নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের বিশ্বকাপ ক্রিকেট অভিযান !!! দ্বিতীয় পর্ব !!!

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

১৯৯৬ সালে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের নাম ছিল উইলস ওয়ার্ল্ড কাপ। দ্বিতীয়বারের মত ভারত ও পাকিস্তান এবং প্রথমবারের মত শ্রীলংকা এটার আয়োজক ছিল। উইলস ওয়ার্ল্ড কাপে টেস্ট প্লেয়িং ৯টি দেশ এবং ১৯৯৪ সালের আইসিসি ট্রফির চ্যাম্পিয়ন, রানারআপ ও তৃতীয় স্থান অধিকারী তিনটি দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস ও কেনিয়া অংশ নেয়। ৬টি করে দল নিয়ে দুইটি গ্রুপ করা হয়। এ-গ্রুপে ছিল ভারত, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলংকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া। বি-গ্রুপে ছিল ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেদারল্যান্ডস।
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই শ্রীলংকার সেন্ট্রাল ব্যাংক ভবনে তামিল টাইগার্সদের বোমা হামলার ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত অযুহাতে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের খেলা খেলতে অস্বীকার করে। ফলে দুইটি খেলায় আইসিসি শ্রীলংকাকে ওয়াকওভার দিলে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই শ্রীলংকা কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যায়।
হায়দ্রাবাদে ভারতের বিপক্ষে প্রথম খেলায় কেনিয়া ৬ উইকেট হারিয়ে করে ১৯৯ রান। জবাবে ভারত ৪১.১ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান করে ৭ উইকেটে জয়লাভ করে। গোয়ালিয়রে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করে ১৭৩ রানে অলআউট হয়। জবাবে ভারত ৩৯.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে ৬ উইকেটে জয় পায়।
মুম্বাইয়ে ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় খেলায় অস্ট্রলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ২৫৮ রান করে। জবাবে ভারত ৪৮ ওভারে ২৪২ রানে অলআউট হয়। অস্ট্রেলিয়া ১৬ রানে জয়লাভ করে। দিল্লীতে শ্রীলংকার বিপক্ষে ভারতের চতুর্থ খেলায় ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২৭১ রান করে। জবাবে শ্রীলংকা ৪৮.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান তুলে ৬ উইকেটে জয়লাভ করে। কানপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভারতের গ্রুপ পর্বের শেষ খেলায় প্রথমে ব্যাট করে ভারত ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রান করে। জবাবে জিম্বাবুয়ে দুই বল বাকি থাকতে ২০৭ রানে অলআউট হয়। ভারত ৪০ রানে জয় পায়।
সেবার গ্রুপ পর্ব থেকে চারটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তীর্ন হয়। ভারত এ-গ্রুপ থেকে তৃতীয় স্থান অধিকার করে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছায়। কোয়ার্টার ফইনাল থেকেই সেবার নকআউট পর্ব ছিল। ভারত কোয়ার্টার ফাইনালে বি-গ্রুপ রানারআপ পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়। ব্যাঙ্গালোরে কোয়ার্টার ফাইনালে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রান করে। জবাবে পাকিস্তান স্লো ওভাররেটের কারণে ১ ওভার কম খেলার সুযোগ পায়। পাকিস্তান ৪৯ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান করলে ভারত ৩৯ রানে জয়লাভ করে।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে শ্রীলংকা প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৫১ রান তোলে। জবাবে ৩৪.১ ওভারে ১২০ রানে ভারত ৮ উইকেট হারালে দর্শকরা মাঠে আগুন ধরিয়ে দেয়। শৃংখলার অভাবে অবশিষ্ট ম্যাচ পরিচালনা আর সম্ভব হয়নি। আইসিসি ম্যাচে শ্রীলংকাকে বিজীয় ঘোষণা করে। শ্রীলংকা প্রথমবারের মত ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। অপর সেমি ফাইনালে মোহালিতে অস্ট্রেলিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে ২০৭ রান করে। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ বল বাকি থাকতে ২০২ রানে অলআউট হয়। অস্ট্রেলিয়া ৫ রানে জয়লাভ করে ফইনালে যায়। লাহোরে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৪১ রান তোলে। জবাবে ৪৬.২ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে শ্রীলংকা ২৪৫ রান করে ৭ উইকেটে জয়লাভ করে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ জিতে নেয়। অরবিন্দ ডি সিলভা বোলিংয়ে ৪২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে এবং ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ১০৭ রান করায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন।
১৯৯৯ সালের সপ্তম বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয় ইংল্যান্ডে। তবে ওয়েলস, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যাণ্ড ও নেদারল্যান্ডসেও কয়েকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ১২ টি দল সেবার অংশ নেয়। আইসিসি সেবার কিছু নতুন নিয়ম করে। দুই গ্রুপে ৬টি দল প্রথমে রবিন লিগ খেলায় অংশ নেয়। প্রতি গ্রুপ থেকে শীর্ষ বাছাই তিনটি দল সুপার সিক্সে উত্তীর্ণ হয়। সুপার সিক্সে এ-গ্রুপের তিনটি দল বি-গ্রুপের তিনটি দলের সাথে খেলে। সেখান থেকে শীর্ষবাছাই চারটি দল সরাসরি সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
৯টি টেস্ট প্লেয়িং দল সরাসরি এবং ১৯৯৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রফির শীর্ষ তিনটি দল সপ্তম বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা লাভ করে। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, রানারআপ কেনিয়া ও তৃতীয় স্থান অধিকারী স্কটল্যান্ড বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পায়। এ-গ্রুপে ছিল ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া। বি-গ্রুপে ছিল অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ড।
গ্রুপ পর্বে হোবে ভারত নিজস্ব প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়। ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট ২৫৩ রান করে। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৭.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান তুলে ৪ উইকেটে জয়লাভ করে। ভারত নিজস্ব দ্বিতীয় খেলায় লেইচেস্টারে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়। জিম্বাবুয়ে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট ২৫২ রান করে। স্লো ওভার রেটের কারণে ভারতের ৪ ওভার কার্টেল করা হয়। ৪৬ ওভারে ২৫৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভারত ৪৫ ওভারে ২৪৯ রানে অলআউট হয়। জিম্বাবুয়ে ৩ রানে জয়লাভ করে।
তৃতীয় খেলায় ভারত ব্রিস্টলে কেনিয়ার মুখোমুখি হয়। প্রথমে ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে ভারত ৩২৯ রান করে। জবাবে কেনিয়া ৭ উইকেট ২৩৫ রান তুলতে সক্ষম হয়। ভারত ৯৪ রানে জয়লাভ করে। টেন্ডুলকার ১৪০ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন। চতুর্থ খেলায় ভারত টাউনটনে শ্রীলংকার মুখোমুখি হয়। প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৭৩ রান করে। জবাবে শ্রীলংকা ৪২.৩ ওভারে ২১৬ রানে অলআউট হয়। ভারত ১৫৭ রানে জয়লাভ করে। সৌরভ গাঙ্গুলী ১৫৮ বলে ১৮৩ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন। পঞ্চম খেলায় ভারত বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ৮ উইকেট হারিয়ে করে ২৩২ রান। জবাবে ইংল্যান্ড ৪৫.২ ওভারে ১৬৯ রানে অলআউট হয়। ভারত ৬৩ রানে জয়লাভ করে। ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী হন ম্যান অব ম্য ম্যাচ।
এ-গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও জিম্বাবুয়ে টপ থ্রি এবং বি-গ্রুপ থেকে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড টপ থ্রি হয়ে সুপার সিক্সে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে স্কটল্যান্ডকে ২২ রানে এবং পাকিস্তানকে৬২ রানে হারিয়ে গ্রুপে পঞ্চম স্থান অর্জন করে।
সুপার সিক্সের ভারতের প্রথম খেলায় ওভালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে ২৮২ রান করে। জবাবে ভারত ৪৮.২ ওভারে ২০৫ রানে অলআউট হয়। ভারতের অজয় জাদেজা ১০০ রানে অপরাজিত হন। গ্লেন ম্যাকগ্রা ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচ সেরা। ওল্ড ট্রাফোর্ডে সুপার সিক্সের দ্বিতীয় খেলায় ভারত পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ৬ উইকেটে ২২৭ রান করে। জবাবে পাকিস্তান ৪৫.৩ ওভারে ১৮০ রানে অলআউট হয়। ভেংকটেশ প্রাসাদ ২৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে হন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ট্রেন্ডব্রিজে সুপার সিক্সের তৃতীয় খেলায় ভারত নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান করে। জবাবে নিউজিল্যান্ড ৪৮.২ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫৩ রান তুলে ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয়।
সুপার সিক্সে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড শীর্ষ চার হিসেবে সরাসরি সেমিফাইনালে ওঠে। জিম্বাবুয়ে হয় পঞ্চম আর ভারত সুপার সিক্সে ষষ্ঠ স্থান নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়।
সে বছর প্রথম সেমিফাইনালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে ২৪১ রান করে। জবাবে পাকিস্তান ৪৭.৩ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান করে ৯ উইকেটে জয় নিয়ে ফাইনালে ওঠে। এজবাস্টনে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হয়। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৪৯.২ ওভারে ২১৩ রানে অলআউট হয়। শ্যোন পোলক ৩৬ রানে নেন ৫ উইকেট আর ডোনাল্ড ৩২ রানে নেন ৪ উইকেট। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৯.৪ ওভারে ২৩১ রানে অলআউট হয়। ডোনাল্ড এক ভৌতিক দৌড়ে সেবার রান আইট হলে সেমিফাইনালের ম্যাচটি চরম উক্তেজনায় টাই হয়। সুপার সিক্সে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে হারিয়েছিল। তাই ম্যাচ টাই হলেও হেড-টু-হেড খেলার হিসাবে অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে উঠে যায়। লর্ডসে ফাইনালে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৩৯ ওভারে ১৩২ রানে অলআউট হয়। শেন ওয়ার্ন ৩৩ রানে নেন ৪ উইকেট। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ২০.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে ৮ উইকেট দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপ জয় করে। শেন ওয়ার্ন ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন।
২০০৩ সালের অষ্টম বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়ায়। মোট ১৪টি দল অংশগ্রহন করে। ১০টি টেস্ট প্লেয়িং কান্ট্রি এবং ওয়ান ডে স্টাটাসের কারণে কেনিয়া সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা পায়। আর ২০০১ সালের আইসিসি ট্রফিতে সুপার তিনটি দল নেদারল্যান্ডস, নামিবিয়া ও কানাডা বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সে বছরও ৭টি কর দল নিয়ে প্রথমে দুই গ্রুপে খেলা হয়। সেখান থেকে গ্রুপ পর্বের সুপার থ্রি সুপার সিক্স পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সুপার সিক্স থেকে শীর্ষবাছাই চারটি দল সরাসরি সেমিফাইনাল খেলে।
সে বছর ভারত গ্রুপ পর্বের ৬টি খেলার মধ্যে ৫টি জেতে আর একটিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৯ উইকেটে পরাজিত হয়। গ্রুপে দ্বিতীয় শীর্ষবাছাই হিসেবে সুপার সিক্সে পৌঁছায়। এ-গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জিম্বাবুয়ে সুপার সিক্সে যায়। এ-গ্রুপ থেকে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও নামিবিয়া গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়ে। আর বি-গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কানাডা ও বাংলাদেশ গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়ে। বি-গ্রুপ থেকে শ্রীলংকা, কেনিয়া ও নিউজিল্যান্ড শীর্ষবাছাই হিসেবে সুপার সিক্সে যায়। বাংলাদেশ কানাডার কাছে সে বছর ৬০ রানে হেরেছিল।
সুপার সিক্সে ভারত ৩টি খেলায় জিতে রানারআপ হিসেবে সেমিফাইনালে পৌঁছায়। সুপার সিক্স থেকে সে বছর অস্ট্রেলিয়া, ভারত, কেনিয়া ও শ্রীলংকা সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। পোর্ট এলিজাবেথে প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২১৭ রান করে। জবাবে শ্রীলংকা ৩৮.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান তোলার পর বৃষ্টি সেই ম্যাচে বাধার সৃষ্টি করে। পরে আর খেলা মাঠে গড়ায়নি। ডাকওয়ার্থস-লুইস পদ্ধতিতে অস্ট্রেলিয়াকে সেই ম্যাচে ৪৮ রানে বিজয়ী ঘোষণা করে আইসিসি। অপর সেমিফাইনালে ভারত কেনিয়ার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে করে ২৭০ রান। জবাবে কেনিয়া ৪৬.২ওভারে ১৭৯ রানে অলআউট হয়। ভারত ৯১ রানে জয়ী হয়ে ফাইনালে পৌঁছায়। সৌরভ গাঙ্গুলী ১১৪ বলে অপরাজিত ১১১ রান করে হন ম্যান অব ম্য ম্যাচ।
জোহানেসবার্গে ফাইনালে ভারত অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়। অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৫৯ রান করে। জবাবে ভারত ৩৯.২ ওভারে ২৩৪ রানে অলআউট হয়। অস্ট্রেলিয়া ১২৫ রানে জয়লাভ করে তৃতীয়বারের মত বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নেয়। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক রিকি পন্টিং ১২১ বলে ১৪০ রানে অপরাজিত এবং মার্টিন ৮৪ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। ভারতের পক্ষে বিরেন্দর সেবাগ ৮২ রান করেন। রিকি পন্টিং ম্যান অব দ্য ম্যাচ এবং সচিন টেন্ডুলকার ম্যান অব দ্য সিরিজ হন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.