নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
আগামী ১৯ মার্চ ২০১৫, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে। এই মাঠেই ঠিক দশদিন পর ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসরের ফাইনাল। হিসাবটা একটু খেয়াল করুন, এই মাঠে যারা জিতবে, তাদের জন্যই কিন্তু একপ্রকার ফাইনাল খেলার হাতছানি। কারণ সেমি-ফাইনালের খেলা দু্টি হবে অকল্যান্ডে আর সিডনিতে। ফাইনালের আগেই সেই একই ভেন্যুতে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার সুযোগ পেল বলেই বাংলাদেশ ও ভারত, দুটি দলই কিন্তু কাকতলীয়ভাবে ভাগ্যবান।
বাংলাদেশের এখন প্রধান টার্গেট মেলবোর্নে কোয়ার্টার ফাইনালে ভারত-বধ মিশন। এবারের বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ডের পর দ্বিতীয় অপরাজিত দল এখন পর্যন্ত ভারত। ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ বিশ্বের যে কোনো দলের চেয়ে নিঃসন্দেহে সেরা। ভারতের ফিল্ডিং আগের চেয়ে এখন অনেক শক্তিশালী। রবীশাস্ত্রী বর্তমানে ভারতীয় দলটির ডিরেক্টর। ভারতীয় দলে ডানকান ফ্লেচার কোচ হিসেবে থাকলেও দলের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কিন্তু রবীশাস্ত্রী নেন। রবীশাস্ত্রী ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেবার পর ভারতের বোলিং সাইড অনেক উন্নতি করেছে। ভারতের বিশ্বকাপ মিশনে এখন পর্যন্ত মোহাম্মদ সামি, রবীচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, উমেশ যাদব, মোহিত শর্মা এই পাঁচজনই কার্যকর ভাবে দক্ষতা দেখাচ্ছেন। এর সঙ্গে দলে রয়েছে ইশান্ত শর্মা। ইশান্ত শর্মা এই মুহূর্তে ফর্মে না থাকায় বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থেকেও সাইডলাইনে বসে আছেন। কিন্তু মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নতুন বলে ফাস্ট বোলাররা কিন্তু দারুণভাবে কার্যকরী। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ইশান্ত শর্মাকে রবীশাস্ত্রী বেস্ট এলেভেনে রাখতে পারেন। কারণ, ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে তারা বেশ সন্তুষ্ট। দুর্বলতা যা আছে, তা ওই বোলিংয়ে। তাই ভারতের এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বিপক্ষে বোলিং নিয়েই ওদের সবচেয়ে বেশি দুঃশ্চিন্তা।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ইতোমধ্যে প্রধান দুর্বলতা যেটা ধরা পড়েছে সেটা হল ফাস্ট বলের বিপক্ষে আমাদের ওপেনারদ্বয় এখন পর্যন্ত ব্যর্থ। বাংলাদেশের মিডল-অর্ডার ফাস্টবলের ধকল যাবার পর স্পিনের বিপক্ষে মোটামুটি শক্তিশালী। আমাদের সৌম্য সরকার, মোহাম্মদউল্লাহ রিয়াদ, শাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেনরা কিন্তু নতুন ফাস্টবলের পরের স্টেজটা বেশ ভালো মতোই সামাল দিতে দক্ষতা দেখিয়েছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পাওয়ার ব্যাটিংয়ে এখন পর্যন্ত প্রথম স্পেলের দশ ওভার এবং দ্বিতীয় স্পেলের পাঁচ ওভারে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তেমন রান সংগ্রহ করতে পারেনি। সোজা কথায় মানে হল, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ফাস্ট বলের বিপক্ষে এক ধরনের পাল্টা আক্রমণাত্মক অবস্থা এখন পর্যন্ত পাওয়ার ব্যাটিংয়ে গোটা টুর্নামেন্টেই দেখাতে পারেনি। আমাদের প্রধান দুর্বলতা সম্ভবত এখানটায়। পাওয়ার ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১৫ ওভারে তেমন কার্যকর আশা জাগানিয়া রান তুলতে পারেনি বরং উইকেট খোয়াচ্ছে। আমাদের দ্বিতীয় দুর্বলতা আমাদের ওপেনারদের আস্থাহীনতা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপেনাররা ধারাবাহিকভাবেই ব্যর্থ। মূলত বাংলাদেশের ওপেনারদ্বয় বিদায় নেবার পর থেকেই খেলায় ফেরার নমুনা দেখা গেছে। আমাদের তৃতীয় দুর্বলতা বোলিং। আল-আমিন দল থেকে বাদ পরার পর আমরা এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচে পাঁচজন বোলার নিয়ে খেলতে পারিনি। এছাড়া আমাদের ফিল্ডিংয়েও কিছু কিছু দুর্বলতা রয়েছে।
এবারের বিশ্বকাপে ভারতের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক শিখর ধাওয়ান। যার সংগ্রহ ৫ ম্যাচে ৩৩৩ রান। আজ মোহাম্মদউল্লাহ ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করে ধাওয়ানকে ধাওয়া করে টপকেছেন। কিন্তু ধাওয়ান আগামীকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কত রান পায় সেটাই দেখার বিষয়। নতুবা মোহাম্মউল্লাহ রিয়াদ ৩৪৪ রান নিয়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে। ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভিরাত কোহলি। যার রান ৫ ম্যাচে ২৬৩। কিন্তু কোহলির চেয়ে এই মুহূর্তে একধাপ এগিয়ে আমাদের লিটল মাস্টার মুশফিকুর রহিম। মুশফিকুর রহিমের রান এখন পর্যন্ত ২৭১। ব্যাটিংয়ে আমরা এখন পর্যন্ত ভারতকে টক্কর দেওয়ার মত অবস্থানে আছি। বোলিংয়ে ভারতের মোহাম্মদ সামি ৪ ম্যাচে ১২ উইকেট, রবীচন্দ্রন অশ্বিন ৫ ম্যাচে ১১ উইকেট, রবীন্দ্র জাদেজা ৫ ম্যাচে ৭ উইকেট, উমেশ যাদব ৭ উইকেট, মোহিত শর্মা ৭ উইকেট। বোলিংয়ে বাংলাদেশের সেরা উইকেট টেকার এখন পর্যন্ত যৌথভাবে শাকিব ও রুবেল প্রত্যেকে ৫ ম্যাচে ৭টি, মাশরাফি ৪ ম্যাচে ৬ টি, তাসকিন ৫ ম্যাচে ৬টি, নাসির ২ ম্যাচে ৪টি এবং সাব্বির ৫ ম্যাচে মাত্র ১ টি উইকেট। অর্থ্যাৎ বোলিংয়ে ভারত বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে টাই হওয়ায় এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচটি এখন পর্যন্ত না হওয়ায়, উভয় দল মোট ৫টি করে ম্যাচ খেলেছে। সেই ৫ ম্যাচের পরিসংখ্যান হল এরকম- বাংলাদেশ মোট ১৩৯২ রান করেছে, যার মধ্যে দুইবার অলআউট হয়েছে, মোট উইকেট হারিয়েছে ৩২টি। অন্যদিকে ভারত ৫ ম্যাচে রান তুলেছে ১১৫৩, একবারও অলআউট হয়নি, উইকেট হারিয়েছে ২৩টি। হোক ভিন্ন ভিন্ন দলের বিপক্ষে খেলা। কিন্তু ৫ ম্যাচের পরিসংখ্যানে কিন্তু ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা ব্যাটিং লাইনআপের চেয়ে এগিয়ে। কিন্তু উইকেট হারানোর দশায় আমরা কিন্তু একটু পিছিয়ে।
আগামী ১৯ মার্চ মেলবোর্নে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা একাদশ কী হবে এটাই এখন চিন্তার বিষয়। যদি মাশরাফি এর মধ্যেই চোট থেকে মাঠে ফিরে আসেন, তাহলে বাংলাদেশের জন্য সেটি হবে সবচেয়ে বিশাল পাওয়া। কারণ, মাঠে দলের ক্যাপ্টেন উপস্থিত থাকা একটা ব্যাপার। মাশরাফি যেভাবে বাংলাদেশ দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছে, সেই বিবেচনায় এখন পর্যন্ত ক্যাপ্টেনসিতে মাশরাফির বিকল্প টাইগার্সদের কেউ নেই। আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সুযোগ থাকলেও কিন্তু ২৮৮ রানের পাহাড় গড়েও শাকিব ক্যাপ্টেনসিতে কোনো
চমক দেখাতে পারেনি। তাই মাশরাফি দলে ফিরবে এবং টাইগার্সদের প্রধান চাওয়াও এখন এটি।
এবার আসা যাক ওপেনিংয়ে। বাংলাদেশ এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ওপেনার সমস্যায় ধুকছে। তামিম ভারতের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াবে এমনটাই ষোলকোটি বাংলাদেশীদের প্রধান চাওয়া। বাকি রইল ইমরুল কায়েস। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ইমরুল কায়েসের পরিবর্তে আমি নাসির হোসেনকে দিয়ে তামিমের সঙ্গে ওপেন করানোর পক্ষে। কারণ, নাসির ওপেনিংয়ে যা করার ঝড়ো একটা ইনিংস খেলুক। তারপর বোলিংয়ে কিছু সুবিধা দিতে পারবে। তাছাড়া ইমরুল কায়েসের চেয়ে নাসির অনেক অ্যাটাকিং ফাইটার। ইমরুল কায়েস শুরুতে দলে জায়গা না পেলেও বিশ্বকাপের মাঝখানে উড়ে গিয়ে এখন পর্যন্ত দলকে হতাশই করেছে। দুই ম্যাচে রান করেছে ২ +২ = ৪ রান। যা কোয়ার্টার ফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভরসা করার মত নয়। তাই আমি কোয়ার্টার ফাইনালে তামিমের পক্ষেই বাজি ধরতে রাজি। যেহেতু বাংলাদেশের স্বীকৃত ওপেনার আমাদের এই ভাতিজা। তাই তার উপরই শেষ ভরসা রাখতে চাই। সঙ্গে নাসিরকে দিয়ে ওপেন করিয়ে একটা বাজি ধরতে চাই। নতুবা তামিমের সঙ্গে স্বয়ং মাশরাফিকে দিয়েই ওপেন করানোর পক্ষে আমি। ওপেনিংয়ে মাশরাফি যদি ১০ ওভার টিকে যায় তো ভারত কুপোতাত হবার রাস্তায় একধাপ আগাবে। ওপেনিংয়েই আমি টাইগার্সদের পক্ষে এই বাজিটা ধরতে চাই। যা হবার এখানেই হোক। নইলে ওপেনার ছাড়া গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচগুলো তো মিডলঅর্ডার বেশ ভালো ভাবেই সামাল দিল। তাদের উপরই পূর্ণ আস্থা রাখতে চাই।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বেস্ট ইলেভেনে আমার পছন্দের এগারোজন হল-
১. মাশরাফি বিন মুর্তাজা, ২. তামিম ইকবাল, ৩. সৌম্য সরকার, ৪. মোহাম্মদউল্লাহ রিয়াদ, ৫. শাকিব আল হাসান, ৬. মুশফিকুর রহিম, ৭. নাসির হোসেন, ৮. সাব্বির রহমান, ৯. তাইজুল ইসলাম, ১০. তাসকিন আহমেদ, ১১. রুবেল হোসাইন।
আমাদের হাতে আছে এখন গুরুত্বপূর্ণ ৬টি দিন। এই সময়ের মধ্যে যদি ইমরুল কায়েস ব্যাটিং প্রাকটিস করে নিজেকে প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়, সেক্ষেত্রে আমি ওপেনিংয়ে ইমরুল কায়েসকে ভাবতে রাজি। সেক্ষেত্রে নাসির হোসেনকে রেখে তাইজুলকে বেস্ট ইলেভেনের বাইরে রাখতে চাই। কারণ, তাইজুল বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত এক ম্যাচ খেলে কোনো উইকেট পায়নি। কিন্তু ৪ উইকেট পেয়েছে। তাছাড়া নাসির ব্যাট হাতে টাইগার্সদের জন্য অনেক বেশি ভরসার।
কোয়ার্টার ফাইনাল খেলাটি যেহেতু ভারতের বিপক্ষে, তাই টস জিতে আমি ব্যাটিং নেবারই পক্ষে। কারণ, ভারতের ওপেনিং যদি মুর্তাজা-রুবেল-শাকিব-সাব্বির ঝড়ে নড়বড়ে হয়ে যায়, তো ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ যতই শক্তিশালী হোক না কেন, ওদের আসা যাওয়ার চিত্র সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে। রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, ভিরাট কোহলি আর সুরেশ রায়ানা হবে ভারতের প্রধান কি-উইকেট। এরপর মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজা বা রবীচন্দ্রন অশ্বিনও ওদের শেষের দিকে ঝড় মোকাবেলায় অনেক সময় কার্যকরী হয়ে ওঠে। যদি রোহিত-ধাওয়ান-কোহলি-রায়ানা এই চার উইকেট আমরা পেয়ে যাই, তখন ধোনি বেশ চাপে থাকবে। আর সেই সুযোগটা আমাদের পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। সবচেয়ে আসল কথা যেটা, তা হল ম্যাচের আগেই ভারতীয় শিবিরে একটা আতংক কিন্তু বাসা বেধেছে। সেই আতংকটাকে একটু বাতাস দিয়ে উসকে দিতে পারলেই এবারের বিশ্বকপের মিশনে ভারত-বধ কোনো ব্যাপার না।
মেলবোর্নে এবার কিন্তু একটু ফ্ল্যাড উইকেট। টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত খেলাগুলোতে দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৩৪২ রান। পরে ইংল্যান্ড ৪১.৫ ওভারে ২৩১ রানে অলআউট হয়েছিল। ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তুলেছিল ৩০৭ রান। পরে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০.২ ওভারে ১৭৭ রানে অলআউট হয়েছিল। শ্রীলংকা বাংলাদেশের বিপক্ষে তুলেছিল ৩৩২ রান। পরে বাংলাদেশ ৪৭ ওভারে ২৪০ রানে অলআউট হয়েছিল। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে যারাই প্রথমে ব্যাট করেছে তারাই তিনশো'র বেশি রান তুলতে সক্ষম হয়েছে। আর বিপক্ষ দল একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া অন্যরা ৮/৯ ওভার বাকি থাকতেই অলআউট হয়েছে। বাংলাদেশ অলআউট হয়ে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে হারলেও ৪৭ ওভার পর্যন্ত খেলেছে এবং রান তুলেছে অন্যদের চেয়ে বেশি। তাই মেলবোর্নে টসে যে দলই জিতবে, সে দলের ব্যাটিং নেবার সম্ভাবনা প্রায় হান্ড্রেড পারসেন্ট। বাংলাদেশ টসে জিতলে আমাদের জয়ের সম্ভাবনা একধাপ এগিয়ে যাবে। কারণ, দক্ষিণ আফ্রিকার মত দেশ এই মাছে চেস করতে পারেনি। যারা এবারের বিশ্বকাপে দুইবার চারশো'র উপরে রান করেছে। তাই মেলবোর্নে প্রথম বাজি হবে আসলে টস নিয়ে। টস যে জিতবে, সে ব্যাটিং করবে। আর প্রথমে ব্যাটিং করে ভারতের বিপক্ষে আমরা ২৭০ বা ২৮০ তুলতে পারলেই ভারত কিন্তু পালানোর রাস্তা খুঁজবে। আর যদি আমরা টস জিতে তিনশো পেরোতে পারি, তাহলে ভারত-বধ তো কোনো ব্যাপারই না।
মেলবোর্নে টাইগার বাহিনী টস জিতুক, সবাই এই আশির্বাদ করেন। কারণ, ১৯ মার্চ টস হবে দল জেতার প্রথম প্রধান ফ্যাক্টর। জয়তু টাইগার্স। জয়তু বাংলাদেশ ক্রিকেট।
................................
ঢাকা
১৩ মার্চ ২০১৫
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
যুগল শব্দ বলেছেন:
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ফাস্ট বলের বিপক্ষে এক ধরনের পাল্টা আক্রমণাত্মক অবস্থা এখন পর্যন্ত পাওয়ার ব্যাটিংয়ে গোটা টুর্নামেন্টেই দেখাতে পারেনি। আমাদের প্রধান দুর্বলতা সম্ভবত এখানটায়। পাওয়ার ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১৫ ওভারে তেমন কার্যকর আশা জাগানিয়া রান তুলতে পারেনি বরং উইকেট খোয়াচ্ছে। আমাদের দ্বিতীয় দুর্বলতা আমাদের ওপেনারদের আস্থাহীনতা।
এতো অল্প সময়ে সবকিছু সামলে উঠা যাবে কিনা সেটাই প্রশ্ন!
আপনার পি পয়েন্ট আলোচনায় সহমত জানাই,
আশা আর ভালোবাসা রইল বেঙ্গল টাইগারদের জন্য।