেন, বন্ধু কবি আলফ্রেড খোকনের 'মধু বৃক্ষ প্রতারণা বিষ' কবিতার বইটি নতুন করে বাঁধাই হচ্ছে। বাঁধাই হলেই সেগুলো নন্দনের স্টলে আনা যাবে। এছাড়ার পাঠসূত্রে তো পাওয়া যাবেই।
অস্থির পোড়া সময়ের প্রতিবাদে 'চিৎকার' ব্যান্ড গ্রুপ আজ প্রকাশ করেছে তাদের প্রথম অ্যালবাম - 'চিৎকার'। চিৎকার ব্যান্ডের মেইন ভোকালিস্ট পদ্ম। সন্ধ্যা ৬ টায় টিএসসি'র স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে চিৎকারের প্রকাশনা উৎসব। সেখানে যোগ দিতে ভব চলে গেল। আমি একটু পরে যাব ভেবেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর যাওয়া হয়নি। চিৎকার ব্যান্ডের জন্য রইল শুভেচ্ছা। পদ্মকে প্রাণভরা অভিনন্দন।
একাডেমি প্রাঙ্গনে একা একা ঘুরতে ঘুরতে পেলাম কবি দিলদার হোসেনকে। দিলদার ভাই এবার পুকুরের পারে স্টল দিয়েছেন। প্রকাশনার নাম বাংলাপ্রকাশ। দিলদার ভাই কয়েক মাস আগে প্যারিস ঘুরে এসেছেন। সেই অভিজ্ঞতা লিখেছেন এবার। প্রকাশ করেছেন সিডি আকারে কবিতার অ্যালবাম। বাংলাপ্রকাশ থেকে বের হয়ে ৭১ টেলিভশনের স্টলে দেখা হল লেখক আহমাদ মাযহার ভাইয়ের সঙ্গে। মাযহার ভাই'র মানিক জোড় রিটন ভাই (লুৎফর রহমান রিটন) তখন লাইভ প্রোগ্রাম করছিলেন। মাযহার ভাই জানালেন, এবার ছোটদের জন্য তাঁর লেখা ''রঙবেরঙের ছোটদের প্রবন্ধ' বইটি এসেছে চন্দ্রাবতী একাডেমি থেকে। এছাড়া কথাপ্রকাশ থেকে বের হবে বোধ ও বোধিকে স্পর্শ করার স্মৃতি প্রধান প্রবন্ধ সংকলন সম্পাদনা 'পূর্বসূরিগণ: স্মরণ সত্তা মনন'।
মেলায় ঘুরতে ঘুরতে দেখা হল শিমুল ভাবী (শিমুল মাসুদ) ও তার বান্ধবীর সঙ্গে। একটু আগে কবি ও সম্পাদক নীলসাধু যে আমার লগে বইসা বইসা সিগারেট খাইছে, এই কথা হেগো আর কইলাম না। কিছু খবর না কওন ভালা। আন্নেরা কিতা কন!!! এই সময় ফুটবলার কায়সার হামিদকে দেখে দুই বান্ধবীর মধ্যে নব্বই দশক উসকে উঠল। শিমুল আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ওনার নাম যেন কি? আমি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে বললাম, হামিদ কায়সার। পরে বললাম, কায়সার হামিদ। দাবারু রানী হামিদের ছেলে, এক সময় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্তেন ছিলেন। কায়সার ভাইয়ের আগের চেয়ে স্বাস্থ্য ভালো হয়েছে। শিমুলরা মেলায় আজ পাঙ্খা লাগিয়ে ঘুরছেন।
এরপর চা খেতে একাডেমি প্রাঙ্গন থেকে বাইরে এসে দেখা হল লেখক রাজু আলাউদ্দিনের সঙ্গে। আবার লিটল ম্যাগ প্রাঙ্গনে ঢোকার পর আমার গল্পের বই 'পঞ্চভূতেষু'র একটি কপি বিক্রি হল। বেচাবাট্টা আজ এ পর্যন্ত। বইমেলায় আজ হচ্ছিল ভাওয়াইয়া গান। ওই সময় দেখা হল বিজ্ঞান লেখক ডক্টর ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী'র সঙ্গে। ডক্টর ফারসীম বিজ্ঞানের লেখক হলেও ভারী কৌতুক জানেন। ভবিষ্যতে হয়তো রম্য লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর একটু হলেই আমার শিশুতোষ চলচ্চিত্রের প্রডিউসার জুটিয়ে দিচ্ছিলেন। বইমেলার সময় শুটিং করব না বলে ডক্টর ফারসীম বিষয়টি আপাতত ফাইলবন্দি করলেন। এই ফাইল কবে ওপেন হবে খোদা মালুম।
মেলায় দর্শক এবং বইপ্রেমীদের ভিড় কম থাকায় আটটায় নন্দন বন্ধ করে আবার উদ্যানে ঢু মারলাম। উদ্যানেও বইপ্রেমীদের আনাগোনা খুব কম। বিক্ষিপ্তভাবে এদিক সেদিক ঘুরে লেখক স্বকৃত নোমান সহ মেলা থেকে বের হয়ে ছবিরহাট আসলাম। নোমান চলে গেল শাহবাগ। আমি রয়ে গেলাম। দেখা হল চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কবি কামরুজ্জামান কামু'র সঙ্গে। তারপর বন্ধু কবি জাফর আহমেদ রাশেদ, ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবির ও টাইগার দোয়েলের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম।
পরে দেখা হল বন্ধু লেখক ও সাংবাদিক তরুণ সরকারের সঙ্গে। তরুণদা বইমেলার খুটিনাটি শুনে বললেন, ধর্মের নামে লিখলেও টাকা আছে। বিপক্ষে লিখলেও টাকা আছে। উভয় পক্ষের জন্য একদল মানুষ টাকা নিয়া খাঁড়ায়া আছে। কিন্তু তুমি সঠিক নেটওয়ার্ক না পেলে সেই টাকা ধরতে পারবা না। হা হা হা...
...................................
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
ঢাকা
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
engrumi বলেছেন: দেশের বারোটা না বাজালেই নয়, সকলেই কি দেশটাকে ভালবাসতে পারি না,,,
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: //ইতোমধ্যে পরাজয় মেনে নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিঙ্গাপুর থেকে কেজরিওয়ালকে টেলিফোন করে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, দিল্লী সরকারকে সব ধরনের নিশর্ত সহযোগিতা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তুত। প্রতিবেশী দেশের এমন গণতন্ত্র দেখে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে- চলমান রাজনৈতিক ক্যাচাল থেকে মুক্ত হয়ে কবে বাংলাদেশ একজন নতুন কেজরিওয়ালের দেখা পাবে?//
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
" যথারীতি চলছে পেট্রোলবোমা হামলা। পেট্রোলবোমায় নিরীহ পথযাত্রী হত্যা করে রাজনৈতিক বিজয় ছিনিয়ে নিতে বিএনপি ও তাদের জোট এখনো সক্রিয়। মাঝখান থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে, কেউ তা বলতে পারে না। দেশে বিরতিহীন ভয়ংকর যে রাজনৈতিক চলচ্চিত্র এখন চলছে, তার মধ্যে রহস্যময় কারণে বন্ধ রয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া। নইলে ইতোমধ্যে যাদের আদালতে ফাঁসির নির্দেশ হয়েছে, সেগুলোর আর কোনো তৎপরতা নাই কেন? "
- রাইফেল নিয়ে এসেছিলেন জেনারেল জিয়া, উনার স্ত্রী এনেছেন পেট্রোল বোম; এই সন্ত্রাসকে রাজনীতি বলে চালিয়ে দিচ্ছে কেহ কেহ। বোমাবাজির শেষ হবে