নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুতিন রহস্যের অবসান!!!

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২৬

গত দশদিন ধরে সারা বিশ্বের আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো একযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে একটি গুজব ছড়িয়েছিল। গুজবটি হল, 'পুতিন নেই'! কেউ বলেছে, পুতিন প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পুতিন ক্ষমতাচ্যুত। কেউ বলেছে, পুতিন প্রসাদ ষড়যন্ত্রে নিহত। কেউ বলেছে, পুতিন আবার বাবা হয়েছেন এবং প্রেমিকার সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের একটি ক্লিনিকে আছেন। কেউ বলেছে, পুতিন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কেউ বলেছে, পুতিন কসমেটিক সার্জারি করিয়েছেন। পশ্চিমা বিশ্বের মার্কিনপন্থী মিডিয়াগুলোর ইত্যাদি নানান গুজবের আজ অবসান হল, যখন পুতিনকে আবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখা গেল।

আজ সোমবার কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েভের সঙ্গে ৬২ বছর বয়সি রুশ নেতা পুতিন বৈঠক করেন। ওই বৈঠকটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। তবে এ সময় শব্দতরঙ্গ বন্ধ করে রাখায় তাঁদের কথোপকথন টেলিভিশনে শোনা যায়নি। প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজের সম্পর্কে গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এসব গুজবকে কটাক্ষ করে কিরগিজ প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, ‘গুজবহীন জীবন বড় একঘেয়ে।’ সেন্ট পিটার্সবার্গের বাইরে একটি রাজকীয় প্যালেসে ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত ৫ মার্চ পুতিনকে সর্বশেষ জনসম্মুখে দেখা গেছে। পরপর এতদিন ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতে পুতিনকে আগে কখনো দেখা যায়নি। সেদিন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজির সঙ্গে পুতিনকে সাক্ষাত করতে দেখা যায়।
এরপর ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে একটি নারী প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সঙ্গে পুতিনের সাক্ষাৎ করার যে ছবি প্রকাশ পেয়েছিল, রাশিয়ার গণমাধ্যমের একাংশ বলেছিল, সাক্ষাতের ওই ছবিটি আসলে ৫ মার্চেই তোলা।
গত সপ্তাহে হঠাৎ করে কাজাখস্তান সফর বাতিল করেন পুতিন। তারপর ৫ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত পুতিনকে জনসম্মুখে কোথাও দেখা যায়নি। পশ্চিমা মার্কিনমদদপুষ্ট সংবাদ মাধ্যমগুলো সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পুতিনকে নিয়ে গুজব ছড়িয়ে দিয়েছিল। আজ কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েভের সঙ্গে পুতিনকে বৈঠক করার অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করার পর পুতিন গুজবের অবসান হল। পাশাপাশি সারাবিশ্ব আরেকটি সুস্পষ্ট বার্তাও পেল যে, মার্কিন মদদপুষ্ট মিডিয়াগুলো এভাবেই গোটা বিশ্বে নানান বিষয়ে, নানান কিসিমের গুজব রটিয়ে নিজেদের সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ উদ্ধারেই কেবল ব্যস্ত থাকে।

..............................
১৭ মার্চ ২০১৫
ঢাকা

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পশ্চিমা মিডিয়ার প্রচার আর কি!!

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪১

হাইপারসনিক বলেছেন: এসকল মিডিয়া আমদের দেশকেও কম খায়নাই...

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫২

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: মিডিয়ার সংবদের অভাব হলে যা হয় আরকি!

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

বিদগ্ধ বলেছেন: ‘গুজবহীন জীবন বড় একঘেয়ে।’ ;) B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.