নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
আজ দুপুরে নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১১৭০ জন। বহু মানুষ এখনো ধ্বংস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। ঢাকা থেকে ৪২০ মাইল দূরের প্রতিবেশি কাঠমান্ডু যখন ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয়েছে, তখন প্রতিবেশি বাংলাদেশ উদ্ধার অভিযানে একটি দলও পাঠালো না কেনো?
আমরা কি জাতি হিসেবে এতোটা অকৃতজ্ঞ? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভূমিকম্পের একঘণ্টার মধ্যে যেখানে রেসকিউ টিম পাঠালেন, সেখানে আমাদের সরকার বাহাদুর কি বসে বসে বাতক ব্যাধী বাধায়? আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি করে? আমাদের সেনাবাহিনীর একটি চৌকশ দলকে হেলিকপ্টারে কি পাঠানো যেতো না?
এই মুহূর্তে নেপালের সবচেয়ে জরুরী প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহায়তা। মানুষ বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন চৌকস রেসকিউ টিম ও সরঞ্জাম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রেসকিউ টিম পাঠানে সাড়া দিয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাঠমান্ডুতে কেবল ভারত, চীন, পাকিস্তান আর বাংলাদেশের পক্ষে সাড়া দেওয়া সম্ভব। আর সেটা যত দ্রুত হবে তত বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুধু কাঠমান্ডুতে আমাদের অনুর্ধ ১৪ মহিলা ফুটবল নিরাপদে আছে, এইটুকু খবর নিয়েই সন্তুষ্ট থেকেছে। যা জাতি হিসেবে বাঙালিদের সত্যি সত্যিই বিশ্বের কাছে ছোট করে দেয়। আমরা নিজেরা প্রায় বছর নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করি। দুর্যোগে আমরা যেভাবে সবাই শ্রেণী-বর্ণ-ধর্ম ভুলে সবাই সবার পাশে দাঁড়াই, প্রতিবেশি রাষ্ট্র হিসেবে নেপালের পাশে দাঁড়ানো এই মুহূর্তে বাংলাদেশের খুবই প্রয়োজন। আমাদের সরকার বাহাদুর এই প্রয়োজনটুকু বুঝতে এতো অযোগ্য হলে তো তা দিয়ে বহির্বিশ্বে ইজ্জ্বত রাখা দায় হবে।
বুঝলাম, কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। কিন্তু আমাদের সেনাবাহিনী কি হেলিকপ্টারে সেখানে রেসকিউ টিম পাঠাতে পারত না?
সরকার বাহাদুরের উচিত হবে বাংলাদেশ থেকে অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে একটি চৌকস রেসকিউ টিম পাঠানো। উন্নত দেশ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা কিন্তু নেপাল পাবে। কিন্তু রেসকিউ টিম পেতে যে সময় চলে যাবে, ততক্ষণে মৃতের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশের জন্য এই সময়ে নেপালের দুর্যোগে সাড়া না দেওয়াটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হয়েছে। আমি আশা করব, সরকার বাহাদুরের শীঘ্রই শুভবোধের উদয় হবে। আর বাংলাদেশ থেকে কাঠমান্ডুতে রেসকিউ টিম পাঠাবে।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৯
নতুন বলেছেন: চিকিতসা এবং জরুরী ঔষুধ পাঠানো দরকার....
বাংলাদেশের জন্য এই সময়ে নেপালের দুর্যোগে সাড়া না দেওয়াটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হয়েছে। আমি আশা করব, সরকার বাহাদুরের শীঘ্রই শুভবোধের উদয় হবে। আর বাংলাদেশ থেকে কাঠমান্ডুতে রেসকিউ টিম পাঠাবে।
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:১৯
সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: নেপালের ত্রাণকার্যে ভারত ইতোমধ্যেই সচেষ্ট হয়েছে। পাঠানো হয়েছে বিমান, ত্রাণ, সেনাকর্মী, চিকিৎসকদের বিরাট দল। ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল স্থাপণ করা হয়েছে। আপদকালীন বিশেষ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। তবে এ ধরণের বড় সড় বিপর্যয়ের মুখে যে কোন সাহায্যই অপ্রতুল এবং যত দ্রুত যত বেশি সাহায্য পাঠানো যাবে, ততই দুর্ঘটনাগ্রস্থদের সাহায্য হবে।
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩১
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: খুব সম্ভবত আগামীকাল পাঠানো হবে --- আপনার পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৬
একজন একা বলেছেন: বাংলাদেশ থেকে সরকারি উদ্যোগে নেপালে সাহায্য পাঠানো হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে সর্বশেষ খবর প্রকাশিত হয়েছে।