নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
এ যাবৎকালের সবচেয়ে সেরা এক্সাইটিং ক্রিকেট লড়াই ছিল আজকের নিউজিল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমি-ফাইনাল ম্যাচটি। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে অনুষ্ঠিত আজকের খেলায় শুরু থেকেই ছিল হাড্ডাহাড্ডি জীবনপন লড়াই। দক্ষিণ আফ্রিকা টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার হাসিম আমলা ও ডি-কক-এর শুরুটা তেমন ভালো হয়নি। নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার ট্রেন্ড বোল্ড আর টিম সাউথি তখন শুরুতেই চেপে ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার রান রেট। ৩.৪ ওভারের মাথায় বোলার ট্রেন্ড রোল্ড দলীয় ২১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১০ রানে হাশিম আমলাকে বোল্ড করেন। ৭.৫ ওভারে বোল্ডের ফিরতি বলে ডি-কক ব্যক্তিগত ১৪ রানে দলীয় ৩১ রানের মাথায় আউট হলে খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা দারুণভাবে চাপে পড়ে।
কিন্তু ডু-প্লিসিস রুশোকে নিয়ে খুব দ্রুতই সেই চাপ কাটিয়ে ওঠেন। ২৪.১ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা দলীয় শতরান পূর্ণ করে। সাতাশতম ওভারের প্রথম বলে রুশো ৩৯ রান করে এন্ডারসনের শিকাড় হলে ডু-প্লিসিসের সঙ্গে যোগ দেন দলীয় অধিনায়ক এবি ডি-ভিলিয়ার্স এবং দারুণভাবে খেলায় ফিরে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই সময় ৩১.৪ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা দলীয় ১৫০ রান পূর্ণ করে। ৩৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬২ রান নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ড্রিংকস ব্রেকে যায়।
এরপর ডি-ভিলিয়ার্স মাত্র ৩২ বলে ১ ছক্কা ও ৭ চারে পূর্ণ করেন রাজকীয় হাফ সেঞ্চুরি। এরপর মাত্র ৩৬.১ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা দলীয় ২০০ রান পূর্ণ করে। এই জুটি মাত্র ৭১ বলে শতরান তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার চাপ সামাল দিয়ে দারুণভাবে খেলায় ফিরে আসে। এরপর সেই ঐতিহাসিক বৃষ্টি। তখন দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১৬। তখন ডু-প্লিসিস ব্যক্তিগত ৮২ রানে এবং ডি-ভিলিয়ার্স ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
প্রায় ৬৫ মিনিট টানা বৃষ্টির পর আবার খেলা শুরু হয়। কিন্তু ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে খেলার নির্ধারিত ৫০ ওভার থেকে ৭ ওভার কমিয়ে উভয় দলের জন্য ৪৩ ওভারের খেলা নির্ধারণ হয়।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে দক্ষিণ আফ্রিকা আর মাত্র ৫ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায়। বৃষ্টির পর ৩৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ডু-প্লিসিস আউট হন ব্যক্তিগত ৮২ রানের মাথায়। দলীয় রান তখন ২১৭। চতুর্থ উইকেট পতনের পর ডি-ভিলিয়ার্সের সঙ্গে যোগ দেন হার্ড-হিটার মিলার। মিলার মাত্র ১৮ বলে ৩ ছক্কা ও ৬ চারের সাহায্যে ৪৯ রান করে দলীয় ২৭২ রানের মাথায় খেলার ৪ বল বাকি থাকতে আউট হয়। ম্যাচের অবশিষ্ট চার বলে দক্ষিণ আফ্রিকা আরো ৯ রান তুলতে সক্ষম হয়। ৪৩ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় ২৮১ রান। ডি-ভিলিয়ার্স ৬৫ রানে এবং ডামি ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। বৃষ্টির পর শেষ ৫ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০ বলে ৬৫ রান নিয়ে বিশাল সংগ্রহ করে। নিউজিল্যান্ডের এন্ডারসন ৭২ রানে ৩ উইকেট এবং বোল্ড ৫৩ রানে ২টি উইকেট পান। এরপর ডাকওয়ার্থস-লুইস পদ্ধতিতে নিউজিল্যান্ডের জন্য জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয় ৪৩ ওভারে ২৯৮ রানের।
মাত্র ৪৩ ওভারে ২৯৮ রানের বিশাল রান তাড়া করতে নেমেই নিউজিল্যান্ডের দলীয় অধিনায়ক ম্যাককুলাম বেশ দাপটের সঙ্গেই ব্যাট চালানো শুরু করেন। এবং নিউজিল্যান্ডের আসল ভিতটা ম্যাককুলাম তৈরি করে দিয়ে যান। ৪.১ ওভারে নিউজিল্যান্ড তুলে নেয় দলীয় ৫০ রান। ম্যাককুলাম ৪ ছক্কা ও ৬ চারে মাত্র ২২ বলে তুলে নেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি। ৬.১ ওভারে ব্যক্তিগত ৫৯ রানে দলীয় ৭১ রানে ম্যাককুলাম মর্নি মরকেলের শিকাড় হন। কিন্তু উইলিয়ামসন ক্রিজে যেতে না যেতেই ৮.৫ ওভারে মাত্র ১০ রানের মাথায় দলীয় ৮১ রানে উইলিয়ামসনকে আবার মরকেল বোল্ড করলে দারুণভাবে খেলায় ফিরে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই সময় নিউজিল্যান্ডের রানের গতি মারাত্মকভাবে শ্লো হয়ে যায়। যদিও ১১.৩ ওভারে মাত্র ৬৯ বলে নিউজিল্যান্ড দলীয় শতরান পূর্ণ করতে সক্ষম হয়। ১৭.১ ওভারে নিউজিল্যান্ডের রান যখন ১২৮ তখন ব্যক্তিগত ৩৪ রানে থাকা মার্টিন গুপতিল রানআউট হলে আবার নিউজিল্যান্ড খেলা থেকে ছিটকে যায়। শুরু হয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার নিরঙ্কুশ আধিপত্য। এই সময় টেলর ক্রিজে এসে নিউজিল্যান্ডকে সামাল দেবার চেষ্টা করেন। কিন্তু ২১.৪ ওভারে দলীয় ১৪৯ রানের মাথায় টেলর ৩০ রান করে আউট হলে নিউজিল্যান্ড আবারো ভীষণ চাপে পড়ে। ম্যাচ তখন পুরোপুরি দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে ঝুলে যায়।
এই সময় মাত্র ২১.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩০ বলে নিউজিল্যান্ড ১৫০ রান তুলতে সক্ষম হয়। এই সময় ম্যাচের পজিসন ফিফটি ফিফটি। এবার আবার নিউজিল্যান্ডের এন্ডারসনকে সাথে নিয়ে ইলিয়টের ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। এই জুটি মাত্র ৩০.২ ওভারে ১৮২ বলে নিউজিল্যান্ডকে ২০০ রানে পৌঁছে দেয়। তখন আবার ৯২ বলে শতরানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাকফুট থেকে খেলায় ফিরিয়ে আনে ইলিয়ট-এন্ডারসন জুটি। ৩৭ ওভারে নিউজিল্যান্ড ২৫০ রান তুলতে সক্ষম হয়। তখন খেলার বাকি অবশিষ্ট ৬ ওভার আর রান প্রয়োজন ৪৮। এখান থেকেই আজকের সেমি-ফাইনাল ম্যাচ একবার দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে আরেকবার নিউজিল্যান্ডের দিক দোল খেতে থাকে। প্রতিটি বলে এই ম্যাচ পেন্ডুলামের মত একবার দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে আরেকবার নিউজিল্যান্ডের দিকে ঝুলতে থাকে।
৩৮ তম ওভারের শেষ বলে এন্ডারসন ৫৭ বলে খুবই মূল্যবান ৫৮ রানের একটি গুরুত্বফূর্ণ ইনিংস খেলে আউট হয়ে গেলে মুহূর্তে নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে ২৫২ রানে পরিনত হয়। তখন আবার ম্যাচ চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। এই সময় উইকেটে আসেন নিউজিল্যান্ডের শেষ ভরসা রোসি। নিউজিল্যান্ডের তখন শেষ ২৪ বলে প্রয়োজন ৩৬ রান। হাতে রয়েছে ৫ উইকেট। এরপর ৪০ ওভারে নিউজিল্যান্ড তুলে নেয় ২৬৮ রান। হাতে তখনো ৫ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের তখন প্রয়োজন ২০ বলে ৩০ রান। কিন্তু ৭ বলে ৮ রান করে ৪১তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ২৬৯ রানের মাথায় রোসি স্টেইনের শিকাড় হলে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ থেকে আবারো অনেকটা ছিটকে যায়। এই সময় ম্যাচে আবারো এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তখন নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ১৯ বলে আরো ২৯ রান। তখন ক্রিজে আসেন ড্যানিয়েল ভিট্টোরি। যিনি মূলত বোলার। অপর প্রান্তে তখন ইলিয়ট ৭৫ রানে অরপাজিত। ৪১তম ওভারে নিউজিল্যান্ড রোসির উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬ রান নিতে সক্ষম হয়। তখন নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ১২ বলে ২৩ রান। তারপর শুরু হয় ম্যাচে দারুন সব এক্সাইটিংপূর্ণ নাটকীয়তা। ৪২তম ওভারে নিউজিল্যান্ড মূল্যবান ১১টি রান তুলে নিলে শেষ ওভারে, অর্থ্যাৎ ৪৩তম ওভারে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন পড়ে ১২ রান। নিউজিল্যান্ডের হাতে তখনো চার উইকেট।
কিন্তু স্ট্রাইকে তখন সদ্য ক্রিজে আসা ড্যানিয়েল ভিট্টোরি। আর নন-স্ট্রাইক এন্ডে মারকুটে ইলিয়ট। ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে ভিট্টোরি এক রান নেন। দ্বিতীয় বলে ইলিয়ট নেন ১ রান। ভিট্টোরি তখন তৃতীয় বলে আবার স্ট্রাইকে। এই সময় ভিট্টোরি
একটা চমৎকার চার মারেন। ৩ বলে তখন নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ৬ রান। চতুর্থ বলে ভিট্টোরি আরো একটি অতি মূল্যবান রান নিয়ে স্ট্রাইক দেন ইলিয়টকে। শেষ দুই বল মোকাবেলা করার জন্য ইলিয়টের তখন সেটা শেষ সুযোগ। তখন ২ বলে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ৫ রান। ইলিয়ট তখন অপরাজিত ৭৮ রাানে আর অপর প্রান্তে ভিট্টোরি অপরাজিত ৭ রানে। এই সময় স্টেইনের করা ওভারের পঞ্চম বলে ইলিয়ট ছক্কা হাকিয়ে দলকে পৌঁছে দেন ২৯৯ রানের নিরাপদ বন্দরে। ফলে ম্যাচের চরম নাটকীয়তা মুহূর্তে এক বল বাকি থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের এবারের আসর থেকে ৪ উইকেটে হেরে সেমি-ফাইনাল থেকে আবারো ছিটকে যায়। নিউজিল্যান্ড প্রথম বারের মত পৌঁছে যায় স্বপ্নের ফাইনালে।
৩ ছক্কা ও ৭টি চারের সাহায্যে ৭৩ বলে ইলিয়ট শেষ পর্যন্ত ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন। অসামান্য নৈপুন্যের জন্য ইলিয়ট হন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। এই প্রথম নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের ১১টি আসরের মধ্যে প্রথমবারের জন্য ফাইনালে ওঠার গৌরব অর্জন করে। এর আগে নিউজিল্যান্ড ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭ ও ২০১১ সালের বিশ্বকাপের আসরে মোট ছয়বার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়। আর দক্ষিণ আফ্রিকা এর আগে ১৯৯২, ১৯৯৯ ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নেয়। এবারো দক্ষিণ আফ্রিকাকে নাটকীয় ম্যাচে এব বল বাকি থাকতেই সেমি-ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হল। আগামী ২৯ মার্চ মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যেকার বিজয়ী দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড তাদের স্বপ্নের ফাইনাল খেলতে নামবে।
একাদশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করেন শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারা ৭ ম্যাচে ৫৪১ রান। ৮ ম্যাচ খেলে ৫৩২ রান নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গুপতিল। ৮ ম্যাচে ৪৮২ রান নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি-ভিলিয়ার্স। ৬ ম্যাচে ৪৩৩ নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছেন জিম্বাবুয়ের ব্রান্ডান টেলর। ৭ ম্যাচে ৩৯৫ রান নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছেন শ্রীলংকার তিলকরত্নে দিলশান। ৭ ম্যাচে ৩৮০ রান নিয়ে ষষ্ট অবস্থানে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্রান্সিস ডু-প্লিলিসিস। ৭ ম্যাচে ৩৬৭ রান নিয়ে সপ্তম অবস্থানে আছেন ভারতের শেখর ধাওয়ান। ৬ ম্যাচে ৩৬৫ রান নিয়ে অষ্টম অবস্থানে আছেন বাংলাদেশের মোহাম্মদুল্লাহ রিয়াদ।
আর বোলিংয়ে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ড বোল্ড। ৬ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন আস্ট্রেলিয়ার মাইকেল স্ট্রাক। ১৭ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে আছেন যথাক্রমে ভারতের মোহাম্মদ সামি (৬ ম্যাচে), ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেরোমি টেলর (৭ ম্যাচে) ও দক্ষিণ আফ্রিকার মর্নি মরকেল (৮ ম্যাচে)। ৭ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছেন পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ। ১৫ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে পঞ্চম অবস্থানে আছেন নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভিট্টোরি (৮ ম্যাচে) ও টিম সাউথি (৮ ম্যাচে), স্কল্যান্ডের জোশ ডেভি (৬ ম্যাচে) ও দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির (৮ ম্যাচে)। ১৪ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে ষষ্ট অবস্থানে আছেন ভারতের উমেশ যাদব (৭ ম্যাচ) ও নিউজিল্যান্ডের ক্যোরি এন্ডারসন (৮ ম্যাচে)। ১২ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে সপ্তম অবস্থানে আছেন ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৬ ম্যাচে), শ্রীলংকার লাসিথ মালিঙ্গা (৭ ম্যাচে) ও পাকিস্তানের সোহাইল খান (৭ ম্যাচে)।
আজকের বৃষ্টবিঘ্নিত সেমি-ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা আবারো সেই বৃষ্টির কাছে বলি হল। এর আগে ১৯৯২ সালে সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪২.৫ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার যখন রান ৬ উইকেটে ২৩১ তখন বৃষ্টি হামলা করে। দক্ষিণ আফ্রিকার তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭ বলে
২২ রান। ১২ মিনিট বৃষ্টি খেলায় বিঘ্ন ঘটায়। তখন বৃষ্টির পর ডাকওয়ার্থস-লুইস পদ্ধতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এক বলে জয়ের জন্য ২১ রান ধার্য করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ বলে ১ রান নিলে নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩২ রানে আটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ অভিযানে বৃষ্টি একমাত্র শত্রু হয়ে আছে। আজকের ম্যাচে ৩৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন ২১৬ রানে, তখন মনে হচ্ছিল নির্ধারিত ৫০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা হয়তো ৩৬০ রান তুলে ফেলবে। মিনিমাম ৩৫০ রান তুললেও নিউজিল্যান্ডের পক্ষে উইকেট ধরে রেখে সেই রান চেস করা বড্ড দুঃসাধ্য ছিল। কিন্তু ম্যাচের ৩৮ তম ওভারে আবারো সেই বৃষ্টি। আবারো কাকতলীয়ভাবে সেই ৪৩ ওভারের খেলা। বিশ্বকাপ, ৪৩ ওভার আর বৃষ্টি এই তিন খর্গে আবারো দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ যাত্রা দুঃস্বপ্ন হয়ে গেল। কিন্তু সপ্তম বারের মত সেমি ফাইনালে ওঠার পর এই প্রথম নিউজিল্যান্ড স্বপ্নের ফাইনালে উঠতে সক্ষম হল। আগামী ২৯ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার বিজয়ী দল ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। এর আগে আগামী ২৬ মার্চ সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে।
..................................
ঢাকা
২৫ মার্চ ২০১৫
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখা পরিস্কারভাবে বুঝা গেছে, ভালো।