নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাকাত আনতে গিয়ে মৃত্যু এবং কয়েকটি প্রশ্ন !!!

১০ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

বাংলাদেশে একটা বিষয় দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত, যদি কেউ কিছু দান করে, তা পাড়া-পরশি-প্রতিবেশী-পরিবেশী সব্বাইরে ডেকে দেখায়। এই দেখো আমি কত্তো বড় দানবীর হাজী মুহম্মদ মুহসীন। দেশের বিভিন্ন বিপর্যয়ের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভান্ডারে কেউ দান করলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলে সেই ছবি প্রচার করার হিরিক লাগে। এই যে দেখো, আমি দান করেছি। পত্রিকায় সেসব দানকারীদের সহাস্য ছবি ছাপা হয়। টেলিভিশনে পারলে সেই দানের অনুষ্ঠান লাইভ দেখায়। দানের আড়ালে নিজের পাবলিসিটিই এখানে মুখ্য।
এর আড়ালে আরো যেসব বিষয় গৌন হিসেবে থাকে তাহল, কর ফাঁকি দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি ক্রয়ে সুবিধা আদায়, প্রধানমন্ত্রীর আনুকল্য পাবার চেষ্টা, ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আবির্ভাবের পূর্বাভাষ, সরকারের উচ্চ মহলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ স্থাপন করা, ভিআইপি, ভিভিআইপি, সিআইপি মর্যাদা লাভের বাসনা, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পাবার লোভ ইত্যাদি। দানের আড়ালের এসব বিষয় বাস্তবায়নে এক ধরনের সুবিধা আদায় করাই আমাদের তথাকথিত এসব দানকারীদের এক ধরনের স্থির লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত।
পাশাপাশি অন্য একটি চিত্রও আমরা দেখি। কেউ দান করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকেন। কিন্তু নাম প্রকাশে ইচ্ছুকের সংখ্যাই দেশে বেশি। এই মানুষগুলোর দানের চেয়ে লোভ বেশি। দানের চেয়ে আরো বড় দান ভাগানোর প্রচেষ্টাও বেশি। উদ্দেশ্য একেবারে দিনের আলোর মত পরিস্কার। দানের বেলায় এটাই বাংলাদেশের একটি প্রচলন এখানে দীর্ঘদিন ধরে চালু। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কেউ এক লাখ টাকা দান করেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে সেই চেক তুলে দিচ্ছেন এমন ছবি এরা তাদের ড্রয়িংরুম, অফিস-আদালত, চেম্বার সবখানেই হাজার হাজার কপি কাঁচের ফ্রেমে বাঁধিয়ে টানিয়ে রাখেন। এই দেখো আমি দান করেছি। এটা প্রচারের উদ্দেশ্যেই করা হয়। মতলব খুব পরিস্কার। এটা দেখিয়ে এবার আরো বড় দান ঘরে তোলার পালা।
এটা বড়লোক পাড়ার এখন এক ধরনের প্রতিযোগিতার মত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দানের এই প্রচারে খোদ রাষ্ট্রও পিছিয়ে নেই। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, সাংসদ, চেয়ারম্যান, শিল্পপতিরা যে যেখানে কাউকে কিছু দান করছেন, তার বিভিন্ন ধরনের ছবি সর্বত্র অহরহ দেখা যায়। সেসব ছবি নির্বাচনী প্রচার কাজেও ব্যবহার করা হয়। গরিব ভিক্ষুক পাঁচ কেজি চাল নিচ্ছেন, মন্ত্রী বাহাদুর চালের ব্যাগ ভিক্ষুকের হাতে তুলে দিচ্ছেন, সঙ্গে একটা শাড়ি, এমন ছবি আমরা প্রায়ই দেখি। এই যে দান করার সঙ্গে প্রচারের হিরিকের একটা ব্যাপার, এটা বাংলাদেশে সংক্রামকের মত এখন কার্যকর।
কেউ দান করলেই সেই ছবি বা সেই দানের খবর প্রচারের একটা তীব্র প্রতিযোগিতাও এখন দেখা যায়। অনেকে পত্রিকায় সেই ছবি বিজ্ঞাপন দিয়ে জানান দেন, প্রিয় দেশবাসী, অমুক ঘটনায় আমি অমুক এত টাকা দান করেছি। এই যে দেখেন তার ছবি। এবার বলুন আমি সমাজসেবা করছি কিনা! আগামীতেও আমি এভাবে আপনাদের পাশে থেকে জনসেবায় শরিক হতে চাই। আহা মাভৈ মাভৈ।
যাকাত একটি ধর্মীয় রীতি হলেও এটি আসলে একধরনের দান। যার যেমন সামর্থ্য তার ততটুকু দান করার কথাই ধর্মীয় রীতিতে বলা আছে। পাশাপাশি ধর্মীয় রীতিতে আরেকটি সতর্ক বার্তাও আছে। এক হাতে দান করলে অন্য হাত যেনো তা টের না পায়। ধর্মীয় এই সতর্ক বার্তার মানে আমি যতটুকু বুঝি, তা হল দান করার বিষয়টি প্রচার না করার জন্যই এই সতর্কতা উচ্চারণ করা হয়েছে। যিনি দান করছেন আর যিনি সেই দান গ্রহন করছেন, এই দু'জন ব্যতিত তৃতীয় কেউ যাতে এই দানের খবর না পায়, সেজন্যই এই ধর্মীয় সতর্কতা।
কিন্তু বাস্তবে ধর্মের সেই রীতি পালন করতে গিয়ে যাকাত দেবার নামে বাংলাদেশে কি হচ্ছে? কবে কখন কোথায় কে যাকাত দিচ্ছে, তার পোস্টারও ছাপানো হয়। মাইকে প্রচার করা হয়। ফলে যাকাত পাবার সুযোগ জেনে গরিব মানুষ দলে দলে সেখানে গিয়ে ভিড় করে। অথচ যাকাত দেবার বিষয়টি ধর্মীয় রীতিতে এত জানাজানির ব্যাপার হবার কথা না। কিন্তু মানুষ দেখানোর জন্য, প্রচারের জন্যই এটাকে পুঁজি করে সমাজসেবার সিল পেতে চাইছে। যাতে ভবিষ্যতে নির্বাচনে দাঁড়ানো যায়। এমপি-মিনিস্টার হওয়া যায়। অন্তত নিদেন পক্ষে অমুক সাহেব তো বলবে মাইনষে। তিনি যে একজন সমাজসেবক সেই লাইসেন্স আদায় করতে চায় এই দানের ছবির প্রচার করে।
বাংলাদেশে প্রায় প্রতি বছর ঈদের সময় সারা দেশ পোস্টারে ছেয়ে যায়। কিসের পোস্টার? এসব দানবীররা নিজেদের ছবি এবং ছবি'র পাশে নিজের দলের প্রধানের ছবি সেঁটে দিয়ে দেশবাসি বা এলাকাবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এই যে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, এর আড়ালের খবরটি হয়ত এমন যে, এই পোস্টার ছাপানোর নামে বিশাল চাঁদাবাজি করেছে সেই নব্য সমাজসেকব বা রাজনীতিক। মানুষ এই পোস্টারে দেওয়া ঈদের শুভেচ্ছা ঠিক মত পাক বা না পাক, এর পেছনের চাঁদাবাজির সময় যারা চাঁদা দিতে বাধ্য হয়েছেন, কেবল তারাই জানেন, সেই লোক কেমন টাইপের সমাজসেবক।
আজ সকালে ময়মনসিংহ শহরের অতুল চক্রবর্তী রোডে যাকাতের নামে যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, এটি সারা দেশের যে কোনো দানের বেলায় ঘটলেও অবাক হবার কিছু নেই। কারণ, গরিব মানুষ কিছু একটা পাবে শুনলে সেখানে ভিড় করবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেই ভিড়ের মধ্যে তাড়াহুড়ো লাগলে এমন ঘটনা ঘটাও স্বাভাবিক। এখন প্রশ্ন হল যাকাত দানকারী নূরানী জর্দার মালিক ব্যবসায়ী শামীম তালুকদার কি এই ঘটনায় এখন হত্যা মামলার আসামি হবেন? নাকি রাষ্ট্র তাকে লোক দেখানো গ্রেফতারের নাটক করলো?
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার না করে শামীম তালুকদার যেভাবে যাকাত প্রদানের ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, সেই দায়ে হয়তো তার সাজা হবে। কিন্তু বাংলাদেশের আইনে এমন ঘটনায় কী ধরনের সাজার ব্যবস্থা আছে? বাংলাদেশে কেউ যদি মাইকে ঘোষণা করে যে, এখানে ফ্রি পানি পড়া দেওয়া হচ্ছে। হুজুরের বা সন্যাসীর বা পাগলের বা পাগলীর পানি পড়ায় যে কোনো বালা মছিবত, রোগ বালাই সব দূর হয়। একবার ভাবুন তো সেখানে কেমন ভীড় হতে পারে?
আমি নিশ্চিত ওই ফ্রি পানি পড়া আনার জন্য সেখানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় হবে। মানুষ শুধু এই খবরটি পেলেই ছুটতে শুরু করবে। কোথায় পানি পড়া দিচ্ছে, এই খবরটি শুধু বাংলাদেশের গরিব, অশিক্ষিত, মুর্খ্য, কুসংস্কারে বিশ্বাসী এসব মানুষের দরকার। তারপর তারা সেই পানি পড়া পাবার লোভে সেখানে হামলে পড়বে। বাংলাদেশে এখনো শতকরা ৯৮ ভাগ পরিবার পানি পড়ায় বিশ্বাস করে। এরা আমার ধারণা। আপনি বিশ্বাস করেন না, কিন্তু আপনার পরিবারের কেউ না কেউ অবশ্যই করেন।
প্রতি শুক্রবার রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশে মসজিদ গুলোর সামনে দান খয়রাত পাবার জন্য গরিব মানুষের যে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়, শুধুমাত্র শুক্রবার বাংলাদেশের মসজিদ গুলোর সামনে শুমারি চালানো হলে, বাংলাদেশের গরিব মানুষের প্রকৃত সংখ্যাটি খুব সহজেই চট করে বের করা যাবে। সেই সংখ্যাটি দিয়ে বাংলাদেশের চরম দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাসরত মানুষের সংখ্যাও আবিস্কার করা সম্ভব। যারা অর্থনীতির ছাত্র, তারা চরম দারিদ্র্য সীমার নীচে কত জন বাংলাদেশী আছে, বের করতে চাইলে এর চেয়ে সহজ পদ্ধতি হয়তো আর নেই।
এমন কি সরকারের অর্থ মন্ত্রণলায় চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসরত মানুষের প্রকৃত সংখ্যা জানার জন্য এ ধরনের জরিপ কাজ চালাতে পারে। কাজটি পরিসংখ্যান ব্যুরোও করতে পারে। তাতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে আর এই চরম দরিদ্র মানুষগুলোর জন্য সঠিক বাজেট বরাদ্দ করতে বা ভর্তুকি দিতে আন্দাজের উপর নির্ভর করতে হবে না। কত টাকা করে সরকার এদের দিতে চায়, তা সহজেই বের করা যাবে তখন।
দেশের ভিক্ষুক ও গরিব মানুষের সংখ্যা এভাবে সহজেই বের করা সম্ভব। কিন্তু দেশে ধনি লোকের সংখ্যা কত তা বের করাটা বেশ জটিল। কারণ কিছু লোক তো স্বীকারই পাবে না যে সে ধনি। কারণ স্বীকার পাবার কথা উঠলে তার সঙ্গে কর দেওয়ার মত ঝুঁকি রয়েছে। ঢাকা শহরের কত জন বাড়িওয়ালা সরকারকে ঠিকমত ট্যাক্স দেয়? আমার ধারণা শতকরা ৯৮ ভাগ বাড়িওয়ালা সরকারের কর ফাঁকি দেয়।
বাড়িওয়ালারা বাড়িভাড়া কত আদায় করে আর সরকারকে কত টাকা দেখায়, এটা বরং বাংলাদেশের সবচেয়ে আশ্চার্য ধাধা হতে পারে। সেজন্য সরকারের কর বিভাগের লোকজন যদি ঘুষ খাওয়া ছেড়ে দিত, তাহলে বাড়িওয়ালাদের হিসাবে ফাঁকি দেবার যে সব পদ্ধতির কথা আমি জানি, সেগুলো তাদের শিখিয়ে দেওয়া যেত। প্রয়োজনে তাদের জন্য তিন সপ্তাহ ফ্রি ক্লাস নিতাম কিভাবে বাড়িওয়ালাদের কর ফাঁকি দেওয়ার ফাঁকিবাজি ধরবে তা শেখানোর জন্য। কিন্তু বাড়িওয়ালাদের চেয়ে করবিভাগের লোকজন যেহেতু আরেক ধাপ উপরের মাল। এরা এই ফ্রি ক্লাসের ধার ধারে না। এরা বরং বাড়িওয়ালাদের কর ফাঁকিতে সুযোগ করে দিয়ে টুপাইস কামাবে এটাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য স্বীকৃত রীতি। এখানে সরকার, কর বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, এসব লোক দেখানো একটা ভাওতাবাজি।
বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। কেমন মধ্যম আয়ের দেশ? বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ এর হিসাবে কোনো দেশের মাথাপিছু গড় আয় যদি এক হাজার ৪৫ মার্কিন ডলারের কম হয়, তাহলে সেটি গরিব দেশ। কোনো দেশের মাথাপিছু গড় আয় যদি এক হাজার ৪৬ মার্কিন ডলার থেকে ৪ হাজার ১২৫ ডলার হয়, তাহলে সেটি নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। কোনো দেশের মাথাপিছু গড় আয় যদি ৪ হাজার ১২৬ মার্কিন ডলার থেকে ১২ হাজার ৭৩৬ ডলার হয়, তাহলে সেটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ। আর ১২ হাজার ৭৩৭ মার্কিন ডলারের বেশি মাথাপিছু গড় আয়ের উপরের দেশগুলো হল ধনি দেশ। বাংলাদেশের এখন গড় মাথাপিছু আয় সরকারি হিসেবে এক হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার। তাই বাংলাদেশ এখন নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ।
এখন একটি প্রশ্ন হতে পারে, বাংলাদেশে ভিক্ষুকের প্রকৃত সংখ্যা কত? চরম দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা কত? দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা বা কত? এমন কি বাংলাদেশে ধনির প্রকৃত সংখ্যা বা কত? এই সংখ্যা গুলো বাংলাদেশে ভূতের মত অজানা কয়েকটি সংখ্যা। এই সংখ্যা গুলো বের করার তাগিদও সরকারি ভাবে তেমন নেই। কারণ, এই সংখ্যা গুলো দিয়ে অনেক দেন দরবার, লেনদেনের কাজ চলে। যা সাধারণ মানুষের না বুঝলেও চলবে। যাকে বলে রাষ্ট্রীয় ব্যাপার স্যাপার।
কিন্তু প্রশ্ন হল, নিম্ন মধ্যম আয়ের একটি দেশে আজ ১০ জুলাই ২০১৫ তারিখ সকালে ময়মনসিংহ শহরের অতুল চক্রবর্তী রোডে যাকাতের দান আনতে গিয়ে পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে ২৭ জন হতভাগ্য গরিব মানুষ মারা গেছে, এই বিষয়ে খোদ রাষ্ট্র এখন কী জবাব দেবে? তাহলে কী বাংলাদেশের গোটা সিস্টেমের ভেতরেই গোড়াতে কোনো বড় ধরনের ভুল লুকিয়ে আছে? আর রাষ্ট্র সেই ভুলের ব্যাপারটি জেনেও না জানার ভান করছে? এবারের ঈদের আনন্দ যে ময়মনসিংহ শহরের অতুল চক্রবর্তী রোডের আজকের মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে মাটি হয়ে হয়ে গেল, তার এখন কী হবে!!!

........................................
১০ জুলাই ২০১৫
ঢাকা


মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দান এমন হওয়া উচিত যেন ডান হাতের দানের কথা বাম হাত না জানে। আর আমাদের দেশে হচ্ছে এসব!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.