নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
আজ ১৪ ডিসেম্বর, শনিবার। আজও বইমেলায় ছিল উপচে পড়া ভিড়। ধুলো থেকে বাঁচতে আজ আর উদ্যানে যাই নি। একাডেমি প্রাঙ্গনেই কাটিয়েছি। আজ মেলায় এসেছে তরুণ কবি তানিম কবিরের কবিতার বই 'সকলই সকল'। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন খেয়া মেজবাহ। বইটি পাওয়া যাবে শুদ্ধস্বরের স্টলে। দাম ১৪০ টাকা। গতবছর তানিমের প্রথম কবিতার বই ‘ওই অর্থে’ বের হয়। এবার আসল 'সকলই সকল' তানিমের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। তানিমকে অভিনন্দন। আজ বইমেলায় মূল আড্ডা শুরু হয় তানিমের বইটি ঘিরে। লিটল ম্যাগ চত্বরে বইটির মোড়ক উন্মোচন হয়। মোড়ক উন্মোচন আড্ডার সঞ্চালক ছিল তরুণ কবি শিমুল সালাহ্উদ্দিন। ছিলেন কবি জুয়েল মাজহার, কবি অমিতাভ পাল, কবি আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কবি কাজল শাহনেওয়াজ, কবি শোয়াইব জিবরান, কবি আলী আফজাল খান, কবি নৈরিৎ ইমু, শিল্পী পদ্ম, শিল্পী শতাব্দী ভব প্রমুখ।
আজ শমপ্রকাশ থেকে বইমেলায় এসেছে কবি আহমেদ স্বপন মাহমুদের কবিতার বই 'দাহকাব্য'। বাংলাদেশের চলমান সময় বাস্তবতার পেট্রোলবোমার রাজনীতির পোড়া সময়ের কাব্যিক দলিল যেন 'দাহকাব্য'। আহমেদ স্বপন মাহমুদ এবার সময় বাস্তবতার বার্ন ইউনিট তুলে এনেছেন কবিতায়। চারদিকে পুড়ছে সময়। পুড়ছে তাজা মানুষ। পুড়ছে নোলক-নূপুর। পুড়ছে মানুষের অন্তর। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারী অস্থির সময় এটা। মানুষের জীবনের কোনোই নিরাপত্তা নেই। কবি যেন অগ্নিদগ্ধ রাতের হাহাকার লিখেছেন এবার 'দাহকাব্যে'। রাজনৈতিক কবিতা কিন্তু সময়কে সাক্ষ্য রেখে তা যেন হাহাকার করে ওঠে- ভাই তোমার বুক কয়লা হতে আর ক'দিন বাকি?
আজ দেখা হয়েছে, আড্ডা হয়েছে কবি কবির হুমায়ুন, শিল্পী চারু পিন্টু, লেখক ঋষি এস্তেবান, কবি দিলদার হোসেন, কবি বদরুল হায়দার, কবি সাফি সমুদ্র, কবি সরসিজ আলীম, কবি মামুন খান, কবি শিহাব শাহরিয়ার, কবি ও নির্মাতা আশরাফ শিশির, কবি কাবেরী রায় চৌধুরী, কবি সেঁজুতি বড়ুয়া, মণি, বিশ্বজিৎ, শিশুসাহিত্যিক লুৎফর রহমান রিটন, লেখক ও গবেষক আহমাদ মাযহার সহ অনেকের সঙ্গে। জানা গেল কবি শিহাব শাহরিয়ারের সপ্তম কাব্যগ্রন্থ 'খড়ের খোয়াড়' গতকাল মেলায় এসেছে।
এক ফাঁকে দেখা হল জাকির ভাইয়ের সঙ্গে। কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার পেট্রোলবোমার ভয়কে অবজ্ঞা করেই নাটোর ঘুরে আবারো প্রিয় একুশের বইমেলায় চলে এসেছেন। দেখা হয়েছে কবি ও গবেষক তপন বড়ুয়া ও টোটেম ঠাকুরের সঙ্গে। কবি ও সম্পাদক নীলসাধু ও শিমুল ভাবীর সঙ্গে। শিমুল ভাবীর ডুপ্লিকেট কন্যাও ছিল সঙ্গে। কবি সেঁজুতি বড়ুয়া ও তার বর বিশ্বজিৎদা আড্ডা দিতে দিতে কফি খাওয়ালেন। বিশ্বজিৎদা সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার। তিনিও একজন লেখক। তবে তিনি লেখেন প্রোগ্রামিং। কম্পিউটারের ভাষায় সব সাংকেতিক কোড।
মেলার শেষের দিকে দেখা হল আমার দাদা ও বৌদির সঙ্গে। নির্মাতা ও অভিনেতা প্রাণেশ চৌধুরী ও লেখক শিল্পী চৌধুরী। আজ ছিল দাদা বৌদির ষষ্ঠ বিবাহ বার্ষিকী। দুই কপোত কপোতি পাঙ্খা লাগিয়ে বইমেলায় ঘুরঘুর করছেন। পরে দাদা-বৌদি সহ প্রাঙ্গনের বাইরে গিয়ে আমরা চা খাই। যাবার পথে নজরুল মঞ্চের সামনে আমাদের ছবি তুলে দেন মুর্শিদ ভাই (মুর্শিদ আনোয়ার)। ততক্ষণে বইমেলার ছুটির ঘণ্টা বাজার সময় হল। আমি দাদা-বৌদি'র থেকে বিদায় নিয়ে নন্দনের স্টল বন্ধ করতে করতে আসল অভিনেতা প্রিন্স। প্রিন্স আমার গল্প সংকলন 'পঞ্চভূতেষু'র একটি কপি কিনল। পরে প্রিন্স সহ মেলা থেকে শাহবাগ আসি। পেয়ে যাই বন্ধু চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কবি টোকন ঠাকুর ও ফটোগ্রাফার সূর্যকে। ক্ষাণিক আড্ডা শেষে সোজা বাসায়।
...............................
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
ঢাকা
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৯
বিদগ্ধ বলেছেন: //নির্মাতা ও অভিনেতা প্রাণেশ চৌধুরী ও লেখক শিল্পী চৌধুরী। আজ ছিল দাদা বৌদির ষষ্ঠ বিবাহ বার্ষিকী। দুই কপোত কপোতি পাঙ্খা লাগিয়ে বইমেলায় ঘুরঘুর করছেন।//
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৩
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।
বইমেলায় এখনো যেতে পারি নাই। তবে আপনার পোস্টে বইমেলা হালচাল জানতে পারছি।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১১
মহান অতন্দ্র বলেছেন: ভালো লাগলো আর আপনাকে অনেক অনেক হিংসে হল
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬
দ্বীপ ১৭৯২ বলেছেন: ভালো লাগলো...