নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাটসম্যানদে দায়িত্বহীনতা আর কত!!!

১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টিটুয়েন্টিতে বাংলাদেশ হেরেছিল ৫২ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ উইকেটে ১৪৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৯৬ রানে অলআউট হয়েছিল। দ্বিতীয় টিটুয়েন্টিতে বাংলাদেশ হেরেছিল ৩১ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ উইকেটে ১৬৯ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৯.২ ওভারে ১৩৮ রানে অলআউট হয়েছিল। আজ প্রথম একদিনের ম্যাচে বাংলাদেশ কার্টেল ম্যাচে ৪০ ওভারের খেলায় আবারো ৩৬.৩ ওভারে ১৬০ রানে অলআউট হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১.১ ওভারে ১৬৪ তুলে ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয়। ৩ ম্যাচ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ১-০ তে এগিয়ে গেল।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের এখন নতুন করে ভাবতে হবে। পরপর তিনবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে অলআউট। কোনো ম্যাচেই পূর্ণ ওভার খেলার সামর্থ্য দেখাতে পারছে না। এই ব্যাটিং ব্যর্থতাকে এখন কি বলা যায়? ব্যাটসম্যানদের এমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন ব্যাটিং পরপর তিনটি ম্যাচেই। কোনো নতুনত্ব নেই। সমস্যা টা কোথায়? আমার মনে হয় সমস্যা টা মেন্টাল। অলআউট হবার আতংকে পেয়েছে টাইগার্সদের।
আজ দক্ষিণ আফ্রিকার ডেব্যু ফাস্ট বোলার রাবাদা ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারেই হ্যাট্রিক দিয়ে ক্যারিয়ারের একটি চমৎকার সূচনা করলেন। ৪০ ওভারের কার্টেল ম্যাচে মোট ৮ ওভার বল করার সুযোগ পেয়ে ৩টি মেডেন ওভার সহ ১৬ রানে ৬টি উইকেট দখল করেন। আজকের ম্যাচে ডেব্যু হওয়া এক রাবাদার কাছেই পুরো টাইগার্স বাহিনী আত্মসমর্পন করেছে। এ বড় লজ্বার পরাজয়। দীর্ঘদিন টাইগার্সরা এমন গ্লানিকর পরাজয় অন্তত একদিনে বরণ করে না।
আমার ধারণা, দলে আজকে আটজন ব্যাটসম্যান নেওয়ায় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক ধরনের সংখ্যাধিক্যের কারণে দায়িত্বহীনতার প্রবনতাটি সংক্রামিত হয়েছিল। আমি না পারলে পরের জন করে দেবে। মাত্র ৩৬.৩ বলে একদিনের খেলায় বাংলাদেশ অলআউট এটা কয়েক বছর আগে হলে মানা যেত। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সদ্য দাপটের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল দলটি পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে দারুণ পারফম্যান্স করার পর হঠাৎ করেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এসে কোন রোগে পেল? এটা মানসিক সংক্রামক রোগ। এর একটাই ওষুধ দলে ব্যাটসম্যান কম নেওয়া। ৫+৫+১ ফরমেটে আদর্শ দল গঠন করা উচিত। পাঁচজন ব্যাটসম্যান, পাঁচজন বোলার ও একজন অলআউন্ডার দিয়ে বাকি দুইটি ম্যাচে দল গঠন করা উচিত। নইলে এই রোগের আর কোনো টিকা নাই। টিটুয়েন্টির পর একদিনের খেলায়ও হোয়াইট ওয়াশের আশংকা এখন টাইগার্সদের আকাশে।
এখান থেকে মুক্তির একটাই উপায় আগামী ম্যাচে জিততেই হবে, এমন মানসিকতায় মাঠে নামা। সে অনুযায়ী দল গঠন ও প্রস্তুতি নেওয়া। তামীমকে বাদ দিয়ে লিটন আর সৌম্যকে দিয়ে ওপেন করিয়ে টাইগার্স বাহিনী একটা পরীক্ষাও করতে পারে। সেক্ষেত্রে ওয়ান ডাউনে আমানুলকেই আমার পছন্দ। দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম আর জুবায়েরের বদলে নিতে চাই আমানুল আর রুবেলকে।
দেখা যাক টাইগার্স বাহিনী এখন কেমন প্রস্তুতি নেয়। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ হারলেই হোয়াইট ওয়াশের সংক্রামক আরো জোড়ালো হবে। তাই টাইগার্সদের যা করার দ্বিতীয় ম্যাচেই করতে হবে। ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ওখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ওখানে অবস্থান করলে চলবে না। একদিনের ম্যাচে ২৫০ রানের নিচে করা মানে টাইগার্সরা নিজেদের আগের যোগ্যতাকেও উপহাস করা। বিষয়টি সবাই আজ রাত থেকেই মাথায় নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। শুভ কামনা টাইগার্সদের জন্য।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪৯

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: বেশী লাফানো উচিত না, দলকে আরও সময় দিয়ে তারপর ১৯৯৬ এর শ্রীলংকার সাথে তুলনা করা দরকার ছিলো।
১। পাকিস্তানকে হারিয়েছিলো দলটা দুর্বল, অনভিঙ্গ, নতুন ছিলো
২। মুস্তাফিজুর একাই ভারতকে হারিয়া দিল, শেষ খেলায় সে ৫ উইকেট পেলো না, বাংলাদেশও বেশ ভালো মতো হারল।

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

মিতক্ষরা বলেছেন: ভয়ংকর বিশু, এখানে বেশী লাফানোর কিছু নেই। বাংলাদেশ হারতে পারে কিন্তু এত জঘন্য রান করে নয়। পরাজয়ের কারন অনুসন্ধান করতে হবে। এখন বাংলাদেশের যে পারফরম্যন্স, তাতে এরকম বাজে ভাবে হারাটা বরং অস্বাভাবিক।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২১

আমি শঙ্খচিল বলেছেন: বাংলাদেশ খারাপ খেলতেই পারে, এতে অবাক হউয়ার কিছু নেই । মুস্তাফিজুর এর পারফরমানস এ যেমন ভারত হেরে গিয়েছিল তেমনি রাবাদা এর ভাল বোলিং এ বাংলাদেশ পরাজিত হয়েছে । আগে ও আমরা দেখেছি বাংলাদেশ ভাল করেছে এবং কিছুদিন পরই খারাপ পারফরমানস করেছে। ভাল পারফরমানস ধরে রাখাটা খুবই কঠিন এবং এটাই এখন বাংলাদেশ এর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.