নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির মেমফিসে আতোতায়ী জেমস আর্ল রে-এর গুলিতে আফ্রিকান-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ মানবতাবাদী নেতা মার্টিন লুথার কিং মারা যান। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে আমেরিকায় নাগরিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অহিংস আন্দোলনের জন্য ১৯৬৪ সালে মার্টিন লুথার কিং নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। মার্টিন লুথার কিং-কে হত্যা করার পেছনে এফবিআই'র সরাসরি ইন্ধন ছিল। মার্টিন লুথার কিং-এর মৃত্যুর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ জাতিগত দাঙ্গা ছড়িয়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠী নানাভাবে শ্বেতাঙ্গদের কাছ থেকে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হচ্ছে। এমন কি মার্কিন পুলিশের হাতেই সেই নির্যাতন নিপিড়নের ঘটনা একুশ শতকে এসেও ভয়াবহ মাত্রা পেয়েছে।
১৯৬৮ থেকে ২০১৪ বা ২০১৫ কত বছর হে আমেরিকা? এই ৪৬ বা ৪৭ বছরেও কি যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি শ্বেতাঙ্গদের নির্যাতন নিপিড়নের কোনো পরিবর্তন হয়েছে? সামাজিক পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হলেও মার্কিন শ্বেতাঙ্গদের মন-মানসিকতায় এখনো কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বর্ণবাদী আচরণ বা বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির কোনোই পরিবর্তন হয়নি। যার সর্বশেষ প্রমাণ গত ১২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে বাল্টিমোরে মার্কিন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে এক সপ্তাহ কোমায় থেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১৯ এপ্রিল ২৫ বছর বয়সি কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ ফ্রেড্ডি গ্রে'র মৃত্যু। এর আগে গত বছর আগস্ট মাসে মিসৌরির ফার্গুসনের রাস্তায় মার্কিন শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে ১৯ বছর বয়সি মিখাইল ব্রাউন নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ বালক নিহত হয়।
মিখাইল ব্রাউনের পর বছর না ঘুরতেই এবার ফ্রেড্ডি গ্রে। যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের উপর এভাবে নির্যাতন নিপিড়ন কি চলতেই থাকবে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একজন আফ্রিকান-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ। শেষের দুইটি ঘটনাই ওবামার শাসনামলের। গত বছর আগস্ট মাসেও ব্রাউনের মৃত্যুর পর মিসৌরী, ফার্গুসন, নিউই্য়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্থানে দাঙ্গা ছড়িয়েছিল। সেই দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে মার্কিন পুলিশ কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি আরো বর্বর নির্যাতন নিপিড়ন চালিয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ শেষ না হতেই এবার মার্কন পুলিশের হেফাজতে ফ্রেড্ডি গ্রে মারা গেল।
১৯ এপ্রিল ফ্রেড্ডি গ্রে'র মৃত্যুর খবর বাল্টিমোরে ছড়িয়ে পড়লে আবার শহরে কৃষ্ণাঙ্গদের বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিকে মার্কিন পুলিশ নানাভাবে উচকানি দিলে এক সময় সেটি জ্বালাও পোড়াও ও সহিংসতায় রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মিডিয়ার ভাষ্যানুযায়ী সেটি তখন দাঙ্গায় রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভ মোকাবিলায় গত মঙ্গলবার বাল্টিমোরে জরুরি অবস্থা এবং এক সপ্তাহের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। মার্কিন পুলিশের এই পদক্ষেপ নেওয়ার পরও বাল্টিমোরে প্রায় প্রতিদিনই কৃষ্ণাঙ্গদের বিক্ষোভ হচ্ছে। সারা বিশ্বের সকল ধর্ম-বর্ণ-জাতি গোষ্ঠীর মানুষ এখন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে পুলিশ হেফাজতে ফ্রেড্ডি গ্রে'র মৃত্যুর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। কিন্তু তাতে কি যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি শ্বেতাঙ্গদের দৃষ্টিভঙ্গির আ আচরণের কোনো পরিবর্তন ঘটবে?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গোটা বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল ও গরীব দেশগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় সারা বছরই উচ্চবাচ্য করে থাকে। বাংলাদেশে যে কোনো ধরনের বিক্ষোভ বা সরকার বিরোধী কর্মসূচিতে পুলিশি অ্যাকশান বা হয়রানি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় উদ্বিগ্ন হয়। এমন কি মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে সবসময় সরকারের প্রতি নানা ধরনের উপদেশ নির্দেশ জারি থাকে। কখনো কখনো বাংলাদেশের প্রতি বিদ্যমান অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা কমিয়ে দেবার হুমকি থাকে। পরিস্থিতি উন্নতি না হলে মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হুমকি থাকে।
২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরের হেফাজতে ইসলামী'র সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় সেদিন যে সহিংসতা হয়েছে, সেই ঘটনায়ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হেফাজতের পক্ষে ওকালতি করতে একবিন্দু ভুল করেনি। বরং হেফাজতের সেদিনের গাছকাঁটা ও গোটা মতিঝিলকে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে এড়িয়ে সমাবেশ ভণ্ডুল করার পুলিশি অ্যাকশানে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে মার্কিনীদের রাতের ঘুম পর্যন্ত হারাম হয়ে গিয়েছিল।
অধিকার নামক এক পালিত সংগঠনকে দিয়ে তারা মিথ্যা মৃত্যুর পরিসংখ্যান প্রকাশ করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরো উসকে দেবার জন্য যানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেছে। অন্য দেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এমন কঠিন উদ্বিগ্ন হওয়া দেখে যে কারো মানে হতে পারে, আহা দেশটির ঘটে মানুষের জন্য দরদ আছে বটে! কিন্তু সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গরা বছরের পর বছর নির্যাতন নিপিড়নের শিকার হয়, তখন তোমার মানবাধিকার কোথায় অট্টহাসি করে হে যুক্তরাষ্ট্র?
মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পরম মিত্র ইসরাইলকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিগত একশো বছর ধরে কিসের মানবাতা দেখাচ্ছে? আফগানিস্তানে তোমরা কিসের মানবতা দেখাচ্ছো? ইরাকে তোমরা কিসের মানবতা দেখিয়েছ? লিবিয়ায় তোমরা কিসের মানবতা দেখিয়েছ? সিরিয়ায় তোমরা কিসের মানবতা দেখাচ্ছো? এমন কি পাকিস্তান থেকে আল কায়েদা সন্ত্রাসী নেতা ওসামা বিন লাদেনকে যে স্টাইলে তোমরা মিশন পরিচালনা করে হত্যা করেছ, সেখানে কিসের মানবতা ছিল?
সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র ছাড়া তো তোমার আর কোনো চরিত্র নাই যুক্তরাষ্ট্র। তোমার মুখে মানবাধিকারের কথা কিছুতেই শোভা পায় না যুক্তরাষ্ট্র। তুমি নিজের দেশের কৃষ্ণাঙ্গদের যে দৃষ্টিভঙ্গিতে শোষন কর, নির্যাতন নিপিড়ন কর, গুলি করে মারো, সেই তোমার মুখে কিছুতেই বিশ্ব মানবতার কথা শোভা পায় না। সারা বিশ্বে সন্ত্রাস দমনের নামে তোমার যে সাম্রাজ্যবাদী নির্যাতন নিপিড়ন হত্যার চরিত্র গোটা বিশ্বের মানুষ চেনে, তাকে তুমি কোন অযুহাতে আড়াল করতে পারো? আলকায়েদা- আইএসআইএস-তালেবান কারা সৃষ্টি করেছে হে যুক্তরাষ্ট্র?
এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলোতে যে ভাষায় বিদেশি মানুষদের উপর তল্লাসি চালানোর নামে তোমরা যে বর্বর আচরণ কর, সেখানে কোথায় তোমার মানবতা, সভ্যতা? ভেনিজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে তোমরা উলঙ্গ করে সার্চ করেছো? তখন কোথায় ছিল তোমার মানবতা? ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ের সঙ্গে তোমরা যে আচরণ করেছ, সেখানে কোথায় ছিল মানবতা, সভ্যতা, শিষ্টাচার, সৌজন্যতা? আন্তর্জাতিক রীতিনীতি নিয়মকানুনের তুমি কোন কোন শর্ত মানো হে যুক্তরাষ্ট্র?
মানবাধিকারের নামে, সন্ত্রাস দমনের নামে, সারা বিশ্বে তোমার সাম্যাজ্যবাদী দখল, হত্যা, খুন, নির্যাতন, নিপিড়নের ইতিহাস যে সাক্ষ্য দেয়, তা গোটা বিশ্বের কাছে এই প্রমাণ জাহির করে যে, বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই সবচেয়ে বড় অসভ্য, বর্বর, খুনি, দখলবাজ, মতলববাজ, সাম্রাজ্যবাদী এক অসুর, একুশ শতকের সবচেয়ে বড় মানুষখেকো ডাইনোসর। সারা বিশ্বের মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি তুমি, হে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তোমার ললাটে এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে, যা কখনো শুকানোর সময় পায় না। রক্তহরণই তোমার নেশা। তুমি এক রক্তপিপাসু ক্ষুধার্ত নরঘাতক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনো কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি যে ধরনের আচরণ বা দৃষ্টিভঙ্গি দেখানো হয়, তা বর্ণবাদী আচরণে সর্বোতভাবে দুষ্ট। জাতিগত সহিংসতা, ধর্মীয় সহিংসতা, বর্ণবাদী দাঙ্গাহাঙ্গামা ইত্যাদি সকল ধরনের অসভ্যতা বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা সম্প্রসারণেই বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে তাদের নানান কিসিমের নীতি ও কার্যকলাপ দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী আচরণকে কুক্ষিগত করেছে। আর সেটি তারা যে কোনো মূল্যে টিকিয়ে রেখে নিজেদের সাম্রাজ্যবাদ সম্প্রসারণে এককভাবে বলিয়ান থাকতে চায়।
গত ২৫ এপ্রিল নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত যেখানে প্রায় সাত হাজার মানুষ নিহত এবং পনেরো হাজার মানুষ আহত অবস্থায় দেশটি যখন চরম মানবিক বিপর্যয় অতিক্রম করছে, সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা তখন ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতার নামে হাজার হাজার কপি বাইবেল বিলি করছে। কি জঘন্য বর্বর অসভ্যতা তোমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে। কি জঘন্য তোমাদের মানবিকতা। কি নির্মম তোমাদের অসভ্যতা।
নেপাল বিশ্বের একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হলেও সেখানে বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। সেখানে খ্রিস্টান বা মুসলমান নেই। তোমাদের পথ অনুসরণ করে নাকি তোমাদের পরামর্শে পাকিস্তান সেখানে গরুর মাংসের মাশালা পাঠাল ত্রাণ হিসেবে? নেপালের মানুষ এই মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যেও পাকিস্তানের গরুর মাংসের মাশালা পাঠানোয় তারা আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করেছে। আর তোমাদের লাখ লাখ কপি বাইবেল পাঠানোর প্রসঙ্গটি কেবল বিশ্ববাসীর দৃষ্টিতে এনে দুর্বল রাষ্ট্র নেপাল তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে। এমন কি তোমাদের এই অসভ্যতার তারা প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি। যদি না এ কারণে আবার আন্তর্জাতিক ত্রাণ ও সাহায্য বন্ধ হয়ে যায়।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত নেপালে তোমরা কোন যুক্তিতে বাইবেল পাঠাও হে যুক্তরাষ্ট্র? নেপালের মত একটি হিন্দু রাষ্ট্রে কোন যুক্তিতে কার পরামর্শে পাকিস্তান গরুর মাংসের মাশালা পাঠায়? নাকি চীন ও ভারতকে মোকাবেলা করার জন্য পাকিস্তানের সহায়তায় তোমাদের শকুনি দৃষ্টি হিমালয় কন্যা নেপালের দিকে? গোটা হিমালয়ে যদি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সম্প্রসারণ করা যায়, সেটি নেপালের এই মানবিক বিপর্যয়কে সহায়তা করার নামে তোমাদের কোনো নতুন মিশন নয়তো, হে যুক্তরাষ্ট্র?
আমরা যতই এসব হাজার হাজার ঘটনার প্রতিবাদ করি না কেন, কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি তোমাদের আচরণের কোনো পরিবর্তন হবে না। বাল্টিমোরের প্রধান সরকারি আইন কর্মকর্তা মেরিলিন মসবি যতই বলুক ফ্রেড্ডি গ্রে হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে, আমরা তাতে মোটেও ভরসা পাই না। কারণ, তোমার বর্ণবাদী আচরণ, তোমার সাম্রাজ্যবাদী নীলনকশা, তোমার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, তোমার ইসলামিস্ট বানানোর মিশন, তোমার মধ্যপ্রাচ্য নীতি, তোমার ইসরাইলের প্রতি অন্ধ প্রীতি, সবকিছুই প্রমাণ করে, কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি তোমাদের বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণ বা দৃষ্টিভঙ্গির কোনো পরিবর্তন হবে না। বিশ্ব মানবতা নিয়ে তোমার আদৌ কোনো চিন্তাভাবনা নেই। সবই লোক দেখানো অশ্বডিম্ব।
তোমাদের আফ্রিকান-আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মুখে যতই বলুক কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি এই অন্যায় আচরণের বিচার করা হবে। তা যে কেবল লোক দেখানো, সেটি বোঝার জন্য গোটা বিশ্বের কারো বাল্টিমোর ঘটনার উপর গবেষণা করার দরকার পরে না। তোমরা এখনো বর্ণবাদকে পুঁজি কর, ধর্মকে পুঁজি কর, জাতিগত বৈষম্যকে পুঁজি কর, আর এসব করেই তোমরা সাম্রাজ্যবাদী সম্প্রসারণকে বিশ্বায়ন করতে চাও। এটাই তোমাদের আসল উদ্দেশ্য। ধিক্কার জানাই তোমাদের হে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কৃষ্ণাঙ্গ বালক মিখাইল ব্রাউনের আত্মা কিংম্বা ফ্রেড্ডি গ্রে'র আত্মা কিংম্বা মার্টিন লুথার কিং-এর আত্মাকেও তোমরা এক মুহূর্ত শান্তি দিতে চাও না। এটাই তোমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়। তাই ধিক্কারের সঙ্গে আমি আরেকবার উচ্চারণ করতে চাই, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস হোক, নিপাত যাক। এই শ্লোগানটি এখনো অপ্রিয় হবার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই, হে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
...................................
৩ মে ২০১৫
ঢাকা
২| ০৩ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০২
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: ঘটক সাব এতো চেতলেন ক্যান.......
এখোনো আম্রিকান এ্যাম্বাসীতে হিজরতের সুযোগ পেলে ৯৯.৯৯% লোকেই কিন্তু নিজেরে চরম সৌভাগ্যবান মনে করে.....
জয়বাবাজী বা হাসিনা যতোই চ্যাটাং চ্যাটাং করে......ক্ষমতা উল্টালে....তারাই কিন্তু আম্রিকার টিকেট আগে কাটতে ব্যাস্ত হয়ে যায়......
সৌদির পরেই আম্রিকা দিয়াই কিন্তু দেশে রেমিটেন্স বেশি ঢোকে......যে রেমিটেন্সের জোরেই হাসিনা-খালেদা অর্থনীতির বাহাদুরী করে।
আম্রিকা এদ্দিন যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছিলো.......সেটা কস্মিনকালেও দাদাবাবু কিংবা সৌদিদের কাছ থেকে আসবেনা......
তাই যে গরু দুধ দ্যায়, তার দুচারটে লাথি খাবেননা.......সেকি হয়.....
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬
মোহামমদ অাবুল বাশার বলেছেন: সৈয়দ আশরাফ দুই আনার মনএী বলার পর থেকে সোজা হয়ে গেছ