নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
গতকাল অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার সেমি-ফাইনাল ম্যাচের পর, এ পর্যন্ত এগারোটি বিশ্বকাপে ভারতের খেলা সবগুলো ম্যাচের উপর আমি আবারো একটু নজর বুলিয়ে একটা বিষয় আবিস্কার করলাম, সেটা হল, ভারত ম্যাচ গড়াপেটার কাজটি দীর্ঘদিন ধরেই করছে।
ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে সবচেয়ে বড় ধরনের খবরটি প্রথম রটেছিল ২০০০ সালের ৭ এপ্রিল দিল্লী পুলিশ যখন ঘোষণা করল যে, ভারতীয় বেটিং সিন্ডিকেটের সদস্য মিস্টার সঞ্জয় চাওয়ার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক প্রয়াত হেনসি ক্রোনিয়ের কথপোকথন তাদের কাছে রেকর্ড হিসেবে আছে। দিল্লী পুলিশের এই ঘোষণায় সারা বিশ্ব তখন অবাক হয়েছিল। পরে হ্যানসি যখন ম্যাচ গড়াপেটার কথা স্বীকার করেন, তখন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপ্টেনসি থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়। এই ঘটনা সবার জানা।
কিন্তু আমি যে বিষয়টি বিশ্লেষণ করতে চাই, সেটা হল, ভারতে ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে বেটিং করার মত শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে, এই কথাটি কিন্তু মিথ্যে নয়। এমন কি চলতি বিশ্বকাপ চলার সময় বাংলাদেশ বনাম ভারতের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের দিন ভারতীয় পুলিশ শান্তি স্বরূপ ভাটিয়া নামে পশ্চিম বিহারের এক দালালকে গ্রেফতার করে। ভাটিয়ার কাছ থেকে ১১০টি মোবাইল ফোন, ১০৯টি এয়ার ফোন, দুই সেট টপ বক্স, ৮১টা মোবাইল চার্জার, একটা ল্যাপটপ, একটা এলসিডি স্কিন, এবং কিছু পিস্তলের কার্তুজ উদ্ধার করে। ভাটিয়া মুম্বাই ভায়া হয়ে দুবাইয়ের একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে চলতি বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে বল টু বল ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
ভাটিয়া মোট ১১০টি লাইনের মাধ্যমে এই কাজটি করছিলেন। প্রতিটি লাইন থেকে তিনি বুকিদের কাছ থেকে তিন হাজার ভারতীয় রুপি করে প্রতিটি ম্যাচ থেকে মোট ৬ লাখ রুপি করে অর্থ উপার্জন করছিলেন। ভারতীয় পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মিস্টার রবীন্দ্র যাদবের বক্তব্য অনুযায়ী এমন খবরটি পত্রিকায় পড়েছিলাম। তার মানে এবারের বিশ্বকাপেও ম্যাচ গড়াপেটার ব্যাপারটি শুরু থেকেই ছিল।
১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আইসিসি'র প্রেসিডেন্ট ছিলেন ভারতের মিস্টার জাগমোহন ডালমিয়া। ওই সময় হ্যাসনি ক্রোনিয়ে, মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন, অজয় জাদেজা, হার্সেল গিবস, নিকি বোয়ে, পিটার স্টাইডোমের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবরটি প্রথম চাউর হয়েছিল। ১৯৯৯ সালের ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সপ্তম বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় ভারতের জাগমোহন ডালমিয়া আইসিসি'র প্রধান ছিলেন। কিন্তু ভারত সুপার সিক্স রাউন্ডে সবচেয়ে বাজে ফলাফল করে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায়। ওই সময় ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। তাহলে কি ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ভারতের ম্যাচগুলো আগেই বুকিদের কাছে সেবার বিক্রি হয়ে গিয়েছিল? নইলে ভারতীয় দল অমন বাজে পারফর্ম কিভাবে করল?
২০০৩ সালে অষ্টম বিশ্বকাপের সময় ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। গোটা ভারতীয় দলকে টিম ইন্ডিয়া বানিয়ে রাতারাতি সৌরভ একটা বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। সৌরভের নেতৃত্বে ভারত সেবার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে রানারআপ হয়েছিল। ফাইনালে ভারত সোচনীয় ভাবে হারার পেছনে কি ভারতীয় বুকিদের কোনো হাত ছিল? এটা আমার মাথায় একটি জোড়ালো প্রশ্ন হিসেবে তখনো এসেছিল, এখনো সেই প্রশ্নটি আছে।
২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আইসিসি'র প্রেসিডেন্ট ছিলেন ভারতের সারদ পাওয়ার। যিনি একজন রাজনীতিবিদ। ওই সময় ভারত মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্ব দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয় করে। মিস্টার সারদ পাওয়ারের আইসিসিতে একক ক্ষমতা ছিল বলেই তখন পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত হওয়া ফাইনাল ম্যাচ ২০০৯ সালে শ্রীলংকান টিমের উপর সন্ত্রাসী হামলার দোহাই দিয়ে সেই ম্যাচ মুম্বাইতে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছিল। আর ফাইনালে শ্রীলংকাকে হারিয়ে ভারত কাপ জিতেছিল। সে বছর বহুল আলোচিত ইংল্যান্ড বনাম ভারতের ৩৩৮ রানের টাই ম্যাচটি নিয়ে আজো রহস্য ছড়িয়ে আছে। অনেকের ধারণা ওই ম্যাচটি বুকিদের কাছে উভয় দলই বিক্রি করেছিল।
২০০৭ সালে ক্যারিবিয় বিশ্বকাপে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন রাহুল দ্রাবিঢ়। তখন আইসিসির প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকার পার্সি শ্যোন। ভারত গ্রুপ পর্বেই তিনটি ম্যাচের দুইটিতে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়। অথচ ভারতীয় দলে তখনো টেন্ডুলকার, গাঙ্গুলী, সেবাগ, যুবরাজ, কুম্বলে, জহির খান, ইরফান পাঠানদের মত তারকায় ঠাসা। যাদের নিয়ে দলটি বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল। সেবার বিশ্বকাপ আয়োজনে আইসিসির ব্যবসায় লোকসান গুনতে হয়েছিল। কারণ ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ভারতীয় দর্শকরা ভারতের হারের পর থেকে বর্জন করেছিল।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ বনাম ভারতের কোয়ার্টার ফাইনালে আম্পায়ারদের দেওয়া অন্তত তিনটি বাজে সিদ্ধান্তই ভারতীয়দের পক্ষে যাবার পেছনে কি ভারতীয় বুকিদেরই জোড়ালো হাত ছিল? নইলে আইসিসি'র প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের আ.হ.ম. মোস্তফা কামাল প্রতিবাদ করায় আইসিসির চিফ এক্সিবিউটিভ ডেভিড রিচার্ডস এতো চটলেন কেন? এখানে স্মলন করা যেতে পারে আইসিসির নতুন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সবচেয়ে ক্ষমতাধার আইসিসির চেয়ারম্যান, যিনি বর্তমানে ভারতের মিস্টার নারায়ানাস্বামী শ্রীনিবাসন।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, আইসিসির প্রধান পদে যখনই কোনো ভারতীয় থাকেন অলৌকিক কোনো ক্ষমতা বলে সে বছর ভারতীয় দলে খুব ভালো পারফর্ম করে। আর যে বছর থাকে না, সে বছর যাচ্ছে তাই পারফর্ম করে আগেভাগেই বিদায় হয়।
আমার এই আলোচনায় অবশ্যই ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হবার বিষয়টি নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। এমন কি ১৯৮৭ সালে ভারত সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হারা নিয়েও কোনো সন্দেহ নেই। কারণ বিশ্ব ক্রিকেটে বুকিদের এসব কারবারি শুরু হয়েছে গত শতাব্দির নব্বইয়ের দশকে। মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন-হ্যানসি ক্রোনিয়েদের আমল থেকেই যদি আমলে নেই, তাহলে বিশ্ব ক্রিকেটের বাণিজ্যিক ব্যাপার স্যাপারেরও চলন তখন থেকেই শুরু। এরপর যখন ক্রিকেটে আইপিএল-এর প্রচলন শুরু হল তখন বুকিদের এই ম্যাচ ফিক্সিং ব্যবসা রমরমা হয়ে উঠল। ভারতীয় বোলার শ্রীশান্তের কথা আমরা জানি, যিনি জেল পর্যন্ত খেটেছেন ম্যাচ গড়াপেটার দায়ে।
এতো গেল বুকিদের নিয়ে খেলোয়াড়দের যোগসাজসে ভারতীয় ও অন্যান্য দেশের খেলোয়াড় ও বুকিদের ম্যাচ গড়াপেটার প্যাচাল। আর তার সঙ্গে আইসিসির কর্তা ব্যক্তির ক্ষমতার দাপটের নানান খতিয়ান। এর বাইরে আমরা ধারণা, ১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে শুরু হওয়া ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ক্রিকেট-ই এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের সব ধরনের ফরমেটের মধ্যে আসল ক্রিকেট। যদিও সেই টেস্ট ম্যাচ নিয়ে ম্যাচ গড়াপেটার খবরও পত্রিকায় আসে, যার সঙ্গে ভারতীয় বুকিদের সবচেয়ে বেশি হাত।
১৯৭১ সালের ৫ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে শুরু একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বরং সেই তুলনায় ক্রিকেটর যদিও নতুন ফারমেট, কিন্তু টেস্টের চেয়ে বেশি দর্শক প্রিয়তা পেয়েছে। আর ১৯৭৫ সালের ৭ জুন ইংল্যান্ডের লর্ডসে শুরু হওয়া ওডিআই ফরমেটের বিশ্বকাপ ক্রিকেট আরো দর্শকপ্রিয়তা পেলে বিশ্বকাপ ফুটবলের মত প্রতি চার বছর পরপর ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজনের যে রীতি, এটা মানুষের কাছে অনেক আগ্রহ তৈরি করেছে।
কিন্তু আইপিএল বা ক্রিকেটের টি-২০ ফরমেটটি ক্রিকেটের সকল জৌলুসকে ধ্বংস করার জন্য সম্ভবত বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় কাঁটা। ক্রিকেটের এই ফরমেটটি বুকিদের কাছে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়। ক্রিকেটের এই ফরমেটি চালু করার পেছনেও ভারতীয়েদর সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল। যে কারণে ক্রিকেটে বুকি, ম্যাচ ফিক্সিং, ম্যাচ গড়াপেটা নানান বিষয়ে যত দুর্নাম রয়েছে, সবগুলোর সঙ্গেই ভারতীয় ক্রিকেটের নাম আসবে সবার আগে। গোটা ভারত জুড়েই এই বাণিজ্যটি প্রথম প্রসারলাভ করেছে। পরে যা সারা দুনিয়ায় ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গেই ছড়িয়েছে। আর এতে ভারতীয়েদর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরে পাকিস্তানীরাও জড়িয়ে যায়। আর এর প্রধান চারণভূমি বা হেডকোয়ার্টার হয়ে ওঠে দুবাই।
ক্রিকেট মাঠের খেলা হলেও এখন এটি ধীরে ধীরে মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। আর সেই হাওয়ায় বাতাস দিচ্ছে স্বয়ং আইসিসি টি-২০ এর মত ফরমেট চালু করে।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রতিটি আসরেই আইসিসি নানান ধরনের ফরমেট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে। কিন্তু যোগ্যতার বিচারে শ্রেষ্ঠ দলটি বাছাই করার আদৌ ইচ্ছে হয়তো ক্রিকেটের প্রধান সংস্থা আইসিসির নেই। এখন পর্যন্ত এগারোটি আসরের মধ্যে যত ধরনের পরীক্ষা হয়েছে, এর মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে পঞ্চম বিশ্বকাপের আসরটি সেরা মনে হয়েছে। যেখানে শুরুতেই রাউন্ড রবিন লিগে আটটি দলই প্রত্যেকে প্রত্যেকের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়েছে। এবং শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে সেরা চারটি দল সেমি ফাইনালে খেলেছে। দুর্বল দলটি সেরা চারে যেতে পারেনি।
আমার মতে, বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহনকারী প্রত্যেকটি দলকেই অন্য সকল দলের সঙ্গে তাদের যোগ্যতা বিচারের সুযোগ দেওয়া উচিত। নইলে কোনো একদিন খারাপ খেললেই একটি দল অনায়াসে বাদ পড়ে যাবার সম্ভাবনা থেকে যায়।
আর বিশ্বকাপের জন্য মোট বারোটি দলকে সুযোগ দেওয়া উচিত। টেস্ট প্লেয়িং ১০টি দলকে সরাসরি সুযোগ না দিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের মত সকল দলকেই বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে খেলায় অংশগ্রহনের নিয়ম চালু করা উচিত। তাহলে আয়ারল্যান্ড বা আফগানিস্তানের মত দেশ হয়তো বড় বড় অনেক রাঘব বোয়ালদের বাছাই পর্বেই নাস্তানুবুদ করে ছেড়ে দেবে। আর মূল বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে সেরা আটটি দল। বাছাই পর্ব থেকে সেরা আট দল রাউন্ড রবিন লিগ খেলে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে সেরা চার দল সেমিফাইনালে উঠুক। বরং সেমিফাইনাল স্টেজেও রবিন লিগ হলে আরো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে শ্রেষ্ঠত্ব বিচার করার সুযোগটা তৈরি হবে।
নতুবা বর্তমান বিচারে চার বছর পরপর আমরা যে ক্রিকেট বিশ্বকাপ দেখব, তারমধ্যে যে বুকিদের কারবারি, মাফিয়াদের মুনাফাবাণিজ্য, ম্যাচ গড়াপেটা, এসব থেকেই যাবে। আগে শুধুমাত্র খেলোয়াড় আর বুকিদের মধ্যে এটা সীসিত থাকলেও এখন সেটা আম্পায়ারদের মধ্যেও বিস্তার ঘটেছে। ফলে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরমেটে বিশেষ করে বিশ্বকাপ আসরে বুকিদের ম্যাচ গড়াপেটার ঝুঁকি বরং আগের চেয়ে আরো বেড়েছে।
সুতরাং বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ফরমেট আর বাছাই পর্বে যতদিন না সবার জন্য সমান সুযোগের ব্যবস্থা গড়ে না উঠবে, ততদিন আইসিসি মোড়লদের বেহায়াপনা বন্ধ হবে না। বুকিদের কারবারিও বন্ধ হবে না। মাফিয়াদের মুনাফাবাণিজ্যও বন্ধ হবে না। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্বের বিচার করার জন্য তাই বিশ্বকাপ ফরমেটের আমূল পরিবর্তন না করতে পারলে, ছোট দলগুলো সব সময়ই বৈষম্যের স্বীকার হবে। এবার যেমন বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে এই বৈষম্য আধিপাত্যের কাছেই হেরে বিশ্বকাপের আসর থেকে ফেরত এসেছে। আমি মনে করি, আইসিসির ম্যাচ ফরমেটের ভেতরেই এই বৈষম্য আষ্ঠেপিষ্ঠে লেপ্টে আছে। অতএব সাধু সাবধান।
.....................................
ঢাকা
২৮ মার্চ ২০১৫
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬
যাযাবরমন বলেছেন: চমৎকার