নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরীক্ষার হল: সেকাল একাল!!!

০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ২:২৩

এক. পরীক্ষার হল: সেকাল !!!
আমি তখন খুব ছোট। কিন্তু এখনো সেই কান্নার দৃশ্য আমার স্পষ্ট মনে আছে। বিকালবেলায় আমাদের উঠানে বাতাবিলেবু দিয়ে বল বানিয়ে আমরা পিচ্চিরা খেলছিলাম। সেই খেলার মাঝখানেই হঠাৎ কে যেনো উঠানে একটা চেয়ার রাখলো। কয়েকজন হাতেহাতে ধরাধরি করে আমার বড় ভাইকে সেই চেয়ারে বসিয়ে দিলেন। কেউ তার মাথায় জল ঢালছে। কেউ তালপাতার পাখায় বাতাস করছে। কেউ পিঠে হাত বুলিয়ে নানান কিসিমের শান্তনা দিচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই দাদার উচ্চস্বরের সেই কান্না থামছে না। আমরা খেলা বাদ দিয়ে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে চারপাশে গোল হয়ে খাঁড়িয়ে সেই উথালিপাথালি কান্না দেখতে লাগলাম। ঘটনা কিচ্ছু ঠাওর করতে পারলাম না। এভাবে প্রায় এক-দেড়ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন কান্নার ফলে দাদার কণ্ঠও তখন কিছুটা ভেঙ্গে গেছে। তবুও ফুঁফিয়ে ফুফিয়ে দাদার সেই কান্না চলছে। আর মাঝে মাঝে দুই হাত দিয়ে মাথা চাপড়াচ্ছেন।
সূর্য তখন পাটে বসেছে। এই সময় বাবা বাজার থেকে ফিরলেন। দাদার কি হয়েছে জানতে চেয়ে সেদিকে পাত্তা না দিয়ে বাবা চুলার পাশে যেখানে মা রান্না করছিল, সেখানে গিয়ে বাজারসদাই রাখলেন। বাবার সঙ্গে বাজারের ধামা মাথায় পেছন পেছন জামির মামা। জামির মামার ধামার মধ্যে নিশ্চয়ই মিঠাই আছে। সেই লোভে দাদার সামনে থেকে আমরা ছোটদের কেউ কেউ তখন কান্না দেখার রণে ভঙ্গ দিয়ে চুলার পাশে ভিড় কড়লাম। মাকে বাবা জিজ্ঞেস করলেন, ও কান্দে ক্যা? কি হইছে? জবাবে মা ছোট্ট করে কী যেনো বললেন। আমরা কিছু বুঝতে পারলাম না।
বাবা পাঞ্জাবি খুলে বড়বুজির হাতে দিতে দিতে বললেন, আমার বেতের লাঠি-হান কোই? বলেই ঘরে ঢুকলেন লাঠি খুঁজতে। বাবার লাঠি খুঁজতে যাবার ভঙ্গি দেখেই আমরা মিঠাই খাওয়ার লোভ ত্যাগ করে নিরাপদ দূরত্বে কেটে পরলাম। ইতোমধ্যে জামির মামা ধামা রেখে দাদার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে আন্দাজ করে আমরা পালানোর পথ ক্লিয়ার রেখে, লুকিয়ে লুকিয়ে দূর থেকে ঘটনা দেখার চেষ্টা করছি। বাবা লাঠি হাতে পেয়েই ঘর থেকে হাঁক ছাড়লেন, পরীক্ষায় ফেল মাইরা আবার কান্দোন! হারামজাদা গোলাম, দাঁড়া তোর কান্দোন দেখাচ্ছি।
ততোক্ষণে জামির মামা দাদাকে উঠানে থেকে ধরে ছোটকাকাদের ঘরের দিকে দ্রুতপদে ছুটলেন। বাবার হাতের বেতের লাঠির নগদ নারায়ন থেকে যদিও সে যাত্রায় জামির মামার কল্যানে দাদা রক্ষা পেলেন। কিন্তু ঘটনার আগাগোড়া আমরা কিছু বুঝতে পারলাম না। পরবর্তী তিনচার দিনে আমরা বুঝে গেছি, দাদা ইন্টার পরীক্ষায় ডাব্বা খাইছে। পরের বছর প্রায় একই নাটকের আবারো পুনরাবৃত্তি। আবারো দাদার উথালি পাথালি কান্না। আবারো বাবার হুংকার। সে যাত্রায় আর লাঠি খুঁজতে সময় নষ্ট করেননি বাবা। হাত দিয়েই ধুপধাপ কিছু উত্তম মাধ্যম দিলেন। কি আশ্চার্য! চড় থাপ্পর খেয়ে দাদার কান্না মুহূর্তে হাওয়া। পিঠ বাঁচাতে কান্নাকান্ত তখন উদ্ভ্রান্তের মত রাস্তার দিকে উর্ধ্বশ্বাসে দৌঁড়ালেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এটা ১৯৭৩-৭৪ সালের ঘটনা। এর প্রায় ত্রিশ বত্রিশ বছর পরের ঘটনা। পরীক্ষা নিয়ে গল্পে গল্পে দাদা মুখ ফসকে সেদিনের সেই ঘটনার অন্তরালের কাহিনী বলে ফেললেন। দাদা পড়তো বাগেরহাট প্রফুল্লচন্দ্র সরকারি কলেজে। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন দাদা। দাদার ক্লাসমেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু'র ছোট ভাই শেখ নাসের সাহেবের ছেলে শেখ হেলাল। আমাদের ছোটবেলায় দাদার সঙ্গে হেলাল ভাই মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। তো গল্পের আসল কাহিনী জানার জন্য আমি দাদাকে প্রশ্ন করলাম, আসল কাহিনী কি, কও?
জবাবে দাদা বললেন, পিসি কলেজের যে রুমে আমাদের ইন্টার পরীক্ষার সিট পড়েছিল, সেই রুমের আমাদের সবারই স্টার নম্বর পাবার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা স্টার না পেয়ে একযোগে সবাই ফেল করেছিলাম।
- কেন? তোমরা ফেল করলা?
- আমাদের এক টিচার বোর্ডে রিপোর্ট করেছিলেন।
- কেন রিপোর্ট করলেন? তোমরা কি বই দেখে পরীক্ষার খাতায় লিখছিলা?
- না, আমরা কেউ বই দেখে লিখিনি।
- তাহলে ওই স্যার এটা কেন করলেন?
- আমরা স্যারদের হলে আটকে রেখে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। যেদিন যে পরীক্ষা সেদিন সেই স্যারকে আমরা হলে আটকাতাম।
- তারপর?
- আমরা যারা সায়েন্সের স্টুডেন্ট সবার পরীক্ষা এভাবে খুব ভালো হয়েছিল। কিন্তু ঝামেলা বাধালেন ম্যাথেমেটিক্স স্যার।
- কেন? উনি কি করলেন?
- সেদিন ছিল ম্যাথেমেটিক্স পরীক্ষা। যথারীতি ম্যাথেমেটিক্স স্যারকে আমরা হলে আটক করেছিলাম। স্যার ব্ল্যাকবোর্ডে অংক করলেন। আর আমরা তা খাতায় লিখলাম। সবার লেখা শেষ হলে স্যার আবার পরের অংকটি ব্ল্যাকবোর্ডে করেন। আমরা তাই দেখে সেই অংক খাতায় লিখি। এভাবে পরীক্ষা শেষ হয়েছিল।
- তো, তোমরা ফেল করলা কিভাবে?
- পরের দিন ম্যাথেমেটিক্স সেকেন্ড পেপারের পরীক্ষার দিন ম্যাথেমেটিক্স স্যার আর হলে আসলেন না। আমরা সায়েন্সের অন্য স্যারদের আটকে রেখে সেদিনের পরীক্ষা শেষ করেছিলাম।
- তো ফেলের সাথে এর কি সম্পর্ক?
- পরীক্ষা শেষে ছেলেরা ম্যাথেমেটিক্স স্যারকে শাসিয়েছিল। তাই স্যার পুরো পরীক্ষার ঘটনা বোর্ডে লিখিতভাবে রিপোর্ট করেছিলেন। যে কারণে ওই হলে আমরা যারাই ছিলাম, ফেল করেছিলাম।
- ও গণফেল?
দাদা আমার শেষ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বাটালি হাসি দিলেন। যা দেখে আমার তখন আবারো দাদার সেই ত্রিশ বত্রিশ বছরের উথালি পাথালি কান্নার দৃশ্য মনে পড়ে গেল।

দুই. পরীক্ষার হল: একাল !!!
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। পরীক্ষায় জিপিএ পাবার এখন হিরিক চলছে। শুধু কি জিপিএ, গোল্ডেন জিপিএ!!! সকল পরীক্ষায় যদি কোনো ছাত্র আশি নম্বরের উপরে পায়, তাহলে তাকে নাকি ধরা হয় গোল্ডেন জিপিএ। কেউ কেউ বলেন গোল্ডেন ফাইভ। এখন আর স্টার নম্বর বা স্ট্যান্ড করার চল নেই। এখন জিপিএ যুগ, গোল্ডেন জিপিএ জামানা।
রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি) গত ২৮ মে থেকে ডিপ্লোমা ইন ফার্মাসি বিভাগের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার পরীক্ষার জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ ফার্মাসি কাউন্সিল থেকে তাঁকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়। পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীরা নকল করলে তিনি খাতা ধরে রেখে দেন এবং নকল করে যে উত্তর লেখা হচ্ছিল তা কেটে দেন।
এই খবর ছাত্রলীগের আইএইচটি শাখার নেতাদের কাছে চলে যায়। পরীক্ষার মাঝামাঝি সময়েই একবার পর্যবেক্ষককে বাইরে পেয়ে ছাত্রলীগের নেতারা কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি দ্রুত দোতলায় উঠে যান। তখন তারা জসীম উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পায়নি।
পরীক্ষা শেষে কক্ষের বাইরে আসলে সঙ্গে সঙ্গে করিডোরেই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন তুহিনের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতা-কর্মী অধ্যাপক জসীম উদ্দিনকে ঘিরে ধরেন। ছাত্রলীগ নেতারা জানতে চান কেন খাতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, কেন প্রশ্নের উত্তর কেটে দেওয়া হচ্ছে? এ সময় জসীম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল তাঁকে নিয়োগ দিয়েছে। তিনি এর বাইরে কারও কাছে জবাবদিহি করবেন না। ছাত্রলীগের নেতারা তখন তাঁকে ঘেরাও করে রেখে নকলের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। পর্যবেক্ষককে ঘেরাও করার খবরে অধ্যক্ষ ঘটনাস্থলে আসেন। অধ্যক্ষ এসে ছাত্রলীগ নেতাদের ঘেরাও থেকে অধ্যাপক জসীম উদ্দিনকে রক্ষা করে নিরাপদে প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
(সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো ১ জুন ২০১৫, অনলাইন আপডেট: ২৩:১৫)।

এবার আমার ছোট্ট একটা প্রশ্ন। স্বাধীনতার পর পেরিয়ে গেছে ৪৪ টি বছর। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এই ৪৪ বছরে কতদূর অগ্রসর হয়েছে? আমাদের শাসকবর্গ কি আদৌ মনেপ্রাণে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সত্যিকারের অগ্রগতি চান? যদি সত্যি সত্যিই চাইতেন, তাহলে চল্লিশ বছর আগের পিসি কলেজের সেই দৃশ্যের আবার কেন এভাবে পুনরাবৃত্তি?
চল্লিশ বছর আগের পিসি কলেজের ম্যাথেমেটিক্স স্যারের জায়গায় রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে আজকের পরীক্ষার হলে যেনো জসীম উদ্দিন স্যারের উপস্থিতিই চোখে পড়ল। মাঝখানে বাংলাদেশের চল্লিশ বছর নাই। বাংলাদেশের এই চিত্র থেকে কি পরীক্ষা পদ্ধতি বা শিক্ষা ব্যবস্থার আসল দশা আমরা অনুমান করতে পারি?? যে ছাত্র কিনা ছাত্রলীগ বা ছাত্র দল করে, তার দল যখন ক্ষমতায় থাকে, তার কি আর তখন পরীক্ষার হলে শান্তশিষ্ট থাকার কথা?? কেন যে জসীম উদ্দিন স্যারদের মত দু'একজন এসব বুঝতে চান না। জসীম উদ্দিন স্যারকে আমার অন্তরের লাল সালাম। হ্যাটস অফ স্যার। কিন্তু স্যার, এখন একটা নতুন টেনশন শুরু হল, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল কি এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত আপনার পাশে থাকবে? অধ্যক্ষ স্যার না হয় আজ আপনাকে নিরাপদে বের হয়ে যাবার সুযোগ করে দিলেন। কিন্তু স্যার, আপনি কি সত্যি সত্যিই এখন নিরাপদ? সকল দিক দিয়ে কি আদৌ নিরাপদ আছেন?

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে সরকার বাহাদুর আসলে কি করতে চায়? খোলাখুলি বলে দিক। একটি রাষ্ট্রে শিক্ষা কাঠামো কিছুতেই এভাবে চলতে পারে না। সত্যি সত্যিই পারে না। এমন শিক্ষা নিয়ে আমরা কী করব? এমন গোল্ডেন জিপিএ পেয়ে আমরা কী করব? এভাবে পরীক্ষা দিয়া আমরা কোন গৌরবের প্রতিনিধিত্ব করব? 'শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড' এই বাক্যের ভাবসম্প্রসারণ আমরা এখন কেমন করে করব? হায় ঈশ্বর! আমাদের সুমতি দাও, সুমতি দাও, সুমতি দাও নতুবা কপালে অশিক্ষার অন্ধকারের রাজটিকা পড়িয়ে দাও। আমরা কেবল গণ্ডমুর্খ্য থাকতেই ভালোবাসি। শিক্ষার আলোর আমাদের কোনো প্রয়োজন নাই।

.............................
১ জুন ২০১৫
ঢাকা

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫

বিপরীত বাক বলেছেন: ঠিকই আছে।। দেশ টা তো বাংলা।।।

আমার সাথের নকল করা রা আজ সবাই ভাল ভাল সরকারি চাকরি তে আছে।।। কারণ তাদের তদবির সুপারিশ আছে।।।

শুধু দরকার সার্টিফিকেট টা।।।

পড়ালেখা না করে যে সময় পেয়েছে,, সেটা চ্যানেল তৈরিতে,, বড়লোকের মেয়ে পটাতে কাজে লাগিয়েছে।।
ফলাফল= তারা ( যারা নকল করে পাশ করত) আজ সবাই শুধু বিত্ত-বৈভবের মালিকই নয়,, বরং উচ্চ ক্ষমতার অধিকারী এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বটে।।।

এদেশে জন্মের পর থেকেই ছেলেমেয়েদের টাউটামি-বাটপারি-জবরদখল-চুরি-জালিয়াতি শিক্ষাদান করা ফরজ কাজ।

নইলে যারা এগুলো পারবে না তারা ধ্বংস হয়ে যাবে।।।।

এরশাদ-খালেদা-শেখ হাসিনা-আওয়ামী লীগ- বিএনপি- জে,পি

কেউ য়ের কোন সমস্যা নাই।।। সব সমস্যা দূষিত বাঙালা জাতির জাত-রক্তে।।।।।

২| ০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

জায়েদ হোসাইন লাকী বলেছেন: ছোট বেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন?!! রেজা ভাই ।

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ঘুনে ধরা সমাজ তবুও টিকে আছে............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.