নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিবেশী ৪ দেশের মধ্যে যান চলাচলে চুক্তি!!

১৫ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। আজ সোমবার ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বেলা ১২টার দিকে চার দেশের মন্ত্রীরা প্রতিবেশী চার দেশে সড়ক পরিবহনের একটি রূপরেখায় স্বাক্ষর করেন। এর আগে গত সোমবার বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় চুক্তিটি অনুমোদন হয়।

দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্কের আওতায় এই চুক্তির প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের আপত্তির কারণে আঞ্চলিক পর্যায়ে চুক্তিটি সই হতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় চার জাতির মধ্যে এই চুক্তি হচ্ছে। ইতিপূর্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তিতে তৃতীয় দেশে চলাচলের সুযোগ রাখায় মোটরযান চুক্তি ট্রানজিট সুবিধাকে অবারিত করবে। ভবিষ্যতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার এই চুক্তিতে যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে। এই চুক্তির ফলে কানেকটিভিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হবে। এ চুক্তির পর চলাচলের পথের সমীক্ষা, পরীক্ষামূলক চলাচল ও অভিবাসন-সুবিধা পর্যালোচনা করে আগামী বছরের শুরুতে চার দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যান চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। চুক্তির অধীনে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক-লরি ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের গাড়ি চলতে পারবে। শুল্ক ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে নিজ নিজ দেশের আইনে। তবে ট্রানজিট ও চলাচলের অনুমতিসংক্রান্ত ফি নির্ধারণ আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে।

খসড়া চুক্তি অনুসারে, যানবাহনের বৈধ মালিকানা, ফিটনেস ও ইনস্যুরেন্সের হালনাগাদ দলিল থাকতে হবে। চালকের স্থানীয় কিংবা আন্তর্জাতিক যে কোনো এক ধরনের লাইসেন্স থাকলেই চলবে। আর যাত্রীর থাকতে হবে বৈধ ভ্রমণ দলিল। তবে গাড়িতে নিষিদ্ধ কিংবা তালিকাভুক্ত স্পর্শকাতর মালামাল বহন করা যাবে না। ব্যক্তিগত, যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের অনুমতি পাওয়ার জন্য আলাদা আলাদা ফরম পূরণ করতে হবে। বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত যানের দীর্ঘমেয়াদি অনুমোদন লাগবে। আর ব্যক্তিগত গাড়ির অনুমতি হবে সাময়িক এবং তা তাৎক্ষণিকভাবে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দিতে পারবে।

যে দেশের উপর দিয়ে যানবাহন যাবে, সেই দেশের কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে তা ‘সার্চ’ ও ‘ইন্সপেকশন’ করতে পারবে। কোনো দেশে নিষিদ্ধ থাকা পণ্য সেদেশের উপর দিয়ে পরিবহন করা যাবে না বলেও চুক্তির খসড়ায় রয়েছে। চুক্তির আওতায় যান চলাচলের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশ নিজেদের নির্ধারিত হারে ‘ট্রানজিট ফি’ আদায় করবে। তিন বছর পরপর এই চুক্তি নবায়ন হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “কোনো দেশ চাইলে ৬ মাসের নোটিশ দিয়ে চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিতে পাররে।”

১৫ জুন চুক্তি ও পরে প্রটোকল সই হওয়ার পর শিগগিরই চুক্তি অনুযায়ী যানবাহন চলাচল শুরু হবে বলে জানান তিনি। এর আগে এক অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, চুক্তি অনুযায়ী ইউরোপের আদলে এই চার দেশের মধ্যে ২০১৬ সাল নাগাদ মোটরযান চলাচল শুরু করা যাবে। চুক্তি সই হওয়ার পর এর প্রটোকলে নিরাপত্তাসহ বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে জানিয়ে কাদের বলেন, “প্রটোকল হতে কয়েক মাস লাগবে। আশা করছি, ২০১৬ সালে আমরা নতুন যাত্রা শুরু করতে পারব। যাতায়াতে ভিসা বা ইমিগ্রেশনে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে করা হবে।”

..............................
১৫ জুন ২০১৫
ঢাকা

সূত্র: বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: ঘুড়াঘুড়িতে নতুন মাত্রা যোগ হবে, সুযোগ পাইলে ই দৌড় মারমু

২| ১৫ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

সুমন কর বলেছেন: ভালো সংবাদ।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:৫৫

আলাপচারী বলেছেন: আপাততঃ ভালো মনে হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.