নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
বাংলাদেশ টেলিকমুনিকেশান রেগুলেটরি কমিশন বা বিটিআরসি আমাদের কি কি সেবা দেয়? আমাদের মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো চব্বিশ ঘণ্টা এসএমএস পাঠিয়ে, সরাসরি ফোন করে এই যে সারাদিন ১৬ কোটি মানুষকে সারাক্ষণ বিরক্ত করছে, এটা দেখার দায়িত্ব কার? আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, ওরা কি প্রধানমন্ত্রীর মোবাইলেও এটা করে? টেলি যোগাযোগ মন্ত্রীর ফোনেও এটা করে? প্রধানবিচারপতির মোবাইলেও এটা করে?
মোবাইল কোম্পানিগুলো যদি এটা শুধু আম-পাবলিকের জন্য করে থাকে, তাহলে বিটিআরসি'র কাছে আমার একখান কথা আছে। মোবাইল কোম্পানিগুলো এভাবে পাবলিককে সারাক্ষণ বিরক্ত করার লাইসেন্স বিটিআরসি কিভাবে দেয়? টাকার বিনিময়ে মোবাইল সেবা আমরা নেই। আমরা তো ফাও ফাও বিরক্ত নেবার জন্য মোবাইল ব্যবহার করি না রে ভাই।
মোবাইল কোম্পানিগুলো এই যে মানুষকে সারাক্ষণ বিরক্ত করছে, এটা দেখার দায়িত্ব বিটিআরসি এড়াতে পারে না। টাকা দিয়ে সেবার পরিবর্তে মোবাইল ফোনগুলো এক্সট্রা বিরক্ত ধরিয়ে দিচ্ছেরে ভাই। এই বিরক্ত আমি আর নিতে পারছি না।
একান্ত প্রয়োজন না পরলে আমি এই মোবাইল ব্যবহারই করতাম না। মোবাইল কোম্পানিগুলো সারাদিনে যেভাবে বিরক্ত করছে, এটা মানুষের স্বাভাবিক সহ্যসীমাকে বারবার লংঘন করার সামিল।
ফেসবুকে আমার বন্ধু তালিকায় কি কোনো আইনজীবী আছেন? আমি মোবাইল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে এই পাবলিককে বিরক্ত করার জন্য আইনগত ভাবেই নোটিশ করতে চাই।
এসএমএস-এর বিরক্ত তো আছেই। তার উপর এখন সরাসরি ফোন করে। এটা কোন উৎপাত? আমি তো টাকা দিয়ে উৎপাত কিনি নাই রে ভাই।
বিটিআরসি মোবাইল কোম্পানিগুলোর এই বিরক্তিকর ব্যাপারটিকে এড়িয়ে যেতে পারে না। মোবাইল কোম্পানিগুলো তাদের নিজস্ব ওফারগুলো নানান মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ভোক্তাদের জানাতে পারে। অন্তত মাসে একবার গ্রাহককে যদি এসএমএস করে তাদের সেবার কোনো আপডেট জানায়, সেটাও অনেকটা সহ্যের মধ্যে পরে।
কিন্তু রোজ একই বিষয়, ঘণ্টায় ঘণ্টায় একই বিষয়ে এসএমএস পাঠিয়ে মোবাইল কোম্পানিগুলো মানুষকে আসলে কি বুঝাতে চায়? অবস্থা দেখে মনে হয়, আমাদের মোবাইল কোম্পানিগুলোতেই পৃথিবীর সবচেয়ে চালাক-চতুর মানুষ নামের বিরক্তিকর প্রাণীগুলো বসে আছে। এরা মানুষকে আর কত ভাবে বিরক্ত করা যায়, তাই সারাক্ষণ গবেষণা করে বের করে।
সত্যি সত্যি আমি মোবাইল কোম্পানিগুলোর সারাদিনের এই বিরক্তিকর জ্বালায় অতিষ্ট। আর বিটিআরসি নিশ্চয়ই সবাইকে বিরক্ত করার লাইসেন্স মোবাইল কোম্পানিগুলোকে দেয় নাই।
মোবাইল ফোনের এই বিরক্ত কেন আমাকে বিনা পয়সায় সারাদিন হজম করতে হবে? মানুষকে বিরক্ত করার এই স্পর্ধা এরা কোথায় পেল? কাদের স্বার্থে পেল? কারা এদের সেই বিরক্ত করার লাইসেন্স দিয়েছে? বিটিআরসি কে অনুরোধ করব, দয়া করে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে এসব বিরক্তিকর বিষয়গুলোকে বন্ধ করার নির্দেশ দিন।
.....................................
১৯ মে ২০১৫
ঢাকা
২| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০০
েরজাউল বারী বলেছেন: কুইনাইন (বিটিআরসি) জ্বর সারায় বটে কিন্তু কুইনাইন সারায় কে?- সৈয়দ মুজতবা আলী
৩| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০২
নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: এসএমএস-এর বিরক্ত তো আছেই। তার উপর এখন সরাসরি ফোন করে। এটা কোন উৎপাত? আমি তো টাকা দিয়ে উৎপাত কিনি নাই রে ভাই।
এসএমএস এর জ্বালায় মাঝে মাঝে মেজাজটা খিঁচ হয়ে যায়।
৪| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪
জুন বলেছেন: Tikh
+
৫| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মোবাইল কোম্পানী তাদের সবুজ সংকেত পেয়েই এমন করছে বলে আমার বিশ্বাস
লাভের কাছে কাঠের পুতুল ও হা করে, বিটিআর.......ছিঃ তো কোন ছার.........পোকা নয় কিন্তু!!
৬| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
রেজা ঘটক বলেছেন: ভাই, আপনারা সবাই নিশ্চয়ই আমার মত ভুক্তভোগী। সবাই আওয়াজ দেন। বিটিআরসি মোবাইল কোম্পানিগুলোকে যাতে এই বিরক্তিকর কাজ বন্ধ করাতে বাধ্য করে। সবাইকে ধন্যবাদ।
৭| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩
এভারগ্রীণ আনোয়ার বলেছেন: সত্যি খুব বিরক্তিকর
৮| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯
ইমরান আশফাক বলেছেন: অপ্রয়োজনীয় মেসেজগুলোর ঠেলায় প্রয়োজনীয়গুলোই আর খুজে পাই না সময়মত।
৯| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮
মঙ্গলগ্রহের মুক্তিযোদ্ধা বলেছেন: মহা বিরক্ত ....
১০| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪
টেকনিসিয়ান বলেছেন: আমার জিপি ও বাংলা লিংক থেকে উল্লিখত নম্বর গুলৈা থেকে কল আসতো (২৫৮০, ৭৮৬ ২০০৮ ২০০১ ৪৬৪৬ ৫৮৫৮ ২৮২৮ ৪৮৪৮ ২২২২ ২০০২) বিরুক্ত হয়ে ফায়ার ওয়াল নামক সফটো্ওয়ার দ্বারা বন্ধ করেছি। অনেক দিন পর দেখি আবারো ৪৬৪৬৫ এবং ৪০০০ নম্বর থেেক কল আসতেছে এ নম্বরগুলো ফায়ার ওয়াল করে দিয়েছি আজ।
১১| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫
আহসানের ব্লগ বলেছেন:
১২| ১৯ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: টেকনিশিয়ান ভাই দারুন কাজ করেছেন ফায়া ওয়াল করে,
কিন্তু আমরাতো টেকনিশিয়ান নই, আমাদের কি হবে?
১৩| ১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: এই বিরক্তিকর বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন যাবত অস্থির হয়ে আছি... কাকে কী বলবো!
তবে আমজনতাকে সরব হতে হবে।
লেখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১৪| ১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৮
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: দরকারি এসএমএস গুলো ওদের জ্বালাতে হাড়িয়ে ফেলি।
১৫| ১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
সুমন কর বলেছেন: সবচেয়ে রাগ ওঠে, দুপুরে একটু বিশ্রাম করবো। কিন্তু ওদের এসএমএস-এর জ্বালায় পারা যায় না। একই এসএমএস ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাংলালিংক পাঠায়। এয়ারটেলের টা বন্ধ করা যায়। কিন্তু বাকিদের জ্বালায় অস্থির।
চমৎকার লিখেছেন। পূর্ণ সহমত।
ভালো লাগা রইলো।
১৬| ২০ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:০৫
সৌরজগৎ ও গ্যালাক্সি মন্ডলি বলেছেন: ধোর্য বা সোর্য হারিয়ে ফেলেছি এসএমএস এর জালায়।
১৭| ২০ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:১৭
টি এম মাজাহর বলেছেন: মোবাইল কোম্পানীগুলো ডিজিটাল মানুষ ঠকানোর কারিগর। একে তো সারাদিন এসএমএস( এতো বিরক্তিকর এসএমএসএর ভিড়ে প্রয়োজনীয় এসএমএস ও ডিলিট করা হয়/ পড়া হয় না) তার ওপর সিস্টেম কল, মোবাইল কোম্পানীর কল। ক্লাস , অফিসের মিটিং কোন কিছুই মানে না এরা। কলগুলো বুঝে কেটে দিলে কল করতেই থাকে, করতেই থাকে। দুদিন পর দেখবেন এই বিরক্তি নিয়েই আবার ব্যাবসা ফেদে ফেলবে ওরা। মাঝখানে কিছুদিন কিছু লোক মেয়েদের মোবাইল নম্বর জোগাড় করে চব্বিশ ঘন্টা কল করে অনেকের জীবনই অতিষ্ট করে ফেলছিলো। মোবাইল কোম্পানীগুলোকে যখন এইসব নাম্বার বন্ধ করবার রিকোয়েস্ট গেলো, ওরা এটা নিয়েও নতুন ব্যবসা ফেদে ফেলে, সেটা হলো কল ব্লক ব্যবসা। অর্থাৎ অন্যের অপরাধের জন্য আপনাকেই গাটের পয়সা খরচ করে বাচবার চেষ্টা করতে হবে।!!
১৮| ২০ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: এই বিরক্তিকর বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন যাবত অস্থির হয়ে আছি... কাকে কী বলবো!
তবে আমজনতাকেই সরব হতে হবে।
বাংলালিংকরে একবার আচ্ছামতো বাংলা ওয়াশের পর এখন আর কল করেনা! বাকি গুলো মেজাজ খিচরে দেয়! অফিসে কাজ করছি! রিং- খেতে বসছি- রিং ওফফফ.......................
আদালতে রিট পিটিশন করা উচিত। আর ইদানিং আরেকটা বিষয় খেয়াল করলাম- কিচু মানুষ সেবা পায় বলেই আসে- অনেকেরই একটা াভিযোগ ভাই টাকা ভরছি টাকা নাই!
চেক করে দেখি ওয়েলকাম টিউন একটিভ! জানতে চাইলে ভলরো না! আমি করি নাই!
মেসেজ! অফারের এমন ফাক রেখে করে- না বোঝা মানুষ গুলো ওকে টিপ দিয়েই ফেসে যায়!
এরকম ১ লাখ গ্রাহককে ঠকালে মিনিমাম ৩০ লাখ মাসে! স্বেরচ্ছাচারিতা সীমাহীন হয়ে উঠেছে!
১৯| ২০ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:২৭
সুয়াইব আকতার বলেছেন: বিটিআরসির কথা বলে কি লাভ ? আসলে আমাদের দেশের সব কিছুতেই আছে ফাইলের নিচের ব্যবসা, যে যার স্বার্থ রক্ষা না করে দেশ মাতার সেবায় নিয়জিত হবে এমন মানুষ স্বপ্নেও দেখা মেলা ভার !
যে কোম্পানী আঠারোটাকা পঞ্চায় পয়সায় ব্যান্ডুইথ বিক্রি করে মোবাইল অপারেটরদের কাছে সেই একি কোম্পানীই কিন্তু জিপি থেকে শুরু করে সব অপারেটর কে আবার লাইসেন্স দিচ্ছে সে ব্যান্ডুইথ দু"শ পচাত্তর থেকে শুরু করে তিনশত পয়তাল্লিশটাকায় প্যাক বিক্রির, আমরাও কিনেই যাচ্ছি একি নিয়মে, আর সরকারের এসব মদতপুষ্ট কোম্পানী উলটো সরকারকেই হুমকীদেয় আদালতে রীট করে বিপুল অংকের ট্যাক্স ফাকি দিয়ার প্রচেষ্টা চালায়, সত্যি বিচিত্র দেশ, অসম্ভবের অষ্টম আশ্চর্য সত্য করার দেশ
২০| ২১ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:
২১| ২২ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮
লিখেছেন বলেছেন:
সত্যি সত্যি আমি মোবাইল কোম্পানিগুলোর সারাদিনের এই বিরক্তিকর জ্বালায় অতিষ্ট। আর বিটিআরসি নিশ্চয়ই সবাইকে বিরক্ত করার লাইসেন্স মোবাইল কোম্পানিগুলোকে দেয় নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: সত্যি খুব বিরক্তিকর ।