নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
একেই বলে মধুর প্রতিশোধ। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ আজ টাইগার্সদের জন্য গর্বিত। দেড়শো কোটি'র ভারতকে এক ফুঁতে কেমন উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। আমরা ১৯ মার্চ মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালের ভারতের সেই বহুল বিতর্কিত ম্যাচের কথা একদম ভুলি নাই। আমরা আইসিসি'র চেয়ারম্যান শ্রীনিবাসনকে একটা উচিত শিক্ষা দেবার জন্য ঠিক তিন মাস ঘোর অপেক্ষায় ছিলাম। বিশ্বকাপের ওই বিতর্কিত ম্যাচের পর আজ ভারত প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হল। এবং আজকেই ৭৯ রানের জয় ছিনিয়ে নিয়ে টাইগার্স বাহিনী বিশ্বকাপের মুধর প্রতিশোধ নিল।
ভারত ক্যাপ্টেন এমএস ধোনি'র কণ্ঠে তাই বার বার বাংলাদেশের পেসারদের প্রশংসা। ধোনিকে ধন্যবাদ যে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের মাটিতে বসে পরাজয়ের স্বাদ গ্রহনের সময় আরেকটি কথা স্বীকার পাবার জন্য। ধোনি বলেছেন, বৃষ্টি ভারতীয় বোলিংকে কিছুটা সুবিধা এনে দিয়েছে। নইলে ৩৩০ রানের বেশি হতে পারতো বাংলাদেশের স্কোর। মানে পরোক্ষ ভাবে ধোনির মুখে টাইগার্সদের ব্যাটিংয়েরও প্রশংসা। কিন্তু ধোনি যেটা জানেন না সেটা হল, আজ আমাদের লক্ষ্য ছিল ৩৫০ রান করার। বৃষ্টি সেই সুযোগ টাইগার্সদের দেয়নি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় বোলাররা কিছু বাড়তি সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশকে ৪৯.৪ ওভারে ৩০৭ রানে আটকাতে সক্ষম হয়।
কিন্তু মাশরাফি বাহিনী শুধু জয়ের জন্যই মুখিয়ে ছিল না, মধুর প্রতিশোধের জন্য তিনটা মাস অপেক্ষার প্রহর গুনেছে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের মাটিতে ১৬ কোটি বাংলাদেশীকে সাক্ষি রেখেই সেই মধুর প্রতিশোধ আসল। এ জয় বড় গৌরবের। এ জয় বড় কঠিন স্বপ্নে বোনা দুর্গম দুঃসাহসী জয়। ভারত ৪ ওভার খেলা বাকি থাকতেই ২২৮ রানে অলআউট। টাইগার্সদের কাছে ভারতের ৭৯ রানের বিশাল লজ্বার পরাজয়। বিশ্বকাপের বিতর্কিত ভারতীয় জয়ের বিপরীতে মাশরাফি বাহিনী'র এ বড় মধুর প্রতিশোধ।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ১৯ মার্চ মেলবোর্নে ভারত টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে করেছিল ৩০২ রান। আজ মধুর প্রতিশোধের ক্ষণে বাংলাদেশ সেই রান টপকে করেছে ৩০৭ রান। বিতর্কিত সেই ম্যাচে ৪৫ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ১৯৩ রানে। ভারত জিতেছিল ১০৯ রানে। আজ ভারত ৪৬ ওভার খেলার সুযোগ পেয়েছিল। রান তুলেছিল ২২৮। কিন্তু ৭৯ রানের দীর্ঘ পাহাড় টপকানোর মত সামর্থ্য ভারতীয় শিবিরে একবারের জন্যও নজরে আসেনি। কেমন অসহায় আত্মসমর্পন!
মুশফিকুর রহিম ১৩ ও ১৫ রানে ধাওয়ানকে দুই বার জীবন না দিলে ভারতের উদ্ভোধনী জুটিতে আজ ৯৫ রান আসতো না। সেক্ষেত্রে ভারত আরো আগে অলআউট হয়ে যেত। শেষ পর্যন্ত তাসকিন আহমেদের বলে ধাওয়ানের গ্লাভস ছুঁয়ে আসা বল গ্লাভসবন্দি করে তৃতীয় প্রচেষ্টায় সফল হন মুশফিক। তাতেই ভাঙে ১৬ ওভার স্থায়ী ওই জুটি।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ভারতীয় সেঞ্চুরিয়ান রোহিত শর্মা (১৩৭)কে আজ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের ডেব্যু হওয়া তরুণ পেসার মোস্তাফিজ শিকার করলেন। অভিষিক্ত এই বাঁহাতি পেসারের বল একদমই বুঝতে পারেননি ৬৩ রান করা রোহিত শর্মা। মাশরাফি'র হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যায় রোহিত। বিপদে পড়ে ভারত। পরের ওভারে আবারো আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। তার স্লোয়ার ডেলিভারিতে নাসিরকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান অজিঙ্কা রাহানে। নাসির হোসেনের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরা দেখেই ভারতীয় শিবির ততক্ষণে টলমল হয়ে যায়।
২৫তম ওভারে মোস্তাফিজ ধোনির সঙ্গে প্রচণ্ড ধাক্কা খেলেন। নাকি মিস্টার ধোনি মোস্তাফিজকে সহ্য করতে পারছিলেন না বলে ইচ্ছে করেই ধাক্কা লাগালেন! ওইটুকু পিচ্ছি ছেলেরে বুইড়া ধোনি পাক্কা হাড্ডিগুড্ডি লইয়া যে ঐতিহাসিক ধাক্কা দিলেন, বাপরে বাপ। গ্যালারির দর্শকরা পর্যন্ত ব্যথায় চিক্কর দিলেন!
২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনালে ফ্রান্সের গ্রেট ফুটবলার জিনেদিন জিদান ইতালি'র মার্কো মাতারাজ্জিকে গুরুর মত গুতা দিয়েও ইতালির কাছে সম্মানজনক ৫-৩ গোলে টাইব্রেকারে হেরেছিল। কিন্তু গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের ক্রিকেট ক্যাপ্টেন এমএস ধোনি বাংলাদেশের অভিষেক হওয়া নাবালক মোস্তাফিজকে কনুই দিয়ে গুতা মারলেও ৭৯ রানের চরম পরাজয় এড়াতে পারেনি। দুনিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে এবং এমএস ধোনির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এই 'কনুই-গুতা' জিদানের 'গরুর গুতার' মত চির-কলংকময় হয়ে থাকবে। কিন্তু আশ্চার্যের ব্যাপার হল, আইসিসি এখন পর্যন্ত এমএস ধোনিকে কোনো সাজা দেয়নি।
তারপর? ১২ ওভার মোস্তাফিজ মাঠের বাইরে। ৩৭ তম ওভারে মাঠে ফিরে দুই ওভারের টানা পাঁচ বলের মধ্যে ভারতীয় তিন ব্যাটসম্যানকে ঘায়েল করলেন সেই ধোনির লগে ঘাই খাওয়া ১৯ বছরের তরুণ পেসার মোস্তাফিজ। ড্রেসিংরুমে শুশ্রূষা নিয়ে ৩৭তম ওভারে ফিরলেন মুস্তাফিজ। আর ওই ওভারের চতুর্থ আর পঞ্চম বলে ফেরালেন সুরেশ রায়না আর রবিচন্দন অশ্বিনকে। হ্যাটট্রিকটা হলো না। বহু কষ্টে হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেন ভুবনেশ্বর কুমার। কিন্তু যা হয়েছে সেটাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক মহানায়কের গল্পগাথা হয়ে থাকবে। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে ফেরালেন রবীন্দ্র জাদেজাকেও। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে মোস্তাফিজের অভিষেকেই ৫ উইকেট! ১৯৫ রানে নেই ভারতের ৮ উইকেট! ম্যাচ শেষে মোস্তাফিজের বোলিং বিশ্লেষণ ৯.২ ওভার ৫০ রান ৫ উইকেট। ডেব্যু ওডিআই-তে ৫ উইকেট। সাবাস বাঘের বাচ্চা। তাই আজকে টাইগার্সদের মধুর প্রতিশোধের জয়ে প্লেয়ার অব ম্যাচ সেই মোস্তাফিজুর রহমান।
ঘরের মাটিতে এটি বাংলাদেশের টানা নবম জয়। যে জয় দিয়ে একদিনের ক্রিকেটে র্যাঙ্কিংয়ের সাত নম্বর জায়গা নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। আহা এমন না হলে মধুর প্রতিশোধ!
বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে বাংলাদেশ যে দল নিয়ে খেলেছিল, আজ সেই দলের নয় জন খেলেছেন। কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জায়গায় লিটন দাশ আর ইমরুল কায়েসের বদলে দলে একজন বাড়তি পেসার তরুণ মোস্তাফিজ। বাকি নয় জন তামিম, সৌম্য, মুশফিক, শাকিব, সাব্বির, নাসির, মাশরাফি, রুবেল, তাসকিন সবাই ছিলেন আজকের দলে। ভারতের জন্য আরো লজ্বা পাওয়ার জায়গাটি হল, আজ বাংলাদেশ দলের যে দুইজন নতুন খেলেছে, তাদের দুজনেরই আজ একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হল। এমন দুর্দান্ত মধুর প্রতিশোধের মাধ্যমে অভিষেক। আহা নয়ন জুড়িয়ে দেখতে ইচ্ছে করে।
আজ ইনিংসের সূচনায় ১৫.৪ ওভার খেলার সময় বাংলাদেশের রান যখন ১ উইকেট ১১৯, তখন বৃষ্টি এসে খেলা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এই বৃষ্টি ভারতীয় বোলারদের জন্য কিছুটা সহায়ক হলেও তা বাংলাদেশের জয়কে ঠেকিয়ে দিতে পারেনি। বাংলাদেশের অপর ব্যাটসম্যান লিটন দাশের একদিনের ক্রিকেটে অভিষেকটা অবশ্য ছন্দময় হল না। মাত্র ১৩ বল খেলে অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন লিটন। ব্যাপার না, অভিষেক ম্যাচে অনেকেরই এমন হয়। তাছাড়া সর্বনাশা বৃষ্টিটা না হলে লিটনকে ওভাবে এলবিডব্লিউ'র ফাঁদে ফেলানো হয়তো সম্ভব হতো না। লেট ইয়োর ড্রিম অন ব্যাবি। লিটন দাশ, জাস্ট পরের দুই ম্যাচে আজকের এই হতাশার চিন্থ একদম মনে রাখার দরকার নেই। আজ টাইগার বাহিনী জিতেছে। এটাই বড় কথা। ভারতের বিপক্ষে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে, এটাই আসল কথা। আমরা পেছনের সকল ব্যর্থতা ভুলে সামনে এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখি। লিটন তোমার মোটেও বিচলিত হবার কোনো কারণ নেই। জাস্ট তোমার স্বাভাবিক খেলাটাই খেল।
আজকেও ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন সুরেশ রায়ানা। আজকের ম্যাচে কোনো দলের কারো সেঞ্চুরি নেই। ভারতীয় দলে একমাত্র রোহিত শর্মা হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন। বিপরীতে বাংলাদেশ দলে হাফ-সেঞ্চুরি তিনটি। তামিম ৬০, সৌম্য ৫৪, শাকিব ৫২। এছাড়া সাব্বির করেছেন ৪১, যা রায়ানার চেয়ে এগিয়ে।
বোলিংয়ে বাংলাদেশের অভিষিক্ত মোস্তাফিজ ৯.২ ওভার বল করে ৫০ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন। ধোনির সঙ্গে ধাক্কা না খেলে বেচারা হয়তো দশ ওভার কোটা পূরণ করে ৬ উইকেট পেতে পারতেন! বাংলাদেশের পক্ষে ২১ রানে তাসকিন ২টি ও ৩৩ রানে শাকিব ২টি এবং অবশিষ্ট উইকেট ৫১ রানের বিনিময়ে নেন ক্যাপ্টেন মাশরাফি, দ্য নড়াইল এক্সপ্রেস।
ভারতের পক্ষে ৫১ রানে অশ্বিন পেয়েছেন ৩টি উইকেট। আর ৩৭ রানে কুমার ২টি ও ৫৮ রানে যাদব ২টি উইকেট নেন। এছাড়া জাদেজা ৪৮ রানে ১টি ও মোহিত শর্মা ৪.৪ ওভারে ৫৩ রানে ১টি উইকেট নেন। অতিরিক্ত রান দেওয়ায়ও ভারত পিছিয়ে। ভারতীয় বোলাররা দিয়েছে অতিরিক্ত ১৭ রান, যেখানে বাংলাদেশ দিয়েছে মাত্র ১০ রান। ফলে ম্যাচের ফলাফল, বাংলাদেশের ৩০৭ রানের জবাবাে ৪৬ ওভারে ভারত ২২৮ রানে অলআউট। বাংলাদেশের কাছে ভারতের লজ্বাজনক ৭৯ রানের পরাজয়।
বিশ্বকাপের সেই কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ আমি দেখেছিলাম শাকুর ভাইয়ের (শাকুর মজিদ) বাসায়। শাকুর ভাইকে সেদিন বলেছিলাম, বাসায় ঢোল নাই? শাকুর ভাই জবাবে বলেছিলেন, কী করবা? বলেছিলাম, বাজাবো। কিন্তু শ্রীনিবাসনের সেই বহুল বিতর্কিত ম্যাচ বাংলাদেশ হেরে গেলে আমার কোলে বসে শাকুর ভাইয়ের সেই ঢোল বড় করুণ আর্তি তুলেছিল। যা আমি আজও ভুলতে পারিনি। তাই আজকের ম্যাচে আমি ইচ্ছে করেই বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখিনি। একবারও মনের ভুলে খেলার খবরে চোখ বুলাইনি। আমি বাংলাদেশের ব্যাটিং শেষ হলে শুধু স্কোরটা জেনে নিয়েছিলাম, যে বাংলাদেশ ৩০৭ করেছে। ভারতের টার্গেট ৩০৮।
তারপর ভেতরে ভেতরে এক গভীর কষ্ট নিয়ে শুধু অপেক্ষা করেছি। শাহবাগে আড্ডায় বসে এক কবি বন্ধু'র মোবাইল রেডিওতে ধারাভাষ্য শুনে দম আটকে রেখেছিলাম কিছুটা সময়। এক সময় বন্ধুর মোবাইলে একটা ফোন আসল। ওই সময় মোস্তাফিজ কেবল রোহিতকে দিয়ে আজকের টর্নেডো অভিযান শুরু করেছে। আমরা অন্যদের চিৎকার শুনেই বুঝতে পেরেছিলাম, আরেকটা আউট। আমরা হিসাব করছিলাম আউট নাম্বার তিন। কিন্তু কে আউট? রোহিত না রাহানে? আমরা বন্ধুরা তখন আকুল আবেদন করছিলাম, এই বলে, মামা কথা কওয়া শেষ কর। মামা শেষ কর। তারপর ফোনে কথা বলা শেষে জানলাম রোহিত আউট। তখন আর আড্ডায় বসে থাকার ধৈর্য রইল না। সবাই বাসার উদ্দেশ্যে ছুটলাম। মধুর প্রতিশোধের এই জয় না দেখে থাকা যায় না। পরে বাসায় এসে পেলাম সেই মোস্তাফিজের জোড়া আউট। অল্পের জন্য হেটট্রিক হল না বেচারার!
আজ খেলা যত শেষের দিকে গড়াচ্ছিল, বাংলাদেশ যখন নিশ্চিত জয়ের বন্দরের দিকে ছুটছে, তখন শাকুর ভাইকে খুব মিস করেছি। ইস, আজকের জয়টার সময় যদি শাকুর ভাই পাশে থাকতেন। তৃতীয় ম্যাচটা শাকুর ভাইয়ের সঙ্গে দেখার ইচ্ছে রইল। আজ নিশ্চয়ই আমি না গেলেও শাকুর ভাইয়ের সেই ঢোল হৈ হৈ রৈ রৈ করে তাকঢুম ঢাকঢুম বেজেছে। নাকি শাকুর ভাই'র ঢোল আজ কেউ ফাটিয়ে ফেললো!
এই পরাজয় ভারতের দীর্ঘ দিন মনে থাকার কথা। কারণ বিশ্বকাপের বিতর্কিত জয়ের পর সেই বাংলাদেশের কাছে এমন শোচনীয় পরাজয়ের গ্লানি যে ধোনি বাহিনীকে দীর্ঘদিন অস্বস্তি দেবে, সে কথা কানা বগার ছাও জানে। ও বগা তুই চাস কী? পান্থা ভাত পাস কি? একটা যদি পাই, অমনি ধরে গাপুস গুপুস খাই। আজ মোস্তাফিজ ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের যেভাবে বগার মত গাপুস গুপুস করে সাবার করে দিলেন, তা বাংলাদেশের ক্রিকেটে চিরদিন অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। জয়তু টিম টাইগার্স। জয়তু বাংলাদেশ ক্রিকেট।
................................
১৯ মার্চ ২০১৫
ঢাকা
২| ১৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৩:৩১
রুহুল আমিন রায়হান বলেছেন: THANKS FOR YOUR NICE ARTICLE
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৩:০০
বাংলার জামিনদার বলেছেন: প্রান জুরানো জয় রে ভাই।