নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
বাংলাদেশ ভারত একমাত্র টেস্টের প্রথম দিনে শেখর ধাওয়ানের বৃষ্টি ঝঞ্ঝার মধ্যেও ঝড়ো দেড়শো রান ও মুরালি বিজয়ের ৮৯ রানে অপরাজিত ইনিংস মিলিয়ে ভারতের সংগ্রহ ছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৩৯ রান। দ্বিতীয় দিন পুরোটাই ছিল বৃষ্টির দখলে। আজ খেলার তৃতীয় দিনে মুরালি বিজয়ের দেড়শো আর রাহানের অর্ধশতক মিলিয়ে বৃষ্টির ফাঁকে ভারত রান তুলেছে আরো ২২৩। কিন্তু বাংলাদেশের বোলাররা আজ আর উইকেট শূন্য ছিল না। শাকিব ঝুলিতে পুড়েছে ৪ উইকেট। জুবায়ের বিরাট কোহলি'র উইকেট সহ নিয়েছে দুই উইকেট। ভারতের প্রথম সারির ছয় ব্যাটসম্যান আউট। ক্রিজে অপরাজিত আছেন হরভজন ৭ ও অশ্বিন ২ রানে। তিন দিনে মোট ১০৩.৩ ওভার খেলার সুযোগ হয়েছে। বাকি সময়টা বৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে। তাহলে ম্যাচের ভাগ্য কি এখন নিশ্চিত ড্র'র দিকে গড়াচ্ছে নাকি এখনো এই ম্যাচে প্রাণ আছে? যদি প্রাণ থাকে তাহলে কার দিকে সেই পাল্লা ভারী?
আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী দুইদিনেও বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা আছে। তৃতীয় দিন শেষে উইকেটের এখন যে কন্ডিশন, তাতে পিস অনেকটা এখন বোলারদের দখলে। ব্যাটসম্যানদের জন্য ওই পিসে এখন কিছু নাই। তাহলে আগামীকাল সকালে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি কি করবেন? একটা কঠিন ঝুঁকি নিবেন? ম্যাচ জেতার জন্য বোলারদের উপর সে পরিমাণ আস্থা কি এখন রাখা যায়? আজ শাকিব ও জুবায়ের পিস থেকে যে সুবিধা নিয়েছে, কাল কী তা পরীক্ষা করে দেখবে কোহলি? দীর্ঘদিন পরে টেস্ট দলে জায়গা পাওয়া তুখর ফর্মে থাকা হরভজন সিং বা রবিচন্দন অশ্বিনকে নিয়ে কোহলি কি সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে? নাকি কোহলি কোনো রিক্স না নিয়ে ভারতের যাতে দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট করা না লাগে, সেই পথে হাঁটবেন? সকালে হরভজন আর অশ্বিন কি টি-টুয়েনটি স্টাইলে ৫/৭ ওভার ঝড়ো ব্যাটিং করবে বা নাকি লাঞ্চ পর্যন্ত ভারত ব্যাট করে ডিকলার করার চিন্তা করবে? নাকি সকালের প্রথম স্পেলে শাকিব-জুবায়েরা মিলে ভারতের বাকি ৪ উইকেট দ্রুত তুলে নিয়ে তামিম-ইমরুলদের ব্যাট করতে পাঠাবে?
যদি সকালে বৃষ্টি না হয়, তাহলে সমীকরণ কিছুটা ভারতের অনুকূলে। কিভাবে সেই ব্যাখ্যায় আসছি এবার। শাকিবদের মত হরভজনরা যদি বাংলাদেশ শিবিরে একটা ধ্বস নামাতে পারে, তাহলে বেশ ভালো রান হাতে রেখেই খেলায় লিড নিতে পারবে ভারত। সেক্ষেত্রে ঝুকিটা হল, তামিম-মোমিনুল-মুশফিকদের অলআউট করতে হবে। আর যদি তামিম-ইমরুলরা অনায়াসে ক্রিজে টিকে যায়, তাহলে কালকের ম্যাচ শেষে পঞ্চম দিন কেবল আনুষ্ঠানিক ড্র করার জন্য দুই দলকেই মাঠে নামতে হবে। অথবা বৃষ্ট এসে তাদের গ্যালারিতে বসে টাস খেলার সুযোগ দিয়েও কাজটি করে দিতে পারে।
মোটকথা, বাংলাদেশ ভারত একমাত্র টেস্টে এখন পর্যন্ত লিডিং স্কোর বৃষ্টির দখলে। তিন দিনের ৯০ গুন তিন সমান ২৭০ ওভারের মধ্যে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা খেলার সুযোগ পেয়েছে মাত্র ১০৩.৩ ওভার। বাকি ১৬৬.৩ ওভার একা বৃষ্টি ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়েছে। কিছু ব্যক্তিগত পারফর্মমেন্সও আছে। ভারতের দুই ওপেনার শেখর ধাওয়ান ও মুরালি বিজয় দুইজনেই সেঞ্চুরি করেছেন। এছাড়া রাহানে ২ রানের কারণে সেঞ্চুরি বঞ্চিত। আগের দিনের ১৫০ রানে অপরাজিত ব্যাটসম্যান ধাওয়ান আরো ২৩ রান যোগ করে ফিরেছেন সাকিবের এক দুর্দান্ত বলে। তার আগে মুরালি বিজয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বিপক্ষে রেকর্ড ২৮৩ রানের জুটি গড়েছেন। তবে তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি সাকিব আর জুবায়েরের বোলিং। সাকিব ছুঁয়েছেন ঘরের মাঠে ১০০ উইকেট প্রাপ্তির মাইলফলক। জুবায়েরের কৃতিত্বও কম নয়। পেয়েছেন বিরাট কোহলির মূল্যবান উইকেটটি। দ্রুত ফিরিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহাকেও। তবে বেশ ব্যয়বহুলই ছিলেন লেগ স্পিনার জুবায়ের।
কিন্তু প্রশ্ন হল ভারত কি শ্রীলংকা ট্যুর এবং ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে খেলার আগে, তাদের সেরা পাঁচ টেস্ট ব্যাটসম্যান চিন্থিত করতে পেরেছে?
দুই টেস্ট খেলা নবাগত ওপেনার লোকেশ রাহুলের ইনজুরির কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেখর ধাওয়ানকে দলে নেওয়া হল। ইনজুরিতে পড়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেডেন টেস্ট সেঞ্চুরি করেছে রাহুল। অপর ওপেনার মুরালি বিজয় হল বিশ্বের সপ্তম ব্যাটসম্যান, যিনি এ বছর টেস্টে এক হাজারের বেশি রান করেছেন। বিরাট কোহলি এ বছর এখন পর্যন্ত করেছেন ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৪০ রান। ওদিকে চেতেশ্বর পুজারার জায়গায় তিন নাম্বারে জায়গা করে নিয়েছেন রোহিত শর্মা। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে রোহিত প্রথম ইনিংসে ৬ রান করে শাকিবের কাছে বোল্ড হন। তাহলে কি শ্রীলংকা ট্যুরে আবার পুজারা তিন নাম্বারে ফিরছে? আবার পাঁচ নাম্বারে ব্যাট করা অজিংকা রাহানে মাত্র ২ রানের কারণে শকিবের কাছে বোল্ড হয়ে সেঞ্চুরি বঞ্চিত। তাহলে ভারতের শ্রীলংকা ট্যুরে বা ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ধাওয়ান, রাহুল, বিজয়, রোহিত, পূজারা, কোহলি, রাহানের মধ্যে কোন পাঁচজন ভারতীয় ব্যাটসম্যান একাদশে থাকবে?
ভারত কিভাবে সেরা ব্যাটসম্যান বাছাই করে তা হয়তো সময় বলে দেবে। কিন্তু বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যে একমাত্র টেস্টের অবশিষ্ট দুই দিনে ফতুল্লায় কি ঘটতে যাচ্ছে? বৃষ্টি বাকি দুইদিনেও একক রাজত্ব করবে? নাকি কোহলি'র সামনে ম্যাচ জেতার যে জটিল সমীকরণ এখনো উঁকি দিচ্ছে, সেদিকেই এগোবে ভারত। ভারতের এই ম্যাচ নিয়ে স্ট্র্যাটেজি যাই হোক না কেন, টেস্ট প্লেয়িং দলগুলোতে এই মুহূর্তে তিন নাম্বারে থাকা ভারতীয় শিবিরে এখন ভর করছে অন্য আতংক। ২২ ম্যাচে ৯৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ভারত এখন আছে তিনে। ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ আছে নয় নাম্বারে।
যদি ভারত এই টেস্ট জিতে যায়, ভারতের রেটিং পয়েন্ট হবে ১০০। তাতে তারা তিনেই থাকবে। হারলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট কমবে না, থাকবে ৩৯-ই। আর জিম্বাবুয়ের পয়েন্ট মাত্র ৫ হওয়ায় বাংলাদেশের নয় নাম্বারের সিরিয়ালেও কোনো বদল হচ্ছে না। কিন্তু ম্যাচ যদি ড্র হয়, তাহলে ভারতের ক্ষতি হবে। দুই রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে তারা নেমে যাবে চারে। ভারতের সঙ্গে ৯৯ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে চারে অবস্থান করছে নিউজিল্যান্ড। আর সমান সংখ্যক ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ড পাঁচ এবং পাকিস্তান অবস্থান করছে ছয় নাম্বারে। সেক্ষেত্রে চার, পাঁচ ও ছয় নাম্বারের সবার পয়েন্ট হবে ৯৭। ওদিকে ৯৬ পয়েন্ট নিয়ে সাত নাম্বারে ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে শ্রীলংকা। অবশ্য আট নাম্বারে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ৮৪। যা বাংলাদেশের থেকে অনেক বেশি, আবার শ্রীলংকার চেয়ে অনেক কম। কিন্তু অলৌকিক কোনো জাদু মন্ত্রে যদি এই টেস্ট বাংলাদেশ কোনো কারণে জিতে যায়, তাহলে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৪৪। কিন্তু সর্বনাশ হবে ভারতের। একলাফে তিন নাম্বার থেকে সোজা জায়গা হবে সাত নাম্বারে।
তবে ম্যাচ ড্র হোক আর কোনো অঘটন ঘটুক না কেন, সবকিছু ছাপিয়ে এখন ব্যক্তিগত একটি রেকর্ড নিয়ে শাকিব ভক্তরা স্বপ্ন দেখতেই পারে। দেশের মাটিতে শাকিব আজই ১০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। দেশের মাটিতে তাঁর উইকেট এখন ১০৩টি। এই টেস্টে আর একটি উইকেট পেলে শাকিব মাত্র ৪০ টেস্টে ১৫বার পাঁচ উইকেট নেবার কৃতিত্ব দেখাবেন। শাকিবের আগে এই রেকর্ড মাত্র পাঁচ জনের। দুইজন স্পিনার ও তিনজন পেসারের। কিন্তু স্পিনার হিসেবে শাকিবের চেয়েও কম টেস্ট খেলে ১৫ বার পাঁচ উইকেট নেওয়া স্পিনার আছেন দুইজন। সিডনি বার্নস মাত্র ২৭ টেস্টে খেলে ২৪ বার নিয়েছিলেন ইনিংসে ৫ উইকেট। আর ক্ল্যারি গ্রিমেট টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া প্রথম বোলার। যিনি ৩৭ টেস্টে নিয়েছিলেন ২১ বার ইনিংসে ৫ উইকেট। তবে এইে দুই মহান ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার ছিল খুব সংক্ষিপ্ত।
তিনজনই বিশ্ব সেরা পেসার। সাকিবের চেয়ে কম টেস্ট খেলে ১৫ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব মাত্র তিনজন পেসারের—ওয়াকার ইউনিস, ডেনিস লিলি আর ইয়ান বোথাম। অবিশ্বাস্যভাবে ক্যারিয়ার শুরু করা ওয়াকার ইউনুস এই কীর্তি গড়েছিলেন ২৫ নম্বর টেস্টেই। ইয়ান বোথাম ও ডেনিস লিলি দুজনই করেছিলেন ৩৮তম টেস্টে। টেস্টে ১৫ বার পাঁচ উইকেট নিতে অন্য বিশ্ব বিখ্যাত স্পিনারদের মধ্যে মুত্তিয়া মুরলিধরনের লেগেছে ৪২ টেস্ট। অনিল কুম্বলের লেগেছে ৫৬ টেস্ট আর শ্যেন ওয়ার্নের লেগেছে ৭২ টেস্ট। আর কিংবদন্তি পেসারদের মধ্যে কেবল রিচার্ড হ্যাডলির লেগেছিল ৪৩ টেস্ট; ইমরান খানের ৪৬, কপিল দেব আর ডোনাল্ডের ৪৭, ম্যাকগ্রার ৪৮, ওয়াসিম আকরামের ৫২ আর মার্শালের লেগেছিল ৫৩ ম্যাচ। অ্যামব্রোস-ওয়ালশ জুটি আরো ঢের পিছিয়ে। অ্যামব্রোসের লেগেছে ৬৪ টেস্ট আর ওয়ালসের লেগেছিল ৯৫ ম্যাচ! শন পোলকের লেগেছিল ৭৩!
সুতরাং আগামীকাল টেস্টের চতুর্থ দিনে সকালে যদি কোহলি ইনিংস ডিকলার না করেন, তাহলে শাকিবের প্রয়োজন আর একটি মাত্র উইকেট এই দুই বিখ্যাত স্পিনারের পাশে নাম লেখানোর জন্য। যেখানে তালিকায় ৫০-এর কম টেস্ট খেলে ১৫ কিংবা এর বেশিবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে শাকিবের আগে মাত্র এই দুজনের। সিডনি বার্নস ও ক্ল্যারি গ্রিমেট। শাকিব আর একটি উইকেট পেলেই এদের নামের পাশে জায়গা করে নেবেন।
তবে শাকিবের সেই সুযোগটি এখন ঝুলে আছে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির আগামীকালের সিদ্ধান্তের উপর। দেখা যাক, বৃষ্টি নাটকে পরিপূর্ণ ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে শেষ পর্যন্ত কি ফলাফল দাঁড়ায়। তবে দর্শক হিসেবে এবং টেস্ট ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বিরাট কোহলি হয়তো সেই ঝুঁকি নিতে এখন মোটেও প্রস্তুত নন। কিন্তু ঝঁকি না নিয়ে বিকল্প উপায়ও নেই ভারতের সামনে। সকালে ভারত দ্রুত রান তোলার দিকেই মনযোগী হবে নাকি ইনিংস ডিকলার করবে?। আর যদি ইনিংস ডিকলার না হয় তাহলে ভারত চেষ্টা করবে লাঞ্চের আগ পর্যন্ত ব্যাট করে স্কোরবোর্ডটা আরেকটু শক্ত করতে। যাতে আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা না লাগে। নতুবা সকালেই ইনিংস ডিকলার দেখব আমরা। বাংলাদেশকে ব্যাট করতে ডাকবে কোহলি। আর বৃষ্টি মহাশয় তো আছেন-ই। সেক্ষেত্রে ভারতীয় মিডিয়া হয়তো নতুন একটা মওকা খুঁজে পাবার চেষ্টা করবে। কেন আইসিসি জুন মাসে বাংলাদেশে টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করল? কারণ জুন মাস থেকেই বাংলাদেশে বর্ষাকাল।
টেস্ট ম্যাচের সঙ্গে বৃষ্টির যে চিরায়ত দা-কুমড়া সম্পর্ক তা ফতুল্লার মাঠে আবারো প্রমাণ করল বৃষ্টি মশাই। অথচ বিরাট কোহলিরা যখন ঢাকায় নামলেন, তখন প্রচণ্ড তাপদাহের কি বিচ্ছিরি তামাশা। এমন মরার খরায় বরং টস হেরে ফিল্ডিং করার যে ধ্ক্কল যেতো টাইগার্সদের, সেজন্য টাইগার্সরা বরং বৃষ্টিকে একটা ধন্যবাদ দিতেই পারে। আর আগামীকাল যদি বৃষ্টি আরো বাগড়া দিয়ে ম্যাচ একেবারে ভণ্ডুল করে দেয়, তাহলে ভারতীয় শিবিরেও কিছুটা স্বস্তি থাকবে। কারণ তিন নাম্বার থেকে সাত নাম্বারে নামার চেয়ে চার নাম্বার অনেক নিরাপদ! সেজন্য ভারতের উচিত আগামীকাল বেশি বেশি বৃষ্টি কামনা করা।
.................................
১২ জুন ২০১৫
ঢাকা
©somewhere in net ltd.