নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ দল:
মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, আরাফাত সানি , তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, রনি তালুকদার, লিটন কুমার দাস, মুস্তাফিজুর রহমান।
ওয়ান ডে দলে আবারো নির্বাচকরা মোমিনুলকে দলে রেখেছে। এই ছেলেটাকে ওয়ান ডে তে টানাটানি করে ওর টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করতে চায় আমাদের গবেট মস্তিস্কের নির্বাচকগণ। ভারতের বিপক্ষে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৮, ২১ ও ২৪ জুন তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু দলে ব্যাটসম্যান কোথায়? বোলারের এতো ছড়াছড়ি কেন? ব্যাটসম্যানের সংখ্যা পোষাতেই কী মোমিনুলকে আবারো ওয়ান ডে তে রাখা হয়েছে?
যদি তামিম ইকবাল আর রনি তালুকদার ওপেন করে তাহলে সৌম সরকারকে ওয়ান ডাউনে নামানো হোক। চার ও পাঁচ নাম্বারে মুশফিকুর রহিম ও শাকিব আল হাসান খেলুক। ছয় ও সাত নাম্বারে নাম্বারে লিটন কুমার দাস ও নাসির হোসেন খেলুক। এখন প্রশ্ন হল আট, নয়, দশ ও এগারো নাম্বারে কে কে খেলবে?
যদি রনি ওপেন করে তাহলে মাশরাফি বিন মুর্তজা আট নাম্বারে, নয় নাম্বারে তাসকিন আহমেদ, দশ নাম্বারে রুবেল হোসেন ও এগারো নাম্বারে মুস্তাফিজুর রহমান। তাহলে ব্যাটসম্যান হিসেবে পাচ্ছি তামিম, রনি, সৌম্য, মুশফিক, শাকিব, লিটন আর নাসিরকে। আর বোলার হিসেবে পাচ্ছি মাশরাফি, তাসকিন, রুবেল ও মোস্তাফিজকে। এমন কি প্রয়োজনীয় মুহূর্তে মাশরাফিও ভালো ব্যাট করতে জানে। সেক্ষেত্রে চার পেসার পাচ্ছি দলে। সঙ্গে শাকিব আর নাসিরের স্পিন তো আছে। এ গেল আমার ফার্স্ট সিলেকশান।
আমার দ্বিতীয় চয়েস হল, তামিম আর সৌম্য যদি ওপেন করে, তাহলে ওয়ান ডাউনে লিটন খেলুক। চার-পাঁচে মুশফিক-শাকিব। ছয় নাম্বারে নাসির, সাত নাম্বারে সাব্বির হোসেন, আট, নয়, দশ ও এগারো নাম্বারে মাশরাফি, তাসকিন, রুবেল ও মুস্তাফিজুর। সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান পাচ্ছি তামিম, সৌম্য, লিটন, মুশফিক, শাকিব, নাসির আর সাব্বিরকে। আবার বোলার হিসেবে পাচ্ছি চার পেসার মাশরাফি, তাসকিন, রুবেল ও মুস্তাফিজকে। এবং স্পিন হিসেবে পাচ্ছি শাকিব, নাসির ও সাব্বিরকে।
কিন্তু মোমিনুলকে তিন নাম্বারে নিলে আমার অলটানেটিভ একটা বোলার শর্ট থাকছে। সেক্ষেত্রে লিটন যদি চার নাম্বারে খেলে, মুশফিক, শাকিব ও নাসিরের ব্যাটিং অর্ডার লোয়ার হচ্ছে। তখন একজন বোলার দলে কম থাকবে। কারণ তখন মাশরাফি ছাড়া রুবেল, তাসকিন ও মোস্তাফিজদের থেকে দুইজন নিতে হচ্ছে। কারণ শাকিব আর নাসিরের সঙ্গে তখন হয়তো সাব্বির থাকবে। তখন বাংলাদেশের বোলিং আক্রমন একটু দুর্বলই হয়ে যায়।
ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে আমাদের বোলিং শক্তি দিয়েই গুড়িয়ে দেবার মত সামর্থ্য নিয়েই মাঠে নামতে হবে। আন্দাজে দলে একজন ব্যাটসম্যান বেশি নিয়ে বোলার একজন কম নিলে, বাংলাদেশ দল একটু পিছিয়ে থাকবে। এখন দেখা যাক নির্বাচকরা কি করেন? ভারতের মত শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে আমাদের এক্সপারিমেন্ট করার সুযোগ নেই। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ইনজুরিতে না থাকলে এই সমস্যা অনেকটা কাটিয়ে ওঠা যেত। কারণ রিয়াদ প্রয়োজনে বল হাতে ভালো করতে পারেন। যা মোমিনুলকে দিয়ে ওয়ান ডে তে প্রত্যাশা করা হবে চরম বোকামি।
বাংলাদেশের উচিত চার পেসার, দুই স্পিনার কম্বিনেশান রাখা। অথবা তিন পেসার তিন স্পিনার রাখা। সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান কে কোন পজিশানে খেলবে, সেটাও একটা কঠিন হিসাব। কারণ প্রথমেই যদি টাইগার্সদের ব্যাটিং ধ্বস শুরু হয়, তাহলে দুর্বল ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে ঝুঁকি থাকবে। আবার ব্যাটসম্যান আটজন নিয়ে বসে থাকলে বোলিং দুর্বলতার কারণে আমরা পিছিয়ে থাকব।
আমি বলতে চাই, মোমিনুলকে বাইরে রেখে ওর টেস্ট ক্যারিয়ার নিয়ে নির্বাচকদের এই তামাশা বন্ধ করা উচিত। মোমিনুল শুধু টেস্ট খেলুক। ওয়ান ডে দলে একে নেওয়া মানে নতুন একটা ছেলের ক্যারিয়ার আটকে রাখা। তাই মোমিনুলকে বাইরে রেখে রনি, লিটন, মোস্তাফিজ এই তিনজনকেই সুযোগ দেওয়া হোক।
বিশ্বকাপে টাইগার্সদের পারফর্মেন্স দেখার পর ভারত এমনিতেই একটু আতংকে থাকবে। সেই আতংক মাথায় রেখেই বিধ্বংসি বোলিং লাইনআপ রাখা হোক। যাতে রোহিত-ধাওয়ান-কোহলি-রায়ানে, ধোনিরা দাঁড়াতেই না পারে। বোলিং দিয়েই বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে জিতবে। ব্যাটিং দিয়ে ওদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়াটা হবে বোকামি।
কারণ ওরা তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে দল করবে। আর পাঁচজন সেরা ব্যাটসম্যান তো দলে ওরা রাখবেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের টেস্ট ম্যাচ শেষ হলে ওদের ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন কিন্তু ধোনি থাকবে। ধোনির সঙ্গে যোগ দেবে সুরেশ রায়ানা, রবিন্দ্র জাদেজা। এছাড়া মোহিত শর্মা ও স্টুয়ার্ট বিন্নিও যোগ দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ভারতের যে একাদশ দেখা যাবে তা হল:
রোহিত শর্মা, শেখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, সুরেশ রায়ানা, এমএস ধোনি, রবিন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দন অশ্বিন, মোহিত শর্মা, উমেশ যাদব, অক্সার প্যাটেল ও ভূবনেশ্বর কুমার। তবে ওদের অনেক বিকল্প আছে। অজিংকা রাহানে, ধাওয়াল কুলকার্নি, স্টুয়ার্ট বিন্নি ও অম্বতি রাইডু দলে আছেন। ওরা একজন ব্যাটসম্যান বেশি নিলেও বোলার হিসেবে কোনো ঘাটতি থাকবে না ওদের। তবে ভারতীয় ওয়ানডে দলে এবার মিডিয়াম পেসারদের বেশি ছড়াছড়ি। মোহাম্মদ সামি ইনজুরিতে থাকায় ভারতের বোলিং অ্যাটাক কিছুটা দুর্বল থাকবে। যা অবশ্য জাদেজা, রায়ানা, কোহলি এরা বল করে পুশিয়ে দেবার চেষ্টা করবে।
তবে ভারত যে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনোভাবেই দুর্বল একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে না, এটা প্রায় শতভাগ নিশ্চিত। বিশ্বকাপের চরম বিতর্কিত কোয়ারর্টার ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে ভারত অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সেমি-ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়েছিল। বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের সঙ্গে তাই প্রথম মুখোমুখি ভারত দল সতর্ক থাকবে সিরিজ হার এড়াতে। ভারতীয় শিবিরে বিশ্বকাপের টাইগার্সদের যে আতংক এখনো ভর করে আছে, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই আমাদের জিততে হবে।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে টাইগার্সদের জয়ের কোনো বিকল্প নেই। যদি আমরা সিরিজ হারি, তাহলে ভারত বলার একটা দারুণ মওকা পাবে যে, সেমি-ফাইনালে তারা যোগ্য দল হিসেবে গিয়েছিল। ভারত যে বিশ্বকাপে টাইগার্সদের চেয়ে দুর্বল ছিল, তা প্রমাণ করতে হবে এই সিরিজ জয় করে। সিরিজ জয় ছাড়া টাইগার্সদের সামনে অন্য কোনো বিকল্প নেই। জয়তু টিম টাইগার্স। জয়তু বাংলাদেশ ক্রিকেট।
..............................
১৪ জুন ২০১৫
ঢাকা
২| ১৪ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৫০
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ৪ পেসারকে দলে রাখলেই ভালো হবে
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
মুদ্দাকির বলেছেন: উনারা কাজ ভালোই করছেন। অযথা চল্লাচিল্লি কইরা লাভ নাই।
৪| ১৪ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৩০
আলী আকবার লিটন বলেছেন: যদু মদু খেল্লেও আমার কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আমি চাই ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়। জিততে না পারলে একে বারে ডাইরেক্ট ভাঙ্গাইয়া দিমু ...
৫| ১৪ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪
Nazmus Sakib বলেছেন: ভাই তোমার দল এক্কেবারে পারফেক্ট, কিন্তু তোমার মতো তো আর দাদুমশাই ভাবেনা!! তাই চিল্লাচিল্লি করে লাভ নেই।শুধু দেখে যাই!! যাইহোক ভারতকে হারানোর শক্তি আমাদের আছে!
৬| ১৪ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০
সুমন কর বলেছেন: বাংলাদেশের উচিত চার পেসার, দুই স্পিনার কম্বিনেশান রাখা।
৭| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৫১
জিয়া চৌধুরী বলেছেন: এ ব্যাপারে সুরঞ্জিত বাবু যেটা বলেন সেটাই ফাইনালা।
দাদাদের জেতাতে চাই
৮| ১৫ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
আমি মিন্টু বলেছেন: দাুদু পল্টুরা যে বাছাই পর্ব শেষ করছে তাতে মনে হচ্ছে পুরোই গোরপাক । যাই হোক
ভারতের নিশ্চিত জয় দেখে নিয়েন বলে দিলাম ।
৯| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার একাদশঃ তামিম ইকবাল, রনি তালুকদার, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, আরাফাত সানি, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা।
এই কম্বিনেশনে প্রথম পাঁচজন সলিড ব্যাটসম্যান (এখানে সৌম্য সরকারের বদলে লিটন দাসকে নেয়া যেতে পারে, সেক্ষেত্রে মুশফিক আর সাকিব তিন আর চারে ব্যাট করবে, লিটন পাঁচে) এর সাথে সাব্বির-নাসির-মাশরাফি ত্রয়ের লোয়ার অর্ডার, পেস আক্রমণে তিনজন, স্পিনে তিনজন, সাথে সাব্বির আর সৌম্য (যদি লিটন না খেলে)। আটজন ব্যাটিং এবং আটজন বোলিং এর জন্য অপশন হিসেবে থাকছে। এরচেয়ে ভালো কম্বিনেশন এই মুহূর্তে আর কিছু আছে বলে মনে করি না।
১০| ১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৪৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমি চাই বাংলাদেশ চার পেসার নিয়ে ১ম ওয়ানডে খেলুক.... তবে পিচের হোম এডভান্টেজ নিতে হবে (শুভাগত হোম না কিন্তু ) হালকা ঘাস রেখে পিচ তৈরি করতে হবে.... স্কোয়াড টা এমন হলে কেমন হয়... আমি নিশ্চিত এমন হলে ইন্ডিয়ান রা বেশ চককে যেতে পারে...
#তামিম_ইকবাল
#লিটন_দাস
#সোম্য_সরকার
#সাকিব_আল_হাসান
#মুশফিকুর_রহিম
#সাব্বির/#নাসির
#জুবায়ের_লিখন
#মাশরাফি
#রুবেল
#তাসকিন
#মোস্তাফিজুর
১১| ২০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮
হাসান রাজু বলেছেন: আর পাকনামি লইয়েন না । যা হইবার হইয়া গেছে ।
১২| ২২ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৪:২৭
সেনপাই বলেছেন: এখন কি বলবেন? সিলেকশন কি খারাপ হয়েছে?
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:২২
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: ওয়ানডে টীমে কে কে খেলবে, তা নির্ধারণের দায়িত্ব হল দাদামশাইয়ের। আপনি এখানে বলার কে? দাদারা তাদের বিরুদ্ধে খেলার জন্য যাকে উপযুক্ত মনে করবে, তাকেই দলে নেবে।