নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ প্রথমে ব্যাট করতে নামা ভারতকে মাত্র ২০০ রানে অলআউট করেছিল বাংলাদেশ। ৬ উইকেট নিয়ে আবার প্রায় একাই ভারতকে ধসিয়ে দিয়েছেন তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। বৃষ্টির কারণে ৪৭ ওভারে নেমে এসেছিল ম্যাচের আকার। ডি/এল পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়েছিল ২০০ রান। ৫৪ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ এখন আরেকটি স্পেশাল বাংলা ওয়াশের অপেক্ষায়। আগামী ২৪ জুন একই মাঠে সেই নাটকের অবতারণা হবার আগ পর্যন্ত চলুন আজকের ম্যাচের বিশেষ কি-পয়েন্ট গুলো একটু বাছাই করা যাক। মাশরাফি'র সঙ্গে টস করতে নামা ভারতীয় ক্যাপ্টেন এমএস ধোনি টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি কী ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ধাতস্থ হতে পেরেছিলেন? তরুণ উদীয়মান পেসার মুস্তাফিজের প্রথম বলেই রোহিত পরাস্ত। কিন্তু প্রথম বলে জীবন পেলেও দ্বিতীয় বলে আর টেকেনি রোহিতের চেষ্টা। ম্যাচের দ্বিতীয় বল থেকেই ভারতের জন্য চাপ তৈরি করল বাংলাদেশ। ভারতের রানের চাকা সচল হবার আগেই একদিনের সবচেয়ে লম্বা ইনিংস খেলার রেকর্ড যার দখলে, সেই ২৬৪ রান করা রোহিত শর্মা শূন্য রানে মুস্তাফিজের বলে সাব্বিরকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন।
ভারত ততক্ষণে বুঝতে পেরেছে আজও টাইগার্সরা ছেড়ে কথা বলবে না। শেখর ধাওয়ানের সঙ্গী হয়ে ভারতীয় ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নিয়ে মাঠে এলেন বিরাট কোহলি। যাকে এই সময়ের ভারতীয় দলের টেন্ডুলকার বলা হয়। ধীর শান্ত ভাবে কোহলি কিন্তু ধাওয়ানকে নিয়ে শুরুও করেছিলেন। একটু খেয়াল করুন, কোহলি দলীয় ৭৪ রানের মাথায় ২৭ বলে ২৩ রান করার আগ পর্যন্ত ৩টা চার ও ১টি ছক্কা মেরে ভারতীয় সেই প্রত্যাশষাকে ধীরে ধীরে জাগিয়ে তুলছিলেন। ব্যাপারটা শতভাগ বুঝতে পেরে টাইগার্স ক্যাপ্টেন মাশরাফি নিয়মিত বোলারদের সরিয়ে নিয়ে আসেন পার্ট-টাইম বোলার নাসিরকে।
নাসির উইকেটের চরিত্র বুঝতেই তিন ওভার সময় নিলেন। তারপরেই বিরাট কোহলিকে সেই সারপ্রাইজ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ আউট করলেন। বিরাট কোহলি ব্যাপারটা মন থেকে মানতে পারেন নি। রাগে ফেটে পড়ে প্যাভিলনের পথে যেতে যেতে নাসিরের উল্লাস নিয়ে কিছু একটা কটুক্তি করেছিলেন ওখানে ভদ্রলোক কোহলি। মাশরাফি কেন সেই কথা হজম করবেন? পাল্টা মাশরাফিও জানিয়ে দিলেন, খাঁড়া, আজই প্যাকেট কইরা দিতেছি। এরপর দেব ধবল ধোলাই বাংলা-ওয়াশ।
কোহলি'র হঠাৎ আউটে ভারতীয় শিবিরে যেন আতংক ভর করল। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট সেই আতংক সামাল দিলে ক্রিজে পাঠালেন ক্যাপ্টেন এমএস ধোনিকে। উদ্দেশ্য খুব পরিস্কার। দলের ভরাডবি সামাল দেওয়া। পাশাপাশি ধোনি আজ সেঞ্চুরি টাইপ কিছু একটা করে প্রথম ওয়ানডে'র একটা উচিত শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন টাইগার্সদের। কিন্তু পরবর্তী ৩৫ রানের মাথায় দলীয় ১০৯ রানের সময় শেখর ধাওয়ান সেই পার্ট-টাইমার নাসিরের কাছে পরাস্ত হন।
এরপর ধোনি ঠাণ্ডা মাথায় আম্বিকা রাইডুকে নিয়ে শুরু করার আগেই আবার সেই মুস্তাফিজের আঘাত। এবার রাইডুকে নাসিরের ক্যাচে পরিনত করলেন মুস্তাফিজ। ভারতের স্কোর মুহূর্তে ২ উইকেটে ৭৪ থেকে ৪ উইকেটে ১১০-এ পরিনত হয়। ক্রিজে আসলেন সুরেশ রায়ানা। ভারতীয় দলের অপর নির্ভরতার প্রতীক। ধোনিকে নিয়ে শুরু করলেন রানের চাকা সচলের কাজ। এবার ধোনি-রায়ানা মিলে মূল্যবান ৫৩টি রান যোগ করলেন। আবারো মুস্তাফিজের শর্ট লেন্থের ইয়র্কর ডেলিভারিতে রায়ানা পুরোপুরি পরাস্থ হন। রায়ানার ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের বিশস্ত হাতে। ভারত তখন ৫ উইকেটে ১৬৩ রানে। ক্রিজে আসলেন রবীন্দ্র জাদেজা।
ক্রিজে তখনো ভারতীয় ক্যাপ্টেন ধোনি মাথা উচু করে কিছু একটা করার প্রত্যয় নিয়ে দাঁড়িয়ে। কিন্তু আজ যে মুস্তাফিজ ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাবেন, তাকি ধোনি একবারও আন্দাজ করতে পেরেছিলেন? এবার মুস্তাফিজের বলে ধোনি সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য হলেন। ভারতের স্কোর তখন ৬ উইকেটে ১৭৪ রান। ক্রিজে আসলেন অক্ষর প্যাটেল। মুস্তাফিজ এবার সেই দুর্দান্ত ঘুর্নিবলে প্যাটেলকে সরাসরি বোল্ড করে জানান দিলেন, তিনি কোন জাতের ফাস্ট বোলার। ভারতের স্কোর মুহূর্তে ৭ উইকেট ১৭৪ রান। ক্রিজে আসলেন রবীচন্দন অশ্বিন। অশ্বিন এসে বহু কষ্টে মুস্তাফিজের হেটট্রিক প্রতিরোধ করলেন।
এরপর রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গী করে অশ্বিন একটা ভালো স্কোর করার স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন ভারতকে। কিন্তু টাইগার্স দলে যে একজন মুস্তাফিজ আছে, সেকথা ভারতের ভুলে গেলে তো চলবে না। দলের রান আরো ১০ না উঠতেই মুস্তাফিজ এবার অশ্বিনকে কট বিহাইন্ড উইকেট লিটন দাসের ক্যাচ বানালেন। ভারতীয় স্কোর তখন ৮ উইকেটে ১৮৪ রান। ক্রিজে আসলেন ভূবনেশ্বর কুমার।
মূলত তখন গোটা ভারতীয় টিম ও ভারতের দেড়শো কোটি জনগণ জাদেজার ব্যাট থেকে অন্তত সম্মানজনক রানের ঘরে পৌঁছার একটা স্বপ্ন লালন করতে শুরু করল। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি এসে খেলা বন্ধ করে দেয়। মুস্তাফিজ ততক্ষণে ভারতীয় পঞ্চভূতকে আউট করে মাঠে রীতিমত আগুন ছড়িয়ে দিয়েছেন। মুস্তাফিজ দশম ওভারের শেষ বলটি করার আগেই বৃষ্টি খেলায় বাগড়া বাঁধাল। ৪৩.৫ ওভারে ভারতের স্কোর তখন ৮ উইকেটে ১৯৬ রান।
বৃষ্টির পর মুস্তাফিজ ব্যক্তিগত দশম ওভারের শেষ বলটি করতে আসলেন। স্ট্রাইকে তখন জাদেজা। কিন্তু জাদেজাকে সরাসরি ইয়র্হরে বোল্ড করে মুস্তাফিজ ঘোষণা দিলেন, ম্যাচ সেরার পুরস্কারটিই আমার চাই। মুস্তাফিজের বোলিং বিশ্লেষণ, ১০ ওভার ৪৩ রান ৬ উইকেট। ভারতের স্কোর তখন ৯ উইকেটে ১৯৬ রান।
এবার নতুন আশংকা জাগল, ভারত কী দুইশো রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারবে? শেষ পর্যন্ত শেষ দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যান ব্যাটে বলে না হলেও জানপ্রান বাজি রেখে দৌঁড়ে ভারতের স্কোরকে ২০০তে নিয়ে ঠেকালেন। ওটা ছিল ৪৫ তম ওভারের খেলা। বল করছিলেন রুবেল হোসেন। রুবেল শেষ বলে কুমারকে লিটনের কাছে কট বিহাইন্ড হতে বাধ্য করলেন। ৪৫ ওভারে ২০০ রানে ভারত ন্যাক্কার জনক ভাবে অলআউট।
বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করলেন ভাতিজা তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। ভারতীয় বোলাররা তামিমকে শুরুতেই আউট করে বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে চেয়েছিলেন। আবারো বৃষ্টির বাগড়া। এবার আইসিসি'র ডার্কওয়াথ লুইস দুই ভদ্রলোকের ভূতুরে ডিএল থিউরিতে ম্যাচে কার্টেল পড়ল। বাংলাদেশের জয়ের লক্ষ্য ছিল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২০১ রানের। কিন্তু বৃষ্টি আসায় ডিএল মেথডে নতুন ছক দাঁড়ালো ৪৭ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ২০০ রান। ১টি রানের বিনিময়ে মূল্যবান তিনটি স্লগ ওভার কেটে নিল ডি-এল ভূত।
সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ধাওয়াল কূলকার্নি ভারতে প্রথম সাফল্য এনে দিলেন। তামিম ২১ বলে ১৩ রান করে ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলনে ফিরলেন। বাংলাদেশের স্কোর হয়ে গেল ১ উইকেটে ৩৪ রান। এবার সৌম্য'র সঙ্গে যোগ দিলেন গত ম্যাচেই অভিষেক হওয়া লিটন দাস। এই জুটি মূল্যবান ৫২টি রান যোগ করে বাংলাদেশকে বিপদের ঝুঁকি থেকে রেহাই দিলেন। সপ্তদশ ওভারের চতুর্থ বলে অশ্বিন ঘূর্ণি বলের জাদুতে সৌম্যকে পরাস্ত করেন। এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন সৌম্য সরকার। ক্রিজ আসলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে নিখুত ক্ল্যাসিকাল ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
২০তম ওভারের অক্ষর প্যাটেলের দ্বিতীয় বলে লিটন দাস পরাস্ত হলেন। ধোনি ক্যাচটি ধরতে একদম ভুল করেন নি। বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৯৮ রান। মুশফিকের সঙ্গে উইকেটে যোগ দিলেন শাকিব আল হাসান। শাকিব এসেই মুশফিকের সঙ্গে পরামর্শ করেন নিলেন, অ্যাটাকিং মুডেই থাকতে হবে। আমরা ঠেকানোর চেষ্টা করলে উইকেট হারাতে হবে। শুরু হল শাকিব-মুশফিকের চার ছয়ের পাল্লা। মুশফিক ১ ছক্কা ও ৩টি চার মেরে পৌঁছালেন ৩১ রানে। দ্বিতীয় রানটি না নিলেও বাংলাদেশের তেমন কোনো লোকসান হতো না। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ সেই দ্বিতীয় রানটি নিতে গিয়েই মুশফিক রোহিত শর্মার ধোনিকে ছুড়ে দেওয়া বলে দুঃখজনক রানআউট হলেন। ক্রিজে আসলেন সাব্বির রহমান। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১৫২। মুশফিক-শাকিব জুটি মোট ৫৪ রান তুলতে সক্ষম হয়।
ততক্ষণে শুধু শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে নয়, সারা দেশেই উৎসব শুরু হয়ে গেছে। কারণ, বাংলাদেশের তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ১০৭ বলে মাত্র ৪৮ রানের। হাতে তখনো ৬ উইকেট। শেষ পর্যন্ত শাকিব-সাব্বির জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকে সেই ৪৮ রান তুলতে সময় নিলেন আর মাত্র ৮ ওভার ৫ বল। ৩৮ ওভারেই বাংলাদেশ ২০০ রানের জয়ের লক্ষ্য স্পর্শ করল। ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে বাংলাদেশ টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-০ তে এগিয়ে গেল।
বাংলাদেশের শাকিব ৫১ রানে ও সাব্বির ২২ রানে অপরাজিত রইলেন। বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হারিয়ে ভারতীয় শিবিরে তখন এই ভরা জ্যোৎস্নায়ও ঘোর অমাবশ্যা। আষাঢ়ের মেঘের আড়ালে আজ যে সুন্দর জ্যোৎস্না খেলা করছে। আজকের এই দৃষ্টিনন্দন আকাশ, ভারী সুন্দর মেঘময় জ্যোৎস্না, আজকের এই শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের সুরেলা বাতাস, কিছুতেই কী আর ভারতীয় শিবিরের জন্য কোনো শান্তনা বয়ে আনছে।
ওপাশে তখন ধোনি বাহিনীর সামনেই টাইগার্স বাহিনী মাশরাফির নেতৃত্বে সিরিজ জয়ের উল্লাসে মিরপুরের আকাশ পাতাল কাঁপিয়ে গোটা শেরে বাংলা স্টেডিয়ামকেই এক টুকরা বাংলাদেশ বানিয়ে ফেলেছে। আহা এমন মধুর জয়। বিশ্বকাপের সেই বিতর্কিত কোয়ার্টার ফাইনাল যে ভারতীদের কাছেই হার মানতে হয়েছিল, শ্রীনিবাসন কেলেংকারীর ফলে। তাই আজকের এই সিরিজ জয়ের উৎসব তো একটু টালমাতাল-ই হবে।
নো ডাউড, আজকের ম্যাচেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের ড্যান্সিং রাইজিং হিরো মুস্তাফিজুর রহমান। মাত্র দুইটি একদিনের খেলায় যার উইকেট সংখ্যা ৫+৬=১১টি। ক্রিকেট ইতিহাসে এমন নজির আগে কে দেখেছে? এর আগে জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে ডেব্যু হওয়া জিম্বাবুয়ান ফাস্ট বোলার ব্রায়ান ভিট্টরি পর পর দুই ম্যাচে ৫+৫=১০ উইকেট নিয়েছিলেন। সেখানে মুস্তাফিজ নিলেন ৫+৬=১১ উইকেট।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার নেবার সময় মুস্কাফিজ ঘোষণা করলেন, আমি বরং আগামী ২৪ তারিখের ম্যাচে আরো ভালো করার ইচ্ছা রাখি। সাবাস মুস্তাফিজ। তোমার জন্য বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে ৩২ কোটি চুম্মা। এই তো বাঘের মত কথা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভারতীয় ক্যাপ্টেন এমএস ধোনি বাংলাদেশের খেলার প্রশংসা করলেন। বোলারদের দোষ না দিয়ে তিনি ব্যাটসম্যানদের দুষলেন। বললেন, স্কোর বোর্ডে এমন উজ্জিবীত বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে ২০০ রান নিয়ে লড়াই করার মত শক্তি আমাদের কোথায়? বরং আমরা বাংলাদেশ সফর বেশ উদযাপন করছি। আশা করি, তৃতীয় ম্যাচে আমাদের ছেলেরা আর হতাশ করবে না।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টাইগার্স ক্যাপ্টেন মাশরাফি বললেন, আমরা প্রতিটি উইকেট পাবার সঙ্গে সঙ্গে এক ধাপ করে জয়ের দিকে আগাচ্ছিলাম। আমরা আজকের জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি খেলা নিশ্চিত করেছি। একদিনের র্যাংকিংয়ে আমরা সাত নম্বরে উঠে গেছি। মুস্তাফিজ নিশ্চয়ই অনেক গভীর জলের মাছ। ওর বোলিং যে কত স্মার্ট তা চোখে না দেখলে বোঝা যায় না। সামনে আমাদের আরো অনেক সিরিজ খেলার সময়। দক্ষিণ আফ্রিকা আসছে বাংলাদেশ সফরে। আশা করি, আমরা এই ফর্ম ধরে রাখতে পারব।
তবে আজকের ম্যাচে বিরাট কোহলি আউট হবার পর বাংলাদেশী ফিল্ডারদের দিকে তিনি যেভাবে তাকালেন, মনে মনে কি কি বিড়বিড় করলেন, তা কিন্তু গোটা বিশ্ববাসী দেখেছে। এজন্য আইসিসি এখন বিরাট কোহলি'র জন্য কী পুরস্কার ঘোষণা করে দেখা যাক। তামিমকে আউট করার পর একই কাজ করেছে ধাওয়াল কূলকার্নি। তামিমকে খুব বাজে একটা কমেন্ট করেছে কূলকার্নি। তামিম অবশ্য ধৈর্য্যের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে মুখবুজে প্যাভিলিয়নে গেছেন। কারণ আগের ম্যাচে কোনো অন্যায় না করেও মুস্তাফিজ ধোনির সাথে যৌথ দোষী হয়ে ম্যাচ ফি'র ৫০ ভাগ হারিয়েছেন। সো, জাস্ট কুল।
বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ এখন ভারতকে একটি ধবল ধোলাই বাংলা ওয়াশের স্বপ্ন দেখছে। আগামী ২৪ জুন একই মাঠে সেই বাংলা ওয়াশ দেখার জন্য আমরা সবাই মুখিয়ে থাকব। মুস্তাফিজ সেদিন কী করেন, তা সবাই দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। কারণ, মুস্তাফিজ ঘোষণা দিয়েছে, তৃতীয় ম্যাচে আরো ভালো বল করবেন। জয়তু টিম টাইগার্স। জয়তু বাংলাদেশ ক্রিকেট।
..................................
২২ জুন ২০১৫
ঢাকা
২| ২২ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬
সুমন কর বলেছেন: অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের সকল সদস্যকে।।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৮:১৪
বুবলা বলেছেন: আমাদের মোদিজি আপনাদের দেশে গিয়ে আপনাদের উপকারের জন্য এত চুক্তি করলেন, আপনারা এমন বেইমান যে সেই উপকারের প্রতিদান দিলেন ভারত কে এভাবে হারিয়ে দিয়ে? আমাদের মোদি জি তো হাসিনা ম্যাডাম সন্গে এমন চুক্তি তো করেন নি, যে বাংলাদেশ এতো ভাল খেলবে, ধোনির প্যান্ট খুলে নেবেন। একটু নয় ধাক্কা দিয়ে ছিল আপনাদের ঐ বাচ্ছা বোলারটাকে তাই বলে সে কিনা ভারত কে এভাবে অপদস্ত করে দেব?? আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদিজি কিন্তু একটা কথা একদম ঠিক বলেছিলেন ভারত কিন্তু এখন ক্রিকেটে বাংলাদেশকে হালকা ভাবে নিলে ভুল করবে, কথাটা যে এভাবে মিলে যাবে কেও কি ভেবেছিলো?? এখানেও মোদিজি বোঝালেন তিনি কতটা দূরদর্শী সম্পন্ন মনুষ।