নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউরো মাতবরদের আধিপত্যকে সাহসি না বলেছে গ্রিস !!!

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২

ঋণ সঙ্কট সমাধানে আন্তর্জাতিক দাতাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে গ্রিস। গ্রিসের মানুষ বিশ্ববাসীর কাছে প্রমাণ করেছে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা ও দেশগুলো ঋণ দেবার সময় নানান কিসিমের শর্ত জুড়ে দেয়। গ্রিসের সাধারণ মানুষেরা মূলত আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের এই শর্তগুলোকে একবাক্যে অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইউরো মাতুব্বরদের মুখে একটা কঠিন চপেটাঘাত দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের পুনরুদ্ধারের প্রস্তাব (বেইল আউট) প্রত্যাখ্যান করে গ্রিসের জনগণ সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গ্রিসে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত গণভোটে ‘না’ জয়ী হয়েছে। চূড়ান্ত ফলে ‘না’ ভোট পড়েছে ৬১ দশমিক ৩ শতাংশ। ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছে ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ। মোট ভোট পড়েছে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ। এখন জুলাই মাসের মধ্যে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) ৩০০ কোটি ইউরো গ্রিসকে ফেরত দিতে ঋণদাতারা চাপ প্রয়োগ করতে পারে। এমনকি গ্রিসকে ইউরোজোন থেকে বের করেও দিতে পারে।

পাঁচ বছর আগে থেকে গ্রিসের এই সংকটের শুরু। অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আইএমএফের কাছে পাঁচ বছর আগে সাহায্যের আবেদন করেছিল গ্রিস। ২০১১ সালের মে মাসে ইউরোজোনের প্রথম দেশ হিসেবে ইইউ ও আইএমএফের কাছ থেকে আর্থিক পুনরুদ্ধার (বেইলআউট) প্যাকেজ গ্রহণ করেছিল গ্রিস। তখন এসব আন্তর্জাতিক ঋণদাতারা এথেন্সকে ১১০ বিলিয়ন ইউরো ঋণ দেয়। কিন্তু এরা তখন ঋণের শর্তে জুড়ে দিয়েছিল যে শ্রমিকদের বেতন ভাতা কমাতে হবে এবং কর বাড়াতে হবে। ঋণদাতাদের এই ঋণের শর্ত পালন করতে গিয়ে চড়া মূল্য দিতে হয় গ্রিসের জনগণকে।

২০১১ সালের অক্টোবরে গ্রিসের অর্থনৈতিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় পর ১৩০ বিলিয়ন ইউরোর দ্বিতীয় বেইলআউট প্যাকেজ প্রস্তাব ঘোষণা করে ইউরোজোন। ঋণের এই অর্থে চলতে থাকে দেশটি। আর এ জন্য নাগরিকদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই সময়ে পেনশন, বেতন ও সরকারি সেবায় ব্যাপক কাটছাঁট হয় গ্রিসে। কিন্তু এভাবে ঋণ নিয়ে আর কত? যেসব শর্তে ইইউ ও আইএমএফ ঋণ দিয়েছিল, তা পুনর্বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পার্লামেন্ট নির্বাচনে বড় জয় পায় আলেক্সিস সিপ্রাসের নেতৃত্বাধীন ব্যয়-সংকোচনবিরোধী সিরিজা পার্টি। এরপর ফেব্রুয়ারিতে গ্রিস ও ঋণদাতাদের মধ্যে মতৈক্য হয় যে জুন পর্যন্ত ঋণসহায়তা অব্যাহত রাখা হবে। বিনিময়ে বিভিন্ন সংস্কার পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় এথেন্স।

গত ২ জুন সংস্কার প্রশ্নে গ্রিসকে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেয় ঋণদাতারা। প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস তা প্রত্যাখ্যান করেন। গতকালের গণভোটেও তারই প্রতিফলন ঘটল। এখন কীভাবে এই অবস্থা থেকে গ্রিস উদ্ধার পাবে, সেটিই দেখার বিষয়। আসলে গণভোটের ফলাফল ইউরোপের বিপক্ষে নয়, বরং ঋণ সংকট মোকাবেলায় আলোচনার ক্ষেত্রে দেশটির সামর্থ্য বৃদ্ধির পক্ষে ভোট দিয়েছে গ্রিসের সচেতন ভোটাররা। নানান কিসিমের ঋণের শর্ত জুড়ে দিয়ে ইউরো জোনের অন্য আঠারোটি দেশ যে প্রস্তাব দিয়েছে, তার বিপক্ষেই আসলে গ্রীস সমর্থন দিয়েছে।

আসলে ইউরো মাতুব্বরদের বেইলআউট প্রস্তাবকেই গ্রিসের মানুষ আর বেইল দেয়নি। মাতুব্বরদের মুখে চুনকালি লাগিয়ে দিয়েছে গ্রিসের সাহসী সন্তানেরা। তোমরা ধনি বলে আমাদের ঋণ দেবা, আবার ঋণের সঙ্গে কিছু অন্যায্য শর্ত জুড়ে দিবা, এভাবে আর কতকাল মাতুব্বরি করবা মনু? এই কথাটিই সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে গ্রিসের ভোটারগণ। বেইলআউট প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এখন গ্রিসকে ইউরো জোন থেকে বের করে দেবার জন্য ইউরো মাতুব্বরদের ঘুম হারাম। ইউরো জোন থেকে বের হলে কি হবে? একক মুদ্রা হিসেবে ইউরো গ্রিসে বন্ধ হবে। সেক্ষেত্রে গ্রিসের নিজস্ব মুদ্রা দ্রাকমা আবার চালু হবে। ২০০১ সালে গ্রিস দ্রাকমা থেকে ইউরো মুদ্রা প্রবর্তন করে। অর্থনৈতিক লেনদেন ২০০১ সালের আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।

তাতে কি গ্রিসে অর্থনৈতিক সংকট আরো ঘনীভূত হবে? মোটেই না। একটি দেশ এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে পারে। গোটা ইউরোপকে টেক্কা দিয়ে এখান থেকেই গ্রিসের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে গ্রিসকে কিছু কঠিন বিষয় মেনে নিতে হবে। এবং সেগুলো থেকে উত্তরণের পথে কঠোর সংগ্রাম করতে হবে। গত সপ্তাহ জুড়ে ব্যাংকগুলো বন্ধ রাখে সরকার, পাশাপাশি এটিএম বুথ থেকে দিনে ৬০ ইউরোর বেশি না তোলার বিধান জারি হয় গ্রিসে। সামনে এমন আরো কঠিন দিন গ্রিসের সামনে আসলেও এই সংকট কাটিয়ে উঠতে গ্রিসের মানুষেরা সাহসি হয়ে উঠছে। এটাই আশার কথা।

অ্যাথেন্সের রাস্তায় রাস্তায় হাজার হাজার গ্রিসবাসীর এভাবে নেচে গেয়ে পতাকা উড়িয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশের এমন বিরল দৃশ্য নিকট অতীতে খুব একটা দেখা যায়নি গ্রিসে। সেন্ট্রাল স্কয়ারে উড়ন্ত পতাকার ঢেউ, মাতোয়ারা গ্রিকদের উল্লাস, আতশবাজির শব্দ দাতাদের কানে না পৌঁছুলেও তাদের নানান কিসিমের শর্তকে ‘না’ বলে দেওয়ার ‘সাহস দেখিয়েই’ সঙ্কট থেকে উত্তরণের আলো খুঁজছে এখন গ্রিসবাসী।

আপাত সংকটগুলো হল ব্যাংক বন্ধ থাকায় গ্রিসের অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা অবসরভাতা তুলতে পারছেন না। আর্থিক অবস্থায় ভারসাম্য ফেরাতে করকাঠামো চাঙা করতে হবে। ইউরোপের দেশ হলেও গ্রিসের কর আদায় এখনো বাংলাদেশের মত অপর্যাপ্ত। গ্রিসের কর নিরীক্ষণ সংস্থার পরিচালক নিকোস লেকাস ২০১২ সালের এক হিসাবে দেখিয়েছেন, প্রতিবছর গ্রিসে কর খাত থেকে প্রাপ্ত আয় ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। এই ক্ষতির পরিমাণ ৪০ থেকে ৪৫ বিলিয়ন ডলার। গ্রিসের জিডিপিতে এই ক্ষতির হার ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। গ্রিসকে এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে।

গ্রিসে বিদেশি বিনিয়োগের হার দিন দিন কমে যাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধান করতে গ্রিসের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে আরো সহজ করতে হবে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবসায় বিনিয়োগ বাড়াতে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে গ্রিস প্রশাসনে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনতে হবে। এতে বিদেশিরা বিনিয়োগের জন্য গ্রিসকে নিরাপদ মনে করবে। স্থিতিশীলতা ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা সম্ভব নয়।

গ্রিস নানা সম্পদে সমৃদ্ধ। বিশেষ করে জ্বালানি ও সৌর সম্পদে ভরপুর। এসব সম্পদ কাজে লাগিয়ে দেশটির বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ৭০ শতাংশ চাহিদা মেটানো সম্ভব। এছাড়া গ্রিসে অর্থনীতির বেশ কিছু সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে। যেমন পর্যটন, কৃষি, বন্দর খাত। কিন্তু অর্থনীতির সম্ভাবনাময় এই খাতগুলোতে এখন মন্দা চলছে। গ্রিসের অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য এই সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে এখন শক্তিশালী করতে হবে। গ্রিসের জনগণকে এই বিষয়ে এখন গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি বেকারত্ব দূর করার জন্য আপোদকালীন নানা কর্মসূচি গ্রহন করতে হবে। রপ্তানি বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের নানান উদ্যোগ নিতে হবে।

গ্রিসের জনগণ যদি স্বচ্ছতার সঙ্গে অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য এই সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে দৃড়ভাবে কাজে লাগাতে পারে, তাহলে ইউরো মাতবরদের খবরদারির একটা জুতসই জবাব তখন কার্যকর হবে। নতুবা গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে একদিনে ইউরো জোন থেকে বের হয়ে বড়-মিঞাদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে চলাটা মোটেও সহজ হবে না গ্রিসের জন্য। তবুও অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, ইউরো মাতবররা নিজেদের ইজ্জ্বত পুনরুদ্ধার করার জন্য রাতের অন্ধকারে এখন গ্রিসকে নানান সংস্কার উদ্যোগের পরামর্শ দেবে। প্রয়োজনে সহজ শর্তে ঋণ ধরিয়ে দেবার চেষ্টা করবে ইউরো গডফাদারগণ। আর তার লক্ষণ তো এখনই দেখা যাচ্ছে।

আজ সোমবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। গণভোটের ফল নিয়ে ফোনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর। ম্যার্কেল ও ওলাঁদ গতকাল রাতে ফোনে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী সিপ্রাসের সঙ্গে কথা বলেছেন। গ্রিসের জনগণের রায়ের প্রতি সম্মান দেখাতে তাঁরা একমত হয়েছেন। গণভোটের ফলের প্রেক্ষাপটে ইউরোজোনের নেতাদের নিয়ে কাল মঙ্গলবার একটি সম্মেলন করার অনুরোধ আসার পর তাতে তাৎক্ষণিক সায় দিয়েছেন ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক। ইউরোপীয় কমিশন এই গণভোটের ব্যাপারে আঁটোসাঁটো বিবৃতি দিয়েছে। এতে গণভোটের ফলাফলে প্রতি সম্মান দেখানোর কথা বলা হয়েছে। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জাঁ-ক্লদ জাঙ্কার আজ ইসিবির প্রধান ও ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের নেতা ডিজেলব্লোয়েমের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করবেন।

সো, গ্রিসের জনগণ ইউরো ঋণ কসাইদের মুখে যে চটকানি দিয়েছে, তা যে তারা এখন ধীরে হলেও হজম করতে শুরু করেছে এটাই দেখার বিষয়। গ্রিস নিজের পায়ে দাঁড়ালে ইউরো বণিক কসাইদের ঋণ ব্যবসা আর থাকে না। গোটা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে গরিব হল গ্রিস। তাই ধনিদের যত শর্ত সেই গরিবদের বিপক্ষে। গ্রিসের গণভোটের রায় শুধু বেইলআউট প্রস্তাবকেই না করা নয়, গোটা বিশ্বে ধনিদের আধিপত্যকে ইগনোর করার জন্য গরিবদের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত গতে পারে। ধন্যবাদ গ্রিসবাসী। ধন্যবাদ বেইলআউটে না।

.......................................
৮ জুলাই ২০১৫
ঢাকা







মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: ইউরো জোন থেকে বের হলে কি হবে? একক মুদ্রা হিসেবে ইউরো গ্রিসে বন্ধ হবে। সেক্ষেত্রে গ্রিসের নিজস্ব মুদ্রা দ্রাকমা আবার চালু হবে। ২০০১ সালে গ্রিস দ্রাকমা থেকে ইউরো মুদ্রা প্রবর্তন করে। অর্থনৈতিক লেনদেন ২০০১ সালের আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।
!!!!
এই কথা কি মন গড়া!


গ্রিসের এই অবস্থার জন্য গ্রিস ই দায়ী। সরকারী আমলা কামলাই ডুবিয়েছে। ১ টাকার বেতন পেয়েছে ১০ টাকা বা করিয়ে নিয়েছে। ইউরো মানেই বিলাসিতা নয়। তবে ইউরো তে আসলে অর্থনৈতিক উন্নতি থেকে অবনতি ই হয়েছে, যা হবার কথা নয়। গ্রীস না থাকলে ইউরোর মান বাড়বে। আমিও চাই না গ্রিস, রোমানিয়া, বুলগেরিয়ার মত সল্প আয়ের ইউরোর দেশ গেলো ইউরোতে থাকুক,।

হাতে গোনা। কয়েক টা শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ নিয়ে ইউরো থাকলে ডলার কে ছাড়িয়ে যাবে শিউর।।। বুলেগেরিয়া রোমানিয়ায় এমনিতেই জার্মান অস্ট্রিয়ান দের বিনিয়োগ আছে। আর কত হেল্প!

গ্রীস কে হেল্পও কর আবার আপনারদের মত মানুষের কাছে কথাও শোন!

গ্রীসের প্রচুর লোক জার্মান অস্ট্রিয়ায় কাজ করে!!!!! তাদের কে দেশে ফিরে কাজ করতে বলা হোক, তারা এসেছে ইউরোতে ঢুকার পর আরো বেশি!

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

রেজা ঘটক বলেছেন: ধন্যবাদ রিফাত হোসেন। না মনগড়া নয়। গ্রিস যদি ইউরো থেকে বের হয়ে আসে, তাতে ওদের বরং মঙ্গল। কিন্তু ইউরো মাতবরগণ এখন আবার নানান প্রস্তাব নিয়ে নতুন করে জল ঘোলা করার চেষ্টা করবে। দেখেন!

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

ভ্যাম্পায়ার রনি বলেছেন: এই সংকট অচিরেই কেটে যাবে নিশ্চয়

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

রেজা ঘটক বলেছেন: গ্রিসের মানুষ যে দু"সহস দেখিয়েছে, অবশ্যই তারা এই সংকট কাটিয়ে উঠবে বলে মনে করি। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

রামন বলেছেন:
গ্রিসকে ইউরো জোনে অন্তর্ভুক্ত করাটা ছিল একটি ভুল৷ অবশ্য এই ভুলের জন্য জোনকে একক ভাবে দায়ী করা যাবে না কারণ সে সময় গ্রীস মিথ্যা তথ্য ও জালিয়াতি করে অভিন্ন মূদ্রাতে প্রবেশ করেছিল। গ্রীস ইউরো জোনের দেশ হলেও বাংলাদেশের মত দুর্নীতিগ্রস্থ একটি দেশ৷ অভিন্ন মুদ্রায় প্রবেশ করার পর দেশটি ইসি ও ঋণদাতাদের কাছ থেকে যে অর্থ পেয়েছিল সেগুলো সঠিক খাতে না ব্যয় করে অধিকাংশ অর্থ রাজনীতিক ও আমলারা লোপাট করেছে। আজকে যুক্তরাজ্যে আবাসন মূল্য আকাশচুম্বী হওয়ার পেছনে সেদেশের দুর্নীতিবাজদের অবদান অনস্বীকার্য। এই দেশটি রসাতলে যাওয়ার আরো কারণ দুর্নীতিবাজদের বিচার না করার সংস্কৃতি এবং কর আদায়ে সরকারের ব্যর্থতা।
এগুলো সত্বেও ইসি কয়েকটি খাতে কৃচ্ছতা সাধনের শর্তে আই এম এফ এর পাওনা কিস্তির টাকাটা দেয়ার অঙ্গীকার করেছিল। যেমন পর্যটন খাতে ভ্যাট ৫% থেকে বৃদ্ধি, অবসর গ্রহনের সময় সীমা ৫২ বছর থেকে ৬২ বছর৷ বলাবাহুল্য বর্তমানে সংকটে জর্জরিত স্পেন এ ভ্যাটের পরিমান ২১% এবং অবসর গ্রহনের মেয়াদ ৬৫ থেকে ৬৭ বছর করা হয়েছে।

সে যাইহোক গণভোটে আলেক্সি সিপ্রাস জয়লাভ করেছে ঠিকই কিন্তু হেরেছে গ্রিসবাসী। গ্রীস ইউরো জোন থেকে চলে যাওয়ার অর্থ আরও রসাতলে যাওয়া। আজ থেকে ব্যাংক খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে কিন্তু সবাইকে পেনশন দেয়ার মত অর্থ ব্যাংকে নেই। ব্যবসা বানিজ্য সবই স্থবির হয়ে গেছে। সহসা দ্রাগমা চালু হওয়ার পরিকল্পনা নেই যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন জরুরি ভিত্তিতে অর্থ প্রবাহ দিতে রাজি আছে। এরপরও গ্রীসবাসীদের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন ও অন্ধকারচ্ছন্ন ভবিষ্যত।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:০০

বাংলার জামিনদার বলেছেন: আমরা যেমন বিশ্বব্যাংক কে না কইছিলাম। তাতে কি আমরা কি ভাইসা গেছি।

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: গ্রীস মানতে বাধ্য হল, যত ই হোক গণভোট। গ্রীস এমনিতেই দেউলিয়া ইইউ ছাড়া কাউকে পাবে না।
গ্রীসের উচিত শিক্ষা হয়েছে, তবে জনগনের রাগ টা সরকারের উপর পরলে ভাল হত, ইইউ হেল্প করতে চাচ্ছে, খারাপ কিচ্ছুই বলে নাই, শর্ত গুলি তাদের উপকারের জন্য!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.